চলারপথে রিপোর্ট :
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে চলমান লোক ও কারুশিল্প মেলা সংক্ষিপ্ত করার দাবি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাধারণ ব্যবসায়ীরা। আসন্ন রমজানে বাণিজ্যিক ক্ষতির কারণ দেখিয়ে মেলা সংক্ষিপ্ত করার জন্য আজ ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলমের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের চলমান অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মূলত রমজান মাসকে কেন্দ্র করে গ্রামাঞ্চলের মানুষজন শহরে এসে বিভিন্ন পণ্য কেনাকাটা করেন। এ জন্য ব্যবসায়ীরা বাড়তি অর্থ লগ্নি করেন ব্যবসায়। এ অবস্থায় রমজানকে সামনে রেখে মেলা চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা আবারও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই জেলা শহরের বিভিন্ন বিপণী বিতানের ব্যবসায়ীরা চলমান লোক ও কারুশিল্প মেলা দীর্ঘায়িত না করে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে শেষ করার দাবি জানান।
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ব্যবসায়ীদের মেলা দীর্ঘায়িত না করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা শহরের নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কালাম, সড়ক বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ পাল, এফ. এ. টাওয়ার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসীত কুমার রায়, আশিক প্লাজা ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আশিক প্লাজা ব্যবসায়ী কমিটির প্রচার সম্পাদক জুম্মান খান ও সমবায় মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি সৈয়দ সালাউদ্দিন রকিব প্রমুখ ।
উল্লেখ্য, তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামের আউটারে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা। আগামী ২৮ ফেরুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলার কথা রয়েছে। এতে বিভিন্ন পণ্যের প্রায় ৭০টি স্টল দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ২৭ নভেম্বর ৪১তম ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র উবায়দুর রউফ পলু’র শাহাদাৎ বার্ষিকী দিবস।
যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনে কর্মসূচি গ্রহণের লক্ষ্যে ১১ নভেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের পূর্ব পাইকপাড়াস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠণের সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে কার্য নির্বাহী পরিষদের পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে কর্মসূচির বিভিন্ন দিক আলোচনা করেন প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, বর্তমান সহ-সভাপতি মোঃ আবুল হাসনাত অপু, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী, পরিবেশ ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক কাজী হাফিজুল ইসলাম নাছু, প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার ভূইয়া তুষার, কার্যকরী সদস্য মোঃ আবুল কালাম, সদর উপজেলা উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়া কারদার নিয়ন, মোহাম্মদ আমির হোসেন ফারুক।
পরামর্শ সভায় সর্বসম্মতিতে মোহাম্মদ আমীর হোসেন ফারুককে আহবায়ক, মোঃ জিয়া কারদার নিয়নকে সদস্য সচিব, মোঃ আবুল কালাম, মোঃ বাবুল চৌধুরী, কাজী হাফিজুল ইসলাম নাছু, আলী হায়দার ভূঁইয়া তুষার এবং মোঃ হারুন আল রশিদকে সদস্য মনোনীত করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট ৪১তম ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলন ও উবায়দুর রউফ পলু’র শাহাদাৎ বার্ষিকী দিবস উদযাপন উপকমিটি গঠিত হয়।
আগামী ১৮ নভেম্বর শনিবার বাদ মাগরীব অস্থায়ী কার্যালয়ে উপকমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সকল নেতা কর্মীদের অংশগ্রহণের আহবান জানানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১০৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-প্রকল্পের আওতায় ঘর। আজ ১৯ মার্চ রবিবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ এই তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, মুজিব বর্ষে দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২-প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেনীর ভূমিহীন (যাদের জমি নেই, ঘরও নেই) তাদের পুর্নবাসনের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে সদর উপজেলায় ১০৫টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মান করা হয়েছে।
এরই মধ্যে এই ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২ শতাংশ খাস জমিতে ২ কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধাপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শত টাকা। সব গুলো ঘর একই নকশায় তৈরী করা হয়েছে। সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বড় সুলতানপুর ও সুলতানপুরে ১০টি, শিলাউরে ৬টি, মজলিশপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর ও আমীরপাড়ায় ২৪টি, মৈন্দ গ্রামে ১টি, মাছিহাতা ইউনিয়নের পশ্চিম কাঞ্চনপুর ও কাঞ্চনপুরে ৪২টি ও বুধল ইউনিয়নের খাঁটিখাতা গ্রামে ২২টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এসব ঘরের উপকারভোগীদের তালিকা নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২২ মার্চ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসব আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পর ১০৫ টি পরিবারকে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সদর উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ৩২টি, ২য় পর্যায়ে ১৪৫টি এবং ৩য় পর্যায়ে ৬৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার সব ভূমিহীন ও গৃহহীনদের এই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেনসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৪ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সন্মুখে শব্দ সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মোঃ খালেদ হাসান, উপ-পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর সভাপতিত্বে শব্দ সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, মোঃ রুহুল আমীন, উপ-পরিচালক (উপ-সচিব), স্থানীয় সরকার বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক জেলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল।
সভায় শব্দ দূষণের ক্ষতিকর দিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করা হয়। এছাড়াও বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, জেলার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন দপ্তরের আমন্ত্রিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দগণ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আমন্ত্রিত বক্তাগণ শব্দ দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও দূষণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার বিষয়ে আলোচনা ও সুপারিশ করেন। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর সহযোগিতায় শব্দদূষণের বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে অনুমোদিত মাত্রার অধিক শব্দ উৎপন্ন ও হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করায় ২ টি পরিবহনকে ২ টি মামলায় মোট ৪,০০০ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয় এবং গাড়িগুলো থেকে হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়। একই সাথে প্রায় ৪০টি বাস, ট্রাক ,অটোতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত স্টিকার সেটে দেয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী জানান, এরূপ কার্যক্রম পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩- (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫৫-৬০ জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলার সময় হাফেজ মোঃ মাসুদ আহমেদ নিহতের ঘটনায় তার খালাতো ভাই নবীনগর উপজেলার বগডহর গ্রামের বাসিন্দা ও নবীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ২৪ আগস্ট শনিবার রাতে এই মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত হাফেজ মোঃ মাসুদ আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদারাসার ছাত্র ছিলেন। তিনি নবীনগর উপজেলার সেমন্তঘর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মহসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তানজিল বারী, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক ভূইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান লেলিন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি আবু মুছা আনছারি, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মালেক চৌধুরী, শহর যুবলীগের সভাপতি আল-আমীন সওদাগর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য খোকন আচার্য, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সামি আহমেদ নাবিল, সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপ-সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার হাসান, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, শহর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল জব্বার মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জুম্মান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ আলী আজম, ঠিকাদার হামদু মিয়া, শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরে মাওলা ফারানিসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৫৫-৬০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলায় বাদি মাওলানা মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলেন, ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উল্লেখিত আসামীরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলা করে। এসময় হামলাকারীদের ছোড়া গুলি মাসুদের পেটে বিদ্ধ হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাসুদের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় থাকায় এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ফলাফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৯৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৯৩৮ জন পরীক্ষার্থী এস.এস.এসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯২জন শিক্ষার্থী। ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে।
সদর উপজেলার ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৪৪টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১০টি দাখিল মাদরাসা ও ১টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার ৪৪টি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৬২৬ জন শিক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৪৫৬০জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭৪জন পরীক্ষার্থী।
উপজেলার ১০টি দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৫৪২ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২৩০ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১জন।
সদর উপজেলার একমাত্র টেকনিক্যাল স্কুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে থেকে ২২৬ জন পরীক্ষার্থী এস.এস.সি টেকনিক্যাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৪৮জন পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭জন শিক্ষার্থী।
ফলাফল ঘেঁটে দেখা যায় সদর উপজেলার উইজডম স্কুল এন্ড কলেজ ও বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে। উইজডম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৭৮জন শিক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৭৮জনই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০জন শিক্ষার্থী।
বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল থেকে ৫জন শিক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৫জনই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন শিক্ষার্থী।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় জিপিএ-৫-এর দিক থেকে বরাবরের মতো এবারো তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে।
অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৫৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৩৪৯জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭৪জন শিক্ষার্থী।
সাবেরা সোবহান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৩৭জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৩২৮জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৬ জন শিক্ষার্থী।
গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল থেকে ২০৪জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২০০জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭ জন শিক্ষার্থী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২১৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৯৪জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫জন শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২৯২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২৭৮জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ জন শিক্ষার্থী।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৫৬জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৪২৭জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ জন শিক্ষার্থী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৭০জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৬৯জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০জন শিক্ষার্থী।
চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৭৪ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫জন শিক্ষার্থী।
আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১১৭জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১০২জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন শিক্ষার্থী।
অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১২১জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৭৮জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন শিক্ষার্থী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৮৭জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৪১জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী।
আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৬০জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২১৯জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী।
বুধল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪৫জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১০১জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী।
রামকানাই হাই একাডেমি থেকে ৪৯জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৩২জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন শিক্ষার্থী।
লায়ন ফিরোজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১০জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৬৪জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ শিক্ষার্থী।
অন্বেষা বিদ্যাপীঠ (স্কুল এন্ড কলেজ) থেকে ২২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২০জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য বলেন, এ বছর আমাদের রেজাল্ট আশানুরুপ হয়নি। জেলায় জিপিএ-৫-এর দিক থেকে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভালো করেছে। আগামীতে যাতে ফলাফল সন্তোষজনক হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখবো।