চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় অপহরণের কয়েক ঘন্টার মধ্যে অপহৃত এক কিশোরীকে উদ্ধারসহ এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ।
আজ ৭ ফেব্র“য়ারি শুক্রবার পুলিশ ও মিডিয়া উইংসের দেওয়া এক তথ্য মতে জানা যায়, গতকাল বৃহ¯পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার নূরপুর গ্রাম থেকে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী অপহরণের ঘটনায় আখাউড়া থানায় একটি মামলা হয়।
থানায় মামলা হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর রাত সাড়ে দশটার দিকে পুলিশ আখাউড়া পৌরশহরে অভিযান চালিয়ে অপহৃত কিশোরীকে গ্রেফতার করে এবং কিশোরী অপহরণে জড়িত অপহরণকারী সামিরুল ইসলাম আরিফ (২০)কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সামিরুল ইসলাম আরিফ উপজেলার কুড়ি পাইকা গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন জানান, অপহরণে জড়িত আটককৃত আসামিকে বিচারিক কার্যক্রমের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত কিশোরীকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, যৌতুক, নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা, ইভটিজিং, আত্মহত্যা, শিশুশ্রম, স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধ, মাদক প্রতিরোধ, নারীর অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা করেছে আখাউড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী ও কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওনক ফারজানা রুবা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হিসাব রক্ষক মো. আতাউর রহমান, প্রশিক্ষক সৈয়দা জাফরিন সুলতানা মিতু। এর আগে সকালে আখাউড়া মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে একই বিষয়ে সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিজয় দিবসে যথাযথ নিয়মে পতাকা উত্তোলনে জনসচেতনা সৃষ্টি এবং বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে জাতীয় পতাকা উপহার দেওয়া হয়েছে। আখাউড়া নববন্ধন খেলাঘর ব্যতিক্রম এ আয়োজন করে। ৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ৫২টি পতাকা উপহার দিয়েছে খেলা খেলাঘর।
আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে পৌরশহরের সড়কবাজারে প্রধান অতিথি হিসাবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন আখাউড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জমশিদ শাহ।
নববন্ধন খেলাঘরের সভাপতি সাংবাদিক বিশ^জিৎ পাল বাবুর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, নববন্ধন খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক জুটন বনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতারুজ্জামান সুমন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ যুবরাজ শাহ রাসেল, সাংবাদিক মাসুকুর রহমান, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জমশিদ শাহ বলেন, পতাকা উপহার দেওয়া একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এমন একটি আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফাঁসি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে নির্যাতিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলাবাসীর আয়োজন রেলওয়ে স্টেশনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আখাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন আবদুর সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ আক্তার হোসেন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ডাঃ খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান সানী, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাহার মিয়া, বিএনপি নেতা শেখ জীবন, মহিলা দলের নেত্রী অন্তুরা বেগম, আবু বকর প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে মানুষের বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার ছিলোনা। সারা দেশের মতো কসবা-আখাউড়ায় বিএনপি অসংখ্য নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। গুম, খুন করেছে। সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের নির্দেশে ২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচনের দিন তারাগন ভোটকেন্দ্রে পৌর যুবদলের সহ-সভাপতি হাদিস মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
আওয়ামীলীগ আমলে আখাউড়ায় ক্রস ফায়ার দিয়ে মানুষকে হত্যা করেছে।
তারা লুটপাট ও জনগনের জায়গা জমি দখল করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। মানববন্ধনে উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের নিহত রহিজ মিয়ার স্ত্রী খাদিজা ও তার ছেলে অভিযোগ করেন আনিসুল হকের নির্দেশে সাদা পোষাকে রহিজ মিয়াকে ধরে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ক্রয় ফায়ার দিয়ে হত্যা করা হয়। তারা রহিজ হত্যার বিচার চান।
মানববন্ধনে হত্যা, মামলা-হামলায় নির্যাতিত পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে খাতা-কলম বিতরণ করেছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতিনিধিরা। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার এসব শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। দুইটি বিদ্যালয়ের মোট ১০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এসব খাতা কলম দেওয়া হয়। বিডি অ্যানিমেল হেলথ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ও প্রবাসী ইনামুল হক এ কাজে সহায়তা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পরে রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খাতা-কলম দেওয়া হয়।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া পৌরসভার কাউন্সিলর শিপন হায়দার, উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক দীপক কুমার ঘোষ, যায়যায়দিনের সাংবাদিক কাজী হান্নান খাদেম, নয়াদিগন্তের মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়া, আনন্দ বাজারের কাজী মফিকুল ইসলাম, খবরের কাগজের জুটন বনিক, সাবেক ছাত্রনেতা মো. মনির হোসেন, প্রবাসী মো. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু এই আয়োজনের সমন্বয় করেন।
এ সময় জানানো হয়, বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগটি অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী অতিথি ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ কাজের প্রশংসা করে বলেন, বন্যার সময় শিক্ষার্থীদের বই খাতা পানিতে নষ্ট হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের ক্ষতির কথা কারোর মাথায় ছিল না। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই ধরনের চিন্তাটা খুবই সৃজনশীল। এতে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপকার হলো। আব্দুল্লাহপুর বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শাহীন ও সুলতানা তাহমিনা এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। প্রশংসা করেছেন রহিমপুরের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম। বন্যার্ত শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করায় তারা বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ২৬ মার্চ রবিবার সূর্যোদায়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও ৩১ বার তোপধ্বনি মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।
পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন, আখাউড়া পৌরসভা, থানা পুলিশ, আখাউড়া প্রেসক্লাব, সাব রেজিস্ট্রি অফিস, সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, শহীদ স্মৃতি কলেজ, আখাউড়া নাছরীন নবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রক্তদানের সংগঠন আত্মীয়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামসেদ শাহ্, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আবু ইউসুফ নুরুল্লাহ, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান এম. এ. মতিন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগম শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
পরে সকাল সকাল ৭টায় উপজেলার দরুইন গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তাফা কামালের সমাধিতে পুষ্প স্তবক অর্পন এবং ফাতেহা পাঠ করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় মোগড়া ইউনিয়নের গঙ্গাসাগর গণকবরে পুষ্প স্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রশাসন।
সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পুলিশ আনসার ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক কুচকাওয়াজ এবং স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে শরীর চর্চা পরিবেশিত হয়।
সকাল ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা দেওয়া হয়।