মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
আখাউড়ায় ৫৩ তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা সমিতির আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মাঠে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আজ ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন আব্দু।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোঃ ইকবাল হোসেন ভূইয়া, পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ সেলিম ভূইয়াসহ উপজেলা মাধ্যমকি একাডেমিক সুপার ভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আবু ইউসুফ নুরুল্লাহ, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক এএইচ মামুন, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আয়েত আলী বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অতিথিরা পতাকা উত্তোলন করেন।
পতাকা উত্তোলন শেষে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কুচকাওয়াজ, বাল্য বিবাহ রোধে সচেতনতামূলক নাটিকা, বেদের মেয়ের সাপের খেলাসহ মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে প্রদর্শন করেন।
সবশেষে শীতকালীন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্রছাত্রী, প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং শিক্ষকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
এ সময় উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওঃ বোরহান উদ্দিন, কৃষি অফিসার তানিয়া তাবাস্সুম, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক, দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহজু রহমানম, আমোদাবাদ শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ তারেক, রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান, তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২২ টি স্কুল ও মাদরাসার ছাত্রছাত্রীরা ৪৬ টি ইভেন্ট/ খেলাধুলায় অংশ নেয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক কাজী সাফিয়া খাতুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৪ জুলাই সোমবার দুপুরে আশুগঞ্জ নৌবন্দর উন্নয়ন ও সরাইল-ধরখার-আখাউড়া বন্দর পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী নেতৃত্তে ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
এসময় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামনের দিন গুলোতে আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে বিবেচনায় আমরা চেষ্টা করছি প্রকল্পের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে। যাতে করে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারি। তিনি বলেন, আমি খুবই খুশি যে এখানকার সাধারণ মানুষজন খুবই আন্তরিকতার সহিত আমাদের সহযোগিতা করেছেন যেন আমরা প্রকল্পের কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, আমি আজ এখানে এসেছি ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের মাধ্যমে চার লেনের জাতীয় মহাসড়ক যে প্রকল্পের কাজ হচ্ছে সে কাজের গতিবিধি কেমন চলছে এবং প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে আমাদের আরও কি করনীয় আছে তাই দেখলাম। কানেক্টিভিটির এই প্রকল্পটি আমাদের দু’দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ করবে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এর আগে দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনার আশুগঞ্জ নৌবন্দর হয়ে সড়ক পথে আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌছালে তাকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার অংগ্যজাই মারমা ও স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মো. আতিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের পরিচালক শোয়েব আহমেদ, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক খালেদ সাহিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন এবং আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার সড়ক চার লেনের জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন পায়। তবে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্পের কাজ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় তিন দফায় বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ, যা শেষ হবে ২০২৫ সালের জুন মাসে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। ভারতের ঋণ সহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতেও হারলো বাংলাদেশ। এতে টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো ভারত। আজ ৯ অক্টোবর বুধবার দিল্লিতে ২২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তোলে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এর আগে টস জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতে মেহেদী হাসান মিরাজকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক শান্ত। তিনি ১৫ রান দিলেও দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। তার বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে দাঁড়ানো শান্তর হাতে ক্যাচ দেন সাঞ্জু স্যামসন। ৭ বলে ১০ রান করেছিলেন তিনি।
পরের ওভারের শেষ বলেও উইকেট পায় বাংলাদেশ। এবার শেষ বলে অভিষেক শর্মাকে বোল্ড করেন তানজিম হাসান সাকিব। ১১ বলে ১৫ রান করেছিলেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে গিয়েও উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। এবার মুস্তাফিজুর রহমানের বলে মিড অফে দাঁড়ানো শান্তকে ক্যাচ দেন ১০ বলে ৮ রান করা সূর্যকুমার যাদব।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৪৫ রান তোলে ভারত। কিন্তু এরপরও ভারতকে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। রিংকু সিং ও নিতিশ কুমার রেড্ডির ঝড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন বোলাররা। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ঝড় তোলা নিতিশকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ।
পরে ২৯ বলে ৫৩ রান করা রিংকু সিংকে আউট করেন তাসকিন। এ ছাড়া ১৯ বলে ৩২ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৬ বলে ১৫ রান করেন রিয়ান পারাগ। সবশেষ ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে ভারত।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন রিশাদ, সমান ওভারে ৫০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। এ ছাড়া তাসিকন ও মুস্তাফিজ পেয়েছেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন টাইগার ব্যাটাররা। দলের হয়ে ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন ইমন। মিরাজও করেছেন ১৬ রান। এ ছাড়া বলার মতো তেমন কেউ রান করতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ভারত : ২০ ওভার ২২১/৯
বাংলাদেশ : ২০ ওভার ১৩৫/৯
ফল : ভারত ৮৬ রানে জয়ী
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুস্থ প্রখ্যাত আউলিয়া হযরত শাহ্ সৈয়দ আহাম্মদ গেছু দারাজ (র.) প্রকাশ্য শাহ্পীর কেল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফের বার্ষিক ওরশের বিশেষ দোয়া দিবস আজ (সোমবার)।
আজ দিবাগত রাত ১২টায় মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। দোয়া পরিচালনা করবেন মাজার শরীফ জামে মসজিদের খতীব হাফেফ মাওঃ মোঃ লুৎফুর রহমান খাদেম। এর আগে ১০ আগষ্ট থেকে ৭ দিন ব্যাপী বাৎসরিক ওরশ শুরু হয়। ওরশ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার ভক্ত-আশেকান ও সাধারণ মানুষের সমাঘম ঘটেছে মাজার এলাকায়। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত্র পর্যন্ত চলে ধর্মীয় আলোচনা, জিকির, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এছাড়া ধর্মপ্রাণ মানুষ ইবাদত বন্দেগী করে সময় কাটায়।
এদিকে মাজার শরীফের বিশেষ মোনাজাতে শরীক হতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে মাজার এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। মাজার শরীফের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। নৌপথের নিরাপত্তায় নৌকা যোগে পুলিশ টহল দিচ্ছে। মাজার সংলগ্ন রেল লাইনে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা রোধে রেলপথসহ রেল সেতুতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও আনসার সদস্য। এছাড়া প্রায় ২’শ খাদেম স্বেচ্ছা সেবকরা ভক্ত-আশেকানদের খেদমতে নিয়োজিত থাকবে। একটি মেডিকেল টিম জরুরী স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত থাকবে। তাছাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছে।
এদিকে মোনাজত উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও মাজার কমিটির সভাপতি মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা এবং আখাউড়া পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
ওরশকে কেন্দ্র করে মাজার এলাকায় মাস ব্যাপী মেলা বসেছে। মেলায় কাঠ, বাঁশ, বেতের আসবাবপত্র, কসমেটিক্স, প্লাস্টিক পণ্য, খেলনাসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছে বিক্রেতারা।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ওরশ উদযাপনে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অফিসারসহ ৬ শতাধিক পুলিশ, আনসার ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। আশা করি বিগত বছরের ন্যায় শান্তিপূর্ণ ভাবে উরশ সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, ওরশের প্রথম দিন গত ১০ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাজার সংলগ্ন রেলপথে ট্রেন দূর্ঘটনায় ৪ জন ভক্তের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে আসেন। তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে গিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেন। ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় তাদেরকে দেশে পাঠানো হয়েছে।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার জয় হরি রায়ের স্ত্রী। জবা রানী রায় ও তার ছেলে জগদীশ রায়, নেত্রকোনা জেলার কুদরত আলীর মেয়ে মোছা. বিউটি, চাঁদপুর জেলার আবু তাহেরের ছেলে রিয়াদ হোসেন, যশোর জেলার মো. সুবহান মিয়ার মেয়ে বিনা বেগম, একই জেলা মো. আজাদ শেখের ছেলে শেখ সাদি, নওগা জেলার মো. শাহীর আলীর মেয়ে শাহিনা বেগম, জামিলপুর জেলার মো. নরুল ইসলামের ছেলে মো. শামীম মিয়া ও তার ভাই সোহান মিয়া, একই জেলার আকবর আলীর ছেলে মো. ফারুক হোসেন, একই জেলার মো. ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী আসমা বেগম, ঝালকাটি জেলার বিল্পব চন্দ্র অধিকারীর মেয়ে তৃষ্ণা অধিকারী।
দেশে ফেরা এক মেয়ের মা বলেন, আমার মেয়ে ফিরে এসেছে এজন্য আমি খুশি। দালালের মাধ্যমে ভারতে গিয়েছিল বলে তিনি জানান।
ভারত ফেরত জামালপুরের এক নারী (আসমা বেগম) বলেন, আমাকে গার্মেন্টস্ কাজ দেওয়ার কথা বলে আমাকে নিয়ে যায়। বলেছিল ৪০ হাজার টাকা বেতন দিবে। আখাউড়া চেক পোষ্টের সীমান্ত রেখায় উপস্থিত স্বজনরা ভারত ফেরত বাংলাদেশীরদেরকে গ্রহণ করেন।
এসময় আখাউড়া উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার উপস্থিত ছিলেন। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ম্যানেজার সজিব কুমার পান্ডে, ডেপুটি ম্যানেজার শায়লা শারমিন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, ত্রিপুরার সংবাদ পত্রে প্রায়ই দেখছি ত্রিপুরার সীমান্ত দিয়ে নারী এবং শিশু পাচারের ঘটনা ঘটছে। যেহেতু ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি বড় সীমান্ত রয়েছে। অনেক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। দুষ্কৃতিকারীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এসব কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি দুদেশই এ বিষয়ে আরও তৎপর হবেন।
তিনি আরো বলেন, ১২ জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তীতে তারা ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে সেখানে একাধিক সেন্টারে রাখা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মো: আফজাল হোসেন (৩৪) নামে এক শিক্ষকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া উপজেলার গাজীরবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফজাল হোসেন উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার পুত্র। তিনি স্থানীয় ছয়ঘড়িয়া আলহাজ্ব শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিজের মোটরসাইকেলে করে শিক্ষক আফজাল হোসেন আখাউড়া স্থলবন্দর সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। গাজির বাজার এলাকায় পৌঁছলে আখাউড়াগামী একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী স্কুল শিক্ষক আফজাল হোসেনের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।