হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মেয়ে ও নারীদের খেলাধুলায় ট্রান্স নারীদের (রূপান্তরিত নারী) অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ আদেশে গতকাল বুধবার তিনি সই করেন।
নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ট্রান্সজেন্ডার (রূপান্তরিত নারী–পুরুষ) খেলোয়ারদের মেয়ে ও নারী শাখায় বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ এবং নারীদের লকার রুম ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়, সেসব প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন করা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার বিরত থাকবে। খবর- আল জাজিরা
শিক্ষা খাতে ১৯৭২ সালে প্রণীত লৈঙ্গিক বৈষম্য দূরীকরণ আইনের (টাইটেল নাইন) কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমরা করদাতাদের কাছ থেকে ডলার গ্রহণকারী প্রতিটি বিদ্যালয়কে নোটিশ দিচ্ছি, যদি আপনারা নারীদের খেলার দলে পুরুষদের (ট্রান্স নারী) নিয়ন্ত্রণ করতে দিতে চান এবং আপনাদের লকার রুমে প্রবেশ করতে দিতে চান, তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে টাইটেল নাইন লঙ্ঘনের তদন্ত হবে। কেন্দ্রীয় তহবিল পাওয়া ঝুঁকিতে পড়বে।
ট্রাম্প আরো বলেন, মেয়েদের খেলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা তিনি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সাথে কথা বলবেন যাতে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ২০২৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আগেই লিঙ্গভিত্তিক অংশগ্রহণকে স্পষ্টভাবে সমর্থন করা যায়। অলিম্পিক কমিটি খেলাধুলায় ট্রান্স নারী–পুরুষের অংশগ্রহণের বিষয়টি আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছে। আমরা চাই, তারা অলিম্পিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ও পুরোপুরি হাস্যকর এই বিষয়ের (মেয়েদের খেলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ) সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছু বদলে ফেলবে, যোগ করেন ট্রাম্প।
ট্রান্স নারীদের খেলায় অংশগ্রহণের বিষয়টি সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক যুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে; যদিও মেয়েদের খেলায় অংশ নেওয়া ট্রান্স নারীদের সংখ্যা বেশ কম।
ন্যাশনাল কলেজিয়েট অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশনের (এনসিএএ) প্রেসিডেন্ট চার্লি বেকার গত ডিসেম্বরে সিনেট প্যানেলের সামনে এক শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। তখন চার্লি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৫ লাখ ২০ হাজার খেলোয়াড়ের মধ্যে ১০ জনেরও কম ট্রান্স নারী খেলোয়ারের কথা তিনি জানেন।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী।
টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টির প্রার্থী ছিলেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থীর চেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক প্রায় দ্বিগুণ ভোটে জিতেছেন। আজ ৫ জুলাই শুক্রবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে। হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনে ভোটে লড়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট। এই জয়ের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন মাত্র ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে আছেন গ্রিন পার্টি থেকে লরনা জেন রাসেল। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৩০ ভোট।
টিউলিপ সিদ্দিকের মা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ রেহানা।
টিউলিপ সিদ্দিক প্রথমবার হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে। এদিকে আরেক বাংলাদেশি পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে আপসানা বেগম ১৮ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। আপসানার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিন পার্টির নাথালি বেইনফিট পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৫, কনজারভেটিভ পার্টির ফ্রেডি ডউনিং ৪ হাজার ৭৩৮, স্বতন্ত্র প্রার্থী আপসানার সাবেক স্বামী এহতেশামুল হক ৪ হাজার ৫৫৪ ভোট পেয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে চিঠি লেখা মার্কিন কংগ্রেসের ছয় সদস্যকে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ‘কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকান ইনকরপোরেশন’। সেখানে কংগ্রেসম্যানদের চিঠির তথ্যকে অসত্য বলে দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই চিঠির তথ্যের সত্যতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কংগ্রেসের যে ছয় সদস্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন ব্যারি মুর, টিম বার্চেট, ওয়ারেন ডেভিডসন, বব গুড, স্কট পেরি ও কিথ সেলফ।
গত ২৬ আগস্ট ওই চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসরত ২৬৭ জন বাংলাদেশি-আমেরিকান স্বাক্ষর করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, মার্কিন সরকারি উচ্চপদে কর্মরত বাংলাদেশি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তরুণরা।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাইডেন প্রশাসনের কাছে লেখা চিঠিতে নিজের জন্মভূমি সম্পর্কে মিথ্যা ও অসম্পূর্ণ তথ্য লেখা হয়েছে।
এতে গর্বিত বাংলাদেশি হিসেবে তাদের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, গত এক দশকে বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী-পুরুষের সম-অধিকার, নারী উন্নয়ন প্রগতি, ধর্মীয় সহিষ্ণুতাকে বিবেচনা না করে খুবই সংকীর্ণ আর একচোখাভাবে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকান ইনকরপোরেশনের সদস্যরা চিঠিতে মনে করিয়ে দেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীসহ বাংলাদেশবিরোধী দলগুলো বিভিন্ন সময় টাকার বিনিময়ে লবিস্ট ফার্ম দিয়ে এসব অপপ্রচার চালিয়ে থাকে। চিঠিতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশি খ্রিস্টান কমিউনিটি প্রধানের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে সবাই সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের শন্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা এবং অর্জন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের হয়ে শান্তিরক্ষা করতে গিয়ে বিদ্রোহীদের হাতে নিহতদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনার কারণে এত বিশাল অবদান আর আত্মত্যাগ কি অস্বীকার করবে জাতিসংঘ? জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের উজ্জ্বল অংশগ্রহণকে নিষিদ্ধ করা কোনোভাবেই নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বমানবতা রক্ষায় ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রায় ১৪ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দেয়। এত বিশাল সংখ্যক উদ্বাস্তু পৃথিবীর আর কোনো দেশ একসঙ্গে আশ্রয় দেয়নি উল্লেখ করে মানবতা রক্ষায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রীর অবদান তুলে ধরা হয়। শেখ হাসিনা নিজ দেশের স্বার্থের কথা না ভেবে এত বিশাল সংখ্যক অসহায় উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়ে জাতিসংঘ থেকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে স্বীকৃত হন।
গণতন্ত্র নস্যাতের অভিযোগের জবাবে বাংলাদেশি আমেরিকানদের সংগঠন অতীতের গণতন্ত্র ধ্বংসকারী বিএনপি-জামায়েত-শিবিরের সন্ত্রাস ও একনায়কতান্ত্রিক শাসনের কথা উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, আমেরিকান হিসেবে তারা ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে, কিন্তু তার পরও আমেরিকা গণতন্ত্র ব্যবস্থা, মানবিক অধিকার, ধর্মীয় অধিকার নিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সে তুলনায় ৫২ বছর বয়সী বাংলাদেশের চেষ্টাটি প্রশংসার দাবি রাখে কি না, সেই প্রশ্ন রাখা হয়েছে চিঠিতে।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং মানবতা উন্নয়নের চারটি দিক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত, টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই দুর্নীতি দমনে কার্যকর ও সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের নানা পর্যায়ে দুর্নীতি কমে আসছে ক্রমান্বয়ে। দীর্ঘ সময় অবৈধ সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি ও অন্যান্য স্বৈরশাসকের আমলে দুর্নীতির শিকড় এত গভীরে বিস্তার লাভ করেছিল যে রাতারাতি তা নির্মূল করা সম্ভব নয়।
দ্বিতীয়ত, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ সামরিক শাসকদের দুঃশাসন ও ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত বাংলাদেশ ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসে। ইতিহাস থেকে আমরা জানি, দীর্ঘদিন সামরিক শাসিত একটি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কোনো সহজ কাজ নয়। তার পরও বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক মানের গণতান্ত্রিক ভাবধারায় বাংলাদেশকে উন্নীত করতে।
তৃতীয়ত, রাষ্ট্রীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কর্তৃক বিরোধী মতকে দমন-নিপীড়ন ও হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ও সামরিক শাসকদের আমল থেকে। সেখান থেকে বাংলাদেশকে আইনের শাসনে ফিরিয়ে এনে সন্ত্রাস-মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ দেখিয়ে বাংলাদেশ সুশাসনের ধারায় ফিরছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
চতুর্থত, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং একই সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের মার্কিন বন্ধুদের আঞ্চলিক নিরাপত্তা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে আবার যদি বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সরকার গঠিত হয়, তাহলে এ অঞ্চলে মৌলবাদের বিস্তার লাভ করবে আগের মতো। যা প্রতিবেশী দেশ ভারতের জন্যও হুমকিস্বরূপ। ২০০১-০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের ছত্রচ্ছায়াতেই এ অঞ্চলে ইসলামী জিহাদি আর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ও সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা ছড়িয়ে পড়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের উদ্ভোধনী খেলায় আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া টসে হেরে ১ম ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৭৬ রানের বিশাল স্কোর সংগ্রহ করে মুলত অধিনায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ১৩৭ রান ৯৫ বলে ২০ চার ২ ছক্কায় উদ্বোধনী আর এক ব্যাটার সৈয়দ নুর মোহাম্মদ নোহান এর ব্যাট হতে আসে ১৫৭ বলে অপরাজিত ১১৮ রানের ইনিংস ১০ চারের সাহায্যে। তপু দত্ত ৩৮ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় করেন ৫০ রান।
বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে বান্দরবান ৩৬.৩ ওভারে ৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ব্যাটিং এর সময় ডেঞ্জার জোনে বার বার ব্যাটার রা ঢুকে পড়ায় দুই আম্পায়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিপক্ষে ৫ রান পেনাল্টি দেয় এইজন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৮৭ রানে জয়লাভ করে। বোলিংয়ে অধিনায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ৩টি আতিকুল ও তোফাজ্জল ইসলাম সুজন ২ টি করে উইকেট পায়।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি একই ভেন্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাদের ২য় ম্যাচ চাঁদপুর জেলার বিপক্ষে অংশগ্রহণ করবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দলের সদস্যগণ হলেন মো: ইশতিয়াক আহমেদ ভুইয়া (অধিনায়ক), ইশান বনিক, তপু দত্ত, শেখ সিহাব আহমেদ, মো: মাহিম চৌধুরী, রাশিদ শাবাব চৌধুরী, নুর আলম রাফি, মো: আশরাফুল ইসলাম মাহিন, সৈয়দ নুর মোহাম্মদ নোহান, মো: মেহেদী হাসান, তোফাজ্জল ইসলাম সুজন, সাকিব আল জামান আনন্দ, দীপু সুত্রধর ও মো: আতিকুল ইসলাম, কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, সহকারী কোচ শামীম ভূঁইয়া, ম্যানেজার মো: আজিম।
স্পোটর্স ডেস্ক :
প্রথমার্ধে গোলের জন্য ১৩টি শট নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ৩টি পোস্টে রাখতে পারলেও গোল হয়নি। বিরতির পর নিকো গঞ্জালেস একবার চিলির ক্রসবারও কাঁপিয়েছেন। ভাগ্য সহায় হয়নি আর্জেন্টিনার। শুধু তা ই নয়, ৩৭তম জন্মদিনের কেক কেটে মাঠে নামা লিওনেল মেসিও ৬৮ মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে এভাবে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা আর্জেন্টিনাকে শেষ পর্যন্ত গোল এনে দিয়েছেন লাওতারো মার্তিনেজ। চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলের স্বস্তির জয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালও নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।
২০২২ বিশ্বকাপে একের পর এক মিস করে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। তবে বিশ্বকাপের পর নিজেকে ঠিকই ফিরিয়ে এনেছেন চেনা ছন্দে। চলতি বছর ইন্টার মিলানের হয়ে ইতালিয়ান সিরিআ জয় করেছেন। যেখানে লাউতারো হয়েছেন বর্ষসেরা স্ট্রাইকার। তবু কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশে জায়গা মেলেনি তার।
প্রথমার্ধের হতাশা আর দ্বিতীয়ার্ধে চাপের মুখে থাকায় শেষ পর্যন্ত লাউতারো মার্টিনেজকেই মাঠে নামাতে বাধ্য হলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। ৭৩ মিনিটে মাঠে নেমে ৮৮ মিনিটে করলেন দলের জয়সূচক গোল। লিওনেল মেসির কর্নার থেকে জটলায় বল পেয়েছিলেন এই স্ট্রাইকার। সেখান থেকেই এলো জয়সূচক গোল।
১-০ গোলের এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসেবে কোপা আমেরিকার শেষ আটে পা রাখল আর্জেন্টিনা। গ্রুপে তারা আছে সবার ওপরে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে কানাডা আছে দুইয়ে। চিলি এবং পেরু দুই দলেরই ঝুলিতে আছে ১ পয়েন্ট।
তবে আর্জেন্টিনাকে এই ম্যাচে অনেকটা সময় পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। অভিষেকের পর থেকেই হয়ে উঠেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবলের ত্রাতা। কোপা আমেরিকা বা বিশ্বকাপে তার অতিমানবীয় গোলকিপিং সহজে ভুলতে চাইবে না আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। সেই এমি মার্টিনেজই আরও একবার আর্জেন্টিনার মান বাঁচালেন আজ।
প্রথমার্ধে গোলবারের নিচে একেবারেই অলস সময় পার করেছিলেন এমি মার্টিনেজ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বেশিরভাগ সময় পার করেছেন ব্যস্ত সময়। দ্বিতীয়ার্ধের ৭২ এবং ৭৬ মিনিটে রদ্রিগো এচিভেরিয়া দুই দফায় জোরালো শট করেছিলেন। তবে এমি মার্টিনেজের বিশ্বস্ত হাত বাঁচিয়ে দেয় দলকে।
১-০ গোলের এই স্কোরলাইনে অবশ্য প্রমাণ করা কষ্ট, ঠিক কতটা দাপুটে ফুটবল উপহার দিয়েছে আর্জেন্টিনা আজ। গোলমুখে চিলির ৩ শটের বিপরীতে তারা নিয়েছে ২২ শট। ৬টি বিগ চান্স সামনে এসেছিল। ৯টি শট ছিল অন টার্গেট। কিন্তু চিলির গোলবারের নিচে ছিলেন ক্লদিও ব্রাভো। ৪১ বছরের অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক যেন চীনের মহাপ্রাচীর হয়ে ছিলেন আর্জেন্টিনার সামনে।
টানা আক্রমণ করেও ওই এক ব্রাভোর কারণেই গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ পার হয়েছে গোল না পাওয়ার হতাশায়। উপরন্তু ৩৭ মিনিটে লিওনেল মেসির দূরপাল্লার শট বারে লেগে চলে যায় বাইরে। হতাশার মাত্রা তাতে আরও বেড়েছে। দ্বিতীয়ার্ধেও নিকো গঞ্জালেসের জোরালো শট ব্রাভোর হাত হয়ে লাগে ক্রসবারে।
বিপরীতে চিলিকে সেই অর্থে সুযোগই দেয়নি আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠে রদ্রিগো ডি পল আর ডিফেন্সে রোমেরো-লিসান্দ্রো মার্টিনেজ জুটি ঠেকিয়েছে একের পর এক আক্রমণ। শেষদিকে আনহেল ডি মারিয়া মাঠে নামলে গতি পায় আলবিসেলেস্তেদের আক্রমণ। যোগ করা সময়ে ৪র্থ মিনিটে এই ডি মারিয়াই সহজ এক সুযোগ তৈরি করে দেন লাউতারোর উদ্দেশে। যদিও সেই সুযোগ অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দেন চিলি গোলরক্ষক।
আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ৪৬ বছর পূর্তির দিনে চিলির বিপক্ষে প্রতিশোধও নেওয়া হলো তাদের। নিউ জার্সির এই মাঠেই ২০১৬ কোপা আমেরিকা ফাইনালে টাইব্রেকারে চিলির কাছে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। সেই হারের পর আর্জেন্টিনার জার্সি তুলে রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন মেসি। তবে সাত সপ্তাহ পরই সিদ্ধান্ত পাল্টে ফিরেছিলেন জাতীয় দলে। বাকিটা সবার জানা।
শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তেদের পরের ম্যাচ পেরুর বিপক্ষে। ৩০ জুন মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানে একটি তিনতলা আবাসিক ভবন ধসে পড়ে নয় জন নিহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের শহর মুলতানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুলতানের হারাম গেট এলাকায় একটি বহুতল পুরানো ভবন ধসে একজন শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
জেলাটির জরুরি কর্মকর্তা ডাঃ কলিমুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, ‘মুলতানের হারাম গেট এলাকায় একটি আবাসিক ভবন ধসে পড়ে এবং ১০ জন ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়ে।
’ ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ আশেপাশের বাড়িগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। নিহতদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী, তাদের দুই ছেলে ও তাদের তিন মেয়েসহ একই পরিবারের সাত সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভবনটি ধসে পরার পর জরুরি কর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা শুরু করেন। রেসকিউ ১১২২-এর আটটি গাড়ি এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।
নয়টি মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছেন, গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে ভবন ধসে পড়া সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানহীন উপকরণ দিয়ে ভবন নির্মাণ কারণে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে।
সাধারনত খরচ কমাতে নিরাপত্তা নির্দেশিকাগুলো উপেক্ষা করা হয় সেখানে। ২০২০ সালের জুনে দেশটির বৃহত্তম শহর করাচিতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং ধসে ২২ জন নিহত হয়েছিল। সূত্র: আল-অ্যারাবিয়া, সামা টিভি