অনলাইন ডেস্ক :
রিসোর্টে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। আর এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল দুই শতাধিক মানুষ। এমন সময় অনুষ্ঠানে নাচতে নাচতে এক তরুণীর মৃত্যুর ভিডিও ফুটেজও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে ঘটেছে । এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলার একটি রিসোর্টে বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণী মারা গেছেন। মৃত ওই তরুণীকে পরিনিতা জৈন হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তিনি ইন্দোরের বাসিন্দা। চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিদিশা এসেছিলেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মৃত্যুর আগে পরিনিতা ‘হালদি’ অনুষ্ঠানের সময় মঞ্চে নাচছিলেন যেখানে ২০০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন। একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, বলিউডের জনপ্রিয় ‘লেহরা কে বলখা কে’ গানের তালে নাচার সময় শনিবার রাতে মঞ্চে হঠাৎ ঢলে পড়েন পরিনিতা।
ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশিত হয়। পরিবারের সদস্যদের যারা ডাক্তার এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তারা তাকে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দেয়ার চেষ্টা করলেও তিনি আর সাড়া দেননি। পরে তাকে দ্রুত বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এমবিএ গ্র্যাজুয়েট পরিনিতা ইন্দোরের দক্ষিণ তুকোগঞ্জে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন। সরকারি তথ্য অনুসারে, তার এক ছোট ভাইও ১২ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছিল।
অবশ্য মধ্যপ্রদেশে গানের সুরে নাচতে নাচতে মানুষের মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গত বছরের অক্টোবরে আগর-মালওয়া জেলায় ক্রিকেট খেলতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৫ বছর বয়সী এক ছেলে মারা গিয়েছিল।
একইভাবে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি যোগ অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চে নাচতে গিয়ে ৭৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মুক্তি না দিলে সীমান্তে সনাতনীরা ধ্বজ নিয়ে অবরোধ করবে বলে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী হুমকি দিয়েছেন। এমনকি কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে বিক্ষোভ করা হবে বলেও তিনি জানান। ২৫ নভেম্বর রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
পরে ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করছে। এমনকী বাংলাদেশে হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে ইউনূস সরকার গ্রেফতার করেছে।
শুভেন্দু বলেন, সোমবার রাতের মধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে মঙ্গলবার থেকে সীমান্তে সনাতনীরা অবরোধ করবে। ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে কোনও পরিষেবা বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না।
শুভেন্দুর কথায়, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে ‘দমন-পীড়ন’ শুরু হয়েছে, তাতে আমরা চিন্তিত, ব্যথিত। এই জিনিস আর বরদাস্ত করা হবে না।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। আগামীকাল ১৯ জানুয়ারি থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে।
১৭ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ভোটাভুটির পর চুক্তি অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সমস্ত রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও মানবিক দিক পর্যবেক্ষণের পর এবং প্রস্তাবিত চুক্তি যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনকে সমর্থন করে’ এটা বোঝার পর চুক্তিটি গ্রহণ করেছে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রিসভা সরকারকে প্রস্তাবিত রূপরেখা অনুমোদন করার সুপারিশও করেছে। চুক্তিটি এখন আলোচনা ও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভায় যাবে। খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ হওয়ার পর মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় টানা ১৫ মাসের সংঘাতের পর ১৫ জানুয়ারি বুধবার গাজায় দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে একমত হয় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। কাতারি ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামীকাল ১৯ জানুয়ারি রবিবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরও ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতের মধ্যে ৩১ নারী ও ২৭ শিশু রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৮টার দিকে চাঁদের বুকে ‘ঘুমিয়ে গেছে’। দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) এ তথ্য জানিয়েছে।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের দিকে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান স্লিপিং মুড থেকে জেগে উঠতে পারে বলে আশা করছে ইসরো। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে। এর মধ্য দিয়ে চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করার গৌরব অর্জন করে ভারত।
এর আগে ইসরো জানিয়েছিল, কাজ শেষেও ‘বাড়ি’ ফেরা হবে না চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও রোভার ‘প্রজ্ঞানের’। তারা চাঁদের মাটিতে ১৪ দিনের কাজ হাতে নিয়ে নেমেছে। চাঁদে ১৪ দিন পর সূর্যাস্ত হলে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়বে তারা। নিস্তেজ হয়ে পড়বে ভেতরে থাকা সমস্ত যন্ত্রপাতিও।
বিক্রম ও প্রজ্ঞানের যে সমস্ত যন্ত্রপাতি রয়েছে, যেগুলোর সাহায্যে চাঁদে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে ও সংগ্রহ করেছে তথ্য, সেই সব যন্ত্র চলেছে সৌরশক্তিতে। ফলে চাঁদে যতক্ষণ সূর্য থাকবে ততক্ষণই প্রাণ থাকবে তাদের।
১৪ দিন পর চাঁদে সূর্যাস্ত (চাঁদে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত হতে সময় লাগে পৃথিবীর হিসাবে ১৪ দিন) হলে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েছে তারা। তবে চাঁদের মাটিতে বিক্রম আর প্রজ্ঞানের নতুন করে প্রাণপ্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা একেবারে নেই বলে উড়িয়েও দেয়নি ইসরো।
বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারির মতে, ইসরো বিষয়টিকে একেবারে নাকচ করে দেয়নি ঠিকই। তবে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের বেঁচে থাকা নির্ভর করছে অনেক ‘যদি’ এবং ‘তবে’র ওপর। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ১৪ দিনের ‘সকাল’ কাটানোর পর নামবে ১৪ দিনের অতিশীতল রাতও। এই ১৪ দিন সূর্যরশ্মির একটি কণাও প্রবেশ করবে না চাঁদের ‘দক্ষিণমেরু’তে। তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে মাইনাস ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত। তাতে চন্দ্রযান-৩-এর যন্ত্রপাতির বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
চলারপথে রিপোর্ট :
হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) মিষ্টি উপহার দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া-আগরতলা চেকপোস্টের (নোম্যান্সল্যান্ড) শূন্য রেখায় সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চেকপোস্ট ক্যাম্প কমান্ডারদ্বয়।
এ সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা আইসিপি বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার মো. জাবেদ সশীলের হাতে মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন আখাউড়া চেকপোস্ট ৬০ ব্যাটালিয়নের বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহ আলম। এ ছাড়া দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডাররা কুশল বিনিময় করেন। এ সময় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহ আলম বলেন, সৌহাদ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে প্রতিবছর শারদীয় দুর্গোৎসবে একে অপরকে মিষ্টি বিতরণ করে আসছে বিজিবি ও বিএসএফ। এতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরো সুদৃঢ় হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস আজ। হাত ধোয়াকে জীবনযাপনের অংশ করে নেওয়া অর্থাৎ অভ্যস্ত করানোর লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো হাত ধোয়ার সুফল সম্পর্কে মানুষকে জানানো। এবার হাত ধোয়া দিবসের প্রতিপাদ্য ‘হাতের পরিচ্ছন্নতায় এসে সবে এক হই’।
২০০৮ সাল থেকে দিবসটির সূচনা। ওই বছর ১৫ অক্টোবর সুইডেনের স্টোকহোমে বিশ্ব পানি সপ্তাহে জিএইচপি বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম এ দিবসটি পালন করা হয়। পরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দিবসটি প্রতি বছর পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের কথা রয়েছে।