মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর :
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম নারী চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে যোগদান করলেন ডা: শামীমা সুলতানা। আজ ৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে পড়ালেখা শেষ করে ৩২ তম বিসিএস পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকুরি শুরু করেন। তিনি রাজশাহীর মেয়ে হলেও তার শ্বশুর বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়।
নবাগত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শামীমা সুলতানা হিসাবে যোগদানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা, কর্মচারীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। নবাগত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শামীমা সুলতানা বলেন, কর্তৃপক্ষের আদেশে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছি। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নাসিরনগরবাসীর সহযোগিতায় স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন নাসিরনগর উপজেলা শাখার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবং সরাসরি প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। নির্বাচিত কমিটির আহবায়ক হলেন আলী আকরাম খন্দকার স্বপন, সদস্য সচিব ফজল ভূইয়া, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ছোয়াব মিয়া।
গত ১৮ আগস্ট নাসিরগর উপজেলার হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন এর নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকরাম খন্দকার স্বপনের আহবানে এবং শরীফ রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মোঃ ফিরোজ আহমেদ, ছোয়াব মিয়া, মাজহারুল হক, হালিমা বেগম, সোহেল রানা, জুলহাস শাহ, আলমাছ উদ্দিন, জহির উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, পলাশ দেবনাথ, বিজয় সূত্রধরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী আহবায়ক কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আহবায়ক ও সদস্য সচিব, যুগ্ম আহবায়ক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় গোপন ভোটের মাধ্যমে আহবায়ক ও সদস্য সচিব নির্বাচন করা হয়।
আহবায়ক হিসেবে আলী আকরাম খন্দকার স্বপন ও সদস্য সচিব হিসেবে মোঃ ফজল ভূইয়াকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়।
যুগ্ম আহবায়ক এর পদে একজন প্রার্থীর নাম প্রত্যাহার করায় মোঃ ছোয়াব মিয়া নির্বাচিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-১-(নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজ্জা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম আজ ২৫ ডিসেম্বর সোমবার স্বশরীরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে হাজির হয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানার অঙ্গীকার করেছেন।
বেলা সাড়ে ১২টার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারি জজ ও নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল হক এর কাছে এসে তিনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে তার দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে একটি লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি মোঃ শাহজাহান মিয়া বাবু সোমবার বিকেলে এম.পি’র জবাব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন আদালতের ওই কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ফরহাদ হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর প্রদত্ত বক্তব্যের খন্ডিত অংশের বিকৃত করে মিডিয়া কুচক্রের মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে।
লিখিত জবাবে তিনি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানার অঙ্গীকার করেন। পত্রিকার রিপোর্ট মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিধায় কারণ দর্শানোর দায় থেকে অব্যাহতি চান তিনি।
লিখিত জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, তার বক্তব্যের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের কর্মকান্ডের কারণে তার নাম জনগণের হৃদয় থেকে মুছে যাবে বুঝিয়েছেন। তিনি কাউকে কোনো প্রকার হুমকি প্রদান করেননি। পত্রিকার রিপোর্টের ভিত্তিতে নেয়া নির্বাচনী তদন্ত কমিটির পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার।
এর আগে গতকাল রবিবার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেওয়ায় অভিযোগে সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরাহদ হোসেনকে ‘তলব’ করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
গত ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ‘চেয়ারম্যানের নাম মুছে দিতে চান এম.পি, হাত ভাঙার হুমকি আওয়ামীলীগ নেতার’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হলে সেটির সূত্র ধরে তাকে তলব করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন করা হয়েছে।
১৪ এপ্রিল রবিবার সকালে বৈশাখী শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাঙালির নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুর হয়। নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধি গণ অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীদের পরিবেশনায় পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ (নাসিরনগর) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বর্ষবরণ উপলক্ষে ঐকতান সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র আয়োজিত ভর্তা উৎসবে অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
৭ ডিসেম্বর নাসিরনগর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্ত হয় নাসিরনগর উপজেলা। প্রতি বছরই এ দিনটিতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন। ১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামবাসীর ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। উপজেলার ফুলপুর, নুরপুর, কুলিকুন্ডা, সিংহগ্রাম ও তিলপাড়া গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালোনো হয়। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে আজকের দিনে নাসিরনগর থানা অভ্যন্তরে (পুলিশ স্টেশন) স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে।