অনলাইন ডেস্ক :
রিদম অফ লাইফ শিরোনামে প্রতি বছরের মতো এবারো জার্মানির বাণিজ্যিক রাজধানী ফ্রাঙ্কফুর্টে শুরু হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভোক্তা পণ্য বাণিজ্য মেলা ‘অ্যাম্বিয়েন্তে ২০২৫’। ফ্রাঙ্কফুর্টের আন্তর্জাতিক মেসেতে ৭ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত এ মেলা শুরু হয়।
মেলার আয়োজক জার্মানি ছাড়াও বিশ্বের প্রায় কয়েক লাখ দর্শনার্থী এবং চার হাজারের বেশি উদ্যােক্তা, প্রস্তুতকারক, চিন্তক, ডিজাইনার ও প্রদর্শক মেলায় অংশ নিচ্ছে। বরাবরের মতো বাংলাদেশও আছে। দেশের ৪২টি প্রতিষ্ঠান বিশ্বখ্যাত এইমেলায় তাদের তৈরি নানা পণ্য প্রদর্শন করছে। যার মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠান দেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) অধীনে। আর বাকিগুলো ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে।
বাংলাদেশের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে বার্লিনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য আফেয়ার্স রাহাত বিন জামান বলেন, অ্যাম্বিয়েন্তের মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাগুলোতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দেশের রপ্তানি পণ্যে তো বটেই, সামগ্রিক অর্থনীতি ও দেশের ভাবমূর্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাস সবসময়ের মতো বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে থেকে আন্তর্জাতিক যেকোনো মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সার্বিক সহায়তা করে যাবে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর চৌধুরী মোহাম্মদ গোলাম রাব্বী বলেন, অ্যাম্বিয়েন্তে মেলা বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা পণ্য বাণিজ্য মেলা, যেখানে বাংলাদেশের দৃঢ় উপস্থিতি আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করছে। এবারের মেলায় হস্তশিল্প, সিরামিকস ও কুকওয়্যারসহ বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, পণ্য বহুমুখীকরণই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সম্প্রসারণের মূল কৌশল এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও EPB-এর সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ যাতে আরো বহুমুখী পণ্য নিয়ে এ মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে, আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
এবারের মেলায় দেশের পণ্যের উচ্চমান ও পরিবেশবান্ধব হস্তশিল্পের পাশাপাশি বাংলাদেশি সিরামিকস, যা নান্দনিকতা ও টেকসই মানের জন্য পরিচিত, বৈশ্বিক খুচরা ক্রেতা, বিক্রেতা ও পরিবেশকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আমরা ক’জন সিডনি অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে গতকাল ২৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ইস্ট ক্যাম্বলটাউন কমিউনিটি হলে ‘আমাদের বৈশাখ’ শিরোনামে পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেওয়া হয়। সুমনা বড়ুয়া, কুহেলী বড়ুয়া ও দেবযানীর সঞ্চালনায় দুপুর দুইটায় বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীত, দলীয় সংগীত, বাচ্চাদের দলীয় নৃত্য এবং গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। দেশীয় সংস্কৃতির রঙে রঙিন হয়ে ওঠে পুরো বর্ষ বরণের আয়োজনটি। বিকাল ৪ টায় বৈশাখের খাবারে ছিল নানান রকমের ফল, মিস্টি, ফিরনি, নারিকেলের নাড়ু, স্ন্যাকস, পিঠা পুলি ও চা।
বাচ্চাদের ছবি আঁকা, একক গান, কবিতা আবৃত্তি এবং নাচের পর পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় স্থানীয় শিল্পীরা নাচ ও গানে অংশ নেয়।
আমন্ত্রিত অতিথিরা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, কাউন্সিলর ইব্রাহিম খলিল মাসুদ, শঙ্খনাদের সভাপতি গণেশ ভৌমিক, বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া বুডিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ বড়ুয়া, সন্তোষ বড়ুয়া, নারী সংগঠক জুই সেন পাল। আয়োজক কমিটি অতিথিদের নিয়ে বাংলা বর্ষবরণের কেক কাটেন।
আয়োজক কমিটির পক্ষে পবিত্র ও হৈমন্তী বড়ুয়া বাংলা বর্ষবরণের আয়োজনে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি তারা সংগঠনের সকল সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান শেষে রাতের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। তদন্তে নাম এসেছে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে, যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকেরও। এ ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক শক্তি প্রকল্প থেকে নিজের পরিবারকে প্রায় চার বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করতে সহায়তা করার অভিযোগে মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় ও নৈতিকতা দল মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
টিউলিপ ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেয়া। তবে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তার খালা ও বাংলাদেশের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার সাথে একটি দুর্নীতির চুক্তিতে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে।
অবশ্য টিউলিপ সিদ্দিককে গত বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও খবরটি সামনে এসেছে ২২ ডিসেম্বর রবিবার। অভিযোগ অনুযায়ী, রূপপুরের এই প্রকল্প থেকে চার বিলিয়ন পাউন্ড সরিয়ে নেয় শেখ হাসিনার পরিবার ও তার মন্ত্রীরা।
টেলিগ্রাফ বলছে, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসার পর টিউলিপ সিদ্দিক দেশটির মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় এবং নৈতিকতা দলের (পিইটি) প্রতিনিধির সাথে বৈঠকে যোগ দিতে সম্মত হন। গত বৃহস্পতিবার পিইটি’র ওই কর্মকর্তা টিউলিপ সিদ্দিকের অফিসে যান। পরে ওই কর্মকর্তার কাছে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির সঙ্গে তার জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেন টিউলিপ।
উল্লেখ্য, শেখ রেহানা-কন্যা টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে বিতর্ক চলছেই। বাংলাদেশে একটি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে নেতিবাচকভাবে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে তিনি সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন গত ১৯ ডিসেম্বর। তবে এবারই প্রথম না, চারবারের নির্বাচিত এমপি ও বর্তমান সরকারের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ ব্রিটিশ গণমাধ্যমে এর আগে আরো বেশ কয়েকবার হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিয়ের কয়েকদিন পরেই মামলা ঠুকে দেন ব্যবসায়ী স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। পরে আপস-মীমাংসায় পেয়ে যান ৭৫ লাখ রুপি। এরপর বিয়ে করেন এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে। সেখানে ছাড়াছাড়ি করে হাতিয়ে নেন ১০ লাখ টাকা। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কিছুদিন পর আরেক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে ৩৬ লাখ রুপি মূল্যের নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান। সম্প্রতি সীমা ওরফে নিক্কি নামে ওই নারীকে গ্রেফতার করেছে ভারতের জয়পুর পুলিশ। তাকে বলা হচ্ছে ‘লুটকারী কনে’।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হচ্ছে, সম্প্রতি জয়পুরের এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলায় ওই নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে আসে তার অভিনব প্রতারণা বিষয়টি।
পুলিশের তদন্ত বলছে, সীমা নামের ওই নারী বৈবাহিক ওয়েবসাইটগুলোতে স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয়েছে কিংবা স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছে এমন ধনী পুরুষদের নিশানা করতেন। এরপর বিয়ে করে কিছুদিন পরই তিনি মামলা করে দিতেন।
আর শেষে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে মীমাংসা করে নিতেন। এভাবে তিনি সোয়া কোটি রুপির বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে জানতে পেরেছে জয়পুর পুলিশ।
জানা গেছে, উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা সীমার এই প্রতারণার প্রথম শিকার হন আগ্রার এক ব্যবসায়ী। ২০১৩ সালে বিয়ের পর তার থেকে আত্মসাৎ করেন ৭৫ লাখ রুপি। ২০১৭ সালে গুরুগ্রামের এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করে হাতিয়ে নেন ১০ লাখ টাকা।
সর্বশেষ ২০২৩ সালে জয়পুরের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। সেখান থেকে তিনি ৩৬ লাখ রুপি মূল্যের স্বর্ণ ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যান। এরপরে সেই ব্যবসায়ী মামলা করলে পুলিশ সীমাকে গ্রেপ্তার করে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তর গাজায় হামাসের হামলায় ছয় ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন এবং বাকি পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বিকালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহত সেনার নাম ওয়ারেন্ট অফিসার গা’হালেব স্লিমান আলনাসাসরা। ৩৫ বছর বয়সী আলনাসাসরা গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেডের একজন ট্র্যাকার ছিলেন।
গত ১৮ মার্চ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামাসের বিরুদ্ধে পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে তিনি গাজায় নিহত প্রথম ইসরায়েলি সেনা।
শনিবার উত্তর গাজার বেইত হানুনের কাছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ২৫২তম ডিভিশনের অভিযানের সময় হামাসের হামলার ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলের বাফার জোন, যা এখন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ৩০ শতাংশেরও বেশিজুড়ে রয়েছে, যা আরো বাড়ানোর জন্য ডিভিশনটি কাজ করছে।
আইডিএফের প্রাথমিক তদন্তানুসারে, দুপুর ১২টা ৫৮ মিনিটে গাজার অভ্যন্তরে একটি সেনা শিবিরের কাছে আইডিএফের একটি লজিস্টিক রোড ধরে গাড়ি চালানো একদল সেনার ওপর হামাসের যোদ্ধারা গুলি চালায়। একটি সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসা হামাস কর্মীরা নিরস্ত্র সেনা গাড়িতে একটি আরপিজি ছোড়ে।
আরপিজি হামলায় ৪১৪তম কমব্যাট ইন্টেলিজেন্স কালেকশন ইউনিটের তিনজন নারী সেনা আহত হন। তাদের মধ্যে দুজন- একজন অফিসার এবং একজন কমব্যাট মেডিকেল গুরুতর আহত হন।
কিছুক্ষণ পরে গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেড কমান্ডার কর্নেল ওমরি মাশিয়ার নেতৃত্বে উদ্ধারকারী বাহিনী ব্রিগেডের ট্র্যাকারদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
তদন্ত অনুসারে, দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে হামাস যোদ্ধরা ইসরায়েলি উদ্ধারকারী বাহিনীর কাছে রাস্তার পাশে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণ ঘটায়, যার ফলে আলনাসাসরা নিহত হন এবং আরও দু’জন ট্র্যাকার আহত হন, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
আইডিএফ জানিয়েছে, এ ঘটনার পর হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করার লক্ষ্যে আইডিএফ ওই এলাকায় একের পর এক হামলা চালিয়েছে।
আইডিএফ আরো জানিয়েছে, তারা গত ১৮ মার্চ হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করা পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
অনলাইন ডেস্ক :
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের একজন হলেন আয়শা আল-ডিবস। নারীবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
আয়শা আল-ডিবস জানিয়েছেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ জর্জরিত দেশটি পুনর্গঠনে তাঁর প্রশাসন নারীদের অবদান রাখতে দিতে সক্ষম হবে।
২২ ডিসেম্বর রবিবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আয়শা আল-ডিবস একথাগুলো বলেন।
সাক্ষাৎকারে আয়শা আল-ডিবস জানান, সিরীয় নারীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় সম্পৃক্ত করতে এবং স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে যোগ্যতাসম্পন্ন নারীদের নিয়োগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সিরিয়ার সব প্রদেশ ও সম্প্রদায়ের নারীদের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিতে উৎসাহ দেন দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের এই মন্ত্রী। সম্মেলনে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
আসাদ সরকারের কারাগার থেকে নারী বন্দীদের মুক্তি ও তাঁদের কল্যাণের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে বলে জানান আয়শা আল-ডিবস। সেই সাথে তিনি জানান, কারাগারগুলোয় বন্দী নির্যাতনের জড়িত কারা কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, সাবেক বন্দী নারীদের পুনর্বাসনের জন্য তাঁদের মনস্তাত্ত্বিক সহায়তার প্রয়োজন। তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও আইনি সুরক্ষার প্রয়োজন, যাতে তাঁরা কারা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিতে পারেন।
বিদ্রোহী যোদ্ধাদের দামেস্ক দখলের মধ্য দিয়ে ৮ ডিসেম্বর পতন হয় স্বৈরাচার বাশার আল-আসাদ সরকারের। শুধু তা-ই নয়, বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় সিরিয়ায় পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের পারিবারিক শাসনের অবসান হয়। সূত্র : আল-জাজিরা