হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
বাংলাদেশী-আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশনের পবিত্র রমজানুল মোবারক উপলক্ষে বার্ষিক কেরাত প্রতিযোগিতা ও ইফতার মাহফিল আগামী ৮ মার্চ শনিবার ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। পিএস-১০৬, মিলনায়তনে, ১৫১৪, ওল্ডমাসট এভিনিউ, নিউইয়র্ক।
এতে আমন্ত্রিত অতিথি থাকবেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক এডামস। ১ মার্চ এর মধ্যে কেরাত প্রতিযোগিতায় নাম তালিকাভুক্ত করার জন্যএমডি আলাউদ্দিন ফোনঃ ৩৪৭-২৯৯-২৫১৯ এবং মাকসুদা আহমেদ ফোনঃ ৩৪৭-৩৯৩-০৭৬২ যোগাযোগ করুন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সংগঠনের পক্ষে সভাপতি সারওয়ার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শাহ বদরুজ্জামান রুহেল।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি যুক্তরাষ্ট্র শাখার উপদেষ্টা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম (৭৫)চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শহরেরএকটি হাসপাতালে গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গণমাধ্যমকে সংবাদ জানিয়েছেন সামসুল আহমেদ শামীম। বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম এর নামাজে জানাযা ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নিউইয়র্ক শহরের1404 newkirk avenue, Brooklyn বেলাল মসজিদে বাদ জুমা অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবারের ও দলের পক্ষ তার নামাজে জানাযায় উপস্থিত হওয়ার সকলের প্রতি অনুরোধ করা হচ্ছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর মাষ্টার আবুল কালাম স্বস্ত্রীক দেশে যান। ২৯ জানুযারি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফেরার পথে, নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের সাথে সাথেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর বিমানবন্দর থেকে জরুরি গাড়ির মাধ্যমে হাসপাতালে নেয়া হয়,আর সেখান থেকেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরপারে পাড়ি জমালেন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আবুল কালাম।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি, যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী, ছেলে, দুই মেয়ে নাতি – নাতনিসহ অসংখ্য সহযোদ্ধা, বন্ধু – বান্ধব রেখে গেছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের এ বীর সেনানী স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে, স্বাধীন দেশের উপযোগী শাসন ব্যবস্থা কায়েমসহ শ্রমজীবী কর্মজীবী পেশাজীবীদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অধিকার ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রামে আজীবন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে গেছেন। এজন্য তিনি বিভিন্ন সরকারের সময়ে জেল জুলুমের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ হিসাবে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।
মাষ্টার আবুল কালাম এর মৃত্যুতে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাষ্টার আবুল কালামের মৃত্যুতে জেএসএফ’র পক্ষ থেকে হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
খন্দকার আব্দুল্লাহ একজন বাংলাদেশী-আমেরিকান, বিশ্বের অন্যতম সেরা পুলিশ বিভাগ হিসেবে পরিচিত এনওয়াইপিডি-তে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পেয়েছেন সম্প্রতি ।খন্দকার আব্দুল্লাহই প্রথম বাংলাদেশী-আমেরিকান নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে এত উচ্চপদে আসীন হলেন। এই পদোন্নতির আগে তিনি ছিলেন একমাত্র বাংলাদেশী ডেপুটি ইন্সপেক্টর। বর্তমানে ইন্সপেক্টর খন্দকার আব্দুল্লাহ নিউইয়র্ক সিটির ৮১তম প্রিসিংক্টে কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার অব্যাহত পরিশ্রম তাকে এনওয়াইপিডি-তে প্রধানের পদে উন্নীত করবে বলে আশা করা যায়।
খন্দকার আব্দুল্লাহ একজন অভিবাসী, তিনি ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। জন জে কলেজ (কিউনি) সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী খন্দকার আব্দুল্লাহ, তার কাজের জন্য ইতিমধ্যে অনেক পুলিশ পদক লাভ করেছেন। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার তালতলা গ্রামের গর্বিত সন্তান খন্দকার আব্দুল্লাহ, শৈশবে আমেরিকায় এলেও এখনও সাবলীল বাংলায় কথা বলেন। তিনি তার পরিবারের সাথে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে বসবাস করেন।
খন্দকার আব্দুল্লাহ ২০০৫ সালের গ্রীষ্মে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। কলেজে পড়ার সময় তিনি একটি জব ফেয়ারে দেখেছিলেন যে এনওয়াইপিডি লোক নিয়োগ করছে। প্রথমে অনেকটা কৌতূহলের বশেই তিনি খণ্ডকালীন ইন্টার্ন হিসেবে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। কলেজে পড়ার সময়ই তিনি পুলিশ ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অভিবাসী পরিবারের সন্তান হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন সেই সময়েই তাকে পেয়ে বসেছিল। খন্দকার আব্দুল্লাহ ২০০৭ সালে পুলিশ অফিসার হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।কমিউনিটি পক্ষ খন্দকার আবদুল্লাহকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
কমিউনিটির সুপরিচিত অ্যাক্টিভিস্ট দম্পতি মাকসুদা আহমেদ ও মামুন রহমান তাদের নাতনী রাহমী আহমেদ এর প্রথম জন্মদিন গত ১৬ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ব্রংকসের গোল্ডেন প্যালেস পার্টি হলে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। শাহনূর জন্মদিনে শুরুতেই আগত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান মাকসুদা আহমেদ ও মামুন রহমান। মিউজিক এর তালে তালে ছোট শিশুরা নৃত্যপরিবেশন করে। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রবাসের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, কমিউনিটির অথিতিরা উপস্থিত ছিলেন। নৈশভোজ ও কেক কাটার মাধ্যমে মধ্য রাতে জন্মদিন পালনের সমাপ্তি ঘটে। ছবিতে বাথেকে মামুন রহমান, সিনিয়ার সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, ফ্রাংকলিন খোকন আরমান, আয়েশা আক্তার রুবি, মাসুদা ইয়াসমিন রুমা, রাহমী আহমেদ, মাকসুদা আহমেদ, সাঈদা ডায়ানা এনজ্ঞেলিকা এবং সাঈদা সুস্মিতা।
হাকিকুল ইসলাম খোকন :
পোশাক শিল্পের নতুনত্বে ফ্যাশন ডিজাইনারদের অবদান অনস্বীকার্য।পোশাকের মাধ্যমে মানুষের রুচিশীল মনোভাব ব্যক্তিত্ব ও রুচিবোধের প্রকাশ পেয়ে থাকে। আর তাই ফ্যাশন নিয়ে অন্ত নেই গবেষণার। সময়ের সাথে ছুটে চলেছেন ফ্যাশন অনুসারীরা তাদের পছন্দের ডিজাইনারদের সৃষ্টি নিয়ে।ফ্যাশন এর প্রচলিত ধারা প্রতিনিয়ত বদলে দিচ্ছেন ডিজাইনাররা তাদের মেধা দিয়ে।
আত্মবিশ্বাস ও পরিবর্তনশীল চিন্তাধারায় সৃষ্টিশীল কাজ নিয়ে ডিজাইনার রোজিনা আহামেদ রুনি রয়েছেন দীর্ঘদিন যাবত এই পোশাক শিল্পে একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে। যা তার নেশা এবং পেশা দুটোই বলা যেতে পারে।
তারই প্রেক্ষাপটে ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার নিউইয়র্ক এর জ্যামাইকার মান্নান সুপার মার্কেট সংলগ্ন ‘জাশন’ পার্টি সেন্টারে(১৬৫-২৩ হিলসাইড এভিনিউ) দেশি গার্লস বাই মিলিয়া লেনিন আয়োজন করেছেন ডিজাইনার রুনির একক পোশাক প্রদর্শনী। এ তথ্য জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক সংগঠক নিসার জামিল শুড্ডু। দুপুর দুটো থেকে রাত এগারোটা অবদি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে সকল প্রবাসীের সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ডিজাইনার রুনি,তার এই প্রচেষ্টায় একাত্ম্য হওয়ার জন্য।
এবারে তার ফ্যাশন আয়োজনে রয়েছে ট্র্যাডিশনাল ক্ল্যাসিক, রেট্রো, ফিউশন, আংরাখা, বক্স প্লিটেড সহ বৈচিত্র্যময় নানা প্যাটার্নের সালোয়ার-কামিজ, ডাবল লেয়ারড সালোয়ার-কামিজ, লং-কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস, ডাবল লেয়ারড কুর্তি, টিউনিক, কাফতান, প্যান্টসহ টপস, টপস-স্কার্ট।
শাড়ির বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজাইনে থাকছে মোটিফের ব্যবহার, কালার কম্বিনেশন সহ আরো নানা আকর্ষণীয় ডিজাইন। আপনাদের উপস্থিতি ডিজাইনার রুনি’র উৎসাহের উৎস হয়ে থাকবে বলে আয়োজকদের বিশ্বাস।
অনলাইন ডেস্ক :
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশি দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সাওজছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহতরা।
ব্যক্তিগত সমস্যার জের ধরে ১২ জানুয়ারি রবিবার স্থানীয় সময় বিকেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন তারেক আহমেদ, সুমন (মিলফোন্তেজ), সামসুজ্জামান, গ্লিলমান, জামিল, জুবেল।
হামলার ব্যাপারে লিসবন প্রবাসী আব্দুস সালাম বলেন, আমি যতদূর জানি পর্তুগালের বেজা শহর বিএনপির সিনিয়র সভাপতি কামিল আহমেদ জন্মদিনের দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে এবং লিসবনে এই নিয়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির এক সময়ে সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইটের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসীর ছাড় নেই। যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাতে জড়িত কেউই পর্তুগাল বিএনপির কোন পদধারী নেতৃবৃন্দ না। তবে এই ঘটনায় পর্তুগাল বিএনপির কেউ এই রকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জরিত হলে সাংগঠনিক ভাবে যথাযত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, দুই পক্ষের এই হামলার ঘটনায় পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশি এলাকায় রুয়াদো বেনফর্মোসোতে সারা দিন পর্তুগীজ টিভি চ্যানেল ও পুলিশের উপস্থিতি চোখে পরার মতো।