হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাস্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রুকলীনের ওজন পার্কের কোম্পানীগন্জ সমিতির ভবনে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে এবং কবির হোসেন কবিরের সঞ্চালনায় ‘চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ এর আলোচনা সভায় প্রধান উপস্থিত ছিলেন জেএসএফ”র সংগঠক আনোয়ার হোসেন লিটন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মাঈন উদ্দিন নটু, নুর আলম সেলিম, তাজুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম সুমন। প্রধান বক্তা ছিলেন শরিফ হোসেন নিরব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও চাটখিল পৌরসভার ব্যাক্তিবর্গ র মাঝে হুমায়ন বাংগালী,শওকত আকবর, সরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মাহমুদুল মুরাদ, শিহাব বিন ওয়াছেক,আসিফ মাহবুব,শামছুর রহমান, রাজিব হোসেন, শাহরিয়ার হিমেল, মো: মহসিন, নুরুল হুদা পিন্টু, মাহবুব আলম, আবদুর রহিম,নুর জালাল,ইসমাইল হোসেন পলাশ, নুর হোসেন মিঠু,মো নাঈম,আব্দুল কুদ্দুস বাবু,আল আমিন,সন্জয় শীল,সবুজ হোসেন,আবদুর রহমান,ওমর ফারুক শরীফ,আরিফ হোসেন,আমিন উল্লাহ,আবু বক্কার সিদ্দিক,ইব্রাহিম খলিল,নুর হোসাইন,সজীব আহমেদ,লিটন চৌধুরী,শামীম হোসেন,কিরন,মো জাবেদ,রবিউল হাসান সৈকত,বাদশা ফাহাদ,মোহাম্মাদ কাকন,সজীব,মিশু,রিয়াদ হোসেন,রফিকুল ইসলাম,ইয়াছিন আরাফাত রাফি,জহিরুল ইসলাম সোহাগ, মো জামসেদ মজুমদার,হাছান আহম্মেদ, মোহাম্মদ রবিন,মোহাম্মদ ইয়াছিন,রমযান আলি রাশেদ,রবিউল হোসেন রাসেল, ফাহাদ, আমিন উল্যাহ সহ চাটখিলের বিভিন্ন এলাকার ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সকলের আলোচনায় অতিশীগ্রই চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
এবং সোসাইটির আদর্শ উদ্দেশ্য গঠনতন্ত্র ও সংবিধান তৈরী করার জোর দাবী করা হয়। আপ্যায়ন শেষে হুমায়ন কবিরের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জেএসডি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য কানাডা প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার স্ত্রী নাসিমা আক্তার ইলিয়াস দূরারোগ্য ব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কানাডার টরোণ্টো একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
প্রিয় এ নেতার স্ত্রীর সুস্থতা কামনায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষ থেকে নিউইয়র্কের ব্রূকলিনে হযরত বেলাল মসজিদে গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ জুম্মা বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
দোয়ায় উপস্থিত ছিলেন জে এস ডি’র স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
দলের নেতৃবৃন্দ নাসিমা আক্তার ইলিয়াস এর সার্বিক সুস্থতা কামনায় দেশে এবং প্রবাসে সকলের প্রতি বিশেষ অনুরোধ রাখেন।
এছাড়াও নাসিমা আক্তার ইলিয়াসের দূত আরোগ্য কামনা করছেন আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্সের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও আমেরিকান প্রেসক্লাব অব বাংলাদেশ অরিজিন-এর সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হেলাল মাহমুদ,রাজনীতিবিদ ও সংগঠক শামসুদ্দিন আহমেদ শামীম, জেএসএফ”র সংগঠক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন, কবি এবিএম সালেহ উদ্দিন, রাজনীতিবিদ মাহবুবুর রহমান মাহবুব, ওসমান গণি, বিশ্বজিত সাহা, সুহাস বড়ুয়া হাসু,হুমায়ুন আহমেদ চৌধুরী, আরিফুর রহমান আরিফ, ফিরোজ আহমেদ কল্লোল, ফিরোজ মাহমুদ, দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, নুরে আলম জিকু প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
গ্রিসের নবনিযুক্ত মাইগ্রেশন ও আশ্রয় বিষয়ক মন্ত্রী থানোস প্লেভরিস সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এথেন্সে মন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা গ্রিক মন্ত্রী থানোস প্লেভরিসকে তার নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সফলতার কামনা জানান।
বৈঠকে গ্রিসের নতুন অভিবাসন নীতিমালা, বাংলাদেশি অভিবাসীদের সুযোগ-সুবিধা এবং অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের কর্মীদের গ্রিসের কৃষি ও অন্যান্য খাতে অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা গ্রিসের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
মন্ত্রী থানোস প্লেভরিস বাংলাদেশি কমিউনিটির নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশি কর্মীরা গ্রিসের বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
দুই দেশের মধ্যে অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় পারস্পরিক সহযোগিতা আরো জোরদার করতে উভয়পক্ষ সম্মত হন। অভিবাসী শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করার বিষয়ে তারা একমত হন।
অনলাইন ডেস্ক :
সাউথ আফ্রিকাতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফেনীর দাগনভুইয়ার করমউল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রী স্টেট প্রভিন্সের ভেপেনার শহরের নিজ মালিকীয় দোকানে কালো সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করে চলে যায়।
দীর্ঘ একযুগ পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকাতে রয়েছেন কামরুল ইসলাম। কিছু দিনের মধ্যে বাড়ি আসবেন, বিয়ে সাদি করার প্রস্তুতি চলছে পারিবারিক ভাবে। কামরুল ইসলাম এর পিতার নাম মৃত আব্দুল মান্নান। তার একভাই জামাল উদ্দিন,কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করেন। তিন বোন বিবাহিত। মা ঘরে জামালের বউ নিয়ে থাকেন পশ্চিম করমউল্লাপুর গ্রামে ওজি উল্লা হাফেজ বাড়িতে।
কামরুল ইসলামের মরদেহ দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান স্হানীয় সমাজ কমিটির সভাপতি একরামুল হক। বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। এলাকায় বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ, বৈশাখী মেলা এবং সাংস্কৃতিক উৎসব। আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন ফিরে পেলেন এক টুকরো বাংলাদেশ। ১৯ এপ্রিল শনিবার আবুধাবি শেখ জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামি স্কুলের প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে বাঙালিয়ানায় মোড়া উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তারেক আহমেদ ও তার সহধর্মিণী। শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে তারাই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
দেশীয় পোশাকে সজ্জিত নারী-পুরুষ, শিশুরা অংশ নেয় বিভিন্ন আয়োজনে। মেলায় ছিল ১৬টি রকমারি পণ্যের স্টল, যেখানে পাওয়া যায় পান্তা-ইলিশ, চিতই পিঠা, নকশি পিঠা, সিঙ্গারা, সমুচা, ঝালমুড়ি, জিলাপি, রসমালাইসহ নানা রকম মুখরোচক বাঙালি খাবার।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় একক ও সমবেত গান, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, নৃত্য এবং শিশু-কিশোরদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। অংশগ্রহণ করেন দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, প্রবাসী শিশু-কিশোর, বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা।
প্রবাসজীবনের একঘেয়েমি ভুলিয়ে আবুধাবিতে এমন একটি আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মধ্যে দেশীয় সংস্কৃতির সৌন্দর্য ভাগাভাগি করে নেন। এই আয়োজন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে দেশপ্রেম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বন্ধন আরো দৃঢ় করে তোলে বলে আয়োজকেরা মনে করেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জর্জিয়া স্টেট সিনেটর হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাবিলা ইসলাম। গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জর্জিয়ার ৭ম সিনেট জেলা থেকে তিনি নির্বাচিত হন। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নাবিলা তার স্বামী পার্কেস এবং নবজাতক ছেলে আহসানকে সঙ্গে নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিশু ও পরিবার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এবং প্রাক্তন সেনা, সামরিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক সিনেট কমিটিগুলিতে মনোনীত হয়েছেন।
সিনেটর নাবিলা ইসলাম সম্প্রতি জর্জিয়া উইমেনস লেজিসলেটিভ ককাসের সহ-চেয়ার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নাবিলা ইসলাম একজন উদীয়মান নেত্রী এবং সমাজসেবী। তিনি জর্জিয়ার ডুলুথ একজন বাসিন্দা এবং একজন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, যিনি তার কর্মজীবন ও পারিবারিক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কমিউনিটির সেবা প্রদান করছেন।
নাবিলা ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী পরিবারে। তার বাবা-মা একটি উন্নত জীবন গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। নাবিলা জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন।
নাবিলা ইসলাম ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো জর্জিয়া রাজ্যের ৭ম সিনেট জেলা থেকে নির্বাচিত হন। তিনি অত্যন্ত প্রতিভাবান, দক্ষ এবং জনগণের সমস্যাগুলোর প্রতি আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছেন। তার পিতামাতার অভিবাসী জীবন থেকে তার অনুপ্রেরণা আসে, এবং তিনি সবসময় তার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করেন কমিউনিটির উন্নতির জন্য।
শপথ গ্রহণের পর সিনেটর নাবিলা ইসলাম বলেন, একজন শ্রমজীবী অভিবাসীর কন্যা হিসেবে, আমি সবসময় আমাদের বৈচিত্রময় সম্প্রদায়গুলিকে উজ্জীবিত করতে আমার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করব। তিনি বলেন, একজন নতুন মা হিসেবে, আমি বুঝতে পারি যে জর্জিয়ার পরিবারগুলো কী ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আমি প্রস্তুত, যতটুকু সম্ভব, জর্জিয়াকে এমন একটি স্থানে পরিণত করতে যেখানে পরিবারগুলো সফল হতে পারে এবং শিশুরা উন্নতি করতে পারে।