চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় বিজিবির অভিযানে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ফতেহপুর এলাকা থেকে এসব ভারতীয় পণ্য উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, কসমেটিকস, মেহেদী ও সিগারেট।
বিষয়টির নিশ্চিত করেছেন বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের (সরাইল ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত দেড়টার দিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ৮০০ পিস কাতান শাড়ি, ৮৩১২ পিস কসমেটিকস, ১৪৪০ পিস মেহেদী, ১১২০ প্যাকেট সিগারেট উদ্ধার করা হয়। এসব পণ্যের মূল্য ১ কোটি ৫০ লাখ চার হাজার ৩৮০ টাকা। এসব পণ্য আখাউড়া কাস্টমসে জমা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ নাসির (৩৫) নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে সরাইল ২৫-বিজিবি ব্যাটালিয়নের লক্ষীপুর বিওপির সদস্যরা।
উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ধোরানাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ওই এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। আটককৃত মো. নাসিরকে বিজয়নগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বিজিবি সদস্যরা মো. নাসিরকে ১৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করে। তবে এসময় অপর দুই মাদক কারবারি টিটু ও দুলাল পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তাদের তিনজনের নামে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। নাসিরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া পলাতক টিটু ও দুলালকে ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে বিল থেকে অজ্ঞাত এক মহিলার (২৫) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১৭ মে শুক্রবার সকালে চম্পকনগর ইউনিয়নের মিলন বাজারের পূর্ব পাশের ফনা বিলের উজান থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে চম্পকনগর ইউনিয়নের মিলন বাজারের পূর্ব পাশের ফনা বিলের উজানে এক মহিলার লাশ দেখতে পেয়ে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম জানান, অজ্ঞাত ওই মহিলার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার গলার নিচে আঘাতের দাগ রয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচরে যায় বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর ও তার পরিবারকে বহনকারি একটি প্রাইভেটকার। তবে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও তারা অক্ষত রয়েছেন।
আজ ২৬মে শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় উপজেলার রামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে প্রাইভেটকারে থাকা ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর, তার স্ত্রী রেহেনা সারোয়ার খোখর, মেয়ে হুদা আব্বাস খোখর ও ছেলে মোহাম্মদ খোখর অক্ষত রয়েছেন। হাইওয়ে পুলিশ পাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়া বাসের চালক মোঃ সাইফুল ইসলাম-(৩০) কে আটক করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস জানান, পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর নিজে প্রাইভেটকার চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ জেলার শ্রীমঙ্গল বেড়াতে যাচ্ছিলেন।
‘বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রাইভেটকারটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার রামপুর এলাকায় পৌছলে হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুরন্ত পরিবহনের একটি বাস প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও প্রাইভেটকারে থাকা ডেপুটি হাই কমিশনার এবং তার পরিবারের সদস্যরা অক্ষত থাকে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর ডেপুটি হাই কমিশনার ও তার পরিবারের সদস্যরা হাইওয়ে থানায় কিছুক্ষণ অবস্থান করে একটি ভাড়া মাাইক্রোবাসে করে তিনি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে চলে যান। তিনি বলেন, আমরা বাসের চালক মোঃ সাইফুল ইসলামকে আটক করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭২ কেজি গাঁজাসহ একাধিক মাদক মামলার ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ এর নেতৃত্বে এস আই মোঃ শরিফুল ইসলাম, এস আই জুয়েল রানা, এএসআই আব্দুলাহ আল মামুন, আমির, সেলিম, রুহুল আমীন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ভোর ৪ ঘটিকার সময় উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর আসামী সজল মিয়ার বাড়ীর দক্ষিণ পাশে সেলিম মিয়ার পশ্চিম ভিটির বসত ঘর হতে ৭২ কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট ১৩ মাদক মামলার আসামি সজল মিয়াসহ মাদক পাচারের লেবার, লাইনম্যান, ক্রেতা বিক্রেতাসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
আসামীরা হলো বিজয়নগর উপজেলার কাশিনগর গ্রামের মন মিয়ার ছেলে সজল মিয়া (৩০), মজনু মিয়ার ছেলে ফটিক মিয়া (৩০), আব্দুর রহমানের ছেলে সেলিম মিয়া (৩৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের আমির হোসেন এর ছেলে মোঃ হাসান মিয়া (৪২), একই উপজেলার উলচাপাড়া গ্রামের মোঃ মনু মিয়ার ছেলে আহাদ মিয়া (৩০), এবং কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের হিরা মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া (৪৫) কে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এই মাদক চালানের নেতৃত্বদানকারী সজল মিয়ার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মাদকের ১৩ টি মামলাসহ গ্রেফতারকৃত সকল আসামীর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমি সঙ্গীয় ফোর্সসহ গতকাল ভোর রাতে উপজেলার কাশিনগর গ্রামের এক লেবু বাগানের ভিতর থেকে ৭২ কেজি গাঁজাসহ একটি মাদকচক্রের ৬ জনকে একত্রে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত সবাই একাধিক মাদক মামলার আসামি। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে নিখোঁজের একদিন পর আরাফাত খাঁন (৯) ও মোঃ সামির (৮) নামে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১ মে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়ার একটি পুকুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত আরাফাত সাটিরপাড়া গ্রামের এনাম খাঁনের ছেলে ও সামির উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খাটিঙ্গা গ্রামের শিপন মিয়ার ছেলে। সামির তার নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো।
চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মোঃ রেজুয়ান আহমেদ বলেন, রবিবার বিকেল থেকেই এই দুই শিশু নিখোঁজ হয়। সম্ভাব্য সব জায়গায় তাদেরকে খোঁজাখুজি করে তাদের না পাওয়ায় রাতের বেলা এলাকায় মাইকিং করা হয়। এ ব্যাপারে সোমবার সকালে থানায় জিডি করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুকুরে তাদের লাশ ভেসে উঠে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পুকুরে ডুবে ওই শিশুরা মারা গেছে।