চলারপথে রিপোর্ট :
কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে সোনালী কাবিন পদক-২০২৫ ঘোষণা ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্য রাখেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাতের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদেকুর রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবি লিটন হোসাইন জিহাদ প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম আধুনিক কবি আল মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৫,১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি স্মরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সমাপনী দিনে প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক, গবেষক ও বাংলা একাডেমির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হককে ‘সোনালী কাবিন পদক’ প্রদান করা হবে।
এছাড়াও তিন দিনব্যাপী স্মরণ উৎসবে ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে কবির কবরে সুরা ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল। বিকাল ৩টায় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও কবিতাপাঠ। উৎসবে বইমেলা, কারুপণ্য প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্বরচিত কবিতা পাঠ ও বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিকদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান করেছে জনগণ। এখানে কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিলো না। কোনো তথাকথিত বিশেষ কোনো গ্রুপের নেতৃত্ব ছিল না। এটা দোষের কিছু নয়, পৃথিবীতে গণঅভ্যুত্থান এভাবেই ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ভাববৈঠকী আয়েজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ভাবগানের আসরে আজ ১ আগস্ট শুক্রবার রাতে তিনি একথা বলেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, গণঅভ্যুত্থানে মানুষের অকাতরে জীবন দেয়ার কারণ হলো আমাদেরকে নতুন করে রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। রাষ্ট্রকে ভাঙতে হবে, নতুন করে গড়তে হবে; যাতে আমরা দ্রুত আমাদের অর্থনৈতিক বিকাশ এবং আমাদের চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারি। তরুণরা তাদের রাজনৈতিক দল গঠন করেছে, তারা লড়াই করছে। অনেক ক্ষেত্রে তারা সফল হতে পারছে, অনেক ক্ষেত্রে তারা কৌশলগত ভুল করছে। আবার তারা শিখছে। ফলে তাদের পেছনে আমাদের থাকতে হবে। তাদেরকে সমর্থন দিতে হবে।
ফরহাদ মজহার আরো বলেন, নির্বাচন আমাদের সবকিছু সমাধান করতে পারবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে বীর তরুণদের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ যে- নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু আপনারা নির্বাচনবাদী হবেন না- যে নির্বাচন করলে দেশের সমস্যা সমাধান হয়। না এটা হবে না, আমাদের কাজ অনেক বড়। বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলোকে আবার নতুন করে গঠন করা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ১১টায় শহরের অন্নদা স্কুলের বর্ডিং মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি থেকে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি এস.এম শান্তনু চৌধুরী, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হোসেন প্রমুখ।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দৌড়, উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ, গোলক নিক্ষেপসহ ১০৮টি ইভেন্টে অংশ নেয়। পরে অতিথিরা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে চাঁদের হাসি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিককে সিলগালার ও স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল এন্ড টোটাল হেলথকেয়ার হাসপাতাল নামে একটি হাসপাতালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ শহরের কুমারশীলমোড় ও লোকনাথ উদ্যান (ট্যাংকেরপাড়) এলাকায় পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
দেশব্যাপী চলমান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনিবন্ধিত ও মানহীন হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স না থাকায় কুমারশীল মোড়ের চাঁদের হাসি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া শহরের লোকনাথ উদ্যানের (টেংকের পাড়) পাশে অবস্থিত স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল এন্ড টোটাল হেলথকেয়ার হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোর্ত্তীন ওষুধ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। এছাড়া হাসপাতালটিতে প্যাথলজি পরীক্ষায় অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের প্রমান পাওয়া যায়। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০, ৫২ ও ৫৩ ধারায় উক্ত হাসপাতালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুর রহমান হিমেল, ডা. তাসনুভা তাবাসসুম নোভা, ডাঃ ফাইরোজ মায়িশ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ ছফিউর রহমান ও সদর মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। আজ ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে এ বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ। প্রত্যেক কার্ডধারী ২ কেজি করে মশুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫ কেজি চাল পাচ্ছেন। মশুর ডাল ৬০ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটার ও চাল ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
টিসিবির পণ্য হাতে পেয়ে ক্রেতারা জানান, বর্তমান বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অনেক বেশি। এই ঊর্ধ্বগতি বাজারে স্বল্প মূল্যে তেল, ডাল ও চাল পেয়ে অনেক খুশি। টিসিবিতে আরো কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিলে আমাদের উপকার হতো। সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, সদর উপজেলার স্বল্প আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পৌরসভায় ৪ হাজার ৯৫২ জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে জুলাই মাসের টিসিবির এ পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
পৌরসভার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে চারটি স্থানে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের টিসিবির পণ্য অনেকটায় সহযোগিতা হবে। মঙ্গলবার ২ কেজি তেল, ২ কেজি ডাল, ৫ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। চিনির বরাদ্দ না থাকায় চিনি দেওয়া হচ্ছে না। পরে পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
টিসিবির পণ্য নিয়ে কেউ যেন কোনো রকম দুর্নীতি করতে না পারে সেজন্য আমাদের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। এ সময় সদর উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০১৬ সালে এবং ২০২১ সালে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ৬৩টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি করেছেন “মাজলুম ওলামায়ে কেরাম” নামে একটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আজ ১১ আগস্ট রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম, নবীনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল কাইয়ুম ফারুকীর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া উম্মুল কোরআন মাদরাসার মোহতামিম মুফতি উবায়দুল মাদানী। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পতন হওয়া স্বৈরাচারি সরকার গত ১৬ বছর এদেশে অসংখ্য গণহত্যা চালিয়েছেন।
২০১৬ সালে এবং ২০২১ সালে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ৬৩টি মামলায় জেলার ৬৪জন আলেম দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। এ সময় আইন-শৃংখলাবাহিনীর গুলিতে ১৬জন আলেম ও মাদরাসার ছাত্র শাহাদাৎ বরণ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৬৩টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৫৬টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি ও আখাউড়া থানায় একটি মামলা রয়েছে। নেতৃবৃন্দ এসব মামলা সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় ২০২১ সালে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি এবং ২০২১ সালে চাকরিচ্যুত আলেম-ওলামাদেরকে স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গণহত্যার সাথে জড়িতরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা যাকারিয়া, মাওলানা নিয়ামুল করিম, মাওলানা মোজাম্মেল হক, মাওলানা আমানুল হক, মাওলানা খন্দকার ইসলাম প্রমুখ।