চলারপথে রিপোর্ট :
বাগাতিপাড়া উপজেলার শেখপাড়া এলাকা থেকে বিরল প্রজাতির একটি নীলগাই উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। আজ ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ২টার দিকে শেখপাড়ার একটি পেয়ারাবাগান থেকে নীলগাইটি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুস সালামের বাড়ির সামনে সেটিকে বেঁধে রাখা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নীলগাইটি দেখতে ভিড় জমায় আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা।
নাটোরের বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ গাইটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। আমরা রাজশাহী বনবিভাগের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা আসলে আমরা তাদের হাতে তুলে দেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ ৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের লাগার ঘটনা ঘটেছে। সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের কেউই আগুনে দগ্ধ হয়নি।
এদিকে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রোহানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯ শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন আছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসন্ন বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে একটি প্রজেক্ট প্রস্তুত করতে বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলায় বিজ্ঞানাগারে যান। মাল্টিপ্লাগের সাহায্যে বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে ১৫-২০শিক্ষার্থী বিজ্ঞানাগারের ভেতরে প্রজেক্ট তৈরির কাজ করছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাল্টিপ্লাগে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের চিৎকার শুনে অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বের হয়ে হুড়োহুড়ি করে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যান।
৮ম শ্রেণির আমেনা জাহানা আরিশা, ৬ষ্ঠ শ্রেণির সোহামণি ইতি, ৭ম শ্রেণির তাসনোভা ইসরাত, ৮ম শ্রেণির মাকিয়া আক্তার লামিয়া, ৮ম শ্রেণির ফারিয়া সুলতানা, ৭ম শ্রেণির তানজিনা আক্তার, ৮ম শ্রেণির নোহা ইসলাম, ৮ম শ্রেণির কলি, ৮ম শ্রেণির আরিফা, ৭ম শ্রেণির রুহান, ৭ম শ্রেণির ফাতেমা আক্তার মীমসহ অনেকে আহত হন।
আহত শিক্ষার্থী সোহামণি ইতি ও ফাতেমা আক্তার মীম জানায়, আগুন লেগেছে শুনে দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার সায়েমুল হুদা শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তাদের মধ্যে নয়জনকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কার্ডিওলজি ও সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
এদিকে দুপুরে সিভিল সার্জন মো. নোমান মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাহমিনা আক্তার, সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য এবং সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদসহ অনেকেই হাসপাতালে ছুটে আসেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিকেল সায়েমুল হুদা বলেন, শিক্ষার্থীদের কেউই আগুনে দগ্ধ হয়নি। তবে তাদের প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে। মাসনিকভাবে তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম বলেন, সামনে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান মেলার একটি প্রজেক্টে কাজ করছিল সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সেখানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে যায়। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা হুড়োহুড়ি করে সিড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীরা আহত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ঘটনায় কারো অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে একাধিক কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের একটি টহল গাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এতে একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল আনুমানিক ৯টা ১৫ মিনিটে দাউদকান্দি থানাধীন পুঠিয়া এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেইনে চলন্ত কাভার্ডভ্যানকে একই দিকে আসা আরেক কাভার্ডভ্যানকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে উভয় গাড়ি রাস্তার পাশে নিচে পড়ে যায়।
ঘটনার পর ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিম, যার নেতৃত্বে ছিলেন সার্জেন্ট নাদিম, সকাল সাড়ে ১০টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন। ঠিক সেই সময় ঢাকাগামী একটি দ্রুতগামী কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলিশের দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপ ভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে দুইটি যানবাহনই রাস্তার নিচে পড়ে যায় এবং পুলিশের গাড়িটি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ দুর্ঘটনায় পুলিশের গাড়িতে থাকা কনস্টেবল সাগর ইসলাম গুরুতর আহত হন। তার ডান পা ভেঙে গেলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কাভার্ডভ্যানের চালককে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে রেকার দিয়ে উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে এবং বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জোনাইদ চৌধুরী জানান, দুর্ঘটনা কবলিত দু’টি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করতে গেলে অন্য একটি কাভার্ড ভ্যান পুলিশের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। গাড়িগুলিকে উদ্ধারসহ এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১০ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলমান অভিযানে গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ নাইমুল ইসলাম, মো. জাবেদুর রহমান, আবির হামিদ মাহি, মো. রাকিব, মো. সাজিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মো. সাব্বির হোসেন, অভিজিৎ রায় সরকার, মোঃ অপু, মো. আবুল খায়ের।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের তালিকা:
একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলভার, তিনটি শর্টগান, ৯টি শটগানের বুলেট, ৪টি পিস্তল ও রিভলবারের বুলেট, এবং বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনকে ‘বি’ গ্রেডে পুনঃবহালসহ ১১ দফা দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছে আশুগঞ্জের সর্বস্তরের লোকজন।
২৬ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ রেল স্টেশন চত্বরে “ঐক্যবদ্ধ আশুগঞ্জ”-এর উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আশুগঞ্জ শহর শিল্প ও বনিক সমিতির সভাপতি হাজী মোঃ গোলাম হোসেন ইপ্টির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মোঃ শাহজাহান সিরাজ, উপজেলা জামায়াত ইসলামির আমির শাহজাহান ভূইয়া, আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল খান, চর চারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফাইজুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর খন্দকার, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির সিবিএ সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক সহ আশুগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, আশুগঞ্জ রেলওয়েস্টেশনটি বি-গ্রেড থেকে ডি গ্রেটে নামিয়ে নিয়ে আসায়, সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না যাত্রীরা। পাশাপাশি স্টেশনে যাত্রীদের কোনও নিরাপত্তা না থাকাই যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তাই ১১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে স্টেশনটিতে বি-গ্রেডের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। যদি অচিরেই দাবি না মানা হয় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি মানাতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
খুশির বন্যা বইছে এক প্রবাসীর ঘরে। পর পর চারটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী সুমী আক্তার। এদের মধ্যে দুইটি ছেলে আর দুটি কন্যাশিশু। একসাথে নতুন চার অতিথি পেয়ে খুশিতে যেমন আত্মহারা গোটা পরিবার, অন্যদিকে চিকিৎসা ব্যয় নিয়েও শেষ নেই ভাবনার। আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে সরেজমিনে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে। মঙ্গলবার রাতে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পর পর চারটি সন্তানের জন্ম দেন টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার কাঞ্চনপুর গ্রামের সুমী আক্তার। বর্তমানে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রেই রয়েছে চার নবজাতক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. রীনা নাসরিনের তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ওই চার নবজাতকের জন্ম হয়। চারটি নবজাতকই সুস্থ আছে। তবে তাদের মধ্যে দুজনের ওজন অপেক্ষাকৃত কম। প্রত্যেকেই রাখা হয়েছে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে।
এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের নার্স ইনচার্জ সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘চার নবজাতকের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা চলছে।
৩১ সপ্তাহে ভূমিষ্ঠ হওয়ায় শিশুদের ওজন থাকে ১১০০ গ্রাম থেকে ১২০০ গ্রামের মধ্যে। এদের মধ্যে দুজনের বেশি অক্সিজেন লাগছে। এখানকার সবাই বেশ যত্নবান।’
নবজাতকদের মা সুমী আক্তার সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করে বলেন, ‘হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রের খরচ বহনের মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। ওষুধ আর বিল পরিশোধের দুশ্চিন্তা সব আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। ওদের বাবা সাত মাস দেশ থেকে কিছুদিন আগেই রুমানিয়া গেছেন।’
রুমানিয়া থেকে নবজাতকদের বাবা আব্বাস খান বলেন, ‘একসঙ্গে চার নবজাতকের জন্ম নেওয়ার খবরে আমি এত খুশি হয়েছি যে মনে হচ্ছে এক্ষুনি বাংলাদেশে ছুটে যাই। কিন্তু ইচ্ছে হলেও আমার সেই উপায় নেই। সংসারের অভাব ঘোচাতে আমি রুমানিয়া এসেছি। অভিবাসন ব্যয় উঠাতে এখানে আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তার ওপর আইসিইউতে চারটি নবজাতকের চিকিৎসা বিল কোথা থেকে পরিশোধ করব সেই টেনশনে আছি।’
নবজাতকদের চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে থাকা এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইসমাঈল হোসেন বলেন, অপরিপক্বতাজনিত বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলো অতিক্রম করতে পারলে সুস্থ অবস্থায় আমরা তাদের মায়ের কাছে স্থানান্তর করব। একটি সুস্থ-সবল নবজাতকের বয়স হতে হবে ৩৭ সপ্তাহ। আর ওজন হতে হবে ২৫০০ গ্রাম। ওরা হয়েছে ৩১ সপ্তাহে। তাই নতুন করে ওজন কম ও অপরিপক্বজনিত কোনো সমস্যা না হলেও আমরা আশা করছি ওদের দ্রুত ছাড়পত্র দিতে পারব।