হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মেয়ে ও নারীদের খেলাধুলায় ট্রান্স নারীদের (রূপান্তরিত নারী) অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ আদেশে গতকাল বুধবার তিনি সই করেন।
নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ট্রান্সজেন্ডার (রূপান্তরিত নারী–পুরুষ) খেলোয়ারদের মেয়ে ও নারী শাখায় বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ এবং নারীদের লকার রুম ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়, সেসব প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন করা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার বিরত থাকবে। খবর- আল জাজিরা
শিক্ষা খাতে ১৯৭২ সালে প্রণীত লৈঙ্গিক বৈষম্য দূরীকরণ আইনের (টাইটেল নাইন) কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমরা করদাতাদের কাছ থেকে ডলার গ্রহণকারী প্রতিটি বিদ্যালয়কে নোটিশ দিচ্ছি, যদি আপনারা নারীদের খেলার দলে পুরুষদের (ট্রান্স নারী) নিয়ন্ত্রণ করতে দিতে চান এবং আপনাদের লকার রুমে প্রবেশ করতে দিতে চান, তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে টাইটেল নাইন লঙ্ঘনের তদন্ত হবে। কেন্দ্রীয় তহবিল পাওয়া ঝুঁকিতে পড়বে।
ট্রাম্প আরো বলেন, মেয়েদের খেলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা তিনি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সাথে কথা বলবেন যাতে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ২০২৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আগেই লিঙ্গভিত্তিক অংশগ্রহণকে স্পষ্টভাবে সমর্থন করা যায়। অলিম্পিক কমিটি খেলাধুলায় ট্রান্স নারী–পুরুষের অংশগ্রহণের বিষয়টি আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছে। আমরা চাই, তারা অলিম্পিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ও পুরোপুরি হাস্যকর এই বিষয়ের (মেয়েদের খেলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ) সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছু বদলে ফেলবে, যোগ করেন ট্রাম্প।
ট্রান্স নারীদের খেলায় অংশগ্রহণের বিষয়টি সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক যুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে; যদিও মেয়েদের খেলায় অংশ নেওয়া ট্রান্স নারীদের সংখ্যা বেশ কম।
ন্যাশনাল কলেজিয়েট অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশনের (এনসিএএ) প্রেসিডেন্ট চার্লি বেকার গত ডিসেম্বরে সিনেট প্যানেলের সামনে এক শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। তখন চার্লি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৫ লাখ ২০ হাজার খেলোয়াড়ের মধ্যে ১০ জনেরও কম ট্রান্স নারী খেলোয়ারের কথা তিনি জানেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ত টেস্ট মৌসুম শুরু হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নাজমুল হোসেনরা ৮টি টেস্ট খেলবেন। ব্যস্ত সূচিকে সামনে রেখে গত ২৫ মে থেকেই সিলেট ও চট্টগ্রামে বিশেষ ক্যাম্প করে প্রস্তুতি নিয়েছেন টেস্ট দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ফেরা ক্রিকেটারদের কয়েকজনও সে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন।
সাকিব আল হাসান এ সময়টায় ব্যস্ত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ টি-টোয়েন্টি ও পরে খেলেছেন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। কানাডা থেকেই পাকিস্তানে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা সাকিবের। ফিটনেস ও লাল বলে অনুশীলন না থাকার পরও সাকিবকে পাকিস্তান সফরের দলে নেওয়ার পেছনে বেশ কিছু যুক্তি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘কিছু ব্যতিক্রম খেলোয়াড় তো থাকে। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে হলে বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে হবে। আমরা অনেককে এনওসি দিয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত ভিসার কারণে সাইফউদ্দিন ও রিশাদ যেতে পারেনি। আর সব সময় আপনি সবাইকে অনুশীলনে পাবেন, সেটা সম্ভব হবে না। তাদের ব্যস্ততা ক্রিকেট নিয়েই ছিল।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, ‘সে তার পারফরম্যান্সের আলোকেই যাচ্ছে। পারফরম্যান্স দিয়ে সাকিব নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে, বিভিন্ন সংস্করণের ক্রিকেট, পাকিস্তানের বিপক্ষে তার রেকর্ড…সবকিছু মিলিয়েই যাচ্ছে।’ গত বছর থেকে চোখের সমস্যায় ভোগা সাকিবের ব্যাটিংয়ের ছন্দ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গাজী আশরাফ হোসেন অবশ্য সাকিবের অলরাউন্ড সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন, ‘আমাদের চিকিৎসক দল থেকে এমন কিছু শুনিনি। বিশ্ব যেমন স্বীকার করছে, সে ওয়ান অব দ্য বেস্ট অলরাউন্ডার, গত ২৫ বছরে। আমি সেই মতামতের সঙ্গেই যাচ্ছি। শুধু বোলার হিসেবে ধরব, সেই দুঃসাহস আমার নেই।’
শুধু পাকিস্তান সিরিজ নয়, এ বছর বাংলাদেশ দলের ৮টি টেস্টই সাকিব খেলবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। তাঁর কথা, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় তার কাছে আমরা সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলাম। আমাদের অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ আছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত আটটা টেস্ট খেলব। সেখানে সে আমাদের আশ্বস্ত করেছে, সবগুলো টেস্ট খেলবে। প্রত্যেকটা সিরিজের আগে সব অনুশীলন সেশনে থাকবে।’
মাঠের ক্রিকেটের বাইরেও সাকিবকে নিয়ে আছে অন্য দুশ্চিন্তা। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও সংসদও ভেঙে দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মীই এখন দেশে প্রকাশ্যে নেই। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাকিবের নিরাপত্তা নিয়েও একটা শঙ্কা থাকে।
এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন গাজী আশরাফ হোসেনও, ‘অনুশীলন সেশনে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়, কোচের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এটা অবশ্যই পরিস্থিতির আলোকে দেশকে নিশ্চিত করতেই হবে। কারণ, সাকিব আল হাসান নিশ্চিতভাবেই দেশের শীর্ষ খেলোয়াড়। এখানে নির্বাচনের (দলে রাখা) ক্ষেত্রে অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন। কারণ, সে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আমরা সেটা নিয়ে ভেবেছি। কিন্তু তার নির্বাচনটা হয়েছে মেধার ভিত্তিতে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই এটা হয়। আগামীতেও মেধাটাকেই গুরুত্ব দেব।’
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ৩০০ শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর সংঘটিত ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের দায়ে ফ্রান্সের অবসরপ্রাপ্ত শল্যচিকিৎসক সার্জন জোয়েল লে স্কোয়ারনেককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশের একটি আদালত।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৭৪ বছর বয়সি স্কোয়ারনেক দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শত শত রোগীকে নিপীড়ন করেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচারের সময় অচেতন অবস্থায় বা জ্ঞান ফেরার সময় এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লে স্কোয়ারনেক ইতোমধ্যে ২০২০ সালে চার শিশুকে ধর্ষণ ও নিপীড়নের দায়ে ১৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে জেল খাটছেন। ওই চার শিশুর মধ্যে তার নিজেরই ভাতিজি ছিল দুইজন।
ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোর জানায়, স্কোয়ারনেক ১৯৮৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পশ্চিম ফ্রান্সের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া অন্তত ২৯৯ জন রোগীকে (যাদের মধ্যে ২৫৬ জন ছিল ১৫ বছরের নিচে) তিনি যৌন নিপীড়ন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
তার বিরুদ্ধে ১১১টি ধর্ষণ এবং ১৮৯টি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছিল। যা তাকে ফ্রান্সের ইতিহাসে অন্যতম ‘সিরিয়াল ধর্ষণকারী’ হিসেবে পরিণত করেছে।
জানা যায়, ভুক্তভোগীদের পক্ষে আদালতে মামলা লড়েছেন প্রায় ৬০ জন আইনজীবী।
আদালতে প্রসিকিউটর স্টেফান কেলেনবার্গার সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড চেয়ে বলেন, লে স্কোয়ারনেকের মতো অপরাধীকে কেবল কারাগারে রাখলেই হবে না—কারামুক্তির পরেও যেন তাকে মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্বাবধানে রাখা হয়।
এদিকে, আদালতে লে স্কোয়ারনেক বলেন, আমি দয়া চাই না। শুধু চাই, একজন ভালো মানুষ হওয়ার সুযোগ।
তবে তার এ কথাকে অনেকেই কৃত্রিম বলে মনে করেছেন। কারণ তিনি প্রায় প্রতিটি শুনানিতেই একই ধরনের ‘লোক দেখানো’ ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
মামলার তদন্ত সূত্রে এএফপি জানায়, লে স্কোয়ারনেক নিজের অপরাধগুলো নোটবুকে বিস্তারিতভাবে লিখে রাখতেন। সেখানে তিনি ভুক্তভোগীদের নাম, বয়স, ঠিকানা এবং নিপীড়নের বিবরণসহ সবকিছুই লিখে রাখতেন।
এমনকি তিনি নিজেকে ‘একজন বড় ধরনের বিকৃত মানসিকতার পেডোফাইল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং লিখেছেন, ‘এতে আমি ভীষণ আনন্দিত’।
স্কোয়ারনেক আদালতে আরো বলেন, তিনি মনে করেন তার দুইজন ভুক্তভোগীর মৃত্যুর জন্য তিনি ‘পরোক্ষভাবে দায়ী’।
তাদের একজন হলেন- মাথিস ভিনে, যিনি ২০২১ সালে ওভারডোজে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবার দাবি করেছে। অপরজনকে ২০২০ সালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
থমাস ডেলাবি নামের এক আইনজীবী তাকে বলেন, আপনি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর পেডোফাইল, শিশু নিপীড়নের জগতে একটি ‘পারমাণবিক বিস্ফোরণ’।
অন্য এক আইনজীবী বলেন, আপনার এ স্বীকারোক্তিতে কোনো অনুতাপ নেই। আপনার মধ্যে তো এতোটুকুও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
২০০৫ সালে শিশু পর্নোগ্রাফি রাখার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও লে স্কোয়ারনেক ২০১৭ সাল পর্যন্ত সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার কর্মকাণ্ড নিয়ে সহকর্মীরা বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।
অন্যদিকে, এএফপি ও রয়টার্স বলছে, এতো বড় কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও মামলাটি ফ্রান্সে পর্যাপ্ত মিডিয়া কাভারেজ পায়নি। যা নিয়ে ভুক্তভোগী ও অধিকারকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মূলত মামলাটি ফরাসি চিকিৎসা ব্যবস্থার এক গভীর গলদকে তুলে ধরেছে—যেখানে একজন দুর্বৃত্ত সার্জন দুই দশক ধরে নিঃশঙ্কভাবে শত শত শিশুকে নিপীড়ন করতে পেরেছে, আর শুধু চেয়ে দেখেছে প্রতিষ্ঠান।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে আটক করা দুই বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী কারাভোগ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন। ৯ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় আখাউড়া স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
দেশে ফেরা তরুণ তরুণীরা হলেন, চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সুব্রত ভট্টাচার্য্য (২১) ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জান্নাত আক্তার (১৯)।
ভারতের ত্রিপুরার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় আখাউড়া-আগরতলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্ত দিয়ে তারা দেশে ফেরেন।
এদিকে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সজিব মিয়া, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খাইরুল আলম, বিজিবির আইসিপি পোস্ট কমান্ডার মো. রুহুল আমিনের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করেন ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তা মো. ওমর শরীফ।
এসময় গণমসাধ্যমকে সুব্রত ভট্টাচার্য্যের মা বলেন, ‘আমি পোশাক কারখানায় কাজ করি। আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ বিধায় ছেলেকে একটা আশ্রমে পড়াশোনা করার জন্য দেওয়া হয়। একদিন রাতে ফোন আসে আমার ছেলে ভারতে। ফোন পেয়ে আমি দিশাহারা হয়ে যাই। সে ওখানে থাকার প্রায় দশ মাস আমি পাগলপ্রায় ছিলাম। আমার স্বামীও অসুস্থ। কোথায় যাবো, কী করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এতোদিন পর ছেলেকে পেয়ে আমি আনন্দিত।’
দেশে ফেরা সুব্রত ভট্টাচার্য্য জানান, তিনি দশ মাস আগে রামগড় সীমান্তপথে পুরোহিত বিদ্যার্জনে ভারত যান। সেখানে তিনি বিএসএফের হাতে আটক হন।
এদিকে জান্নাত আক্তার জানান, পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য দালালের মাধ্যমে তিনি ভারতে যান। সিলেটের খোয়াই সীমান্তপথে তিনি গিয়েছিলেন। দেশে ফিরতে পেরে তিনি খুব খুশি।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
খন্দকার আব্দুল্লাহ একজন বাংলাদেশী-আমেরিকান, বিশ্বের অন্যতম সেরা পুলিশ বিভাগ হিসেবে পরিচিত এনওয়াইপিডি-তে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পেয়েছেন সম্প্রতি ।খন্দকার আব্দুল্লাহই প্রথম বাংলাদেশী-আমেরিকান নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে এত উচ্চপদে আসীন হলেন। এই পদোন্নতির আগে তিনি ছিলেন একমাত্র বাংলাদেশী ডেপুটি ইন্সপেক্টর। বর্তমানে ইন্সপেক্টর খন্দকার আব্দুল্লাহ নিউইয়র্ক সিটির ৮১তম প্রিসিংক্টে কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার অব্যাহত পরিশ্রম তাকে এনওয়াইপিডি-তে প্রধানের পদে উন্নীত করবে বলে আশা করা যায়।
খন্দকার আব্দুল্লাহ একজন অভিবাসী, তিনি ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। জন জে কলেজ (কিউনি) সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী খন্দকার আব্দুল্লাহ, তার কাজের জন্য ইতিমধ্যে অনেক পুলিশ পদক লাভ করেছেন। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার তালতলা গ্রামের গর্বিত সন্তান খন্দকার আব্দুল্লাহ, শৈশবে আমেরিকায় এলেও এখনও সাবলীল বাংলায় কথা বলেন। তিনি তার পরিবারের সাথে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে বসবাস করেন।
খন্দকার আব্দুল্লাহ ২০০৫ সালের গ্রীষ্মে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। কলেজে পড়ার সময় তিনি একটি জব ফেয়ারে দেখেছিলেন যে এনওয়াইপিডি লোক নিয়োগ করছে। প্রথমে অনেকটা কৌতূহলের বশেই তিনি খণ্ডকালীন ইন্টার্ন হিসেবে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। কলেজে পড়ার সময়ই তিনি পুলিশ ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অভিবাসী পরিবারের সন্তান হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন সেই সময়েই তাকে পেয়ে বসেছিল। খন্দকার আব্দুল্লাহ ২০০৭ সালে পুলিশ অফিসার হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।কমিউনিটি পক্ষ খন্দকার আবদুল্লাহকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন এই আদেশ আদালত পর্যন্ত গড়াবে।
ট্রাম্প তার অভিষেক শেষে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল ওয়ান অ্যারেনায় ২০ হাজার সমর্থকের সামনে বসে এক রাশ নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেন। পরবর্তীতে তিনি হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে বসে আদেশে সাক্ষর করেন।
ভয়েস অফ আমেরিকার এক প্রেতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, প্রথমেই ট্রাম্প প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জারী করা ৭৮টি আদেশ স্থগিত করেন। বাইডেন তার মেয়াদের শেষ দিকে এই আদেশগুলো জারী করেছিলেন, যেগুলোর বেশ কয়েকটি বাস্তবায়ন হয়নি।
এদিকে এক আদেশের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ‘জাতীয় জরুরী অবস্থা’ ঘোষণা করেন।
অভিবাসন এবং নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আদেশে ট্রাম্প শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচী স্থগিত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া মানুষের আমেরিকান নাগরিকত্ব অধিকার বন্ধ করেন।
আদেশে সাক্ষর করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যেহেতু দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, তার এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একেবারে হাস্যকর এবং তার বিশ্বাস এই বিধান বদলানোর জন্য ভালো আইনগত যুক্তি আছে।’