চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে পৃথক অভিযানে ২৫ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে পৃথক অভিযানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ টোলপ্লাজার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
পুলিশ মিডিয়া উইংস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার ভাদুকল্গা গ্রামের খোকন (৩৩), একই গ্রামের মোঃ কামরুল হাসান (২৯), একই উপজেলার দাপুনিয়া কলাপাড়া গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৩৫) ও বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার জীলবুনিয়া গ্রামের রাসেল খান (৩৫)।
পুলিশ মিডিয়া উইংস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে আশুগঞ্জ টোলপ্লাজায় একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়। পরে প্রাইভেটকারে তল্লাশী চালিয়ে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ী খোকন, কামরুল হাসান ও সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। পৃথক অভিযানে মঙ্গলবার রাতে একই স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী রাসেল খানকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন চলন্ত অবস্থায় দুই বগির কাপলিং হুক ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর ফলে এক লাইনে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আজ ১৮ আগস্ট সোমবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে এ ঘটনা ঘটে।
ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) কে. এম. শাহীনুর ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভাগ্যক্রমে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। আশুগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশের মুহূর্তে ট্রেনটির ‘ট’ ও ‘ঠ’ বগির মাঝখান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে করে পিছনের ছয় বগি ফেলে বাকি ১০টি বগি নিয়ে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে নির্ধারিত যাত্রাবিরতি করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
ঘটনার পরপরই ট্রেনটি থামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে ঠিক কী কারণে ট্রেনটি দুই ভাগ হয়ে গেল, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে গ্রিলে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মো. জুয়েল নামে এক হাজতি। আজ ২৫ অক্টোবর শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে, ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। মৃত মো. জুয়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের আবু চাঁন মিয়ার ছেলে। জুয়েল ২০২০ সালে স্ত্রী হত্যার দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের (ভারপ্রাপ্ত) জেল সুপার মো. ইকরামুল হক নাহিদ জানান, স্ত্রী হত্যা মামলায় বিচারাধীন ছিলেন জুয়েল। তাকে কারাগারে সেলে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি সেলের গ্রিলে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ সময় কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিপন বড়ুয়া নামে এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রশিদ ও সহকারী কারারক্ষী উত্তম কান্তি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয় জেলার আশুগঞ্জে ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে নৈশপ্রহরী রাজেশ বিশ্বাস হত্যা মামলার দুই আসামিকে যাবজ্জীবন ও তিন জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ ২৫ জুন মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্দুল হান্নান এ রায় প্রদান করেন। রায়ে আশুগঞ্জ উপজেলার বগইর গ্রামের জামাল হোসেন ও আড়াইসিধা গ্রামের জমির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুইবছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়াও একই উপজেলার চরচারতলা গ্রামের মো. মোস্তফা, শাহাদাৎ হোসেন ও মাসুম কবিরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও অন্য তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া স্বাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় সাদ্দাম নামে একজনকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (পিপি) দ্বীন ইসলাম বলেন, খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় আদালত যে রায় দিয়েছেন তা সন্তোষজসক। দেশে এভাবে ন্যায় বিচার হলে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্ট পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বলেন, আলোচিত মামলাটির আসামিদের যথাযথ সাজা হওয়ায় অন্যান্য অপরাধীররা এ ধরনের অপরাধ থেকে নিভৃত থাকবে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) শাখায় ডাকাতি করতে গিয়ে নৈশপ্রহরী রাজেশ বিশ্বাসকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে ওই শাখার ব্যবস্থাপক মোবাশ্বের হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্তশেষে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।