চলারপথে রিপোর্ট :
মনিপুর এলাকার আতকাপাড়া গ্রামে প্রতিবেশীদের সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে টেটাবিদ্ধ হয়ে ময়না (১২) নামে এক কিশোরী নিহত হয়েছে। নিহত ময়না আক্তার ওই গ্রামের ফারুক মিয়ার কন্যা। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর আতকাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর আতকাপাড়া গ্রামের শাহজাহানের মিয়ার ছেলে সুমন মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের হানিফ মিয়ার মেয়ে তাইবা আক্তার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের আয়োজন ছিল বৃহস্পতিবার। এ বিয়ের অনুষ্ঠানে বিকেলে পাশের গ্রাম চাউরাখোলা গ্রামের ছেলেরা গানবাজনা শুনতে আসে বরপক্ষের বাড়িতে। উচ্চশব্দে গান বাজনাকে কেন্দ্র করে বর পক্ষের সঙ্গে চাউরাখোলা ছেলেদের ঝগড়া হয়। পরে চাউরাখোলার ছেলেরা বিষয়টি মীমাংসার জন্যে কনের চাচা হোসেন মিয়া মিয়াকে জানায়। হোসেন মিয়া বিষয়টি মীমাংসা না করে উলটো চাউড়াখোলা ছেলেদের উপর ক্ষুব্ধ হয়। এক পর্যায়ে চাউড়াখোলা গ্রামের বেলাল মিয়া নামে এক যুবককে চর থাপ্পড় দেয়।
পরে চাউরাখোলা গ্রামের যুবকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মনিপুর আতকাপাড়া গ্রামে কনেপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ময়না আক্তার নামে ১২ বছরের এক শিশুকন্যা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সময় ইট পাটকেলের আঘাতে আরো অন্তত পাঁচজন আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ওসি রওশন আলী জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিজয়নগর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা হয়। এ সময় আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে আইয়ুব নূর (৫০) নামে এক মাদক কারবারি নিহত হন। আরো দুজন গুলিবিদ্ধ হন।
ওসি আরো বলেন, অপরদিকে মাদক কারবারিদের হামলায় ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় রাতেই থানার এএসআই সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৮ মাদক কারবারি নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে অগ্নিকাণ্ডে গোয়াল ঘরে থাকা চারটি গরু ও ২শ মন ধানসহ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের হাজী বাড়ির মৃত রশুদ মীর এর ছেলে মোঃ তাহের মীর এর বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত তাহের মীর ২০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
মোঃ তাহের মীর জানান, রাতে মশার উপদ্রব থেকে গরুকে বাচানোর জন্য প্রতিদিনের ন্যায় গোয়ালঘরে মশার কয়েল জালিয়ে রাখি। রাত আড়াই টার দিকে হঠাৎ করে পাশের বাড়ির চাচাতো ভাইয়ের ডাক শুনে আমার ঘুম ভাঙ্গে। উঠে দেখি আমার ঘরে আগুন জ্বলছে। আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে অনেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু এরই মধ্যে গোয়ালে থাকা চারটি গরু এবং দুইশ মন ধানসহ ঘরটি পুড় যায়। ফায়ার সার্ভিসকে বহুবার কল দিলেও তারা আসে নাই। আগুনে আমার প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ স্টেশন লিডার মোঃ মোশাররফ হোসেন মিয়াজী বলেন, খবর পাওয়ার ৩০ সেকেন্ড মধ্যে আমরা স্টেশন ত্যাগ করে গ্রামীণ ছোট রাস্তা দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমকি ভাবে মনে হয়েছে ধরনা করা হচ্ছে মশা মারার কয়েক থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতি করেছি।
সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর সীমান্তে বিএসএফের বিরুদ্ধে মুরাদুর রহমান মুন্না নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ করছে নিহতের স্বজনরা।
৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া সীমান্তে জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুন্না ওই গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, বিকেলের দিকে মুন্না তার ধানি জমি দেখতে সেজামুড়া সীমান্তের কাছে যান।
এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়।
এ সময় তাকে গুরুতর অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তারা এ ঘটনায় সরকারের কাছে বিচার দাবি করেছেন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসক ডা: আরাফাত জানান, হাসপাতালে আনার পর তার শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সরাইল ২৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, যতটুকু খবর পেয়েছি মুরাদ নামে একজন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। সে কি কারণে সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন, বিএসএফ তাকে ধরেছে কি না, না অন্য কেউ মেরেছে তা এখনও জানা যায় নি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
বিজিবির টহল টিমের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, মুরাদ ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের পর সুস্থভাবে ফিরে এসেছিলো। তখন তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় একজনের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। বিএসএফের সাথে কথা বলে আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চূক্তির (এপিএ)”র আওতায় বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নোয়াগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৃথক উঠান বৈঠক আজ ২ ডিসেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান সমূহে তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস এর সভাপতিত্বে ভিডিও কলে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাঠ প্রচার) ফাহিমা জাহান।
প্রধান অতিথি উপপরিচালক (মাঠ প্রচার) ফাহিমা জাহান ডেঙ্গু, শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দান, শিশু ও নারীর অধিকার, শিশুর যথাযথ বিকাশ, অটিজম, ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগকালীন নারী- শিশুর সচেতনতা, জেণ্ডার সমতা, নিরাপদ মাতৃত্ব, বাল্য বিবাহ, ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান সমূহে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমজাদ হোসেন খান, সহকারী শিক্ষক জিন্নাত সুলতানা, সহকারী শিক্ষক রুমা আক্তার, সহকারী শিক্ষক সালেমা বেগম, সহকারী শিক্ষক শিউলী বেগম, সহকারী শিক্ষক রোহেনা বেগু, সহকারী শিক্ষক মাজেদা আক্তার, সহকারী শিক্ষক মাহবুবা বেগম, সহকারী শিক্ষক তানজিনা আক্তার, সহকারী শিক্ষক জুলহাসা বেগম, সহকারী শিক্ষক আমেনা বেগম এবং নোঁয়াগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মাহবুব উল্লাহ ভুঞা, সহকারী শিক্ষক রুনা লাইলা, সহকারী শিক্ষক মোঃ আজাহারুল ইসলাম ভুঞা, সহকারী শিক্ষক তাহমিনা আক্তার, সহকারী শিক্ষক তানজুমা আক্তার সহ প্রায় ছয় শতাধিক নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পিকআপ ভ্যানের চাপায় জয়নাল মিয়া (২৬) নামে এক সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী নিহত হয়েছে।
আজ ১৩ মার্চ বুধবার সকালে উপজেলার শশই নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল উপজেলার আনন্দ গ্রামের মাহতাব আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আরো এক যাত্রী আহত হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মহাসড়কের শশই নামক স্থানে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে জয়নাল মিয়া নিহত হয় এবং আরেক জন আহত হয়।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মোল্লা সালাউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারসহ ঘাতক পিকআপ ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। তিনি আরো জানান, নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।