চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইসলামী ছাত্র শিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার শহরের কাউতলী মোড় থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাসান মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জেলা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক জলফিকা হায়দার রাফি, ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শিবির কর্মীরা যোগদান করেন। এসময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর আমাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা করতে পেরেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৭ অক্টোবর সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের বাসুদেব ইউপির কোট্টা সড়কের পাশ থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিকেলে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউপির কোট্টা সড়কের পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে একজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে। ওসি আরো জানান, অজ্ঞাত নারীর বয়স আনুমানিক ২৫। তার নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। নিহতের শরীরে গোলাপী রঙের বোরখা ছিল। লাশের বিভিন্ন অংশে পিঁপড়া ও পোকামাকড় কামড়ে মাংস তুলে ফেলেছে। তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, রোববার দিবাগত রাতে যে কেউ তাকে হত্যা করে ফেলে যায়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দৈনিক ইত্তেফাকের ৭১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আজ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথিছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি ও নাট্যকার আবদুল মান্নান সরকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা,খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান, আ ফ ম কাউসার এমরান, দীপক চৌধুরী, সাংবাদিক শিহাব উদ্দিন বিপু, আশিকুল ইসলাম, ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, হাবিবুর রহমান পারভেজ, ইত্তেফাকের সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি জুলকার নাইন ও ইত্তেফাকের বিজয়নগর উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াদুল হক । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আরজু ।
সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে দৈনিক ইত্তেফাকের ভূমিকা ছিল অপরিসিম।
অনলাইন ডেস্ক :
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় পাওনা টাকা ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ভাবি ও ভাতিজিসহ ৩জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৫০) নামে একজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ ২০ মে মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন মাধবপুর উপজেলার বীরসিংহপাড়ার মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার মুখলেছুর রহমান জানান, ভাবি ও ভাতিজিসহ ৩জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ড ও তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। নিহতরা হলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলমের ভাবী ও বীরসিংহপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৪৫), মেয়ে শারমিন আক্তার (২৩) ও তাদের প্রতিবেশী আব্দুল আলীমের ছেলে শিমুল মিয়া (২৫)।
মামলা বিবরণে উল্লেখ, পাওনা টাকা ও পারিবারিক বিরোধের জেরে শাহ আলম ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় জাহানারা ও শারমিনকে তাদের ঘরে প্রবেশ করে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আহতদের চিৎকারে শিমুল এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে জাহানারা খাতুন ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং বাকি দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় নিহতের স্বামী দুবাই প্রবাসে ছিলেন বিধায় তার ভগ্নিপতি হাজী মো. মোহন মিয়া একমাত্র আসামি শাহ আলমের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারগারে প্রেরণ করেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আফজাল হোসেনও রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এ রায় দ্রুত বাস্তবায়ন হলে লোকজন এমন অপরাধ করতে ভয় পাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, পেশি শক্তির দাপট, ভিজিএফ ও ভিজিডির মাল আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছেন সদস্যরা। সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ৯ সদস্য এ অনাস্থা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছায়েদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে ২৭ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
অভিযোগপত্রে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, টিআর/কাবিখার জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান। সরকারের কৃষি প্রণোদনা সার এবং বীজ কৃষকের মাঝে বিতরণ না করে নিজেই তা লুটপাট করেছেন। এছাড়া গ্যাস ফিল্ড থেকে প্রাপ্ত ট্যাক্সের ৪ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা কাজ করে অবশিষ্ট টাকা আত্মসাৎ করেন। ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ এলাকার জনগণ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে সম্পূর্ণ টাকা জমা না রেখে বেশির ভাগ অংশ আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, এলাকার অসহায়-হতদরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধন আবেদন, সংশোধন পরিবর্তন, পরিবর্ধন বাবদ বিভিন্ন অসুবিধা জটিলতা দেখিয়ে দুই হাজার, তিন হাজার, পাঁচ হাজার টাকা নিয়া জনগণের কাজ করে দেয় এমনকি চাহিদা মত টাকা না পেলে দীর্ঘদিন হয়রানি করেন। চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ নিজ ইচ্ছায় অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জন করার লক্ষ্যে ডালিম নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে বিভিন্ন সরকারি অনুদান যেমন প্রেগনেন্সি ভাতা, কৃষি প্রণোদনা, সার, বীজ, ধান বীজ, সরিষাসহ সরকারি টিউবওয়েল, টিসিবির পণ্য বিক্রি করে টাকা উপার্জন করে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারীদের একজন সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নাসরিন আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ নির্বাচিত হওয়ার পর নাটাই উত্তর ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে গেছেন। অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করা সব ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ হয়ে আছেন।
৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল হাই বলেন, লিখিত অভিযোগে যা লেখা হয়েছে, তা সামান্য মাত্র। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। সবশেষ বরাদ্দ পাওয়া টিউবওয়েলও লুট করে খেয়েছেন। তার সঙ্গে আমাদের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আমরা অনাস্থা দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইউপি সদস্যরা অহেতুক কারণে এমন করছেন। তাদের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) রুহুল আমিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে একটি আবেদন দেওয়া হয়েছিল জেলা প্রশাসকের কাছে। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে অভিযোগ জানিয়ে আবেদন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। তিনি তদন্ত করে বিষয়টি জানাবেন জেলা প্রশাসককে। আমরা তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি ইউএনওর কাছে আবেদন করতে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাজীপাড়া ছাত্র ও যুব সমাজের উদ্যোগে ও অল টাইম মাস্তি ক্লাবের আয়োজনে মাদকবিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৬ জুলাই রবিবার বিকেলে জেলা শহরের প্রধান ঈদগাহ মাঠে ‘মাদককে না বলি, শরীর চর্চায় এগিয়ে আসি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ ও ৮নং ওয়ার্ড কাজীপাড়ার কাউন্সিলর মীর মোঃ শাহীনের সভাপতিত্বে ও রাব্বি মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান লেনিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আশরাফুল আলম টিটু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইজাজুল হক রাব্বি, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রহমান, সহ-সভাপতি সানি শাহ, উপ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রনি, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ নিরব মিয়া, মোঃ বিদ্যুৎ মিয়া, মোঃ ইয়াকুব মিয়া, মোঃ সেন্টু, আনিসুর রহমান, সামি প্রমুখ।
এসময় সিনিয়র একাদশ টিমের সাথে জুনিয়র একাদশ টিমের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার শেষ পর্যায়ে দুই পক্ষের টিমের মধ্যে এক এক গোলে ড্র হয়। পরে ট্রাইবেকারে ৪-২ গোলে জুনিয়র একাদশকে হারায় সিনিয়র একাদশ টিম।