চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে সিএনজি-ট্রাক সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মল্লিকা সিএনজি গ্যাস পাম্প হতে গ্যাস ভরে সিএনজি চালক সড়কের উলটো পাশ দিয়ে সুলতানপুর অভিমুখে যাচ্ছিল। একটি ট্রাক ব্রাহ্মণবাড়িয়া অভিমুখে আসার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে ।
নিহত সিএনজি চালক মো. বায়জিদ মিয়া (১৪) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের গজারিয়ার মো. শুক্কু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সিএনজিটি গ্যাস নিয়ে সড়কের উল্টো পাশ দিয়ে সুলতানপুর দিকে যাচ্ছিল এসময় উল্টো পথ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে একটি ট্রাক যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালক মারা যান। পরে কিছু সংখ্যক এলাকার লোকজন একটি ট্রাক ধাওয়া করে চালকসহ ট্রাকটি আটক করে। কিন্তু যে ট্রাকটির সাথে সংঘর্ষ হয় সেটি আগেই পালিয়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন ঘটনার নিশ্চিত করে জানান, একজন নিহত হয়েছে ও একটি ট্রাকসহ চালক আটক করেছে এলাকার লোকজন। কিন্তু যে ট্রাকটির সাথে সংঘর্ষ হয় সেটি আগেই পালিয়ে যায় শুনেছি। তবে এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে ঈদের বেচা কেনা। শহরের প্রতিটি মার্কেট, শপিংমল ও বিপনী বিতানগুলোতে এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা।
মাকের্টের দোকান গুলোতে রয়েছে সব বয়সী মানুষেরই কাপড়-চোপড়ের বিপুল সমাহার। ক্রেতারাও পছন্দসই কাপড় কিনে হাসি মুখে বাড়ি ফিরছেন।
পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ক্রেতারা যাতে কোন ধরনের ভোগান্তিতে না পড়েন সে জন্য মার্কেট কমিটিগুলোর পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশী ছাউনী। এছাড়াও সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে দোকানগুলো।
প্রতিটি মার্কেটেই নারী ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশী লক্ষ্য করা গেছে।
শহরের নিউ মার্কেট, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেট, সমবায় মার্কেট, আশিক প্লাজা, ফরিদ উদ্দিন আনোয়ারা টাওয়ার, গ্রীণ সুপার মার্কেট, সিটি সেন্টার, বি-বাড়িয়া টাওয়ার, গোলাপ সুপার মার্কেট, সড়ক বাজার, পৌর হকার্স মার্কেটসহ প্রতিটি মার্কেটেই এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এছাড়াও পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠা বিভিন্ন কাপড়ের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
দোকানগুলোতে দেখা গেছে মেয়েদের জন্য ডিসপ্লেতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে স্কার্ট, টপস, থ্রিপিস, জিন্স প্যান্ট, জামদানি শাড়ি, বেনারশি, কাতান, সিল্ক, জর্জেট শাড়ী, জয়পুরি শাড়ী, লেহেঙ্গা, পার্টি গাউন, সফট কাতান, বেনারসি, ঢাকাই জামদানি, ভারতীয় জামদানি, রাজশাহী সিল্ক ও টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি।
ছেলেদের জন্য শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, নবাবী পাঞ্জাবী, শেরওয়ানী, ফতুয়া, কাতুয়া, বিভিন্ন ধরনের গেঞ্জি।
সরজমিনে মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৯টার পর থেকেই মার্কেটগুলোতে ক্রেতারা আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে ভীড়। বিকেল ৫টার পর ভীড় একটু কমলেও ইফতারের পরে আবার বাড়তে থাকে ভীড়। বেচা-বিক্রি চলে গভীর রাত পর্যন্ত। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
শহরের সড়ক বাজারের শাড়ীর দোকান কমলালয়, ইলোরা, জান্নাত ফ্যাশন, শাড়ি বিচিত্রা, নীলাচল, আঁচল নামের দোকানগুলোতে দেখা গেছে মহিলাদের উপড়েপড়া ভীড়।
নিউ মার্কেটের পাঞ্জাবীর দোকান “পাঞ্জাবী ফ্যাশন” এ গিয়ে দেখা যায় হরেক রকমের পাঞ্জাবীর সমাহার।
শহরের কান্দিপাড়ার বাসিন্দা বরকত উল্লাহ ও রুমা আক্তার বলেন, ছেলে-মেয়েদের জন্য কাপড় কিনতে মার্কেটে এসেছি। এ বছর কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
সদর উপজেলার সুহিলপুরের বাসিন্দা, ফরিদ মিয়া বলেন, ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এসেছ কাপড় কিনতে। কয়েকটা দোকান ঘুরে মেয়ের জন্য একটা থ্রি-পিস ও ছেলের জন্য একটা শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট কিনেছি। তিনি বলেন, এ বছর কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
মধ্যপাড়ার রুবি বলেন, প্রচন্ড গরম ও দিনের বেলা মার্কেটগুলোতে অনেক ভীড় থাকায় রাতের বেলা কিনতে এসেছি। তবে এবার কাপড়ের দাম বেশী। ফরিদ উদ্দিন আনোয়ারা টাওয়ারের সুপার সপ লাইক ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী মোঃ এমরানুল হক বলেন, গত কয়েক বছরে করোনার কারনে বেচা-কেনা কম হয়েছে।
তবে এবার বেশ ভালো হচ্ছে, আগামী দিন গুলোতে আরো ভালো হবে বলে আশা করি। তিনি জানান, তার শো-রুমে শার্ট, গেঞ্জি, পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট ও মহিলাদের থ্রি-পিস ও বাচ্চাদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।
নিউ মার্কেটের এলিগেন্স গার্মেন্টসের মালিক মাসুম শেখ জানান, আলহামদুলিল্লাহ বেচা-কেনা ভালো হচ্ছে। আগামীদিন গুলোতে আরো ভালো হবে বলে আশা করি।
নিউ মার্কেটের পাঞ্জাবীর দোকান পাঞ্জাবী ফ্যাশনের মালিক মোঃ রুহুল আমিন বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। গরমের জন্য সূতি পাঞ্জাবির চাহিদা একটু বেশী।
শহরের অভিজাত শাড়ীর দোকান কমলালয়ের মালিক আশিষ সাহা বলেন, পোশাক তৈরির সব উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে এবার ঈদের বেচাকেনা ভালো। বিশেষ করে থ্রি-পিসের বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। এছাড়াও তার দোকানে সব ধরনের শাড়ীই বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সদর ও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ কাজ করছে। ঈদ বাজারের নিরাপত্তায় পুলিশের ১৫ টি পেট্রোল টিম, ৫ টা হোন্ডা টিম কাজ করছে।
পাশাপাশি জরুরি সেবার জন্য ৪টি টিম সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পৌর মার্কেটের সামনে পুলিশের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রাতে মার্কেটে আসা কোন মানুষের যাতে কোন ধরনের কষ্ট না হয় সেজন্য পুলিশ টহল দিচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে বন্দিদের টাকা ছাড়া স্বজনদের সাক্ষাত করতে না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারাগারে বন্দিদের ওকালত নামা সহি, রাজনৈতিক বন্দিদের নিয়ম বর্হিভূত ভাবে টাকার বিনিময়ে একাধিক বার সাক্ষাতের ব্যবস্থার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে বর্তমানে ১৩ শতাধিক বন্দি রয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে ১২০ থেকে ১৫০ জন বন্দির সাথে দেখা করতে আসেন স্বজনরা। কারাগারের প্রধান ফটক অতিক্রম করতে পারলেও বিড়ম্বনায় পড়েন স্বজনরা দেখা করতে গিয়ে। টাকা না দিলে বন্দিদের সাথে সাক্ষাৎ করা যাবে না বলে জানানো হয়।
দূর দূরান্ত থেকে আসা স্বজনরা নিরুপায় হয়ে কারাগারে সংস্থাপনের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী আল আমিন (ব্যাচ নং ২২৯৫১) এর শরনাপন্ন হন। কারারক্ষী আল আমিন বন্দিদের সাথে সাক্ষাতের জন্য ৩০০/৫০০ টাকা নেন দর্শনার্থীদের কাছ থেকে। আবার অনেকে টাকা দিতে না পারায় সাক্ষাৎ না করেই বাড়িতে ফিরে যান।
রাজনৈতিক বন্দিদের সাথে ডিও নিয়ে ১৫ দিনে একবার সাক্ষাতের নিয়ম থাকলেও আল আমিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে একাধিক বার ব্যবস্থা করে দেন।
আদালত থেকে আসা ওকালত নামা কারাগারের বক্সে জমার বিধান থাকলে অজ্ঞাত কারণে দেখাশুনা করছেন কারারক্ষী আল আমিন। কয়েক মাস পূর্বে কারাগারের ওকালত নামার বক্সটি প্রধান ফটক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ওকালত নামা বক্সটি কারারক্ষী আল আমিন সরিয়ে ফেলেছেন। ওকালত নামা সহির জন্য স্বজন বা আইনজীবীর সহকারীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা আদায় করে থাকেন। আদালত থেকে জামিন হওয়ার পর কারাগারে আসা কাগজপত্রে ভূল রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে বন্দির স্বজনদের কাছে কাঙ্ক্ষিত টাকা আদায় করেন। কারাগারের সংস্থাপনের দায়িত্বে কারারক্ষী আল আমিন অন্য কারারক্ষীদের অভ্যন্তরে নিয়োগ পাইয়ে দেবার কথা বলে টাকা নিয়ে থাকেন। এমন কি কারারক্ষীদের ছুটি নিতে হলেও তাকে ম্যানেজ করে ছুটি নিতে হয়।
কারারক্ষী আল আমিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কারাগারে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সেখানেও সে সংস্থাপনের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কারাগারে থাকা এক জেএমবি সদস্যকে গোপনে মোবাইল ব্যবহার করার সুযোগ করে দেন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয় চট্টগ্রাম কারাগারে। তখন চট্টগ্রাম কারাগারের ডিআইজি আলতাব হোসেন কারারক্ষী আল আমিনকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন।
কারারক্ষী আল আমিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শুধু কারারক্ষীদের ছুটি, কারাগারের অভ্যন্তরে নিয়োগের কাজ দেখাশুনা করি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেল সুপার ওবায়দুর রহমান জানান, এখানে সবেমাত্র যোগদান করেছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
উপমহাদেশীয় রাগ সংগীতে প্রবাদ-প্রতিম সংগীত সাধক ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন এর উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সুরসম্রাটের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সংগীত পিপাসুদের মধ্যে উচ্চাঙ্গ সংগীতের মহাগুরু ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর নাম জানেননা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার একটি অজপাড়াগা শিবপুরে জন্ম নিয়ে কিভাবে একটি মানুষ স্বীয় সাধনা বলে রাগ সঙ্গীতের উচ্চ শিখরে কিভাবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করতে পারেন – তা এক মহা বিস্ময়ের বিষয়। সংগীতের প্রতি গভীর অনুরাগ, লক্ষ্যে পৌঁছুবার কঠোর সাধনা, অখণ্ড অধ্যবসায়ই তাঁকে সংগীতের উচ্চাসনে নিয়ে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে সংগীতে অনুশীলনে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র কঠিন সাধনার ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধেও ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পরিবারের বিরাট অবদান রয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ তহবিল গড়তে আমেরিকার মেডিসিন স্কয়ারে জর্জ হ্যারিসনের উদ্যোগে যে কনসার্ট ‘ফর বাংলাদেশ’- অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে এ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর পুত্র ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ ও মেয়ে জামাতা রবি শংকর সরোদ ও সেতার পরিবেশন করে হাজার হাজার দর্শক শ্রোতাকে মাতিয়ে রেখেছিলেন, – আজকে যা ইতিহাস।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সংগীতাঙ্গন পরিচালনা পর্ষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার। প্রধান আলোচক ছিলেন কবি জয়দুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সঙ্গীতাঙ্গনের অধ্যক্ষ ওস্তাদ হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত পরিচালনা করেন সংগীত প্রশিক্ষক রুনাক সুলতানা পারভীন, সংগীত প্রশিক্ষক মনি সাহা। তবলা লহরা পরিচালনা করেন তবলা প্রশিক্ষক আবিদুল হোসেন বাবলু, নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য প্রশিক্ষক জিয়া আমিন। যন্ত্র সঙ্গীতে ছিলেন বিটিভির সংগীত পরিচালক ও সুরকার আলী মোসাদ্দেক মাসুদ (ম্যান্ডোলিন), ওস্তাদ সামছুদ্দিন খান (বেহালা), দিলীপ বণিক (তবলা), কিরণ রায় (তবলা), খোকন সেন (তবলা)। অনুষ্ঠান সহযোগী ছিলেন সাজন সরকার ও বকুল ঋষি। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও উপস্থাপনা করেন সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম। সাংস্কৃতিক পর্বের বিভিন্ন শাখায় অংশগ্রহণ করেন সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। বৃষ্টি-বিঘ্নিত এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ ও অভিভাবক মন্ডলী মিলিয়ে প্রায় আড়াই শতাধিক দর্শক শ্রোতা এই যত্নশীল ও ছিমছাম অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন এর সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম অতিথিবর্গ ও সংগীতাঙ্গন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ঐদিন সকালবেলা আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও তাঁর পরিবারের প্রয়াত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয?। দোয?া পরিচালনা করেন মাওলানা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলামকে (৫৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১৫ অক্টোবর রবিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে জেলা শহরের টিএ রোডের বাড়ির সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা চলমান। এরমধ্যে একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। এরই জেরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জিয়ামঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জিয়া মঞ্চ গত ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার আদালত চত্বরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় জিয়া মঞ্চের সহ-সভাপতি অ্যাডঃ আলী আজম চৌধুরী, সভায় জেলা জিয়া মঞ্চে আহবায়ক অ্যাডঃ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাবেক এজিএস ও যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শাহাদাৎ খান এর সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব সৈকত আলী পিন্টু, যুগ্ম আহবায় মোঃ কামাল, অ্যাডঃ রুবেল ও আব্দুল করিম মাষ্টার।
সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর দেশনেত্রী সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়ার জন্য রোগ মুক্তির কামনা করে দোয়া করা হয়।
পরিশেষে আদালত চত্বরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট আদালত চত্বরে বিতরন করা হয়।