চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের উদ্ভোধনী খেলায় আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া টসে হেরে ১ম ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৭৬ রানের বিশাল স্কোর সংগ্রহ করে মুলত অধিনায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ১৩৭ রান ৯৫ বলে ২০ চার ২ ছক্কায় উদ্বোধনী আর এক ব্যাটার সৈয়দ নুর মোহাম্মদ নোহান এর ব্যাট হতে আসে ১৫৭ বলে অপরাজিত ১১৮ রানের ইনিংস ১০ চারের সাহায্যে। তপু দত্ত ৩৮ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় করেন ৫০ রান।
বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে বান্দরবান ৩৬.৩ ওভারে ৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ব্যাটিং এর সময় ডেঞ্জার জোনে বার বার ব্যাটার রা ঢুকে পড়ায় দুই আম্পায়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিপক্ষে ৫ রান পেনাল্টি দেয় এইজন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৮৭ রানে জয়লাভ করে। বোলিংয়ে অধিনায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ৩টি আতিকুল ও তোফাজ্জল ইসলাম সুজন ২ টি করে উইকেট পায়।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি একই ভেন্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাদের ২য় ম্যাচ চাঁদপুর জেলার বিপক্ষে অংশগ্রহণ করবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দলের সদস্যগণ হলেন মো: ইশতিয়াক আহমেদ ভুইয়া (অধিনায়ক), ইশান বনিক, তপু দত্ত, শেখ সিহাব আহমেদ, মো: মাহিম চৌধুরী, রাশিদ শাবাব চৌধুরী, নুর আলম রাফি, মো: আশরাফুল ইসলাম মাহিন, সৈয়দ নুর মোহাম্মদ নোহান, মো: মেহেদী হাসান, তোফাজ্জল ইসলাম সুজন, সাকিব আল জামান আনন্দ, দীপু সুত্রধর ও মো: আতিকুল ইসলাম, কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, সহকারী কোচ শামীম ভূঁইয়া, ম্যানেজার মো: আজিম।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-প্রকল্পের আওতায় ঘর। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১০৫ টি পরিবার, আখাউড়া উপজেলায় ৮ টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১০০ টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১২৬ টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৪৯ টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার ও নাসিরনগর উপজেলায় ২৫৪টি পরিবার।
আজ ২০ মার্চ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম এই তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, মুজিব বর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২-প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেনীর ভূমিহীন (যাদের জমি নেই, ঘরও নেই) তাদের পুর্নবাসনের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চতুর্থ ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাবেন ঘর।
আগামী ২২ মার্চ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘর হস্তান্তর উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬৬২টি পরিবারকে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হবে। তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জিত হওয়ায় ওইদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি উপজেলাকে “ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। “ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে বিজয়নগর উপজেলা, নাসিরনগর উপজেলা, সরাইল উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, আশুগঞ্জ উপজেলা ও আখাউড়া উপজেলা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আরো বলেন, ইতিমধ্যেই ঘরগুলোর নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। ২ শতাংশ খাস জমিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শত টাকা। সব গুলো ঘর একই নকশায় তৈরী করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ওইঘর গুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই সুবিধাভোগী ভূমি ও গৃহহীনদের নামে ভূমির দলিল রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সামনে খোলা মাঠ রয়েছে। নির্মানকৃত প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম আরো বলেন, বাংলাদেশে ভূমিহীনদের পূর্নবাসনের ক্ষেত্রে এটি একটি বিপ্লব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদেশে কেউ গৃহহীন থাকবেন না। একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারি কমিশনার গোলাম মুস্তফা মুন্না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ, জেলা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিকের সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
১০৭ রানের লক্ষ্য পাড়ি দেওয়া খুব একটা কঠিন নয়। তবে শেষ দিনের প্রথম ঘণ্টায় কিউইদের জন্য আতঙ্কের নাম ছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। মেঘলা কন্ডিশনে দারুণ বোলিং উপহার দেন তিনি। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জয়ের কাজটাও সহজ হতে থাকে নিউজিল্যান্ডের।
১৯৮৮ সালের পর এই প্রথম ভারতের মাটিতে টেস্ট জিতল নিউজিল্যান্ড। হলো ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান। আর তাতে মূল্যহীন হয়ে গেল সরফরাজ খান ও ঋষভ পন্থের লড়াই। ঢাকা গেল না ৪৬ রানে অলআউটের লজ্জা। শেষ পর্যন্ত রোহিতদের ৮ উইকেটে হারাল নিউজিল্যান্ড। এর আগে ২০০৪ সালে ওয়াংখেড়েতে রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়াকে ১০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েও ১৩ রানে হারিয়ে দিয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ের ভারত। সাবেক কোচের সেই কীর্তি ছুঁতে পারলেন না রোহিত-কোহলিরা। এবার ২০ বছর আগের ইতিহাস ফেরাতে পারলেন না তারা।
নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্টে ৮ উইকেটে হেরে গেল ভারত। টেস্টের শেষ দিন জয়ের জন্য টম লাথামদের দরকার ছিল ১০৭ রান। রোহিতদের প্রয়োজন ছিল ১০ উইকেট। ২ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় ১১০ রান তুলে নিলেন কিউইরা।
প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অলআউট হয়ে পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছিল ভারত। রোহিত স্বীকার করে নিয়েছিলেন উইকেট বুঝতে তার ভুল হয়েছিল। সেই ভুলের মাসুল দিল ভারতীয় দল। নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্ট হেরে গেলেন রোহিতরা। ৩৬ বছর পর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্ট হারল ভারত।
শনিবার ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ৪৬২ রানে শেষ হওয়ার পর শেষ দিন জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১০৭ রান। দিনের দ্বিতীয় বলেই সফরকারী দলের অধিনায়ক টম লাথামকে (শূন্য) আউট করেন যাসপ্রিত বুমরাহ। দিনের শুরুতে উইকেট পেয়েও চাপ ধরে রাখতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। নিউজিল্যান্ডের অপর ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং তিন নম্বরে নামা উইল ইয়াং সাবলীলভাবে এগিয়ে নিয়ে যান দলের ইনিংস। ইনিংসের ১৩তম ওভারে কনওয়েকে (১৭) আউট করে প্রতিপক্ষ শিবিরে আবার আঘাত হানেন বুমরাহ। তাতেও লাভ হয়নি। রাচিন রবীন্দ্র জুটি বাঁধেন ইয়ংয়ের সঙ্গে। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তারা দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। সাবলীলভাবে দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তারা।
মোহাম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেননি। তবু কিছুটা বিস্ময়করভাবে দলের দুই প্রধান স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদীপ যাদবকে প্রথম দেড় ঘণ্টায় আক্রমণেই আনলেন না রোহিত। স্পিনের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের প্রায় সব ব্যাটারেরই দুর্বলতা রয়েছে। তাও রোহিত কুলদীপকে প্রথম আক্রমণে আনেন ইনিংসের ১৯তম ওভারে। ততক্ষণে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ২২ গজের সঙ্গে মানিয়ে নেন ইয়ং ও রাচিন। ফলে কুলদীপও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে সিরিচের প্রথম টেস্টে দলকে জেতালেন দুই কিউই ব্যাটার। রাচিন ব্যাট করলেন ওয়ানডে মেজাজে। নিউজিল্যান্ড যখন জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে, তখন অশ্বিনকে প্রথমবার আক্রমণে আনলেন রোহিত।
শেষ পর্যন্ত ইয়ং ৪৮ ও রাচিন ৩৯ রানে অপরাজিত থাকলেন। ভারতের পক্ষে উইকেট পেলেন শুধু বুমরাহ। তিনি ২৯ রান খরচ করে ২ উইকেট নিলেন। প্রথম টেস্ট হেরে তিন টেস্টের সিরিজ়ে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল ভারত।
স্পোর্টস ডেস্ক :
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল: প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজে লিড নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সিরিজ বাঁচাতে আজকের ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিলো না বাংলাদেশের। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টাইগ্রেসরা ৪ উইকেটের হারিয়েছে লঙ্কান মেয়েদের ।
সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ৪ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম দুই বলে সাজঘরে ফেরেন মোসাম্মত ঈভা ও সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা। শুরুর চাপ সামলে তৃতীয় উইকেটে ৫২ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন সাদিয়া ও ফাহমিদা। ২৮ বলে ২৪ রান করে সাদিয়া ফিরলে ভাঙে সেই জুটি।
এরপর অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তারের সাথে ৩১ বলে ৩৩ রান যোগ করেন ফাহমিদা। পরে রান আউট হয়ে ফেরেন ফাহমিদা। ৪২ বলের ইনিংসে ৪টি চার মারেন তিনি। সুমাইয়ার ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। শেষ দিকে ৩ চারে ১৮ বলে ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করেন আফিয়া।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। শেষদিকে হিরুনি হানসিকা ও শাশিনি গিমহানির ২১ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়লে কোনোরকমে একশ পার হয় লঙ্কানদের রান। হানসিকা ১৯ বলে ২৪ ও গিমহানি ৭ বলে ১৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।
চার ম্যাচ সিরিজে এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এগিয়ে আছে লঙ্কানরা। একই মাঠে বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। এই সিরিজ শেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে শনিবার শ্রীলঙ্কা থেকেই বাংলাদেশ দল মালয়েশিয়া যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুব এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে। আজিজুল হাকিম তামিমের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে হেসেখেলে জিতেছে টাইগার যুবারা। এই জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা।
আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে নেপালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫.৪ ওভারে ১৪১ রানে অলআউট হয় নেপাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে আকাশ ত্রিপাঠীর ব্যাট থেকে। এছাড়া, উত্তম মাগার ৬৯ বলে ২৯ রান করেন। আর ৩৫ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন অভিষেক তিওয়ারি। এই তিনজন বাদে দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি কেউ।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট ঝুলিতে তোলেন আল ফাহাদ, ইকবাল হোসেন ইমন ও রিজান হোসেন। এছাড়া, একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান রাফি, সাদ ইসলাম ও আজিজুল হাকিম।
জবাব দিতে নেমে জাওয়াদ আবরারের ব্যাটে ভর করে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দারুণ এক অর্ধশতক তুলে নেন আবরার। দলীয় ৯১ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরার আগে ৬৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর কিছুটা ধীরে এগোলেও সময়ের সাথে সাথে আগ্রাসী হন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ছুঁয়ে ফেলেন অর্ধশতক। দলকেও নিয়ে যান জয়ের খুব কাছে।
শেষ দিকে দ্রুত দুই উইকেট হারালেও তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তামিমের ব্যাটে চড়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশ। ১২৮ বল হাতে রেখে পাঁচ উইকেটের জয় পায় টাইগার যুবারা। ব্যক্তিগত ইনিংসে ৭১ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তামিম। বল হাতে নেপালের হয়ে চার উইকেট নেন যুবরাজ খত্রি।
আগামী মঙ্গলবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশের যুবারা।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।