চলারপথে রিপোর্ট :
যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক, ডাকাতির সরঞ্জামসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য নাজমুল মোল্লা (২১)কে আটক করা হয়েছে। চাঁদপুর মতলব উত্তরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে উপজেলার বেলতলি লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ডাকাত সদস্য বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থানার গৈলা এলাকার খোরশেদ মোল্লার ছেলে। সন্ধ্যায় চাঁদপুর আর্মি ক্যাম্প থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসানের নেতৃত্বে গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে শট গানের ৬টি কার্তুজ, ১০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, নগদ ২লাখ ১৬ হাজার ৫০০টাকা, ৬টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, ৮টি লাইফ জ্যাকেট, একটি গাঁজা মাপার মেশিন, ৪০পিস কলকি, দুটি লাইট, ৪টি হেলমেট, একটি লেজার লাইট, একটি চাঁদা সংগ্রহের বই, ৪টি মোবাইল ফোন ও একটি বিদেশী মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।
আর্মি ক্যাম্পের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান বলেন, সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে ধরতে দিনব্যাপী তাদের বিভিন্ন আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। তথ্য সংগ্রহ ও মামলা দায়ের চলমান আছে। আইন শৃঙ্খলার জন্য হুমকি স্বরূপ সকলকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও একাধিক ডাকাত সদস্যের নামে মামলা দায়ের চলমান রয়েছে। আটক ডাকাতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে বন্দিদের টাকা ছাড়া স্বজনদের সাক্ষাত করতে না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারাগারে বন্দিদের ওকালত নামা সহি, রাজনৈতিক বন্দিদের নিয়ম বর্হিভূত ভাবে টাকার বিনিময়ে একাধিক বার সাক্ষাতের ব্যবস্থার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে বর্তমানে ১৩ শতাধিক বন্দি রয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে ১২০ থেকে ১৫০ জন বন্দির সাথে দেখা করতে আসেন স্বজনরা। কারাগারের প্রধান ফটক অতিক্রম করতে পারলেও বিড়ম্বনায় পড়েন স্বজনরা দেখা করতে গিয়ে। টাকা না দিলে বন্দিদের সাথে সাক্ষাৎ করা যাবে না বলে জানানো হয়।
দূর দূরান্ত থেকে আসা স্বজনরা নিরুপায় হয়ে কারাগারে সংস্থাপনের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী আল আমিন (ব্যাচ নং ২২৯৫১) এর শরনাপন্ন হন। কারারক্ষী আল আমিন বন্দিদের সাথে সাক্ষাতের জন্য ৩০০/৫০০ টাকা নেন দর্শনার্থীদের কাছ থেকে। আবার অনেকে টাকা দিতে না পারায় সাক্ষাৎ না করেই বাড়িতে ফিরে যান।
রাজনৈতিক বন্দিদের সাথে ডিও নিয়ে ১৫ দিনে একবার সাক্ষাতের নিয়ম থাকলেও আল আমিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে একাধিক বার ব্যবস্থা করে দেন।
আদালত থেকে আসা ওকালত নামা কারাগারের বক্সে জমার বিধান থাকলে অজ্ঞাত কারণে দেখাশুনা করছেন কারারক্ষী আল আমিন। কয়েক মাস পূর্বে কারাগারের ওকালত নামার বক্সটি প্রধান ফটক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ওকালত নামা বক্সটি কারারক্ষী আল আমিন সরিয়ে ফেলেছেন। ওকালত নামা সহির জন্য স্বজন বা আইনজীবীর সহকারীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা আদায় করে থাকেন। আদালত থেকে জামিন হওয়ার পর কারাগারে আসা কাগজপত্রে ভূল রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে বন্দির স্বজনদের কাছে কাঙ্ক্ষিত টাকা আদায় করেন। কারাগারের সংস্থাপনের দায়িত্বে কারারক্ষী আল আমিন অন্য কারারক্ষীদের অভ্যন্তরে নিয়োগ পাইয়ে দেবার কথা বলে টাকা নিয়ে থাকেন। এমন কি কারারক্ষীদের ছুটি নিতে হলেও তাকে ম্যানেজ করে ছুটি নিতে হয়।
কারারক্ষী আল আমিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কারাগারে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সেখানেও সে সংস্থাপনের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কারাগারে থাকা এক জেএমবি সদস্যকে গোপনে মোবাইল ব্যবহার করার সুযোগ করে দেন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয় চট্টগ্রাম কারাগারে। তখন চট্টগ্রাম কারাগারের ডিআইজি আলতাব হোসেন কারারক্ষী আল আমিনকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন।
কারারক্ষী আল আমিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শুধু কারারক্ষীদের ছুটি, কারাগারের অভ্যন্তরে নিয়োগের কাজ দেখাশুনা করি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেল সুপার ওবায়দুর রহমান জানান, এখানে সবেমাত্র যোগদান করেছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে তিনি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়াইল হোসাইনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ইতি:পূর্বে অবসর গ্রহণকারী তিনজন সিনিয়র শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
আজ ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলের প্রাঙ্গনে সংবর্ধনা দেয়া হয় বিদায়ী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর, সিনিয়র শিক্ষক হেফজুল করিম, সিনিয়র শিক্ষক আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র শিক্ষক এস. এম আবুল কালাম, সিনিয়র শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী (মৌলভী)।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অসুস্থতাজনিত কারণে সিনিয়র শিক্ষক আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান এবং সিনিয়র শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী (মৌলভী) উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে উপস্থিত শিক্ষকরা সংবর্ধনা সভায় যোগ দিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিদায়ী শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করা হয় এবং উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সায়েদুল হক সাঈদ এর সভাপতিত্বে এবং ডা. আলী আযম ও মুসলেহ উদ্দিন দুলালের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সায়েদুজ্জামান, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মো রুহুল আমীন, আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান জিন্নাহ, চিনাইর বঙ্গবন্ধু কলেজের সহকারী অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম, বড়াইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবুল বাশার, নাজির ভূঁইয়া হাই স্কুলের শিক্ষক নান্নু মাস্টার, পিটিআই এর অবসরপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর আবদুল আওয়াল কামাল, চিলোকুট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক, বড়াইল হোসাইনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান লিটন, নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মঈন উদ্দিন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘প্লাস্টিক পলিথিন বর্জন করি-দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে নেত্রকোনায় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার জনসচেতনতামূলক র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি সংগঠন আইইডির ব্যবস্থাপনায় এবং স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জনউদ্যোগ আয়োজিত র্যালিটি প্রেসক্লাব প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়। পৌরসভার মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় প্রেসক্লাব ভবনে এসে শেষ হয়।
পরে জনউদ্যোগ আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিভিন্ন পরিবেশকর্মী ও সাংবাদিকসহ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ পুড়ানোর অপরাধে এক ইটভাটা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২ মার্চ রবিবার দুপুরে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের ইটভাটার মালিক বনি আমিনকে এ জরিমানা করা হয়।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের নাজির শহিদুল ইসলাম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ তথ্য নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর ১৬ (৬) ধারায় জিএলবি ভাটা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা (২১)। মাত্র ১৫ দিনের ছুটি পেয়েছেন তিনি। প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন নিজ বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নের দোগাছি গ্রামে। টুম্পা ঐ গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুর রাহিমের মেয়ে। বাড়িতে এসে মা-বাবা ও ছোট বোনের সাথে সময় কাটানোর কথা তার। কিংবা গ্রামের বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা, গল্প ও আড্ডা দেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি তার দরিদ্র ভ্যান চালক বাবা ও পরিবারের আর্থিক অনটনের কথা চিন্তা করে বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে মেরিগাছা বাজারে বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সিদ্ধ ডিম বিক্রি করছেন। একই সঙ্গে বিক্রি করছেন কাঁচা ডিম। টুম্পার এই ডিম বিক্রির ঘটনা এলাকায় সাড়া ফেলেছে।
মঙ্গলবার মেরিগাছা বাজারে টুম্পার সিদ্ধ ডিমের দোকানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, খোলা আকাশের নিচে খড়ির চুলা জ্বলছে এবং সেখানে বড় কড়াইয়ে শতাধিক ডিম সিদ্ধ হচ্ছে। পাশে প্লাস্টিকের টুলে বসে ডিমের খোসা ছাড়াচ্ছেন টুম্পা এবং খোসা ছাড়ানোর পর ডিমের ওপর লবণ-ঝাল ছিটিয়ে তা ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। টুম্পার ভ্রাম্যমাণ দোকানে একটি সিদ্ধ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫টাকা এবং একসঙ্গে দুইটি নিলে ২৫ টাকা। পাশাপাশি কাঁচা ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৪২ টাকা দরে।
জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা বলেন, খুবই কম লাভে আমি ডিম বিক্রি করছি। প্রতি হালি কাঁচা ডিমে লাভ হচ্ছে মাত্র ৩ টাকা এবং সিদ্ধ ডিমে লাভ হচ্ছে গড়ে হালি প্রতি ৪-৬ টাকা। সিদ্ধ ডিমের ক্ষেত্রে খড়ি, নষ্ট ডিম বা অনেক সময় খোসা ছাড়াতে গিয়ে ডিম নষ্ট হয়। যার ফলে এর লাভ মাঝে মধ্যে সামান্য ওঠানামা করে।
প্রতিদিন গড়ে ৬০০-৭০০ ডিম বিক্রি করেন তিনি এবং গত দুইদিনে তার লাভ হয়েছে ১৪৭০ টাকা। ক্রেতাদের কাছে ডিম বিক্রির ফাঁকে টুম্পা আরও জানান, ‘বাবা ভ্যান চালিয়ে আমাদের দুই বোনকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। বর্তমানে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন তৃতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত। গত সপ্তাহে আমি বাড়িতে এসেছি, ১৫ দিন ছুটি কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাবো। ডিম বিক্রির মাধ্যমে আমার যাতায়াতের টাকাও জোগাড় হবে।
ডিম বিক্রি করার প্রসঙ্গে টুম্পা জানায়, বিভিন্ন মানুষ নানা কথা বলবে। তবে এতে আমার কিছু আসে-যায় না। কারণ আমি সৎ ভাবে আয় করছি। শহরে এই কাজ করলে কেউ কিছু বলে না। আমি নিজেকে অতি ক্ষুদ্র ও গরীব উদ্যোক্তা মনে করছি। এটাই আমার কাছে আনন্দের ও সুখের। আমি অল্প লাভে ডিম বিক্রি করে স্থানীয় অতিমাত্রায় মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের মেসেজ দিতে চাই; অতি মুনাফার সুযোগ থাকলেও তার সুযোগ গ্রহণ না করা।
টুম্পার বাবা ভ্যান চালক আব্দুর রাহিম জানান, আমার ভ্যানে করেই আমি আমার মেয়েকে এই বাজারে নিয়ে আসি ও নিয়ে যাই। টুম্পা অনেক কষ্টে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। ছুটিতে এসে আমাদের প্রতি মায়া করে সে ডিম বিক্রি করছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক খরচ হয়। তার বাবা হিসেবে এই টাকা দেওয়ার সামর্থ্য আমার নাই। তাই সে নিজেই সৎ উপার্জন করে টাকা যুগিয়ে নিচ্ছে যেন আমার কাছে টাকা না চাইতে হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামসুজ্জোহা জানান, টুম্পা স্কুল জীবন থেকেই সংগ্রাম করে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। সে অনেক মেধাবী। ছুটিতে বাড়িতে এসে ডিম বিক্রির এই ভালো কাজটি অনুপ্রেরণামূলক ও প্রশংসনীয়।