অনলাইন ডেস্ক :
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের কুখ্যাত আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাজধানীর কচুক্ষেত, আগারগাঁও এবং উত্তরা এলাকায় আজ ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার তিনটি গোপন কারাগার পরিদর্শন করেন ড. ইউনূস। যেগুলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টর্চার সেল এবং গোপন বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহার হতো।
পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সাথে ছিলেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম, গুম তদন্ত কমিশন ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাসহ আয়নাঘরে গুম হওয়া ভুক্তভোগীরা। পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টাসহ উপস্থিত প্রতিনিধিরা সেখানে ইলেকট্রিক চেয়ারসহ নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ দেখতে পান। ভুক্তভোগীরা তাদের নির্যাতনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। এর আগে ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন, প্রধান উপদেষ্টার সাথে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। আর তখন বন্দিদের সেখানে রাখা হতো তা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল বা আয়নাঘর নামে পরিচিত।
শেখ হাসিনার সময়কার এসব টর্চার সেল এবং গোপন কারাগার আয়নাঘর নামে পরিচিত।
কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহৃত তিনটি গোপন বন্দিশালা আজ পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা গোপন বন্দিশালা পরিদর্শনের সময় তাঁর সাথে ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
অনলাইন ডেস্ক :
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১২০তম ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ছয় লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার বিজয়ীর সিরিজের নম্বর ০৫৪৪২২২। আজ ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা বিজয়ী হয়েছে ০২৪১৭৬৮ নম্বর।
তৃতীয় পুরস্কার এক লাখ টাকা করে দুটি। এগুলো হলো ০৯৬৪০৫২ ও ০৫৫৩৮৪৫। চতুর্থ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা বিজয়ী নম্বর দুটি হলো ০১৯৭১৪২ ও ০০৫৪৩৮২।
প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের ৮২টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ সংখ্যা এবারে পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে।
একক সাধারণ পদ্ধতিতে অর্থাৎ প্রত্যেক সিরিজের জন্য একই নম্বরে এই ‘ড্র’ পরিচালিত হয়। এগুলো হলো-কক, কখ, কগ, কঘ, কড়, কচ, কছ, কজ, কঝা, কঞ, কট, কঠ, কড়, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খথ, খগ, খঘ, খ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ্, খট, খঠ, খড়, খঢ়, খথ, খদ, খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খষ, খস, খহ, গক, গখ, গগ, গঘ, গত, গচ, গাছ, গজ, গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড, গঢ, গথ, গদ, গন, গফ, গব, গম, গল, গশ, গষ, গপ, গস, গহ, ঘক ঘখ, ঘগ এবং ঘঘ।
উপরের সিরিজসমূহের অন্তর্ভুক্ত সাধারণ সংখ্যা পুরস্কারের যোগ্য বলে ঘোষিত হয়। যেমন—প্রাইজবন্ডের যে সংখ্যা প্রথম পুরস্কারের জন্য ঘাষিত হয়েছে সেই সংখ্যার প্রাইজবন্ড উল্লেখিত প্রতিটি সিরিজের প্রথম পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
একইভাবে ২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম পুরস্কারের জন্য ঘোষিত সংখ্যাও তাদের মান অনুযায়ী প্রতিটি সিরিজের ক্ষেত্রে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।
ড্র-এর নির্ধারিত তারিখ থেকে ৬০ দিন আগে (বিক্রির তারিখ ধরে এবং ড্র-এর তারিখ বাদ দিয়ে) যেসব প্রাইজবন্ড বিক্রি হয়েছে, সেগুলো এই ড্রয়ের আওতায় আসবে। আয়কর আইন ২০২৩-এর ১১৮ ধারার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাইজবন্ড পুরস্কারের অর্থ থেকে ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করার বিধান রয়েছে।
এ ছাড়া পঞ্চম পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে পাবেন মোট ৪০ জন। তাদের নম্বরগুলো হলো ০০০৬৭৫৪, ০০৩১২৯৬, ০০৫৩৮১১, ০০৬৭৫৬৬, ০১০৪৩৩৪, ০১১১৩৭১, ০১৪৯৯৯২, ০১৬৪৬০৬, ০১৯৩৩৫৪, ০২২২০৯৫, ০২৫৪৯৪০, ০২৯৮২৬৬, ০৩২৩৩৬২, ০৩২৮১২২, ০৩৭৬৪২৩,০৪০৩৬৩৫, ০৪১৯৬১৪, ০৫২৪৯৩৫, ০৫৪১৭৩৪, ০৫৮২৯৮৬, ০৬১৩৭০৪, ০৬২৯৬৩৮, ০৬৫৭৭৩৪, ০৬৫৭৯৯৪, ০৬৬৫৭৫৭, ০৬৭৪৫২৪, ০৬৮৯৪১৯, ০৭০২৬৯৬, ০৭০৮০৩৩, ০৭৩৫১০২, ০৭৫১১৬৫, ০৭৫৫৭২৪, ০৭৭২৫৮০, ০৮২৪৯৮৮, ০৮৪১৫০৩, ০৮৪৮১৩৭ ও ০৮৭০২২২।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া নালায় পড়ে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৭ আগস্ট সোমবার সকালে হাটহাজারী উপজেলার ইসলামিয়া হাট বাদামতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রীর নাম নিপা পালিত (২৪)। তিনি একই এলাকার উত্তম পালিতের মেয়ে। হাটহাজারী সরকারি কলেজের বিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সোমবার তার দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় অংশ নিতে গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি।
নিপা পালিতের দুর্ঘটনাস্থল প্রশাসনিকভাবে হাটহাজারী উপজেলায় হলেও এটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের অধীন। গত দুইবছরে খোলা খাল-নালায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীসহ মারা গেছেন পাঁচজন। গত সাত বছরে মারা গেছেন নয়জন। এরমধ্যে একজনের খোঁজ মেলেনি। আহত হয়েছেন অনেকে। তবুও খোলা নালা-নর্দমা সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি সিটি করপোরেশন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, টানা বৃষ্টিতে হাটহাজারী উপজেলার বাদামতল এলাকাটি পানিবন্দি হয়ে পড়ে। আশপাশের এলাকাসহ সড়কও পানিতে তলিয়ে যায়। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নিপা পরীক্ষায় অংশ নিতে নাজিরহাট কলেজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হন। এ সময় পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে সড়কের পাশে নালায় তলিয়ে যান তিনি। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ প্রসঙ্গে হাটহাজারী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আবু তালেব জানান, নিপার দ্বিতীয় বর্ষের সমাপনী পরীক্ষা চলছিল নাজিরহাট কলেজ কেন্দ্রে। ব্যবস্থাপনা চতুর্থ পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিতে ওই কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন তিনি।
নিপা পালিতের দাদা বাদল পালিত জানান, প্রবল বৃষ্টির মধ্যে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ছাতা মাথায় দিয়ে বাসা থেকে বের হন নিপা। গাড়ি ধরতে মূল সড়কের একপাশ দিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। হঠাৎ পানির তোড়ে নালায় পড়ে যান নিপা। সেখান থেকে আর উঠতে পারেননি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
হাটহাজারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোফরান উদ্দিন জানান, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে এসআই জানান, নিপা মৃগী রোগী ছিলেন। তাদের বাড়ির আশপাশ ও সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি মাড়িয়ে হাঁটতে গিয়ে তিনি তলিয়ে যান। মৃগী রোগী হওয়ায় তিনি আর উঠতে পারেননি বলে পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা।
সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজিম বলেন, ‘এটি গ্রামীণ এলাকা। এখানে নালা নেই। বাড়ি থেকে ৩০-৪০ গজের মধ্যে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ভেসে গেছে ওই ছাত্রী। মৃগী রোগী হওয়ায় পানি থেকে আর উঠতে পারেননি।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট নগরীর মুরাদপুরে জলাবদ্ধতায় সড়ক-খাল একাকার হয়ে গেলে তাতে পড়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ। এ ঘটনার জন্য সিডিএকে দায়ী করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটি। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় চসিককেও দায়ী করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে লাল পতাকা ও ব্যানার টাঙানো এবং নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরিসহ দুর্ঘটনা রোধে ৯টি সুপারিশ করেছিল ফায়ার সার্ভিস। কোনো সুপারিশই পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেনি সিডিএ। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি সরকার।
একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর নগরীর আগ্রাবাদে খোলা নালায় পড়ে মৃত্যু হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার। ৬ ডিসেম্বর নগরীর ষোলশহর এলাকায় চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ হয় ১২ বছর বয়সী শিশু কামাল উদ্দিন। তিন দিন পর মির্জাখাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। এছাড়া ২০২১ সালের ৩০ জুন এই নগরীর নাসিরাবাদ এলাকায় চশমা খালে পড়ে যায় একটি সিএনজি অটোরিকশা। প্রচণ্ড স্রোতে ভেসে যান চালক সুলতান ও যাত্রী খাদিজা বেগম। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
হাইকোর্টের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে ভুয়া জামিন আদেশ তৈরি করে প্রতারণার অভিযোগে রংপুর আদালতের এক মোহরারসহ দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই।
আজ ২৩ আগস্ট বুধবার বিকালে রংপুর নগরীর কেরানীপাড়া অবস্থিত পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।
পুলিশ সুপার জানান, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি কারাগারে আটক আব্দুল মুমিনকে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করে দেবে বলে চুক্তি করে রংপুর আদালতের মোহরার আবুল হোসেন। সে অনুযায়ী হাইকোর্টের আইনবীবী আল আমিনের সহকারী ওয়াহেদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করে আবুল হোসেন মুহুরি। এরপর আবুল হোসেন জামিন করার জন্য মামলার এজাহার, বাদীর অভিযোগসহ অন্যান্য কাগজপত্র জাল করে হাইকোর্টে ক্রিমিনাল মিস কেস নম্বর ৯৯/২০২৩ নম্বর কাগজপত্র প্রেরণ করলে ওই আইনজীবী তার জামিনের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে আবুল হোসেন মোহরারের দাখিল করা কাগজপত্র পরীক্ষা করে হাইকোর্ট দেখতে পান দাখিল করা কাগজপত্র জাল। আদালত নারী নির্যাতন মামলার আসামি মুনিমের জামিন বাতিল করে ঢাকার শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে। সেই সাথে মামলাটি তদন্তের জন্য রংপুর পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, আদালতের আদেশ পাবার পর পিবিআই বুধবার পীরগাছা উপজেলার ধনিরবাজারে আত্মগোপনে থাকা আসামি আবুল হোসেন মোহরার ও তার সহযোগী মোক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করে। সেই সাথে জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার স্ক্যানার ও প্রিন্টারসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক:
উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার থেকে আগামী ১০ মে শুক্রবার পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন নির্বাচনী এলাকায় বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে। গত ৬ মে সোমবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রথম ধাপে ৪১৮ প্ল্যাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আগামীকাল ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোট দানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। প্রথম ধাপে দেশের ৫৯টি জেলার ১৪১টি উপজেলার ১০ হাজার ৬০৫টি ভোটকেন্দ্রে প্রথম ধাপে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আর প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোট ১৩ জন বা ততধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য সোমবার থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্ল্যাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দুজন সহকারী প্ল্যাটুন কমান্ডার (এপিসি)-এর নেতৃত্বে ছয়জন পুরুষ ও চারজন মহিলা আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন। কোনো কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬টির বেশি হলে বুথ প্রতি অতিরিক্ত আরও একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিসি ও এপিসিরা (তিনজন) অস্ত্রসহ এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন। তারা সবাই ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য ভোটের মাঠে মোতায়েন থাকবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে রমজান মাস উপলক্ষে বাজার মনিটরিংয়ে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২৫ মার্চ শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসাইন।
বাজার মনিটরিং করার সময় দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায়, ও অতিরিক্ত টাকায় জিনিসপত্র বিক্রি করায় ১৩ ব্যবসায়ীকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত।
জানা যায়, শনিবার বোয়ালমারী পৌর সদরের মুরগির বাজার, চালের বাজার, মাছের বাজার, কাচা বাজার, মাংসের বাজারসহ সকল ধরণের বাজার মনিটরিংয়ে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মনিটরিং করার সময় দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় এবং জিনিসপত্র অতিরিক্ত টাকায় বিক্রি করাসহ নানা অপরাধে ১৩ ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাজার মনিটরিং করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসাইন। এ সময় সকল ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশ দেন তিনি ।
জরিমানা দেওয়া ব্যবসায়ীরা হলেন, মুরগি ব্যবসায়ী মিজানুরকে ১ হাজার, আলমগীর শেখ ১ হাজার, নুরুল ইসলাম ৩ হাজার, টুটু ১ হাজার ও মুদি দোকান ব্যবসায়ী মুক্তার ৫ হাজার, টিপু শেখ ৩ হাজার, সন্তোষ কুমার ৫ হাজার, বিশ্বনাথ ৫ হাজার, নিরজন ৩ হাজার এবং মাংস ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম ৩ হাজার, আনোয়ার হোসেন ৩ হাজার, ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী বিপ্লব ১৫০০, মিটুর ১৫০০ টাকা জরিমানা দেন। তের ব্যবসায়ী থেকে সর্বমোট ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসাইন বলেন, পবিত্র রমজান মাসে বাজার মনিটরিং করার সময় মূল্য তালিকা না থাকায় এবং দাম বেশি নেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ও বিভিন্ন ধারায় ১৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা ৩৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। রমজান মাসসহ সারা বছর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।