চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সোনালী কাবিনের কবি খ্যাত আল মাহমুদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী স্মরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার মৌড়াইল কবরস্থানে কবি আল মাহমুদের কবর জিয়ারত ও দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচির শুরু হয়। এ দোয়া অনুষ্ঠানে কবি পরিবারের সদস্য, ভক্ত কবি-সাহিত্যিক ও কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতিপরিষদের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় লোকজন অংশ নেয়। তিন দিনব্যাপী চলবে স্মৃতি পরিষদের স্মরণোৎসব।
শনিবার বিকেলে স্মরণ উৎসবের প্রথমদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্মরণ উৎসব উদ্বোধন করেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ. জেড. এম. আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও গবেষক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খাদেম, কবি মনসুর আজিজ, কবি তাজ ইসলাম, কবি রহমান মজিদ, কবি সাদমান শাহিদ। বিশেষ আলোচক ছিলেন কবি ও গবেষক ইমরান মাহফুজ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মো. ইব্রাহিম খান সাদত। কবির এ স্মরণ উৎসবে অংশ নেন কবির ছেলে মীর মোহাম্মদ মনির, মীর মোহাম্মদ আনিস ও বড় মেয়ে আতিয়া আমির, ছোট মেয়ে ফাতেমা মীরজিমি এবং তাদের ছেলে-মেয়েরাও অংশ নিয়েছেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সোনালি কাবিন আল মাহমুদের অমর সৃষ্টি। আর এটি বাংলা সাহিত্যে অনন্য সংযোজন। তারা বলেন, আল মাহমুদ শেকড় সন্ধানী কবি। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি একাধারে ভাষা সৈনিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা। অথচ বিগত সময়ে তার উপর অনেক অবহেলা করা হয়েছে। তার মৃত লাশের সাথে রাজনীতি করা হয়েছে। তারা বলেন, একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আল মাহমুদকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আল মাহমুদকে পাঠ করতে হবে। তাকে ধারণ করতে হবে। বর্তমান প্রজন্মের উচিৎ আল মাহমুদকে বেশি বেশি করে চর্চা করা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধ্বংসস্তুপে পরিনত হওয়া একটি দেশকে পুর্নগঠিত করেছিলেন। আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের সোপানে নিয়ে গেছেন। দেশ এখন উন্নয়নের রোড মডেল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশের সকল সেক্টরে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জন্য কাজ করছেন, দেশের জন্য কাজ করছেন।
আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলার আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, সকলের প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো অবস্থায় আছে। পরিস্থিতি আরো উন্নয়ন করতে হবে। সভায় সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন হওয়ায় তিনি সদর উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, গত ৫ বছরে আমি সবার সহযোগীতা পেয়েছি।
সভায় বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান, সদর থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেবব্রত কর, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বনিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাছির আহমেদ, নাটাই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহআলম, বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাকিম মোল্লা, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশীদ ভূঁইয়া, এনজিও নেতা এস.এম শাহীন প্রমুখ।
সভায় শহরের লোকনাথ উদ্যান ও খ্রীষ্টিয়ান মিশন ব্যাপিষ্ট চার্চের সামনে রাস্তার উপরের ময়লার ভাগাঢ় অপসারণ, শহরের নিউ মার্কেটের পিছনের রাস্তার কসাইখানা অপসারণ, পাওয়ার হাউজ রোডের সন্ধ্যাকালীন মাছের বাজার অপসারণ, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিরোধে বাজার মনিটরিং বাড়ানো, শহরের কোর্ট রোড ও মসজিদ রোডের হকার উচ্ছেদ করার দাবি জানানো হয়।
সভায় শহরের যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো ও মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করার দাবি জানানো হয়। সভায় সম্প্রতি শহরে ছিচকে চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সভায় সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডঃ লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ ও আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিজের গুমের অভিযোগ জমা দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। আজ ৩ জুন মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ জমা দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর তিনি গুমসংক্রান্ত কমিশনেও নিজের গুমের অভিযোগ জমা দেন।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। প্রায় দুই মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তার সন্ধান পায়। সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।
নিজের গুম হওয়া প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, আমি আগেই তাদের সাথে যোগাযোগ করে আজকে গুম কমিশনে এসেছি। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা আমাকে তুলে নিয়ে যায়। তার ৬১ দিনের মাথায় আরেকটি দেশে প্রচার করে তারা। এ সময়ের মধ্যে আমাকে যে রুমে রেখেছিল, সেই রুমের বর্ণনাসহ নানা বিষয় আমি গুম কমিশনের কাছে বলেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
সারাদেশে বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ।
আজ ২৯ মে বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার পর থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে। এবার ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
তৃতীয় ধাপে বিজয়ী যারা:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি ৮২ হাজার ৮১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম তুষার পেয়েছেন দুই হাজার ১৬২।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য জিয়াউল করিম খাঁন সাজু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৪০ ভোট।
বগুড়া: জেলার তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারিভাবে বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুভাশিষ পোদ্দার লিটন (আনারস), শাজাহানপুরে পুনরায় প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু (মোটরসাইকেল) ও শিবগঞ্জে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন।
সদরের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক (ঘোড়া), শাজাহানপুরে সাজেদুর রহমান শাহীন (ঘোড়া) ও ফিরোজ আহমেদ রিজু (মোটরসাইকেল) ছিলেন।
বুধবার রাত ৮টায় তৃতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা অতিরিক্ত নির্বাচন কমকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদ সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জ: জেলার তাড়াইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শাহিন।
তিনি পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৭২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লাকী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৬৩৫ ভোট।
সাতক্ষীরা: জেলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান বাবু বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের এসএম শওকত হোসেন পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪২ ভোট।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষে রাত পৌনে ৮টায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. মেহেদী হাসান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৫ জুন হবে চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
বগুড়া প্রতিনিধি :
আসন্ন ঈদ-ঊল-ফিতরকে সামনে রেখে এখন থেকেই বগুড়ার মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সব বয়সের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন শহরের বিভিন্ন মার্কেটে। যার যার পছন্দ অনুযায়ী কাপড় কিনছেন তারা। এবার নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ‘নায়রা’।
ঈদে উচ্চবিত্তরা ছুটছেন জলেশ্বরীতলার শোরুমগুলোতে, মধ্যবিত্তরা নিউমার্কেট ও নবাববাড়ীতে আর স্বল্প আয়ের ক্রেতারা ছুটছেন হকার্স মার্কেটে। এছাড়া জুতার দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
জানা যায়, জামা কাপড়ের মধ্যে এবার নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ‘নায়রা’। দেশি এবং ভারতের প্রতি পিস নায়রা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ১২ হাজার পর্যন্ত। এছাড়াও দেশিয় কাপড়ের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের হরেক নামে বিক্রি হচ্ছে বাহারি পোশাক। শহরের সব মার্কেটেই বিক্রি করা হচ্ছে নায়রা। নিউ মার্কেটের দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে বাহারি রকমের শাড়ি। জলেশ্বরীতলা অভিজাত বিপনীতে বিক্রি হচ্ছে ছেলেদের পাঞ্চাবী, প্যান্ট-শার্ট, টি শার্ট, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এখন থেকেই বগুড়ার মার্কেটগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এজন্য শপিং মল এবং মার্কেটগুলো আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়েছে। শপিং মলসহ শহরের কোথাও যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য জেলা পুলিশ এখন থেকেই ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা প্রদান করা শুরু করেছে।
বগুড়া শহরের নিউ মার্কেট, জলেশ্বরীতলা, রানার প্লাজা, পুলিশ প্লাজা, আলতাফ আলী মার্কেট, আলামিন কমপ্লেক্স, হকার্স মার্কেট ও অস্থায়ী হকার্স মার্কেটগুলোতে শুরু হয়েছে ঈদের কেনা কাটা। এখন থেকেই ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাপড় বিক্রেতা থেকে শুরু করে কসমেটিকস্ দোকান গুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
শুধু যে শপিং মল এবং মার্কেটগুলোতেই ক্রেতাদের ভীড় তা নয়। ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে শহরের ফুটপাতের দোকান গুলোতেও। মধ্যেবর্তী শ্রেণীর লোকেদের উপচে পড়া ভিড় এখানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখানে বাচ্চাদের ও বড়দের কাপড়-চোপড় ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে। দামে সস্তা হওয়ায় ফুটপাত গুলোতেও ক্রেতাদের বেশি ভিড়।
অপর দিকে সস্তা মার্কেট হিসেবে পরিচিত হকার্স মার্কেট। এখানে অনেকটা সস্তায় কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। এই মার্কেটে সস্তায় থাই, চাইনিজ বা দেশীয় কাপড় পাওয়া বিক্রি হচ্ছে। আর সে জন্য ধনী-গরীব সকলেই এইসব মার্কেটে ভিড় জমাচ্ছেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের আয়োজনে শহরের শহীদ খোকন পার্কে অস্থায়ী হকার্স মার্কেট বসানো হয়েছে। সেখানেও ঈদের কেনা-কাটা চলছে।
শহরের রানা প্লাজার ব্যবসায়ী সিহাব মন্টি জানান জামাকাপড়ের মধ্যে এবার নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে নায়রা। এছাড়াও রয়েছে লেহেঙ্গা, থ্রি-পিচ, টপস, ওয়ান পিচসহ দেশী ও ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের পোশাক। দেশি ও এবং ভারতীয় প্রতি পিচ নায়রা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ১২ হাজার পর্যন্ত। বেচা-কেনা বেড়েছে। আশা করছি দু একদিনের মধ্যে বিক্রি আরো বেড়ে যাবে। ক্রেতারা তাদের সাধ্য অনুযায়ী ঈদের কেনাকাটা করছেন।
ঈদের পেশাক কিনতে আসা শিউলী আক্তার জানান আমার এবং আমার পরিবারের জন্য একটু আগেই পোশাক কিনতে এসেছি। বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ঘুরে পোশাক কিনছি। এবারে ঈদের পোশাকের দাম একটু বেশি। তবে সাধ্যের মধ্যে পছন্দ অনুযায়ী কেনাকাটা করছি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) স্নিগ্ধ আখতার জানান, শপিং মলসহ শহরের কোথাও যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য জেলা পুলিশ এখন থেকেই ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা প্রদান করা শুরু করেছে। জেলা শহরসহ জেলার ১২টি উপজেলার জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করতে পারেন সেজন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বগুড়া শহরের সাতমাথা, থানা মোড়, সেলিম হোটেলের সামনে, জলেশ্বরীতলা, চেলোপাড়া, নিউ মার্কেট, রানা প্লাজা, নবাববাড়ী সড়ক এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও লিচুতলা থেকে মাটিডালি পর্যন্ত ঈদে সাধারণ মানুষ যেন সহজেই ঘরে ফিরতে পারে সেজন্য নিরাপত্তাসহ যানজট নিরসনে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ কাজ করে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মাদক বিরোধী পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১৮ কেজি গাঁজাসহ ৩ পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর গ্রামের আওলাদ হোসেন (৪৫), কাজী আকিব (২৫) ও উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের ইসহাক ভূইয়া (২৫)।
আখাউড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, থানার এসআই মশিউর রহমান খানের নেতৃত্বে একটি দল রোববার ভোরে রাধানগর গ্রামের আওলাদ হোসেনের বসত ঘর হতে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। আওলাদ হোসেন ও কাজী আকিবকে আটক করে।
অপরদিকে এস. আই মোবারক আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সকাল ৯টার দিকে আখাউড়া-গাজীরবাজার সড়ক হতে ইসহাক ভূইয়াকে ৮ কেজি গাজাসহ আটক করে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় নিয়মিত মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ ২২ অক্টোবর ৃরবিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।