হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি যুক্তরাষ্ট্র শাখার উপদেষ্টা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম (৭৫)চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শহরেরএকটি হাসপাতালে গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গণমাধ্যমকে সংবাদ জানিয়েছেন সামসুল আহমেদ শামীম। বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম এর নামাজে জানাযা ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নিউইয়র্ক শহরের1404 newkirk avenue, Brooklyn বেলাল মসজিদে বাদ জুমা অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবারের ও দলের পক্ষ তার নামাজে জানাযায় উপস্থিত হওয়ার সকলের প্রতি অনুরোধ করা হচ্ছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর মাষ্টার আবুল কালাম স্বস্ত্রীক দেশে যান। ২৯ জানুযারি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফেরার পথে, নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের সাথে সাথেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর বিমানবন্দর থেকে জরুরি গাড়ির মাধ্যমে হাসপাতালে নেয়া হয়,আর সেখান থেকেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরপারে পাড়ি জমালেন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আবুল কালাম।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি, যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী, ছেলে, দুই মেয়ে নাতি – নাতনিসহ অসংখ্য সহযোদ্ধা, বন্ধু – বান্ধব রেখে গেছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের এ বীর সেনানী স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে, স্বাধীন দেশের উপযোগী শাসন ব্যবস্থা কায়েমসহ শ্রমজীবী কর্মজীবী পেশাজীবীদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অধিকার ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রামে আজীবন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে গেছেন। এজন্য তিনি বিভিন্ন সরকারের সময়ে জেল জুলুমের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ হিসাবে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।
মাষ্টার আবুল কালাম এর মৃত্যুতে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাষ্টার আবুল কালামের মৃত্যুতে জেএসএফ’র পক্ষ থেকে হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মরুর দেশ সৌদি আরবে ফুড ডেলিভারি করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ইসহাক সায়েদ (২১) নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ৯ এপ্রিল বুধবার সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্থানীয় সময় রাত ৩টার এবং বাংলাদেশ সময় ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ইসহাক সৌদি আরবে হাংগেরি নামক একটি ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে ডেলিভারি বয় হিসেবে হিসেবে কাজ করত। সে কসবা পৌর এলাকার আড়াইবাড়ি গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। নিহতের পিতা খোরশেদ আলম জানায়, সংসারের হাল ধরতে জীবিকার তাগিদে গত বছরের আগস্ট মাসে মধ্য প্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পাঠানো তাকে। রাতে কোম্পানির ডিউটি পালন করতে মোটরসাইকেল যোগে ফুড ডেলিভারি করতে যায়। এসময় সড়কে ট্রাক চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এই রেমিটেন্স যোদ্ধা।
সকালে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। কান্না জড়িত গলায় সন্তান হারানো পিতা সরকারের কাছে আকুল আবেদন করেন, তার সন্তানের লাশ যেন দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়। সন্তানের লাশটা যেন নিজ হাতে দাফন করতে পারে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ছামিউল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ ফেরত আনার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাবরে আবেদন করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
পর্তুগালের লিসবনের আলমাদা শহরে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীর গুলিতে মাহবুবুল আলম নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ১৩ জুন শুক্রবার তার স্ত্রী এবং ১০ ও ১৪ বছর বয়সী নাবালিকা কন্যার সামনেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহত মাহবুবুল সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মানিককোনা গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নান্না মিয়ার ছেলে। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে পর্তুগালে সপরিবারে বসবাস করছিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তার দোকানে প্রবেশ করে এবং দোকানের অর্থ লুটপাটের চেষ্টা চালায়। এতে মাহবুবুল বাধা দিলে হামলাকারীরা তার বুকে পর পর ৩ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ এবং জরুরি সেবা সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
জানা গেছে বন্দুকধারীরা ছিল ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী দুই যুবক। তারা কালো পোশাক পরে এবং হুড পরে ছিল এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তিনটি গুলি চালায়।
ভুক্তভোগী প্রায় তিন বছর আগে তার পরিবারের সাথে ইংল্যান্ড থেকে পর্তুগালে এসেছিলেন। পর্তুগালের বিচার বিভাগীয় পুলিশ ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে এবং হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কানাডার অন্টারিওতে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স অব অন্টারিও (এবিইও) এর নতুন পরিচালনা পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান ডেনফোর্থ রোডের বিডি ফিউশন রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মির্জা শহিদুর রহমান।
আরও পড়ুন
পর্তুগালে বাংলাদেশি দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত
ইউসুফ তালুকদারকে প্রেসিডেন্ট করে নতুন পরিচালনা পরিষদে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম ফজলুল করীম, পরিচালক যথাক্রমে মো. বজলুর ভূইয়া মারুফ, অপূর্ব ভৌমিক, ইফাত আরা, মো. আতিকুল ইসলাম, ড. আবুল বাশার, ফারহাত নাইম খান, কাজী বদিউল আলম লিটন, বিপ্লব কর্মকার, শেখ মোহাম্মদ ইসমাইল, শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ সোলাইমান দেওয়ান।
ইফাত আরা এবং মো. বজলুর ভূইয়া মারুফ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। কেক কেটে অভিষেক উদযাপন করা হয়।
আরও পড়ুন
কিশোরি হেনস্থার মামলায় নিউইয়র্কে গ্রেফতার বাংলাদেশি
উল্লেখ্য, তিন সদস্যের নির্বাচন এ বিইওর নতুন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচিত করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ এলামনাইর প্রতিনিধিবর্গ উক্ত অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট ইউসুফ তালুকদার বলেন, কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের পেশাগত উন্নয়নে এই সংগঠনকে গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরমে পরিণত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউর রহমান কানাডায় বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে মূলধরায় অধিকতর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ, বৈশাখী মেলা এবং সাংস্কৃতিক উৎসব। আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন ফিরে পেলেন এক টুকরো বাংলাদেশ। ১৯ এপ্রিল শনিবার আবুধাবি শেখ জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামি স্কুলের প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে বাঙালিয়ানায় মোড়া উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তারেক আহমেদ ও তার সহধর্মিণী। শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে তারাই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
দেশীয় পোশাকে সজ্জিত নারী-পুরুষ, শিশুরা অংশ নেয় বিভিন্ন আয়োজনে। মেলায় ছিল ১৬টি রকমারি পণ্যের স্টল, যেখানে পাওয়া যায় পান্তা-ইলিশ, চিতই পিঠা, নকশি পিঠা, সিঙ্গারা, সমুচা, ঝালমুড়ি, জিলাপি, রসমালাইসহ নানা রকম মুখরোচক বাঙালি খাবার।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় একক ও সমবেত গান, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, নৃত্য এবং শিশু-কিশোরদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। অংশগ্রহণ করেন দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, প্রবাসী শিশু-কিশোর, বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা।
প্রবাসজীবনের একঘেয়েমি ভুলিয়ে আবুধাবিতে এমন একটি আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মধ্যে দেশীয় সংস্কৃতির সৌন্দর্য ভাগাভাগি করে নেন। এই আয়োজন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে দেশপ্রেম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বন্ধন আরো দৃঢ় করে তোলে বলে আয়োজকেরা মনে করেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
“সিলেট বিভাগ নিয়ে কোনো টালবাহানা বিশ্বময় গ্রেটার সিলেটবাসী মেনে নেবে না,”সিলেট বিভাগের চারটি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জকে নিয়ে সিলেট প্রদেশ ঘোষণার দাবিতে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে সাউথ ইষ্ট রিজিয়নের উদ্যোগে ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের ভ্যালেন্স রোডস্থ উডেহাম কমিউনিটি সেন্টারে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ নুরুল ইসলাম।
সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনাল কনভেনর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে এবং রিজিওনাল সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ও কমিউনিটি সংগঠক কদর উদ্দিন এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রেটার সিলেটের প্রেট্রন, কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর, গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব, ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, ও কমিউনিটি সংগঠক হাবিবুর রহমান রানা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রিজিওনাল নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খান জামাল নুরুল ইসলাম ,আজিজুল আম্বিয়া, সৈয়দ সায়েম করিম, আজম আলী, আব্দুল বাছিত রফি, আব্দুর রহিম রনজু,আব্দুল মুকিত, খালেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, আব্দুল মালিক, সেরওয়ান আলী, হালিমুল ইসলাম, শাহ আজিজ সাজু, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী,তানভীর হোসেন, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, বদরুল হক মনসুর, কামরুল আই রাসেল, আমজাদ হোসেন, ও কবির আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী বলেন -১৯৪৭ সালে গণভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানে যোগদান করেছিল ।পাকিস্তান আমলে ও বাংলাদেশ আমলে সিলেট বিভাগের তেমন কোন উন্নতি হয়নি ।সিলেট বিভাগ সব সময় বৈষম্যের শিকার ।সিলেটের খনিজ সম্পদ, চা বাগান, রাবার বাগান সহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদে সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন হলেও সিলেটের সমস্যার এখনও কোন সমাধান হয় নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি দূর্যোগময় মুহুর্তে সিলেটবাসীর অবদান ইতিহাসের অন্তর্গত ।
সংস্কার কমিশন বাংলাদেশে চারটি প্রদেশ করার প্রস্তাব করলেও সিলেট বিভাগকে প্রদেশ করার কোন প্রস্তাব করেনি। এটা আরেকটি বৈষম্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথি গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর সিলেট বিভাগ নিয়ে কোনো টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না,চট্টগ্রামের সাথে সিলেটকে যুক্ত করার চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে বলে উল্লেখ করে বলেন আমরা সিলেট বিভাগ নিয়ে জালালাবাদ প্রদেশ চাই, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ মতে বাংলাদেশকে যদি কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করতেই হয় তাহলে বৃহত্তর সিলেটের চারটি জেলা নিয়ে একটি প্রদেশ গঠন করা হবে যুক্তিযুক্ত। চট্টগ্রামের সাথে যুক্ত করা হবে অবাস্তব ও অযৌক্তিক। বৃহত্তর সিলেটের ভৌগোলিক অবস্থা ও লে-আউট আলাদা একথা সরকারের বুঝা উচিৎ, সিলেট থেকে চট্টগ্রামের চেয়ে ঢাকায় বরং যাওয়া যাবে দ্রুত। তাই চট্টগ্রামের সাথে সিলেট কানেক্ট করে প্রদেশ করলে সিলেট হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত, এরকম হটকারি, অবাস্তব এবং অযৌক্তিক সীদ্ধান্ত কোনো অবস্থাতেই বিশ্বময় বসবাসকারী গ্রেটার সিলেটবাসী মেনে নেবে না।
বিশেষ অতিথি গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব বলেন ১৯৭১ এর মহাণ মুক্তিযুদ্ধ সহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণে তথা রাজনৈতিক, সামাজিক,ব্যবসা বানিজ্য, শিক্ষা – দীক্ষা, জ্ঞান – গরিমা,সাংস্কৃতিক ইতিহাস ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে এমনকি প্রবাসের মাটিতে ক্যাটারিং সেক্টর ও ব্যবসা বাণিজ্য এবং বিশ্বময় বাংলাদেশ কমিউনিটির কল্যাণে ব্যাপক ভুমিকা রাখা সহ বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে গ্রেটার সিলেটবাসীর অবদান অনস্বীকার্য।
পাকিস্তান আমল থেকেই দেশে বিদেশে সিলেট প্রদেশ গঠণের দাবিতে আন্দোলন চলছে। তাই অবিলম্বে সিলেট বিভাগের চারটি জেলা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রদেশ ঘোষণার দাবি জানানো হয় ।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনাল কনভেনর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হারুনুর রশিদ সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম সম্পদশালী এলাকা সিলেটের খনিজ তেল, গ্যাস, পাথর, চা শিল্প, পর্যটন ও দেশের রেমিটেন্সের সিংহভাগই আসে প্রবাসী সিলেটবাসীর মাধ্যমে বলে উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন বর্তমান সরকার যদি প্রাদেশিক সরকার গঠন করে তাহলে সিলেটের নাম আসবে সবার আগে।কারণ সিলেটের মানুষের এই দাবি দীর্ঘদিনের।
সিলেটবাসীর ন্যায্য দাবি সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়নের ক্যাম্পেইনে দেশে বিদেশে সিলেট বাসীকে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন। অনেক সিলেটের জনগণ এবং প্রবাসীরী সংবাদ সংস্থা বলেছেন, ছোট আয়তনের বাংলাদেশে যেখানে বিভাগের ই কোন প্রকার প্রয়োজন নেই, সেখানে প্রদেশ দাবি পুরোপুরি অযৌক্তিক। তারা আরো বলেছেন, প্রদেশ কেন হবে? মাতাবারী বিভাগই বাতিল করে শুধু জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন, পৌর সভা এবং সিটি করপোরেশন এই পাঁচ ভাগে লোকাল সরকার থাকার কথা জানিয়েছেন।