চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ হাকিম মিয়া (৩৮) কে সাত কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করেছে কসবা থানা পুলিশ। ১০ ফেব্রুয়াবি সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুইয়াপানিয়া এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কসবা থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন তাকে গ্রেফতার করে।
অভিযুক্ত হাকিম মিয়া গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কুইয়াপানিয়া গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হাকিম গ্রাম পুলিশের বেশে মাদক বিক্রিতে জড়িত ও গ্রাম পুলিশ হওয়াতে তাকে কেউ সন্দেহ করত না এই সুযোগে তিনি গাঁজার ব্যবসা করতেন। ইউনিয়নের সে ৫নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের দায়িত্বে ছিল।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, গ্রাম পুলিশের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় হাকিম মিয়ার বসত ঘর থেকে গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তীব্র স্রোতের কারণে সেতু ধসের আশঙ্কায় কসবা উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও আরো একটি সেতু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তা ধসে গেলে পৌর এলাকার দেবগ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুই পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির মাটি সরে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার দেবগ্রাম ও মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিলের সংযোগস্থলের সেতু বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ঝুঁকির মধ্য পড়ে। সেতুর এক পাশের দেয়াল ধসে পড়লে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গাছ ফেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পৌর এলাকার দেবগ্রামে নতুন নির্মাণ হওয়া সেতুটির এক পাশ থেকে মাটি সরে যায়। এ অবস্থায় একপাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এখানেও দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, সেতুর বিষয়ে অবগত রয়েছি। ঝুঁকি থাকায় সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক-কৃষাণীরা সার পেলেন পেয়েছেন।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৬ হাজার কৃষক-কৃষাণীর মাঝে এসব সার বিতরণ করা হয়। এদের মধ্যে বন্যায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ বায়েক ইউনিয়নের ৪ হাজার এবং অন্যান্য ইউনিয়নের ২ হাজার কৃষক-কৃষাণী রয়েছেন। প্রতি কৃষককে ১০কেজি ডিএফপি, ১০কেজি এমওপি সার ও রোপন খরচ বাবদ নগদ ১ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার।
কসবা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগমের সঞ্চালনায় সার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিথ ছিলেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তারেক মাহমুদ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রুহুল আমিন সরকার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ভূইয়া, গোপিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূইয়াসহ অন্যরা।
এসময় কৃষি উপসহকারীগণ ও উপকারভোগী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক পাহাড়ি ঢল ও আকষ্মিক বন্যায় কসবা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৪ হাজার ৫শ ৮৩ হেক্টর জমি তলিয়ে যায়। রোপনকৃত আমন পচে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। নষ্ট হয়ে যায় ওইসব এলাকার সকল ১০ হেক্টর পরিমান বীজতলা। এছাড়াও ১শ ৭৫ হেক্টর পরিমান রোপনকৃত সবজি নষ্ট হয়ে যায়। পানি চলে যাওয়ার পর চারা সংকটে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় কৃষক। দ্রুত বীজতলা তৈরী করতে গত ২৮ আগষ্ট কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক-কৃষাণীর মাঝে ৫ কেজি করে ধানের বীজ দেয়া হয়। স্থানীয় কৃষকরা বীজতলা তৈরি ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপনের কাজ শুরু করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি জনগণের কাছে আসে না। তারা রাজনীতি করে ঢাকায় বিভিন্ন দূতাবাসে। তারা মনে করে দূতাবাস দিয়ে জনগণের ঘাড়ে উঠতে পারবে।
আজ ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কসবায় উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জনগণকে মূল্য দেয় না। এনা ক্ষমতায় এলে দেশটা বিরান হয়ে যাবে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ব্যবস্থা ছিল- সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সেটিকে বাতিল করে দিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, র্যাবের ওপর আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিএনপির আমলে র্যাবকে তৈরি করেছিল আমেরিকা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা আসলে র্যাবকে দেয়নি, জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য দিয়েছে।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া ও জেলা পরিষদ সদস্য এম এ আজিজ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাব-৯ এর পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৮ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আভিযানিক দল গতকাল ২৫ জানুয়ারি আনুমানিক ৬টা ২০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর শহরের পুনিয়াউট রেলক্রসিং এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
এছাড়াও অপর এক অভিযানে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আভিযানিক দল গত ২৫ জানুয়ারি আনুমানিক ৯টা ৪০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার রানিয়ারা বিষ্ণপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২৮.১ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মো. রুহুল আমীন (২৮), কসবা উপজেলার বায়েক গ্রামের (সর্দার বাড়ি) মো. সহিদ মিয়ার ছেলে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয় এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯, সিলেট এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পুকুর থেকে বিভিন্ন ব্যান্ডের ১২০ বোতল বিয়ার উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১ টায় উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কুইয়াপানিয়া গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুর থেকে এই বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুইয়াপানিয়া গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুরে অভিযান চালিয়ে ৭টি বস্তায় ভরে পানিতে ডুবিয়ে রাখা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যান্ডের ১২০ বোতল বিদেশী বিয়ার উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে ৬জন আসামি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোঃ সবুজ মিয়া (২৬), মোঃ রাকিব (২৬), কামাল মিয়া (৪০), রিপন (২৬). বাহারম (২৭) ও ফারুক (৩২) নামে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি কুইয়াপানিয়া গ্রামে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পানির নিচে থাকা সাতটি বস্তায় ভর্তি ১২০ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। মাদক ব্যবসায়িরা কৌশলগত কারণে এসব মদ পানির নিচে লুকিয়ে রেখেছিলো।