চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইসলামী ছাত্র শিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার শহরের কাউতলী মোড় থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাসান মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জেলা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক জলফিকা হায়দার রাফি, ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শিবির কর্মীরা যোগদান করেন। এসময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর আমাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা করতে পেরেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেখানে অনিয়ম চোখে পড়বে, সেখানেই অ্যাকশনে যাবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন চলাকালে যেকোনো অনিয়ম দেখলেই অ্যাকশনে যাওয়া হবে। প্রয়োজনে ভোট বাতিল করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না।
দলীয় সরকারের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হবে কি-না – এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা বলার সময় এখনো আসেনি। তবে আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
ভোটের পরিবেশ কেমন হবে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট এখন যেটা হচ্ছে সেটা উৎসবমুখর ও সুন্দর হবে, এটা আমি বলতে পারি। ১৯৯৬ সালে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হওয়ার কারণে সেই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তাই আমরা এবারের নির্বাচনে কোনো বিতর্ক তৈরি করতে চাই না। আমরা আমাদের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। ভালো নির্বাচন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মিডিয়া, পত্রিকা দেখে আমার মনে হচ্ছে সরকার চাইছে একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হোক।
ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার বিষয়টি। সেজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা প্রচার করে যাচ্ছি। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রের প্রাণ, ভোটাররা না থাকলে নির্বাচন নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে। তবে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব তথ্য পাচ্ছি তাতে আমরা আশাবাদী ভোটকেন্দ্রে অনেক ভোটার আসবে।
একটি বড় দলের (বিএনপি) নির্বাচনে না আসার বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলগুলোর জন্য ভোটে আসা না আসা তাদের স্বাধীন ইচ্ছা। কিন্তু সেজন্য তো ভোট থেমে থাকবে না। আর ভোটকে কোনোভাবে প্রতিহত করা যাবে না এবং কোনো নাশকতামূলক কাজ করা যাবে না। এগুলো যদি তারা করে, তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। তবে সব দল নির্বাচনে এলে একটা স্বস্তির বিষয় হতো, একটা উৎসবের বিষয় থাকত। এখন সেটা অতটা নেই সেটা তো আর অস্বীকার করার কিছু নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস। এ উপলক্ষে কবি ও কবিতা বিষয়ক সংগঠন কবির কলমের উদ্যোগে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ ও মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। একাত্তরের রণাঙ্গনের সাহসিকতার বাতিঘর, কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক (বীর প্রতীক) কে সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও সংস্কৃতিজন আবদুল মান্নান সরকার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও গীতিকার কুরুলিয়ার সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত, কবি ও গীতিকার শিক্ষক আবদুর রহিম, কবি হুমায়ুন কবির ভূইয়া, তরী বাংলাদেশের সভাপতি শামীম আহমেদ ভূইয়া, অংকুর শিশু কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, কবি মাশরীকি শিপার, কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস, কবি আজিজা সোপান, কবি ইউনুস আহমেদ, কবি গোলাম মোস্তফা, সমাজ কর্মী কুহিনূর আক্তার, সংগীত শিল্পী শাহাদাত হোসেন সোহেল, সংগঠক ফাহিম মুনতাসিব, তরী বাংলাদেশের সোহেল আহমেদ, আজকের সংস্কৃতির সভাপতি মোস্তফা জাফরি হামীম, সোনালী সকালের সদস্য জাহিদ, মুবিন, নৃত্য শিল্পী জয় সহ একঝাঁক আবৃত্তি শিল্পী এ সময় আবৃত্তি করে।
সংগঠনে সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন শিপনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানটি শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তাগণ কবির কলম কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন একসময় দিনব্যাপী এ চত্বরে মুক্ত দিবসের কর্মসূচি পালন হত, এবার এমন কিছু চোখে না পরলেও কবির কলমের আয়োজনটি সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সংবর্ধনা পাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে সভায় আলোচনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তক অর্পন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়।
পরে স্থানীয় ফারুকী পার্কের শহীদ স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
পরে পুলিশের একটি চৌকষ দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে শহীদ স্মৃতিসৌধ সর্বস্তরের মানুষের জন্য উম্মুক্ত করা হলে জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, পৌরসভার পক্ষে মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিট, জেলা পরিষদ, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তক অর্পন করা হয়।
স্মৃতিসৌধে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভ‚ঞা বলেন, আমাদের দাবি ২৫ মার্চ কালরাত্রিকে গণহত্যা দিবসটি হিসেবে আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া ও জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সকলকে একযোগে কাজ করা।
এদিকে সকাল সাড়ে ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজ শেষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। ডিসপ্লেতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহি পুতুল নাচসহ ইতিহাস ঐতিহ্য ও মহান স্বাধীনতার সংগ্রামের দৃশ্য তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত এই ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠোনে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি আশরাফ স্বাস্থ্য, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সমাজসেবা, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্ঠা সালাউদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার চক্রবর্তী, শিক্ষা বিভাগের মনির হোসেন, নজরুল ইসলাম সড়ক জনপথ, আবু নাছের যুব উন্নয়ন, শামীম মাদকদ্রব্য নি: অধিদপ্তর লোমান শিক্ষা, দিদার হেলথ, শেখ মনির সমাজসেবা অধিদপ্তর, আসিফা সমাজসেবা অধিদপ্তর, মনির হোসেন স্বাস্থ্য, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রুবেল মিয়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী আব্দুল মতিন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী হিরন খান, আবু নাসের নাসু আব্দুল্লা জনস্বাস্থ্য, ইয়াসির আরাফাত বরকত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জাকির হোসেন চৌধুরি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মো: ইসমাইল মিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, উত্তম কুমার দাস সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রমুখ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি