অনলাইন ডেস্ক :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা আশিক মিয়া (২০) হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে তিনদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা ১১টায় পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উঠানো হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর মহসীন উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার আশিক মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হককে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উঠানো হয়েছিল। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শ্রমিক আশিক মিয়ার মা কুলসুম বেগম সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহ ১১২ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :
‘আপা’ বলতেই ক্ষেপে গেলেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার নিরুপমা পাল! আর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
কোনো এক সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কর্মীরা ‘আপা’ বলায় ক্ষেপে যান ওই চিকিৎসক।
রাগতস্বরে বলেন, ‘আপা’ না, তাকে ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে।
সম্প্রতি ২৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বিপ্লব শান্ত নামে এক সংবাদকর্মী নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন। যা মুহূর্তেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, নিরুপমা পাল মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি সিংগাইরে একটি মারামারির ঘটনায় আহতদের ইনজুরি সার্টিফিকেটে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গত ২৪ মার্চ বিকেলে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদকর্মী তার বক্তব্য জানতে হাসপাতালে গেলে ওই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
২৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালে ওই চিকিৎসকের ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, আপা আপনার নাম কি? নিরুপমা পাল জানিয়ে ওই চিকিৎসক রেগে গিয়ে বলেন, আপনি আমাকে ‘আপা’ বলছেন কেন?
এসময় পাশ থেকে আরেকজন জানতে চান, তাহলে আপনাকে কি ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে? তখন চিকিৎসক নিরুপমা পাল বলেন ‘হ্যা, অবশ্যই’। তখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, কেন আপনাকে ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে? এসময় ওই নারী চিকিৎসক পাশের একজনকে বলেন, আচ্ছা উনি কেন আমাকে হ্যারাস করতেছে বলেন। তখন অন্য একজনকে বলতে শোনা যায় যে, আপনিই তো প্রথমে শুরু করলেন!
এ বিষয়ে জানতে চিকিৎসক নিরুপমা পালের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি তার স্বামী ডা. পার্থ রিসিভ করেন। তিনি বলেন, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও নিয়ে তার স্ত্রী মানসিকভাবে কিছুটা বির্পযস্ত। এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চান না।
এদিকে বিষয়টি জানা আছে উল্লেখ করে মানিকগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোয়াজ্জেম আলী বলেন, স্থানীয়ভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটা মিমাংসা হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কয়েকটি ক্ষেত্রে জমি নিবন্ধনের খরচ আবার কিছুটা কমানো হয়েছে। চার শ্রেণির এলাকায় আগের চেয়ে কম খরচ করে জমি নিবন্ধন করা যাবে। দুটিতে কর হার ৮ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। আর দুই শ্রেণিতে টাকার অঙ্ক কমানো হয়েছে।
আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এনবিআরের নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ঢাকা জেলার কাফরুল, মোহাম্মদপুর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, ক্যান্টনমেন্ট, চকবাজার, কোতোয়ালি, লালবাগ, খিলগাঁও, শ্যামপুর ও গেন্ডারিয়া এলাকার ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে করহার ভূমির মূল্যের ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভূমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি দেড় লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা প্রযোজ্য হবে।
একইভাবে ঢাকার খিলক্ষেত বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, মুগদা, রূপনগর, ভাষানটেক, বাড্ডা, পল্লবী, ভাটারা, শাহজাহানপুর, মিরপুর, দারুসসালাম, দক্ষিণখান, উত্তরখান, তুরাগ, শাহ আলী, সবুজবাগ, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, ডেমরা ও আদাবর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর, নারায়ণগঞ্জ সদর ও রূপগঞ্জ থাকার ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে জমির মূল্যের ৮ শতাংশের পরিবর্তে ৬ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ওই এলাকার ভূমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি এক লাখ টাকা—যেটি কম হবে, তা কর হিসেবে দিতে হবে।
চট্টগ্রামের খুলশী, পাঁচলাইশ, পাহাড়তলী, হালিশহর ও কোতোয়ালি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর থানা, গাজীপুরের কালীগঞ্জ, সদর, বাসন, কোনাবাড়ী, গাছা ও টঙ্গীর ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে মূল্যের ৬ শতাংশ করহার আগের মতো বহাল আছে। তবে কাঠাপ্রতি করের পরিমাণ ৮০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি মূল্য ৫০ হাজার টাকা-যেটি কম হবে, তা প্রযোজ্য হবে।
একইভাবে ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামরাই এবং চট্টগ্রামের আকবর শাহ, ইপিজেড, কর্ণফুলী, চকবাজার, চান্দগাঁও, ডবলমুরিং, পতেঙ্গা, বাকলিয়া, বায়েজিদ বোস্তামী, সদরঘাট এলাকা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ঙ শ্রেণির মৌজার কর কাঠাপ্রতি ৫০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর ফলে নিবন্ধনের সময় জমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ২০ হাজার টাকা-যা কম হবে, তা প্রযোজ্য হবে।
গত অক্টোবর মাসে যখন মৌজা ভিত্তিতে করহার নির্ধারণ করা হয়, তখন ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা ও এর বাইরে অবস্থিত জমিকে মৌজা অনুযায়ী ক থেকে ঙ-এই পাঁচ শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইজতেমা ময়দানে নিরীহ মুসল্লিদের ওপর সাদ পন্থীদের হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে এবং দেশব্যাপী সাদ পন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উলামা মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতা।
আজ ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসার তৌহিদী জনতা শহরের টেংকের পাড় মাঠে এসে সমাবেত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কুমারশীল মোড়, হাসপাতাল রোড, কোর্টরোড ও মাদরাসা মোড়সহ বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদিক্ষিন করে কাউতলী মোড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, হেফাজত ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি মুফতি মুবারকুল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম, দফতর সম্পাদক মাওলানা বেলাল হোসাইন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ইজতেমা ময়দানে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাদপন্থীদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবি জানান। পাশাপাশি দেশ ব্যাপী সাদ পন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধেরও দাবি তুলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
গাজীপুুর মহানগরের পুবাইল থানার তেলের লড়ির চাপায় বাবা ও ছেলে নিহত। এ ঘটনায় চালকসহ তেলের লড়ি আটক করেছে পুলিশ।
আজ ২৬ মে শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় মিরের বাজার-উলুখোলা সড়কের টিয়া পূর্বপাড়া এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত বাবা মো. জলিল হোসেন (৬৪) শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার জালকাটা গ্রামের উজির আলী ফকিরের ছেলে ও জলিলের ছেলে মো. শহীদ (১৪)। তারা দুজনে গাজীপুরের পুবাইল এলাকার আইয়ুব আলী পাঠানের বাড়িতে ভাড়া থেকে ভিক্ষাবৃত্তি করতো। এ ঘটনায় আটক লড়ির চালক শ্রী সুজন মাল্লা (৩৫) জামালপুর ঝেলার মাদারগঞ্জ থানার বীর ভাটিয়ানী থানার চাম্পা মাল্লার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা নাওজোর এলাকার নজরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
প্রত্যক্ষদর্র্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছেন, প্রতিবন্ধী ছেলে শহীদকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে ভিক্ষা করতো বাবা মো. জলিল হোসেন। শুক্রবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পুবাইলের মিরের বাজার-উলুখোলা সড়কের টিয়া পূর্বপাড়া এলাকা ভিক্ষা করছিল তারা। এসময় নারায়নগঞ্জ থেকে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে আসা একটি তেলের লড়ি (যশোর-ট-১১-২৯০২) হুইল চেয়ারে করে ভিক্ষা করার সময় প্রতিবন্ধী শহীদ ও জলিলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে পুবাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন কুমার কুন্ড বলেন, এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বাসচাপায়কালা মিয়া (৫০) নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা-সোনাপুর ফোরলেন সড়কের শেয়ার বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কালা মিয়া উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের বেচু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কালা মিয়া ভ্যানে করে স্থানীয় বাজারগুলোতে পেঁয়াজ, রসুন বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি উপজেলার চৌমুহনী বাজার থেকে ভ্যানে করে পেঁয়াজ, রসুন নিয়ে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে একলাশপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা-সোনাপুর ফোরলেন সড়কের শেয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে ফেনীগামী সুগন্ধা পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাসটি এখনো আটক করা যায়নি। তবে চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার পুলিশ মরদেহের সুরতহাল করেছে। বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের আওতাভুক্ত। এ বিষয়ে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবে।