অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীদের স্থানান্তর এবং ওই উপত্যকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা জাতিগত নিধনের সামিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
অ্যান্তোনিও গুতেরেস আরো বলেছেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে চিরকালের জন্য অসম্ভব করার ঝুঁকি তৈরি করেছে। ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকের প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র গাজা ‘দখল’ করবে এবং এটি পুনর্গঠন করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে।
তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই উপত্যকা পুনর্নির্মাণ করে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো হবে, যা বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান ও আবাসন সৃষ্টি করবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা এটির (গাজার) মালিক হব এবং সেখানকার সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র নির্মূল করব, ভূখণ্ডটি সমতল করব এবং ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলো থেকেও আমরা মুক্তি পাব, এগুলোকে সমতল করবো এবং সেখানে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করব যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর চাকরি এবং আবাসন সৃষ্টি করবে।
গাজাবাসীর মধ্যপ্রাচ্যের এক বা একাধিক দেশে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি বলতে চাইছি যে, তারা সেখানে আছে কারণ তাদের কোনও বিকল্প নেই। তাদের কী আছে? এটি এখন ধ্বংসস্তূপের একটি বিশাল স্তূপ।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের গাজা দখল ও নিয়ন্ত্রণ নেয়ার এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দেশটির মিত্র এবং প্রতিপক্ষ উভয়েরই তীব্র বিরোধিতার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র: ডেইলি ট্রিবিউন
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ গেছে ৬১ আরোহীর। ভোপাস এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইট ৯ আগস্ট শুক্রবার ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় পারান রাজ্য থেকে যাত্রী নিয়ে সাও পাওলো শহরের প্রধান বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ভিনহেদো এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
টার্বোপ্রপ উড়োজাহাজটিতে ৫৭ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু ছিলেন। তাদের কেউ বেঁচে নেই বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সূত্র : বিবিসি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি খাঁড়াভাবে নেমে আসতে থাকে এবং ওই অবস্থায় ঘুরতে ঘুরতে একটি আবাসিক এলাকার কাছে ভূপাতিত হয়।
ভিনহেদোর পাশের ভালিনহোস শহরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ায় একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে বাসিন্দাদের কেউ হতাহত হননি।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি বাড়ানো নিয়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে সৌদি আরব। এ সিদ্ধান্ত নিলে ইসরায়েলকে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে রিয়াদ। সূত্র : আরব নিউজ
স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সৌদি প্রেস এজেন্সি প্রচারিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সৌদি আরব আন্তর্জাতিক আইনের চলমান ইসরায়েলি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আপত্তি জানাচ্ছে। ’
মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, ‘যদি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বসতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনা চালিয়ে যায়, তবে এর ‘ভয়াবহ পরিণতি’ হতে পারে।’
এর আগে, ইসরায়েলের কট্টরপন্থী অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন, তার সরকার পশ্চিম তীরের বসতি সম্প্রসারণ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের কার্যক্রমের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্পোটর্স ডেস্ক
প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসর বসেছে। ২ জুন প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় আইসিসির দুই সহযোগী সদস্য স্বাগতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা। ডালাসে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের ব্যাপক শাসন করে কানাডা স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ। জবাবে ব্যাট করতে অ্যারন জোন্সের ব্যাটিং তাণ্ডবে ১৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ ২ জুন রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ৩০ মিনিটে দুই প্রতিবেশী দল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুন শুরু করেন কানাডার দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নবনীত ডালিওয়াল। এইি উদ্বোধনী জুটি করে ৪৩ রান। দলীয় ৪৩ রানের মাথায় অ্যারন জনসনের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ১৬ বলে ২৩ রান করে ফেরেন এই ব্যাটার।
এরপর দলীয় ৬৬ রানে পারগাত সিংয়ের বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় দলটি। ৭ বলে ৫ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর নবনীতকে নিয়ে দারুন জুটি গড়েন নিকোলাস কির্তন। দলীয় ১২৮ রানের মাথায় নবনীতের বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় দলটি। ৪৪ বলে ৬১ রানে বিদায় নেন তিনি। এরপর নিকোলাসের ব্যাটে ভর করে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করায় কানাডা।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার স্টিভেন টেলরকে হারায় যুক্তরাষ্ট্র। বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। ১৬ বলে সমানসংখ্যক রান করেন তিনি। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। অ্যারন জোন্স ও অ্যান্ড্রেস গুসের ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন। জোন্সই বেশি মারমুখী ছিলেন। মাত্র ২২ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ফিফটির দেখা পান গুসও। মাত্র ৫৮ বলে ১৩১ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪৬ বলে সাতটি চার ও তিন ছক্কায় ৬৫ রান করেন গুস। এরপর কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন জোন্স। তিনি অপরাজিত ছিলেন মাত্র ৪০ বলে চারটি চার ও ১০ ছক্কায় ৯৪ রান করে। আর এতে ১৪ বল বাকি থাকতে সাত উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল স্বাগতিকরা।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথের নির্দেশনা অনুযায়ী, বর্তমান সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতারা আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে তাদের কেস পিপিএলে স্থানান্তর করতে পারবেন। যারা একবারেই নতুন, তারা ১ মার্চ থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে বারবার বর্তমান সেবাগ্রহীতাদের নিবন্ধন পিপিএলের সঙ্গে করার জন্য বলা হয়েছে। যারা এই স্থানান্তর করবেন না, তারা পরবর্তী সময়ে কী ধরনের সমস্যায় পড়বেন, তা এখনো স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না। তবে এই মুহূর্ত পর্যন্ত এটাই নিয়ম, সিডিপ্যাপের সেবাগ্রহীতারা তাদের একই রকম সেবা ও সুযোগ ধরে রাখতে চাইলে তাদেরকে পিপিএলের অধীনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখন পর্যন্ত অন্য কোনো বিকল্প নেই। ডেডলাইন ১ এপ্রিল ধরেই কাজ চলছে। তবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজার সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতা রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ। সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতাকে পিপিএলের সঙ্গে যাওয়ার জন্য কিছু নথিপত্রে সাইন করতে হবে। এখন যারা রেজিস্ট্রেশন করছেন, তাদের সেবা প্রদানের বিষয়টি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে যারা হোম কেয়ার সেবা দিচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই সেবাগ্রহীতাদের পরামর্শ দিচ্ছেন এখনই পিপিএলে স্থানান্তর না করতে। তারা অপেক্ষা করার জন্য বলছেন। সে হিসেবে অনেক সেবাগ্রহীতাই সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করছেন। যেসব সেবাগ্রহীতা সিডিপ্যাপের মাধ্যমে সেবা পাচ্ছেন, তাদের পরিবার-পরিজনের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছেন, তারা চাইছেন পিপিএল হোক বা এখন তিনি যেভাবে সেবা পাচ্ছেন ও তার সেবাদাতা যে সুবিধা পাচ্ছেন, সে ধরনের সেবা ও সুবিধা বহাল রাখতে। বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোম কেয়ার এজেন্সিগুলোর বেশির ভাগই বলছে, ২৮ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে স্থানান্তর করলেই হবে। একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোম কেয়ার এজেন্সিগুলো তাদের রোগীদের নিয়েই পিপিএলের অধীনে যাবে। সে ক্ষেত্রে একেকটি এজেন্সি তাদের মতো করে পিপিএলের সঙ্গে সমঝোতা করবে।
২৫ জানুয়ারি নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে নতুন একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেখানে পিপিএলের অধীনে সেবাগ্রহীতাদের কেস স্থান্তান্তর করার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে নিউইয়র্কার্স স্টেটওয়াইড সিডিপ্যাপের ট্রান্সজিন প্রোগ্রেসের বিষয়ে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ মেডিকেড কনজিউমার নির্দেশিত ব্যক্তিগত সহায়তা প্রোগ্রামকে (সিডিপিএপি) একক আর্থিক মধ্যস্থতাকারীতে (এফআই) স্থানান্তরিত করছে। নতুন এফআই হলো পাবলিক পার্টনারশিপ এলএলসি (পিপিএল)। কেস স্থানান্তরের বিষয়ে বলছে, পিপিএলে রূপান্তর শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এবং সব গ্রাহককে অবশ্যই এপ্রিলের মধ্যে স্থানান্তর করতে হবে। নিবন্ধনকরণ বিষয়ে বলছে, নতুন গ্রাহক এবং ব্যক্তিগত সহকারীরা ১ মার্চ থেকে পিপিএলের সঙ্গে নিবন্ধন করতে পারেন। ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষার বিষয়ে বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর জোর দেয়, সমস্ত ব্যক্তিগত ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়াজুড়ে সুরক্ষিত থাকবে। তদারকির বিষয়ে বলছে, একক স্টেটব্যাপী এফআই কাঠামো প্রোগ্রামটির তদারকি উন্নত করবে, জালিয়াতি হ্রাস করবে এবং আইনগুলোর সঙ্গে সম্মতি উন্নত করবে। রূপান্তর সুবিধার বিষয়ে বলছে, একক এফআই কাঠামো প্রোগ্রামে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে আসবে। আর একক এফআই কাঠামো আরও ভালো প্রতিবেদন এবং আইনগুলোর সঙ্গে সম্মতি সক্ষম করবে।
নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ আপডেটস নিউইয়র্কারদের স্টেটব্যাপী সিডিপ্যাপ ট্রানজিশন প্রগ্রেসে দেখা যাচ্ছে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজারেরও বেশি গ্রাহক হয়েছেন, যারা নিবন্ধনকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বা শেষ করেছেন। নিবন্ধনকরণ উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত হতে থাকবে। ১ এপ্রিল লক্ষ্যপূরণের জন্য নিউইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ বিষয়গুলো মনিটরিং করবে।
স্টেট স্বাস্থ্য কমিশনার ডা. জেমস ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, এই রূপান্তরটি পরিকল্পনা অনুসারে এগিয়ে চলছে এবং আমরা ১ এপ্রিল সময়সীমা পূরণের জন্য ট্র্যাকে রয়েছি। পাবলিক পার্টনারশিপস এলএলসির সঙ্গে আমাদের অংশীদারির মাধ্যমে ১১টি ইন্ডিপেডেন্ট লিভিং সেন্টারসহ ৩০টিরও বেশি ফ্যাসিলেটর রয়েছে। আমরা নিউইয়র্কারদের জন্য আরও শক্তিশালী, আরও টেকসই ভোক্তা নির্দেশিত ব্যক্তিগত সহায়তা কর্মসূচি সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। যারা তাদের প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়ার যোগ্য, তারা যত্ন নেওয়ার উপযুক্ত সেবা পাবেন তাদের বাড়িতে।
নিবন্ধন করার জন্য ফোন করা যাবে ১-৮৩৩-২৪৭-৫৩৪৬ বা টিটিওয়াই : ১-৮৩৩-২০৪-৯০৪২-এ। পিপিএলের সমর্থন কেন্দ্রকে কল করতে হবে এবং পিপিএলের সদস্য প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করবেন। কেউ চাইলে পিপিএলএফআরএসটি.কম/সিডিপ্যাপ-তে পিপিএলের ওয়েবসাইটে গিয়ে পিপিএল@হোম অ্যাক্সেস করা যাবে। পিপিএল বা আইএলসিএসসহ অন্য কোনো অনুমোদিত সিডিপ্যাপ সুবিধার্থীর সঙ্গে কাজ করতে পারবেন, যারা প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে গাইড করতে পারে। অনুমোদিত সিডিপ্যাপ সুবিধার্থীদের একটি তালিকা রয়েছে সিডিপিএপি ফ্যাসিলেটর পিপিএল ফার্স্ট, সেখানে যে যার পছন্দ সেসব এফআইকে বেছে নিতে পারেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানে একটি তিনতলা আবাসিক ভবন ধসে পড়ে নয় জন নিহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের শহর মুলতানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুলতানের হারাম গেট এলাকায় একটি বহুতল পুরানো ভবন ধসে একজন শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
জেলাটির জরুরি কর্মকর্তা ডাঃ কলিমুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, ‘মুলতানের হারাম গেট এলাকায় একটি আবাসিক ভবন ধসে পড়ে এবং ১০ জন ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়ে।
’ ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ আশেপাশের বাড়িগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। নিহতদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী, তাদের দুই ছেলে ও তাদের তিন মেয়েসহ একই পরিবারের সাত সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভবনটি ধসে পরার পর জরুরি কর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা শুরু করেন। রেসকিউ ১১২২-এর আটটি গাড়ি এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।
নয়টি মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছেন, গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে ভবন ধসে পড়া সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানহীন উপকরণ দিয়ে ভবন নির্মাণ কারণে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে।
সাধারনত খরচ কমাতে নিরাপত্তা নির্দেশিকাগুলো উপেক্ষা করা হয় সেখানে। ২০২০ সালের জুনে দেশটির বৃহত্তম শহর করাচিতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং ধসে ২২ জন নিহত হয়েছিল। সূত্র: আল-অ্যারাবিয়া, সামা টিভি