চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় আজ ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাও পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকের প্রধান অতিথি হিসাবে ভিডিও কলের মাধ্যমে সংযুক্ত হন কুমিল্লা জেলার সিনিয়র তথ্য অফিসার অফিসার মোহাম্মদ নূরুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াগাও পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেওয়ান জাহাঙ্গীর মিয়া, নোয়াগাও পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহীনা আক্তার, নোয়াগাও পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ খোকন মিয়া, নোয়াগাও পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছাঃ শাকেরা বেগম, নোয়াগাও পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুম আলী।
জনগণকে রাষ্ট্রের অন্যতম উপাদান হিসাবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি সিনিয়র তথ্য অফিসার অফিসার মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন, জনগণকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কোন কারণে যদি রাষ্ট্রের জনগণ মাদকের দিকে আসক্ত হয় তাহলে সে রাষ্ট্র ধবংস হওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ নেই।
তিনি আরো বলেন, অশিক্ষাই সকল অজ্ঞতার মূল। আমরা বর্তমান সমাজে যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা দেখতে পায় যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক আসক্ত, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি তার মুলে আছে প্রকৃত নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটন করতে চায়, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চাই তাহলে নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।
নারী সমাবেশে বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে প্রধান অতিথি বলেন বলেন, বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকি স্বরুপ।
জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে উঠান বৈঠকের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। উক্ত উঠান বৈঠকে তিন শতাধিক নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর প্রয়াত মু. মুজিবুর রহমান স্মরণে আজ ১১ মার্চ শনিবার সকালে সরাইলে নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিকেলে উপজেলার অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক শোক সভায় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও শিক্ষক শেখ সাদীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র প্রোভিসি প্রকৌশলী মোঃ খলিলুর রহমান, নবীনগর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ নজির আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মো. ইব্রাহীম, আশা’র অপরেটিং অফিসার মোঃ এনামুল হক, বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী, ঢাকাস্থ সরাইল সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ শাহজাহান, সরাইল প্রেসক্লাবের সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. সামছুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
নাগরিক শোক সভায় বক্তারা বলেন, মরহুম মু. মুজিবুর রহমান সারাটা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি সরাইল উপজেলার অরুয়াইল গ্রামের বাসিন্দা হলেও তিনি ছিলেন গোটা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গৌরব।
বক্তারা মু. মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য তার নামে সরাইলে একটি স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ, একটি স্মরণিকা প্রকাশ, তার পরিবারের সম্মতিক্রমে ‘মুজিবুর রহমান’ নামে একটি ফাউন্ডেশন গঠন ও তার নামে একটি স্মৃতি পরিষদ গঠন করার দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে মাহফিল করার নামে আয়োজন করা গান-বাজনা বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (ইউএনও) মোঃ মোশারফ হোসাইন গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার বৈশামুড়া গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করেন। পুলিশ জানায়, ফিরোজ মিয়া নামে এক ব্যক্তি মাহফিলের কথা বলে গান-বাজনার আয়োজন করেন। এ আয়োজন কবরস্থানের পাশে হওয়ায় এলাকার লোকজন আপত্তি তুলেন। বিষয়টি ইউএনও এবং ওসিকে অবহিত করেন তারা। ফিরোজ মিয়াকে এ আয়োজন বন্ধ করতে ফোনে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে কাজ না হলে এক পর্যায়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। লোক সমাগম বেশি হওয়ায় পুলিশ সেখান থেকে চলে আসে। এরই মধ্যে সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (ইউএনও) মোঃ মোশারফ হোসাইন সেখানে অভিযান চালিয়ে গান বাজনা বন্ধ করে দেন। এ সময় ফিরোজ মিয়া পালিয়ে যায়। অভিযানের সময় গান-বাজনার কাজে ব্যবহৃত কিছু জিনিস জব্দ করে নিয়ে আসে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার সকালে উপজেলা প্রেসক্লাবে উপজেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়েছে।
সরাইল উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন ঠাকুর অলক, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ দিলোয়ার হোসেন দিলু, সদস্য দেলোয়ার হোসেন মনা, সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সদস্য মাহফুজ আলী প্রমুখ।
বক্তারা বক্তব্যে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।
বক্তারা আরো বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে বাংলাদেশের ইতিহাসের এক মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত করে বলেন, দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ যে বিজয় অর্জন করেছিল তা এই দিন পূর্ণতা পেয়েছিল। পাকিস্তানের মিনওয়ালী কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় শত অত্যাচার নির্যাতনের মুখেও বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে কোন আপোষ করেন নি। পরিশেষে, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষনে, বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সে অনুসারে স্বাধীন বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, সমতাভিত্তিক এবং মানবিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সবাইকে এক যোগে কাজ করবার আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনের অভিযোগে এক কারখানা মালিককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১১ জানুয়ারি শনিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে পলিথিন তৈরির কারখানায় সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত কামাল মিয়া (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আবদুল গফুরের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন জানান, উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে অবৈধভাবে পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এমন সূত্রের ভিত্তিতে ভিত্তিতে দুপুরে কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক কামাল মিয়াকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬ (ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১৫ ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে আরো ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বুনতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এস তরুণ দে। তিনি বলেছেন, ছাত্র-জনতার একটি অনিবার্য বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। জনতার এ বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পরাজিত শক্তি নানা গুজব রটানোসহ ষড়যন্ত্র করে চলছে। তাই দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কোনো অশুভ শক্তি যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
গতকাল ১১ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর স্বর্গীয় সূর্য কুমার দাস চৌধুরীর বাড়ির পূজা মণ্ডপে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা সনাতনী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ও সার্বজনীন ধর্মীয় উৎসব। একটি পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার ভেতর দিয়ে এবার পূজা শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পীঠস্থান। আমাদের নেতা তারেক রহমান এ সম্প্রীতি বজায় রাখতে দলের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে আহবান জানিয়েছেন। আমরা সে লক্ষে কাজ করছি। তাই পূজায় ধর্মীয় আবেশ বজায় রাখতে হবে।
চট্টগ্রামে পূজা মঞ্চে ইসলামী গান পরিবেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আয়োজক ও অংশগ্রহনকারী শিল্পীদের অতি আবেগের কারণে হতে পারে। হয়তো কিছুটা ভুল বুঝাবুঝিও থাকতে পারে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও দায়িত্বশীলরা এটি বিচক্ষণতার সাথে হ্যান্ডেলিং করছে। এই ঘটনায় কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত লাগানোর চেষ্টা ছিল কি না তাও যাচাই করা হচ্ছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সরাইল উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব নূরে আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মেহেদী হাসান পলাশ, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মশিউর রহমান মাস্টার, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন মাস্টার এবং আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু আব্দুল্লাহ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. হুমায়ূন কবির, উজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমান, লালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক শামীম চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তাফসির আহমেদ, যুবদল নেতা সাইদুল ইসলাম ও আব্দুর রাহীম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তরুন দে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ কমিটির হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।