চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ৬০৭০ পিস চকলেট বোম, একটি সাদা রঙের হাইস গাড়ি সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ। জানা যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার এহতেশামুল হকের নির্দেশে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে এসআই ইসহাক মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান কালে আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার ১০০ গজ পূর্ব পাশ থেকে সাজ্জাদ হোসেন (৩২), মামুন (৩২), বকুল হোসেন (৪৮) কে ৬০৭০ পিস চকলেট বম, একটি সিলভার হাইয়েস গাড়িসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার মরকুন গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন, গাজীপুর জেলার পুবাইল থানার পুবাইল গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে মামুন, গাজীপুর জেলার পুবাইল থানার পুবাইল গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে বকুল। এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানায় চোরা চালান আইনে মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজান মাসকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারধর মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার বেলা ১১ টায় আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্যাট শ্যামল চন্দ্র বসাকের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং করা হয়।
এসময় আশুগঞ্জ বাজারের চক বাজার, মাছ বাজার, মাংসের বাজার, সবজি বাজার পরিদর্শন করা হয়।
বাজার মনিটরিংয়ে দায়িত্বে থাকা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্যাস্ট শ্যামল চন্দ্র বসাক প্রত্যেক দোকানীকে পণ্যের সঠিক মূল্য তালিকা পর্দশন ও গুণগতমান বজায় রেখে পণ্য বিক্রয় করার নির্ধেশ দেন। পুরো রমজান মাস জুড়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হবে বলে জানান।
এসময় মেসার্স মকবুল স্টোরে মূল্য তালিকা না থাকায় দোকানী কে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বাজার মনিটরিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, এস আই জসীম উদ্দিনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার আগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এরইমধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নিজের প্রার্থীতার জানান দিলেন আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নাসির আহমেদ সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার প্রার্থীতা ঘোষণা করেন।
এসময় তিনি বলেন, আমি সাধারণ পরিবারের সন্তান। হাই প্রোফাইল আমার নাই। আমি চেয়ারম্যান ছিলাম তাই মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা জানি। সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এখন বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে চাই। আমি সার্বজনীন জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। কারো হক মেরে খাওয়ার চিন্তা আমার নাই।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, সারাদেশে যখন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে ঠিক তখন যোগ্য নেতৃত্ব না থাকায় এই উপজেলা উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। আমি এই এলাকার সাধারণ মানুষদের মাঝ থেকে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই। এ সময় তিনি স্থানীয় রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ, এলাকার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চুসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে অন্যতম স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান (মোটর গাড়ি প্রতীক) আবু আসিফ আহমেদের সন্ধ্যান মিলেছে।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আবু আসিফ আহমেদ তাঁর আশুগঞ্জের বাসায় ফিরেছেন। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আবু আসিফ আহমেদ ঢাকার বসুন্ধরায় তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের কাছে তথ্য আসে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজাদ রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে একটি মাধ্যমে আমরা জানতে পারি আবু আসিফ আহমেদ ঢাকায় আছেন। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তিনি আশুগঞ্জের বাসায় ফিরেছেন। আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার রাত থেকে নিখাঁজ ছিলেন।
জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে আবু আসিফ আহমেদের স্ত্রী মেহেরুননিছা মেহেরিন আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে জানান, আবু আসিফ তার ঢাকার বাসায় আছেন। তিনি আশুগঞ্জে চলে আসবেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনকে অবহিত করেন। বিকেলে তিনি আশুগঞ্জের বাসায় ফিরে আসেন।
এদিকে আবু আসিফের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি তার স্ত্রী মেহেরুননিছা মেহেরিন উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছিলেন ও এবং ৩১ জানুয়ারি এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত থেকে আসিফ নিখোঁজ করার পর পরিবারের পক্ষ থেকে আসিফ নিখোঁজ বলা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল আসিফ আত্মগোপনে আছেন। এনিয়ে নির্বাচনী এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
আবু আসিফ আহমেদ গত বুধবার অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে মোটর গাড়ি প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ২৬৯ ভোট পান। আসিফের স্ত্রী মেহেরিন আশুগঞ্জ শ্রমকল্যান কেন্দ্রের ভোট কেন্দ্রে গিয়েও ভোট না দিয়ে ফিরে আসেন। বাসায় চলে যাওয়ার সময় তিনি উপনির্বাচনকে “অসুস্থ নির্বাচন” উল্লেখ করে এই নির্বাচন স্থগিত করার দাবি জানিয়েছিলেন। নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির দলত্যাগী নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আসিফের স্ত্রী নিজেই আশুগঞ্জ থানার ওসিকে বলেছিলেন আসিফ তার ঢাকার বাসায় আছেন। বিকেলে তিনি তার আশুগঞ্জের বাসায় ফিরে এসেছেন। আসিফকে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসিফ নিজেই ঢাকার বাসায় গিয়েছিলেন, আবার নিজেই আশুগঞ্জের বাসায় ফিরে এসেছেন এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কি আছে?
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুননিছা মেহেরিনের মোবাইল ফোনে কয়েকদফা চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে স্থানীয় আলম ব্রাদার্স এগ্রো ফুড এবং এস আলম এগ্রো ফুড নামের দুটি ডায়ার মিল (বয়লার) পরিবেশের ক্ষতি করে চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তাদের মিলের কালো ধোঁয়ার সঙ্গে উড়ন্ত ছাই ও দূষিত কালো পানি মিল ঘেঁষা খালে পড়ে ভরাট হওয়ার পাশাপাশি কৃষি জমিরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এতে ওই মিলগুলোর পাশে থাকা জমির ধান এখন হুমকির মুখে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়াসহ ডায়ার মিল দুটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগসহ আবেদন জানিয়েছে গ্রামবাসী।
গ্রামবাসীর দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা গ্রামে আবাসিক এলাকায় আলম ব্রাদার্স এগ্রো ফুড এবং এস আলম এগ্রো ফুড নামের দুটি ডায়ার মিল (বয়লার) স্থাপন করা হয়েছে। যা পরিবেশ সম্মত না হওয়ায় মিল থেকে উড়ন্ত ছাই ও ধূলা বাতাসের সঙ্গে উড়ে গ্রামবাসীর জন জীবনে অসুবিধার সৃষ্টি করছে। এতে শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়াও মিলের গরম পানি ও ছাই পার্শ্ববর্তী খালে পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে খালটি দিয়ে এখন কোনোভাবেই পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। এতে মিলের গরম পানি ও ছাইয়ের কারণে কৃষিজমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। গ্রামবাসী বিষয়টি মিল মালিকদের বার বার জানালেও তারা তাতে কর্ণপাত করেনি। বরং উল্টো গ্রামবাসীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিয়ে বে-আইনিভাবে মিলের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সরেজমিন খড়িয়ালা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ধানি জমির পাশেই রয়েছে একটি সরকারি খাল। এর পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে ওই মিল। মিলের পেছন অংশে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি খালটি পোড়া ধানের কালো ছাইয়ের স্তূপ জমে ভরাট হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে কৃষকরা জমি চাষের সময় খালের পানি ব্যবহার করতে পারছে না। এছাড়াও মিলের চিমনি দিয়ে অনবরত নির্গত হচ্ছে কালো ধোঁয়া।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ফরিদা বেগম বলেন, আমি ৩৭ শতক জমিতে ধানের চাষ করেছিলাম কিন্তু মিলের ছাইয়ের কারণে তা নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু আমার জমিই নয় খালের পাশে থাকা অনেক জমির ধান এখন হুমকির মুখে।
তিনি আরো বলেন, এখানে একটি ডোবা রয়েছে সেখানে চাষের জন্য মাছ ছাড়া হলে সেগুলোও মারা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা রাকিব মিয়া বলেন, মিলের কালো দূষিত ধোঁয়ার কারণে গ্রামের মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে। সাদা কাপড় পড়ে থাকা যায় না। এছাড়া সরকারি যে খালটি ছাইয়ের কারণে ভরাট হয়ে গেছে সেটি মেঘনা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। কিন্তু ভরাটের কারণে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই।
মো. ফয়সাল বলেন, ছাই এবং দূষিত পানিতে খালটির এখন করুণ অবস্থা। কৃষকরা জামি চাষ করার জন্য খালের পানি ব্যবহার করতে পারছে না। এতে করে জমিগুলো এখন নষ্ট হওয়ার পথে। আমরা খালটিকে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সরকারের দৃষ্টি কামনা করছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আলম ব্রাদার্স এগ্রো ফুড এবং এস আলম এগ্রো ফুডের মালিক আলম মিয়া জানান, আশুগঞ্জে ৪০টি ডায়ার মিল রয়েছে। আমরা এই সমিতির আওতাভুক্ত। আমাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে। আমরা পরিবেশের সব আইন কানুন মেনেই মিল পরিচালনা করছি। তারা অন্য বিরোধের জেরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. খালেদ হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের হাতে একটি অভিযোগ এসেছে। দ্রুত সরেজমিন তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে মৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত জালু মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়া (৫০) ও আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের নাসির মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২২)।
এছাড়া একইদিন মাছিহাতা ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামে বজ্রপাতে তিনটি গরু মারা গেছে।
মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আল-আমিনুল হক পাভেল জানান, বিকেলে বৃষ্টি শুরু হলে শাহজাহান মাঠে গরু আনতে যান। এ সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। পাশাপাশি একই সময়ে বজ্রপাতে খেওয়াই গ্রামে কৃষক মনা ভূঁইয়ার তিনটি গরু মাঠে ঘাস খাওয়া অবস্থায় মারা গেছে।
তিনি জানান, নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা সহায়তা করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, হৃদয় প্রতিদিন মেঘনার চরে চরচারতলা গ্রামের জসীম উদ্দিনের মহিষের পাল দেখভাল করতেন। বিকেলের দিকে হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এর পরই মুসলধারে বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় প্রচণ্ড মেঘের গর্জন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের মৃত্যু হয় এবং উজ্জ্বল নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন।