চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) টহলদল কর্তৃক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কমলা এবং কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আমতলী বাজারে সন্দেহজনক কাভার্ড ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ১১,১৪০ কেজি কমলা জব্দ করা হয়েছে। এসময় কমলা বহনকারী একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।
সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, জব্দকৃত কমলার বাজার মূল্য ৯৮ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে জব্দকৃত কমলা আখাউড়া কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সহনশীলতায় বিশ্বাস করে, শান্তিপ্রিয় বসবাসে বিশ্বাস করে। বাঞ্ছারামপুর বিএনপির নৈরাজ্য এবং লুটপাটের কোন ইতিহাস নেই। অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকার নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তাদের বিচার অবশ্যই বাংলার মাটিতে হবে। আমি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলবো ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যার দোসরদের অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বাঞ্ছারামপুরের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কখনোই ঠাঁই হবে না। ইতিমধ্যে ছাত্র জনতা অপরাধ ও নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করেছে। বাঞ্ছারামপুরের মাটিতে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে। নৈরাজ্যকারীরা আবারো বাঞ্ছারামপুরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত আছে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ।
আজ ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কড়িকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র মাঠে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মহসিনের সঞ্চালনায় ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী ফরিদের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম ভিপি মুসা, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হারুনুর রশিদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকরি সেলিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ফয়সাল বিন ইউসুফ সামী, সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, আব্দুল করিম চেয়ারম্যান, আব্দুল আইয়ুম, শাখাওয়াত হোসেন, দেলোয়ার হোসেন সবুজ, আব্দুল মতিন, সেলিম আখতার, রফিকুল ইসলাম সেন্টু, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান, আব্দুল করিম, মোঃ মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় এক হাজার ২০০ মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিনব্যাপী বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রোটারি ক্লাব অব বারিধারা সানরাইজ ও বসুন্ধরা আই হসপিটাল এবং ভিশন কেয়ারের যৌথ উদ্যোগে এই সেবা দেওয়া হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নানা বয়সী লোকজন এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্টনি এলবার্ট, ডা. আকতার ফেরদৌসী জাহান ও অপটোমেট্রিস্ট রুবেল রানাসহ ১২ জনের একটি দল চিকিৎসাসেবা দেয়।
বসুন্ধরা আই হসপিটালের ক্যাম্প অর্গানাইজার মো. আবু তোয়াব জানান, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ১২০০ রোগী দেখা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে চোখ পরীক্ষা করে চশমা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। যাদের চোখে ছানি ছাড়াও অন্যান্য সমস্যা রয়েছে তাদের বিনামূল্যে অপরেশনের জন্য ঢাকার বসুন্ধরা আই হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হবে।
চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধা রেজিয়া বেগম বলেন, স্বামী মারা গেছে চার বছর হয়েছে। আমার ছেলে সন্তান নেই। শুধু পাঁচটা মেয়ে নিয়ে অভাবের সংসার। ডান পাশের একটি চোখ একেবারে অন্ধ হয়ে গেছে। বাম চোখে ঝাপসা দেখি। এত টাকাও নেই যে, শহরে গিয়ে চিকিৎসা করাবো। আজকে আমাদের গ্রামে চোখের ফ্রি চিকিৎসা পাওয়াতে আমার অনেক উপকার হইছে। তাদের নিজ খরচে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বসুন্ধরা হসপিটালে চোখের ছানির ফ্রি অপারেশন করে দিবে। এমন না হলে আমার চোখের চিকিৎসাই হইতো না।
নিখরচে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুর রহমান বলেন, দিনমুজরের কাজ করে সংসার চালাই। দিন দিন বয়সও বাড়ছে। এখন চোখে তেমন দেখি না। জেলার বাইরে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই। এখানে চক্ষু ক্যাম্পে চোখের পরীক্ষা করেছে। প্রয়োজনীয় সব ওষুধ দিয়েছে ফ্রিতে।
চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন বলছেন, মেঘনা নদীর পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত বাঞ্ছারামপুরের সাধারণ মানুষ নিজেদের হাতের নাগালে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। ঘরে বসে সেবা পাওয়ার পাশাপাশি ঢাকায় গিয়ে বিনামূল্যে অপারেশনের আশ্বাসে তারা মহাখুশি।
রোটারি ক্লাব অব বারিধারা সানরাইজের যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ মোমিন বলেন, বাঞ্ছারামপুরের প্রান্তিক যেসব মানুষ অর্থাভাবে শহরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন না, তাদের দোরগোড়ায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল। তারা এই কার্যক্রম অব্যহত রাখলে আমরা ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিবছরই গ্রামের মানুষকে সেবা দিয়ে যাবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জসিম মিয়া (২২) নামক এক যুবককে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশ্রাফবাদ মাদরাসা মাঠে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আশ্রাফবাদ গ্রামে। তার বাবার নাম শিরন মিয়া।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের আশ্রাফবাদ মাদ্রাসা মাঠে আশ্রাফবাদ গ্রামের শিরন মিয়ার ছেলে জসিম একই গ্রামের রওশন মিয়ার ছেলে ইমন মিয়াসহ কয়েকজন ক্রিকেট খেলছিল। এসময় দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমন মিয়া তার হাতে থাকা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে জসিমকে এলোপাথাড়ি পেটায়। এসময় জসিম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
নিহত জসিমের দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। কয়েকদিন পর সে বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল।
নিহত জসিমের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী জানান, ক্রিকেট খেলার সময় হঠাৎ করে ইমন আমার ভাইকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পেটাতে থাকে। সে গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার বলেছে আমার ভাই মারা গেছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই।
নিহত জসিমের ভাতিজা রিপন মিয়া বলেন, আমরা ক্রিকেট খেলার সময় আমার চাচার ওপর কোনো কারণ ছাড়া ব্যাট দিয়ে পেটায়। চাচাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চাচা মারা যান।
এবিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাহমত উল্লাহ পাভেল বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে জসিমকে পেটায় ইমন। হাসপাতালে আনার পর জসিম মারা যায়। ইমনকে গ্রেফতার করতে অভিযানে আছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, খালেদা জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তারেক রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিশ্বের মানুষ বলে, ‘দুর্নীতিতে অনার্স, মানি লন্ডারিংয়ে মাস্টার্স’।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করছেন। মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছেন।
আজ ৬ মার্চ সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উজানচর কংশ নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে স্কুলের পার্শ্ববর্তী মাঠে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইয়ে বঙ্গবন্ধুর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মনোভাব, অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার গভীর পরিচয় মেলে। বইটি থেকে অনেক কিছু জানার আছে, যা এ সময়ে বলা সম্ভব নয়।
সমাবেশে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উজানচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের এমপি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া হাউজ ইস্ট ওয়েষ্ট মিডিয়া গ্রুপ কমপ্লেক্সে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে সাংবাদিকবৃন্দ ও ছাত্র জনতা মানববন্ধন করেছে। আজ ১ সেপ্টেম্বর রবিবার বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ মাঠে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ ঘটনায় হামলায় জড়িতদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেছেন বক্তারা। সাংবাদিকরা সরকারের কাছে বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার নিশ্চিতে জোর দাবি জানান।
এতে উপস্থিত ছিলেন এম এ আউয়াল, রিপন মিয়া, মো. জহিরুল হক, মোল্লা মোঃ নাছির, দিলীপ কুমার সূত্রধর, মীর মোশারফ হোসনে, মোঃ শামিম শিবলী, মোঃ শফিকুল ইসলাম, সুমন চক্রবর্তী, আশিকুর রহমান, মাহবুবুর রহমান বাবু, মোঃ নাছির উদ্দিন, মোঃ বাহারুল ইসলাম, মোঃ পলাশ সরকার এবং আতাউর রহমান সনেট প্রমুখ।
বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সম্পাদক ও হিসাব বিজ্ঞান বিভিাগরে বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার বলেন, হামলাকারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। তা না হলে মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকরা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঝুঁকি নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন করতে উৎসাহ হারাবে সাংবাদিকরা।