অনলাইন ডেস্ক :
মহেশপুর সীমান্তে আজ ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার দিনভর অভিযান চালিয়ে ১৯ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিজিবি। এছাড়া পৃথক অভিযানে ৩৫৬ বোতল ভারতীয় মদ ও ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাঘাডাঙ্গা ও পলিয়ানপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯ বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অপরাধে আটক করা হয়। আটককৃতদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০১ বোতল ভারতীয় মদ, ২৫৭ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল ও ৭৩টি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এছাড়া সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ২৩২টি ভারতীয় চশমা উদ্ধার করে বিজিবি।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলা দায়েরের পর পরিচয় জানানো হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
চার প্রজন্মের ধারাবাহিকতায় নুরুল আবছারও ছিলেন স্কুুল কর্মচারী। তার প্রপিতামহ বাদশা মিয়া, দাদা ছেরাজুল হক, বাবা মুন্সি মিয়া, এরপর নুরুল আবছার কর্মচারী হিসেবে ১২ বছর বয়সে যোগ দেন মিরসরাই উপজেলার শতবর্ষী জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে। ৪৮ বছরের পথচলায় নুরুল আবছার বিদ্যালয়ের শেষ ঘণ্টা বাজিয়ে কর্মজীবনের সম্পাপ্তি ঘটান। শিক্ষার্থীরা তাকে ‘আবছার কাকু’ বলে সম্বোধন করেন, অন্যদিকে শিক্ষকরা ডাকতেন ‘আবছার ভাই’ বলে।
প্রায় পাঁচ দশকের কর্মজীবন শেষে অবসরজনিত কারণে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেন তিনি। একজন কর্মচারীর বিদায় অনুষ্ঠান রাজকীয় হয়ে উঠল বিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট সবার মায়া, মমতা, ভালোবাসা আর আন্তরিকতায়। বিদায় সব সময়ই বেদনার। সেই বিদায় বেদনা ছাপিয়ে কখনো কখনো স্মরণীয় হয়ে ওঠে।এই স্কুুলের ইতিহাসে স্মরণীয় এক বিদায় সংবর্ধনা পেলেন নুরুল আবছার।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক নিতাই দাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম, আছিউর রহমান, রেজাউল করিম, তারেক নিজামী, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য আবু সুফিয়ান চৌধুরী, শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস, মারিয়া আক্তার, কাজী জান্নাতুল ফেরদৌস হাবিবা, মেহেদী হাসান, তাহসিনা তাবাচ্ছুম তানিশা, বিবি ফাতেমা, ওবায়দুল ইসলাম চৌধুরী।
এ সময় অনুভূতি ব্যক্ত করেন সংবর্ধিত স্কুল কর্মচারী নুরুল আবছারও। তিনি তার বক্তব্যে এমন আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সংবর্ধনার পূর্বে ঘণ্টা বাজিয়ে নিজের কর্মজীবনের সমাপ্তি ঘটান তিনি।
এরপর স্কাউট দলের সদস্যরা তাকে কাঁধে তুলে সংবর্ধনাস্থলে নিয়ে যান। এক সময় শিক্ষকদের পাশাপাশি এক সারিতে অনুষ্ঠানে বসার সুযোগ না হলেও আজ অনুষ্ঠানের মধ্যমনির আসন অলংকৃত করেন নুরুল আবছার।
সংবর্ধনায় সহকর্মী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অনেকে তার কর্মময় জীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন, সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
নানা উপহার সামগ্রী, অর্থ সহায়তা দিয়ে সম্মান জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে সবার মুখে মুখে একটি কথাই ফুটে উঠে, নুরুল আবছার একজন সৎ ও ভালো মানুষ ছিলেন। ভালো আমানতকারী ছিলেন। যুগযুগ ধরে তিনি মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন। কাজের ক্ষেত্র যতই ছোট হোক না কেন, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে মানুষের অপার ভালোবাসা লাভ করা যায় সেটাই প্রমাণ করলেন নুরুল আবছার।
সংবর্ধনা শেষে অনেকটা বরের সাজে নুরুল আবছার ঘোড়ার গাড়িতে করে বিদায় নেন প্রিয় শিক্ষাঙ্গন থেকে। স্কাউট দলের সদস্যরা বাদ্যের তালে তালে এবং বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী সারিবদ্ধভাবে তাকে জোরারগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে বাড়ি পৌঁছে দেন। এ সময় অন্য রকম এক আবহ সৃষ্টি হয়।
সকলের ভাষ্য, একজন কর্মচারীর বিদায়ও ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার আবরণে রাজকীয় হতে পারে। তা তার নিজ কর্মগুণেই তিনি অর্জন করেছেন। সমাজের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সেই নুরুল আবছাররা আজীবন বেঁচে থাকুক আমাদের সমাজে।
সংবর্ধিত স্কুুল কর্মচারী নুরুল আবছার বলেন, ‘১৬০ টাকা বেতনে এই স্কুুলে চাকরি শুরু করি। এরপর এক পর্যায়ে ৩ মাস মিলে সরকারিভাবে ৩৬০ টাকা বেতন পেতাম। আজ আমার বিদায়ের মধ্যদিয়ে আমাদের ৪ প্রজন্মের কর্মচারী হিসেবে চাকরি জীবনের সমাপ্তি হলো। আমার চাকরি জীবনে অনেক শিক্ষক, কর্মচারী এই স্কুলে চাকরি করেছেন, চাকরি ছেড়েছেন। তবে আমাকে যেভাবে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে তা আমি আগে কখনো দেখিনি। আমি বর্তমান প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলমসহ সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের স্কুলের সকলের প্রিয় নুরুল আবছার ভাই তার জীবনের বেশির ভাগ সময় এই স্কুুলের জন্য দিয়ে গেছেন। তিনি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই স্কুুলের প্রতিটি ধূলিকণা নুরুল আবছারের অবদানকে স্মরণ করবে। তার অবসরকালীন সময় ভালোভাবে কাটুক এ কামনা করি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের কর্মচারী নুরুল আবছার তার জীবনের মূল্যবান সময়টুকু এই বিদ্যালয়ে কাটিয়েছেন। তার বর্ণাঢ্য বিদায় অনুষ্ঠানের মাঝেও আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এখানে শেখার আছে যে বিষয়টি সেটা হলো ভালো কাজ করলে সততার সাথে চললে তার কখনো না কখনো স্বীকৃতি মেলে। অবশেষে নুরুল আবছারও তার ভালোভাবে কাটানো কর্মজীবনের স্বীকৃতি পেলেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম বলেন, ১২ বছর বয়স থেকে নুরুল আবছার এই স্কুলে কর্মচারী পদে যোগ দেন। আমার খুবই বিশ্বস্ত তিনি। তিনি এতটাই বিশ্বস্ত যে বিদ্যালয়ের সব লেনদেন তিনিই করতেন। অনেক সময় ৮-১০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে যেতেন আবার বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে ৮-১০ লাখ টাকা তুলে আনতেন। আমি এই বিদ্যালয়ে পাঠদান করছি প্রায় ১৮ বছর। এর মধ্যে তিনি কখনো ১ টাকাও এদিক-সেদিক করেননি। এ রকম বিশ্বস্ত কর্মচারী আমরা আর পাব কি না জানি না। তিনি বেশি শিক্ষিত না হলেও প্রতিটি ফাইলপত্র অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দেখভাল করতেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ফুচকা খাওয়ার কথা বলে মায়ের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিয়ে একটি বাঁশি কিনে দুই দিন ধরে নিজের স্কুলের সামনের সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে ৭ বছরের শিশু আরাফ মাহিন। ট্রাফিক পুলিশের অবর্তমানে সড়কে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য বাগেরহাট শহরের পুলিশ লাইন স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফের এই প্রচেষ্টা।
৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পুরাতন পুলিশ লাইন্সের সামনে গিয়ে দেখা যায়, হাতে বাঁশি নিয়ে রিকশা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকক চালকদের সুশৃঙ্খলভাবে সড়কে চলাচলের আহ্বান করছেন আরাফ। আরাফের হাতে থাকা একটি দিকনির্দেশক লাঠি দিয়ে তিনি যানবাহনগুলোকে সারিবদ্ধ ভাবে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। সড়কের চলাচলরত যানবাহনগুলো তার নির্দেশ পালন করছেন। আরাফের এমন উদ্যোগে খুশি হয়েছেন তার মা লাইলি আঞ্জুমানসহ পথচারীরা।
আরাফের মা লাইলি আঞ্জুমান বলেন, আরাফের উদ্যোগে আমি খুব খুশি হয়েছি। ফুচকা খাওয়ার জন্য ৩০ টাকা নিয়েছিল, পরে জানলাম সে বাঁশি কিনে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। ওকে যখন নিতে আসছি তখন আমাকে বলে, আম্মু আমাকে একটা ঘণ্টা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দাও, চার ঘণ্টা বই পড়বো। ওর কথার পরে আর বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করিনি। বৃহস্পতিবার থেকে ও কাজ করছে, আমি দূর থেকে ওর সঙ্গে আছি। আরাফকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি আমি।
প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফ বলে, এই জায়গায় সব সময় পুলিশ আঙ্কেলরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু কয়েকদিন পুলিশরা দায়িত্ব পালন করছেন না। তাই মাঝে মাঝেই বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। এজন্য শৃঙ্খলা ফেরাতে আমি নিজে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছি। অটো ও রিকশা চালক আঙ্কেলরাও আমার কথা শুনছেন, খুবই ভাল লাগছে। এছাড়া বড় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সড়কের ময়লা পরিস্কার করতেও দেখা যায় শিশু আরাফকে।
শিশু আরাফ বাগেরহাট শহরের সরুই এলাকার ইমরুল হাসানের ছেলে। সে শহরের পুলিশ লাইন্স স্কুলে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, ট্রাফিক মোড়, দশানী, সাধনার মোড়, শালতলা ও ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিএনসিসি সরকারি পিসি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজ ইউনিটের সদস্য, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উৎসুক জনতার ধাওয়া খেয়ে চোলাই মদ অটোরিক্সাতে রেখে পালিয়েছেন এক মাদক ব্যবসায়ী দম্পতি। এ সময় মদ উদ্ধারের পর অটোরিক্সাটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। ২২ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের একটি মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে অটোরিক্সা থেকে ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা ভূঞাপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে পুলিশ।
মাদক ব্যবসায়ী ওই দম্পতি হলেন- উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার ও তার স্ত্রী খালেদা। তারা দীর্ঘদিন ধরে মদ ও গাঁজা ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের প্রত্যেক্ষদর্শী ইউসুফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গোপনে আনোয়ার ও খালেদা মিলে দেশি চোলাই মদ ও গাঁজা বিক্রি করে আসছিলেন। এ নিয়ে একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তারা অস্বীকার করে আসতো। তারপর হাতে-নাতে ধরার জন্য তাদের ওপর বেশ কিছুদিন ধরে নজরদারি করে আসছিলাম। আজ আমাদের মসজিদের সামনে একটি অটোরিক্সা দাঁড় করানো অবস্থায় দেখি এবং তা সন্দেহ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আনোয়ার ও তার স্ত্রী খালেদা পালিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে সমবেত হন। পরে অটোরিক্সা থেকে ১০ ব্যাগ পলিথিনে ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মদ উদ্ধার করে। এর আগে বিক্ষুব্ধ জনতা অটোরিক্সাটি পুড়িয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশকে খবর দিলে সেখান থেকে মদ উদ্ধার করা হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মধ্যপাড়া দিঘীরপাড় এলাকাবাসীর উদ্যোগে আজ ৫ জানুয়ারি রবিবার মধ্যপাড়া দিঘীরপাড় জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে ১৩তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আছর হতে উক্ত ইসলামী মহাসম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর মুহাদ্দিস আল্লামা আব্দুল মালেক এর সভাপতিত্বে উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতি সিবগাতুল্লাহ নূর।
প্রধান আকর্ষণ থাকবেন ঢাকা নারায়নগঞ্জের জামিয়া দায়েমিয়া ফতুল্লা এর মুহতামিম হযরত মাও: কামাল উদ্দিন দায়েমী। বিশেষ অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আল বাতুল মাদ্রাসা কলেজপাড়া এর মুহাদ্দিস মুফতি তোফায়েল আহমদ নোমান। বিশেষ বক্তা থাকবেন মৌলভীপাড়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি জাকারিয়াসহ তাশরিফ আনবেন দেশ বরেণ্য ওলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ। সহ-সভাপতিত্ব করবেন মধ্যপাড়া দিঘীরপাড় জামে মসজিদের খতিব মুফতি তাফাজ্জুল হক।
মাহফিল পরিচালনা করবেন হাফেজ মাওঃ খালেদ সাইফুল্লাহ, হাফেজ তাহসিন আহমদ, হাফেজ খালেদ সাইফুল্লাহ। উক্ত মাহফিলের উপস্থিত থেকে দ্বিন ও আখেরাতের অশেষ নেকী হাসিলের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মধ্যপাড়া আলোকিত দিঘীরপাড় সামাজিক সংগঠন।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজশাহীর বাঘার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী চপল আলীকে ১১ জানুয়ারি শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বাঘা থানার আলাইপুর নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে১৬১ বোতল ফেন্সিডিল ও ৫০ গ্রাম হেরোইনসহ নিজ বসতবাড়ী হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
১১ জানুয়ারি দুপুরে র্যাব-৫ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে, রাজশাহী জেলার বাঘা থানাধীন আলাইপুর নামক এলাকায় এক মাদক ব্যবসায়ী নিজ বসতবাড়ীতে অবৈধ মাদকদ্রব্য মজুদ রেখে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
পরবর্তীতে র্যাবের আভিযানিক দল আসামীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে এবং গভীর রাতে একটি চৌকস আভিযানিক দল মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। পরে তার বসতবাড়ি তল্লাশী করে নিজ শয়ন কক্ষের এটাস বাথরুম এর লো কমোডের ভিতর থেকে অভিনব কায়দায় লুকায়িত ১৬১ বোতল ফেন্সিডিল ও ৫০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে।
চপল আলী এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। যার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও হত্যাচেষ্টাসহ সর্বমোট ৮ টি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল, হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক অজ্ঞাত স্থান হতে সংগ্রহ করে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের নিকট বিক্রয় করে আসছিল।
তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে বাঘা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব জানায়।