অনলাইন ডেস্ক :
বড়াইগ্রামে থানা প্রাঙ্গনে নেচে গেয়ে টিকটক ভিডিও ধারণ এবং সেই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে শিউলী খাতুন (৪২) নামে এক আওয়ামী লীগ নেত্রী গ্রেফতার হয়েছেন। আজ ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শিউলী খাতুন নাটোর জেলা শ্রমিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও বড়াইগ্রাম পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষ্মীপুর মহল্লার জিয়াউর রহমানের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তিনি। ইতিপূর্বেও তার আরও একাধিক বিয়ে হয়েছিল বলে জানা গেছে। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হন।
জানা যায়, সম্প্রতি শিউলী খাতুন থানার ভেতরে মূল ভবনের গেটের সামনে ‘বলি ও দারোগা, পেয়েছি মুখ, তোমার পুলিশ ফেঁসেছে-পরান আমার ভালোবেসেছে’ গানের তালে তালে নেচে টিকটক ভিডিও ধারণ করেন। তবে এ সময় সেখানে কোন পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি। পরে সেই ভিডিও তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রচার করেন এবং তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। থানার সামনে এমন ভিডিও ধারণ করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের মাঝে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠে। অসংখ্য মানুষ ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশসহ তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে গ্রেফতারের আগে আওয়ামী লীগ নেত্রী শিউলি খাতুন বলেন, টিকটক করা আমার নেশা, সে কারণেই ভিডিওটি ধারণ করেছিলাম। তবে এখন বুঝতে পারছি থানার সামনে কাজটি করা ঠিক হয়নি।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের সকলের অগোচরে ১৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি সংবাদকর্মী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে সিএনজি অটোরিক্সা মালিক শ্রমিকরা।
আজ ২৭ জুলাই রবিবার সকাল থেকে জেলাজুড়ে প্রধান প্রধান সড়কসহ মহাসড়কে সব ধরনের সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া শহরে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা যেন প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন স্থানে সড়কে অবস্থান নেয় সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা। এতে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী এবং রোগীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। ফলে চাপ বেড়েছে বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহনে।
বেশ কয়েকজন অটোরিক্সা যাত্রীরা জানান, আমাদের বিভিন্ন উপজেলা থেকে অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কোনো সিএনজি অটোরিক্সা সড়কে চলাচল করছে না। এতে আমাদের বিভিন্ন উপায়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাও আটকে দিচ্ছে। অটোরিক্সা দেখলেই তারা চাকার হাওয়া ছেড়ে দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এতে আমাদের নিকট গন্তব্যে পায়ে হেঁটে এবং দূরবর্তী স্থানে বাসে করে যেতে হচ্ছে। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও অসুস্থদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হেবজুল করিম জানান, প্রতিদিন নানা অজুহাতে ট্রাফিক পুলিশ তাদের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় বিনা কারণে গাড়ি জব্দ করা হয়। লাইসেন্স নবায়ন ও অনুমোদনের ক্ষেত্রে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না বলে দাবি চালকদের। যে সকল সিএনজি অটোরিক্সার নবায়ন বাকি রয়েছে, সেগুলোর জন্য সময় চান তারা। দ্রুত জব্দকৃত অটোরিক্সাগুলো ছেড়ে দেয়া না হলে এবং ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. আনোয়ারকে অপসারণ করার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।
সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, সড়কে ট্রাফিক পুলিশের লাগাতার হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ দাবি, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ ও লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির প্রতিবাদে তারা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
পুলিশ সুপার মো. এহতেশামুল হক বলেন, আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ব্যতীত ৭০টির বেশি সিএনজি অটোরিক্সা জব্দ করা হয়েছে। কাগজপত্র নবায়ন করা হলে জব্দকৃত অটোরিক্সাগুলো ছেড়ে দেওয়া হবে। এছাড়া বিশৃঙ্খলা এড়াতে মালিক-শ্রমিক নেতাদের সাথে আলোচনা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চিহ্নিত নারী মাদক কারবারি পলি বেগম (২৮) ও তার ভাই বোনসহ ৫ মাদক কারবারীকে যৌথ বাহিনী আটক করেছে। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে গোপন সংবাদে হাজিগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প এবং হাজিগঞ্জ থানা পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করে। আটককৃতদের নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাজিগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প এবং হাজিগঞ্জ থানা পুলিশ যৌথভাবে হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে উপজেলার তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী কাজী আহমেদ শরীফ (৩৫), আইয়ূব ভূঁইয়া (৪৫), খোরশেদ আলম (৩৮), মানিক কাজীর মেয়ে পলি বেগম (২৮) ও নাজিয়া আক্তার কাঁকন (২৫)কে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়াও তাদের বাড়ি হতে ৩শ” ৯০ পিসইয়াবা, ২শ” গ্রাম গাঁজা, নগদ ৪১ হাজার টাকা এবং ৩ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি মহিউদ্দিন ফারুক জানান, এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
অনলাইন ডেস্ক :
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মহিষের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামের দারোগা বাঁধ সংলগ্ন বিলে এ লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় সোহেল মিরা এবং হেলাল সরদারের দুটি বলি মহিষ অংশ নেয়। দুই মহিষের দুর্দান্ত লড়াই দেখে অনেকটা উচ্ছ্বসিত ছিলো দর্শকরা।
স্থানীয়রা জানায়, বলি মহিষ দুইটি ছিলো প্রচন্ডভাবে তেজী। প্রথম থেকেই আক্রমণ। যেন একে অপরকে হারানোর জন্য আপ্রান চেষ্ট করছে। থেমে থেমে লড়াই করেছিল। প্রায় ১০ মিনিটের লড়াইয়ে হেলাল সরদারের বলি মহিষটিকে হরিয়ে সোহেল মিরার বলি মহিষ বিজয় হয়। পরে মালিকপক্ষ মহিষ দু’টি নিয়ে চলে যায়।
আগে গ্রামবাংলার প্রায় সব অঞ্চলে মহিষের লড়াই আয়োজন করা হতো। এতে মালিকরা তাদের বলি মহিষকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তত করতেন। লড়াইয়ের অংশ নেওয়া মহিষদের গায়ে সরিষার তেল মালিশ করা হতো। এছাড়া খাওয়ানো হতো পুষ্টিকর খাবার এমটাই জানিয়েছেন প্রবীণরা।
অনেকেই মনে করেন, ঐতিহ্য ধরে রাখতে নিয়মিত এ ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা উচিত। এতে গ্রামীণ সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হবে।
মহিষের লড়াই দেখতে আশা ইমরান বলেন, এক সময় গ্রামবাংলার এমন প্রতিযোগিতা মহিষের লড়াই ছিলো। এখন আর সচারাচর এমন লড়াই দেখা যায় না। অপর এক যুবক বলেন, মহিষের লড়াই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শৈশবে আমরা এমন লড়াই দেখেছি। মহিষের লড়াই হবে তা শুনে দেখতে এলাম। দীর্ঘদিন পর আবারও এই দৃশ্য দেখে দারুণ লেগেছে।
লড়াইয়ে অংশ নেয়া বলি মহিষের মালিক হেলাল সরদার বলেন, তার বাড়িতে অনেক মহিষ রয়েছে। প্রায়ই বলি মহিষের সাথে লড়াই দেয়া হয়। সোহেল মিরা জানান, শান্তিুপূর্ণ পরিবেশে মহিষের লড়াই সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ লড়াইয়ে তার বলি মহিষটি বিজয় হয়েছে।
ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তারা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসচালক নিহত হয়েছেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুছা মিয়া (৪৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবু আহমদের ছেলে।
খাটিখাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মারগুব তৌহিদ জানান, সকালে ইসলামপুর এলাকায় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরগামী দিগন্ত লোকাল বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে চালক মুছা মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জয়পুরহাটে ভুয়া সৈনিক পরিচয়ে একাধিক বিয়ে করে অবশেষে ধরা পড়েছেন ছদরুল ইসলাম (৪০) নামের এক যুবক। তার সাথে থাকা আব্দুর রহিম (৫৫) নামে ঘটককেও আটক করা হয়েছে। ছদরুল নিজেকে একটি বাহিনীর সৈনিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিয়ে করে যৌতুক নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আজ ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকালে ক্ষেতলাল উপজেলার হোপ পাঠান পাড়া এলাকায় বিয়ে করতে গেলে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন।
আটককৃত ছদরুল গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। ঘটক আব্দুর রহিম একই গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে।
ওসি কামাল হোসেন জানান, আটককৃত ছদরুল ইসলাম বিভিন্ন জেলায় গিয়ে একটি বাহিনীর সৈনিক পরিচয়ে একাধিক বিয়ে করেছেন। ছদরুল আসলে একজন প্রতারক। কৌশলে বিয়ে করে যৌতুকের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। বিয়ের পর মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা যৌতুক নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আব্দুর রহিম ঘটক হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় গিয়ে স্থানীয় ঘটকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন। পরে তারা ভুয়া সৈনিক ছদরুল ইসলামকে বিয়ে দেন। এইভাবেই চলছিল তাদের প্রতারণা। আজ বৃহস্পতিবার হোপ পাঠান পাড়া এলাকায় একটা মেয়েকে বিয়ে করতে গেলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে তারা আটক করে পুলিশে দেন।
ওসি আরো জানান, ভুয়া সৈনিক ছদরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও বগুড়া সদর থানায় দুটি প্রতারণা মামলা রয়েছে।