চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় অপহরণের কয়েক ঘন্টার মধ্যে অপহৃত এক কিশোরীকে উদ্ধারসহ এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ।
আজ ৭ ফেব্র“য়ারি শুক্রবার পুলিশ ও মিডিয়া উইংসের দেওয়া এক তথ্য মতে জানা যায়, গতকাল বৃহ¯পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার নূরপুর গ্রাম থেকে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী অপহরণের ঘটনায় আখাউড়া থানায় একটি মামলা হয়।
থানায় মামলা হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর রাত সাড়ে দশটার দিকে পুলিশ আখাউড়া পৌরশহরে অভিযান চালিয়ে অপহৃত কিশোরীকে গ্রেফতার করে এবং কিশোরী অপহরণে জড়িত অপহরণকারী সামিরুল ইসলাম আরিফ (২০)কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সামিরুল ইসলাম আরিফ উপজেলার কুড়ি পাইকা গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন জানান, অপহরণে জড়িত আটককৃত আসামিকে বিচারিক কার্যক্রমের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত কিশোরীকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি কে. এম. হাফিজুল আলম বলেন, কলেজ জীবনের ২টি বছর একজন শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কলেজ জীবনকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে স্বপ্ন পূরণের পরের ধাপ ভার্সিটি, মেডিকেল বা ইঞ্জিনিয়ারিং যে যেখানে ভর্তি হতে চাও তা সহজ হবে। অনেকে এসময় ঝড়ে পড়ে যায়। তাই তাই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কলেজ জীবনকে গুরুত্বসহকারে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ২০২৩ সনের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আজ ২১ অক্টোবর শনিবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামের রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুল যৌথভাবে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি বিচারপতি কে. এম. হাফিজুল আলম আরো বলেন, আমি জানি ভবিষ্যৎ নিয়ে তোমাদের প্রত্যেকের একটি স্বপ্ন আছে। তোমাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত কলেজে ভর্তির সময়ই নিতে হবে।
ভবিষ্যতে তোমরা যা হতে চাও তার প্রতি গভীর অনুরাগ ও ভালোবাসা এবং চেষ্টা থাকতে হবে। সে অনুযায়ী কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কোন পেশা-ই ছোট নয়, যে যেই পেশায় যেতে চাও সে পেশার যারা শ্রেষ্ট আছে তাদের মধ্যে থাকার জন্য চেষ্টা থাকতে হবে।
কাঙ্ক্ষিত পেশার শ্রেষ্ঠ মানুষদের মধ্যে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে আইকন হিসেবে চিহ্নিত করে তাদেরকে অনুসরন করতে পারলে তোমাদের চলার পথ সহজ হবে। আমি বিশ্বাস করি লক্ষ্যে অটুট থেকে সঠিক ভাবে সময়কে কাজে লাগিয়ে পরিশ্রম করলে তোমরা নিশ্চয় সফল হতে পারবে।
ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, তোমাদেরকে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন, সৎ এবং বিজ্ঞান মনস্ক সুনাগরিক হতে হবে। কোন ধরনের মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আকছির এম. চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সাখাওয়াত হোসেন , যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) মোঃ হারুন অর রশিদ, সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা-আখাউড়া) সার্কেল মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এড. মৌলী মোর্শেদ মৌ প্রমুখ।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় ইজিবাইকের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষে সংঘর্ষে সাকিব মিয়া (২৫) নামে এক মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের তন্তর-তিনলাখপীরের মাঝামাঝি স্থানে এই ঘটনা ঘটে।নিহত সাকিব মিয়ার জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুঠিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে।
হাইওয়ে থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাকিব মিয়া শনিবার সকালে মোটর সাইকেল নিয়ে কসবা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে আসার পথে মোটর সাইকেলটি তন্তর-তিনলাখপীর বাজারের মাঝামাঝি স্থানে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইকের সাথে মোটর সাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মোটর সাইকেল আরোহী সাকিব মিয়া নিহত হয়।
পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে জের ধরে বড় ভাই আব্দুর রহমান ভূঁইয়াকে (৫২) পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
হত্যাকারী তার আপন ছোট ভাই খলিলুর রহমান ভূঁইয়া ও তার ২ ছেলে। সোমবার রাতে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নুনাসার গ্রামে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রহমান ওই গ্রামের আব্দুল কাদের ভূঁইয়ার ছেলে। এ ঘটনায় খলিলুর রহমানের দুই মেয়ে ইমা ও হাবিবাকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে ছোট ভাই খলিলুর রহমান সঙ্গে বিরোধ চলছিল বড় ভাই আব্দুর রহমানের। জায়গা সম্পত্তি নিয়ে উভপক্ষের একাধিক মামলাও চলছে।
গতকাল সোমবার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে যায়। মামলায় ছোট ভাই খলিলুর রহমানের দুই ছেলেকে আসামি করেন আব্দুর রহমান।
এনিয়ে সোমবার দিনের বেলায় দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যায় ইফতারের পর আব্দুর রহমান মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাড়িতে আসলে খলিলুর রহমান ও তার ছেলেরা অতর্কিত হামলা চালায়।
একপর্যায়ে আব্দুর রহমানকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তারা। এসময় স্বজনরা আব্দুর রহমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম জানান, পারিবারিক সম্পত্তির বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যরা পালিয়েছে। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ছুরিকাঘাত করে পুলিশকে আহত করার ঘটনার মামলার প্রধান আসামি সোহেল মিয়া (৩৩) আটক করেছে পুলিশ।
৮ মে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শিবনগর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক সোহেল শিবনগর গ্রামের মৃত তালু মিয়ার ছেলে। এ মামলায় এপর্যন্ত ৪২জনকে আটক করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ৫ মে সন্ধ্যায় এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিবনগর গ্রামের মাদক কারবারী সেলিম মিয়ার বাড়িতে মাদক উদ্ধারে যায়। এ সময় সেলিম ও তার সহযোগিরা পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় কনস্টেবল খায়রুলের পেটে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা। তার মাথায় এবং পেটে আঘাত পায়। আহত খায়রুলকে প্রথমে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে বর্তমানে খাইরুল আশঙ্কা মুক্ত আছে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, পুলিশকে আহতের মামলার প্রধান আসামী সোহেল মিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করেছে পুলিশ। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৪২ জন আটক হয়েছে। আজ ৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে আটক সোহেলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালানোর সময় সুকুমার বড়ুয়া ও প্রণব কান্তি বড়ুয়া নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতারের পর তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সুকুমার বড়ুয়া চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বিনাজুরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এছাড়া প্রণব কান্তি বড়ুয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সিন্ডিকেট সদস্য ও চট্টগ্রাম ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির সদস্য। তারা সম্পর্কে শ্বশুর-জামাতা।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক খায়রুল আলম জানান, তাদের দুইজনের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা আখাউড়া ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে যাওয়ার সময় গ্রেফতার হয়েছে। পরে তাদের আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।