অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর আল হিলালের হয়ে শেষ গোল করেছিলেন নেইমার। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে এটাই এতো দিন ছিল তাঁর সবশেষ কোনো গোল। সৌদি ক্লাবের হয়ে গোলের পর কেটে গেছে প্রায় দেড় বছর। অবশেষে গোলের অপেক্ষা ফুরোল নেইমারের।
অ্যাগুয়া সান্তার বিপক্ষে ক্যাম্পেওনাতো পাউলিস্তা টুর্ণামেন্টে আজ বাংলাদেশ সময় সকালে খেলেছে সান্তোস। ভিলো বেলমিরো স্টেডিয়ামে ১২ মিনিটে বক্সের ভেতর ড্রিবল করে ঢুকতে গিয়ে ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে ১৪ মিনিটে স্পটকিক থেকে গোল আদায় করে নেন ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড। এই গোলে তাঁর ফুরিয়েছে ৫০২ দিনের অপেক্ষা। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের গোলখরা কাটানোর দিনে জিতেছে তাঁর দলও। অ্যাগুয়া সান্তাকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সান্তোস। ২৬ ও ৭০ মিনিটে থাচিয়ানো ও গিলার্মে করেছেন সান্তোসের অপর দুই গোল। অ্যাগুয়া সান্তার একমাত্র গোল ৪৩ মিনিটে করেন নেতিনহো।
ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বোচ্চ ৭৯ গোলের রেকর্ড নেইমারের। তাঁরই কি না গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫০০ দিনেরও বেশি। তাতে অবশ্য ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডের দায় কম। কারণ, তাঁর চেয়ে সময়টা কেটেছে চোটের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে। এমন অবস্থায় আল হিলাল এ বছরের জানুয়ারিতে চুক্তি বাতিল করেছিল। সৌদির এই ক্লাবে ২০২৩ সালে পিএসজি ছেড়ে দুই বছরের চুক্তিতে গিয়েছিলেন। বার্ষিক ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের চুক্তি করা হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১২৭৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। তবে সৌদি ক্লাবে সব মিলে খেলতে পেরেছিলেন ৭ ম্যাচ।
আল হিলালের সাথে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর নেইমার ফেরেন তাঁর শৈশবের ক্লাব সান্তোসে। ১২ বছর পর ব্রাজিলের ক্লাবটিতে ফিরলেও জয় পাচ্ছিলেন না কিছুতেই। সান্তোসে ফেরার পর নেইমারের প্রথম তিন ম্যাচের দুটিই ড্র হয়েছে। একটিতে হেরেছে সান্তোস। অবশেষে আজ তাঁর গোলখরা কাটানোর দিনে জিতলো সান্তোস। জয়ের পর নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে অ্যাগুয়া সান্তার বিপক্ষে জয়ের কিছু মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেছেন ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড।
অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসের গ্র্যান্ড ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে দ. আফ্রিকা। টেস্টের চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য ৬৯ রান প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের, হাতে ছিল ৮ উইকেট। এদিন প্রথম সেশনের মধ্যে তিন উইকেট খোয়ালেও জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়নি তাদের। ২ উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা আর ৪ রান যোগ হতে-ই হারায় অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার উইকেট। কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তার ব্যাটে এসেছে ৬৬ রান। পাঁচে নেমে ট্রিস্টান স্টাবস (৮) কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্টাম্প খুইয়েছেন মিচেল স্টার্কের বলে।
তবে সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার এইডেন মার্করাম এদিনও স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলেছেন। দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে ১৩৬ রানে থেমেছেন তিনি। কাইল ভেরেইনকে (৪*) সাথে বাকি কাজটা সেরেছেন ডেভিড বেডিংহ্যাম (২১*)।
এর মধ্য দিয়ে ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর প্রথম কোনো আইসিসি শিরোপা জয় করল দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রীড়া জগতে জুজু কাটানোর বছরে শিরোপাখরা কাটাল ক্রিকেটের চোকার্সরা।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে টস জিতে অজিদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দলটির দুই পেসার কাগিসো রাবাদা এবং মার্কো ইয়ানসেনের আগুনে বোলিংয়ে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি প্যাট কামিন্সের দল। ব্যু ওয়েবস্টার (৭২) এবং স্টিভ স্মিথের (৬৬) জোড়া ফিফটির পরও তাদের ২১২ রানেই থামতে হয়।
রাবাদা ৫ এবং ইয়ানসেন ৩ উইকেট নিয়ে অজি ব্যাটিং লাইনআপের কোমর ভেঙে দেন।
জবাবে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর দিয়ে রোলার কোস্টার চালিয়ে দেন অজি অধিনায়ক কামিন্স। ২৮ রানে ৬ উইকেট শিকার করে প্রোটিয়াদের দিনের বেলায় দুঃস্বপ্ন দেখান তিনি। তার বোলিং তাণ্ডবে ১৩৮ রানেই থামে বাভুমার দল।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও রাবাদার গতি আর সুইংয়ের সামনে অসহায়ত্ব ফুটে ওঠে অজি ব্যাটারদের। লেজের সারির ব্যাটার স্টার্কের হার না মানা ৫৮ এবং উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির ৪৩ রানের ইনিংস দুটিতে চড়ে ২০৭ রান পর্যন্ত পৌঁছায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
এতে শিরোপা জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮২ রান। শেষ পর্যন্ত মার্করামের সেঞ্চুরি এবং বাভুমার ফিফটিতে সহজেই সে লক্ষ্য তাড়া করতে সক্ষম হয়েছে দলটি। আর তাতে একবিংশ শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি শিরোপা উঁচিয়ে ধরার গৌরব সঙ্গী হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া: 212 & 207
দক্ষিণ আফ্রিকা : 138 & 282/5
অনলাইন ডেস্ক :
ভারত সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সেখানে রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আসন্ন এই সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
কদিন আগেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। ম্যান ইন গ্রিনদের তাদেরই ঘরের মাঠে ধবলধোলাই করে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। ঐতিহাসিক এই জয়ের পর এবার টাইগারদের সামনে ভারতের চ্যালেঞ্জ। আসন্ন এই সিরিজকে সামনে রেখে ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
ঘোষিত ১৬ সদস্যের দলে অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া সাদা পোশাকের প্রথমবারের মত ডাক পেয়েছেন জাকের আলী অনিক।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের একাদশে ছিলেন শরিফুল ইসলাম। তবে চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্ট খেলেননি তিনি। এবার ভারত সিরিজের স্কোয়াডেও নেই এই টাইগার পেসার। এদিকে চোটের কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা হয়নি ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের। তবে রোহিতদের বিপক্ষে সিরিজের স্কোয়াডে আছেন তিনি।
এছাড়া ভারত সিরিজের দলে আরও আছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, নাঈম হাসানরা। দলে পেসার হিসেবে তাসকিনের সঙ্গে থাকছেন হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও খালেদ আহমেদ।
উল্লেখ্য, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে চেন্নাইয়ে। এরপর দ্বিতীয় টেস্টে ২৭ সেপ্টেম্বর কানপুরে মুখোমুখি হবে দুই দল।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াড-
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, নাহিদ রানা, জাকের আলি অনিক, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
অনলাইন ডেস্ক :
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৫ রানে জয় পেল বাংলাদেশ। টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচে সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহামের দায়িত্বশীল বোলিংয়ে ১৪৩ রান করেও জয় পেল বাংলাদেশ।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশের পথে জিম্বাবুয়ে।
আজ ১০ মে শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হের আগে ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০১ রান করা বাংলাদেশ, এরপর মাত্র ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৯.৫ ওভারে অলআউট হয়। ক্রিকেট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। অথচ এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাঠেই নাস্তানাবুদ অবস্থা টাইগারদের।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-িটোয়েন্টিতে টস জিতে স্বাগতিকদের প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে।
আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তারা ১১.২ ওভারে ১০১ রানের উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ।
১১.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১০১ রান। খেলার যখন এমন অবস্থা তখন ধারণা করা হয়েছিল স্কোর হয়তো ২০০ ছাড়িয়ে যাবে।
কিন্ত এরপর চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে মাত্র ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
ইনিংসের শুরুতে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটিং দেখে যারা মুগ্ধ হয়েছিলেন তাদের হতাশ করেছেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, তারকা ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়রা।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের আগে ৩৭ বলে ৭টি চার আর এক ছক্কায় ৫২ রান করে ফেরেন তানজিদ। ইনজুরি থেকে ফিরে ৩৪ বলে তিন চার আর দুই ছক্কায় ৪১ রান করে ফেরেন সৌম্য সরকার।
এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন তাওহিদ হৃদয় (১২), সাকিব আল হাসান (১০), অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (২), জাকির আলি অনিক (৬), তাসকিন আহমেদ (০), রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানরা।
আজ তানজিদ হাসান তামিম ক্যারিয়ারের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষেকে ৪৭ বলে ৮টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৬৭ রান করেন। টি-টোয়েন্টিতে সেটাই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
এরপর দুই ম্যাচে ১৮ ও ২১ রানে আউট হন। আজ চতুর্থ ম্যাচে ৩৭ বলে ৫২ রান করে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম।
প্রথম তিন ম্যাচ জয়ে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচে জিতে আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফুরফুরে মেজাজে থাকতে চায় টাইগাররা।
১২০ বলে ১৪৪ রানের মাঝারি স্কোর তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়। শূন্য রানেই ওপেনার ব্রান ব্যানেটকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ৩.৫ ওভারে দলীয় ২৮ রানে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন তাসকিন।
এরপর দলীয় ৩২ ও ৫৭ রানে জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান ও রিশাদ হোসেন। ৫৭ রানে ৪ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেছেন রায়ান বুল। তাকে সঙ্গ দেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। এই জুটিতে তারা ৩০ বলে ৩৫ রান করেন। তাদের ব্যাটেই জয় দেখেছিল জিম্বাবুয়ে।
১৫তম ওভারে ব্যাক টু ব্যাক ২ উইকেট তুলে নিয়ে দলে স্বস্তি ফেরান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে সাকিব মার্ক চ্যাপম্যানের উইকেট তুলে নিলে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
জয়ের জন্য ১৮ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। তানজিদ হাসান সাকিব ১৮তম ওভারে খরচ করেন মাত্র ৬ রান। এরপর ১২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২১ রান। মোস্তাফিজ ১৯তম ওভারে মাত্র ৭ রানে এক উইকেট শিকার করেন।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২ উইকেট আর জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল আর দ্বিতীয় বলে ডট দেন সাকিব। তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান ব্লেসিং মুজারাবানি।
জয়ের জন্য শেষ ৩ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৭ রান। চতুর্থ বলে সাকিব ওয়াইড দিলে স্ট্যাম্পিং হন মুজারাবানি। পঞ্চম বলে রিচার্ড নাগরাভাকে বোল্ড করেন সাকিব। তখন জয়ের উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগাং কিংসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালে উঠলো ফরচুন বরিশাল। ১৪৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১৭.২ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তামিম ইকবালের দল। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ ওভার ৩ বলে দলীয় ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারায় চিটাগাং। কাইল মায়ার্সের করা ইনিংসের প্রথম বলে ৪ মারার পর দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হন পাকিস্তানি ব্যাটার খাওয়াজা নাফে। তৃতীয় ওভারে গ্রাহাম ক্লার্ককেও ফেরান মায়ার্স। চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ আলীর শিকার হয়ে আউট হন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন। ক্রিজে থিতু হতে পারেননি হায়দার আলীও। ৭ রান করে ফেরেন ইবাদত হোসেনের বলে।
শুরুর সেই বিপর্যয়ের পর দ্রুতই হাল ধরেন পারভেজ হোসেন ইমন ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। পঞ্চম উইকেটে ৪৮ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা। চতুর্দশ ওভারে রিশাদ হোসেনের শিকার হয়ে ইমন ফিরলে ভাঙে সে জুটি। ৩৬ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়েছেন ইমন।
ইমনের বিদায়ের পর একাই লড়াই করেছেন শামীম। দলীয় ১৪৪ রানে মোহাম্মদ আলীর বলে রিভার্স স্কুপ করতে গিয়ে ইবাদত হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। প্যাভিলিয়নে ফেরত যাওয়ার আগে ৪ ছক্কা ও ৯ চারে ৪৭ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে গেছেন তিনি। চিটাগাং কিংসের হয়ে এদিন ৫ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আলী। এর চারটি উইকেট নিয়েছেন ১৯তম ওভারে। দুই উইকেট পেয়েছেন কাইল মায়ার্স। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ইবাদত হোসেন ও রিশাদ হোসেন।
জবাবে খেলতে নেমে ভালোভাবেই শুরু করে বরিশাল। দলীয় ৫৫ রানে তামিমের উইকেটের পতন হয়। তিনি ২৯ রানে আউট হন। পরে বাকি পথ ডেভিড মালানকে নিয়ে পারি দেন আরেক ওপেনার তাওহীদ হৃদয়। ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর মালান ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের এই দলে নেই কোনো চমক। যথারীতি বাবর আজমের নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ খেলবে পাকিস্তান। দলে আছেন অবসর ভেঙে ফেরা মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম।
এর আগে ২ মে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। এক বিজ্ঞপ্তিতে পিসিবি তখন জানিয়েছিল, এই ১৮ জন থেকে ৩ জন কমিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড সাজানো হবে।
১৮ সদস্যের দল থেকে বাদ পড়া তিনজন হাসান আলী, মোহাম্মদ ইরফান ও আগা সালমান। এর মধ্যে হাসানকে গত ২২ মে দল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সাইম আইয়ুব, আব্বাস আফ্রিদি, উসমান খান, আজম খান, আবরার আহমেদ-এই পাঁচজন এবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালের পর আমির এই প্রথম আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন। ইমাদ সর্বশেষ খেলেছেন ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। দলের বাকি ৮ জন সর্বশেষ ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ ৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপে পাকিস্তানের অন্য তিন প্রতিপক্ষ ভারত, কানাডা ও আয়ারল্যান্ড।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দল
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, উসমান খান, আজম খান, শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমির, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ।