চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে কাউতলীস্থ অফিসে সংগঠনের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার উদযাপিত হয়েছে। দিনব্যাপী আয়োজনে কেক কাটা, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, মিষ্টি বিতরণ এবং গণঅধিকার পরিষদের প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি সোহেল রানা রাফির সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহ্বায়ক মো. রাজিউর রহমান তানভীর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদস্য সচিব মো. হাসানুর রহমান ওবায়দুল্লাহ।
এছাড়া আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দুবাই প্রবাসী মুহাম্মদ ফখরুদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. সালমান ইসলাম আরিয়ান।
সকালে কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর আলোচনা সভায় বক্তারা ছাত্র আন্দোলনের গুরুত্ব, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সংগঠনটি যে ভূমিকা রেখে চলেছে, তা আরো বিস্তৃত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
দুপুরের পর কাউতলি স্টেডিয়াম এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের পরিচিতি ও প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেখানে গণঅধিকার পরিষদের নীতি ও লক্ষ্য তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করা হয়, যা উপস্থিত জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। পাশাপাশি নুরুল হক নূরের ট্রাক প্রতীকের প্রচারণাও চালানো হয়।
মাগরিবের নামাজের পর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সংগঠনের সদস্যরা দেশের কল্যাণ, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার এবং সংগঠনের সাফল্যের জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন। এরপর কেক কাটা এবং মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
‘আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া, বুকের মাঝেবিশ্বলোকের পাবি সাড়া’ এই শ্লোগানকে নিয়ে গতকাল শনিবার জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সম্মেলন জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই পর্বের অনুষ্ঠানের ১ম পর্বে বিকালে সাংগঠনিক অধিবেশনে একুশে পদক প্রাপ্তবাচিক শিল্পী ও জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষ কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষ কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্যদুলাল পোদ্দার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সহসভাপতি সঞ্জীব কুমার দেবনাথ।
বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেনজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামিল ফোরকান।
দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান প্রদীপ প্রজ্বলন ও বোধন সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি। জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মানবর্দ্ধন পালের সভাপতিত্বেবিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আবুল ফারাহ পলাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সহসভাপতি অরুনাভ পোদ্দার।
অনুষ্ঠানে ‘রবীন্দ্রশীলন সম্মাননা প্রদান করা হয়দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব একুশে পদক পাপ্ত রবীন্দ্রগুণী মফিদুল হক কে। আবৃত্তিও সঙ্গীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী এই সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জামিল ফোরকান ও নুসরাত জাহান জেরিন।
সম্মেলনে মানবর্দ্ধন পালকে সভাপতি ও মাসুদ উর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক এবং জামিনুর রহমানকে কোষাধ্যক্ষ করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধিক দামে কাপড় ও ফল বিক্রির দায়ে চার প্রতিষ্ঠানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ২৫ মার্চ সোমবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের হালদারপাড়া ও মসজিদ রোডে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে শহরে হালদারপাড়ায় কাপড়ের দোকান ও মসজিদ রোডে ফলের দোকান ও ফলের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় দেখা যায় হালদারপাড়ার ফড়িং ও ফ্রেঞ্জি নামে কাপড়ের দোকানে এক দাম লিখে রাখা হয়। কিন্তু তারা অনেকের কাছে লিখে রাখা দামের কম দামেও বিক্রি করছিলেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ফড়িংকে ১০ হাজার ও ফ্রেঞ্জিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, মসজিদ রোডে বেশি দামে ফল বিক্রি করায় দায়ে ২ দোকানিকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গত জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার উপর হামলাসহ নাশকতার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলার রেলগেইট এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পশ্চিম পাইকপাড়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ মিডিয়া উইংস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আশুগঞ্জ থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে নাশকতা মামলার আসামী সাজ্জাদ হোসেন জয় (১৯)কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত জয় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার সদস্য। অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে নাশকতার মামলার আসামী মোঃ কামরুল ইসলাম (৩৮)কে গ্রেফতার করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমানকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে এই ফুলের শুভেচ্ছা দেওয়া হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি আশরাফ স্বাস্থ্য, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সমাজসেবা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার চক্রবর্তী, শিক্ষা বিভাগের মণির হোসেন, নজরুল ইসলাম সড়ক জনপথ, আবু নাছের যুব উন্নয়ন, শামীম মাদকদ্রব্য নি:অধিদপ্তর লোমান শিক্ষা, দিদার হেলথ, শেখ মণির সমাজসেবা অধিদপ্তর, আসিফা সমাজসেবা অধিদপ্তর, মণির হোসেন স্বাস্থ্য, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রুবেল মিয়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী আব্দুল মতিন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী হিরণ খান, আব্দুল্লা জনস্বাস্থ্য, ইয়াসির আরাফাত বরকত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জাকির হোসেন চৌধুরী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মো: ইসমাইল মিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, উত্তম কুমার দাস সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রমুখ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
মামলা করার পরদিনই মামলা প্রত্যাহার করেছেন বাদী। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন শহরের কাজীপাড়া গোকর্ণ রোডের বাসিন্দা মো: শিহাব উদ্দিন চৌধুরী। এতে গত ৪ আগষ্ট শহরের মৌলভীপাড়া ও পৌর মুক্ত মঞ্চ এলাকায় সংগঠিত ঘটনার বিষয়ে দায়ের করা এই মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ২৪০জনকে এজাহারনামীয় আসামী করা হয়। অজ্ঞাত আসামী করা হয় আরো এক-দেড়শো জনকে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৪ আগস্ট ১ থেকে ৫নং আসামীর নির্দেশে অন্যান্য আসামীরা তিনিসহ কয়েকজন সাক্ষীর উপর হামলা করেন। এতে তারা বেশ কয়েকজন আহত হন। এছাড়া আসামীরা ব্যাংক এশিয়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়, নন্দিতা কালার ল্যাবসহ বিভিন্ন স্থাপনায় পেট্রল বোমা ও ককটেল মেরে আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি করে। আদালত মামলাটিকে নথিভুক্ত করতে সদর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামীদের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ, ডাক্তার আবু সায়ীদ, ডাক্তার ডিউক চৌধুরী, ব্যবসায়ী আশিষ পাল, পৈরতলার কাউসার মিয়া, মধ্যপাড়ার আল মামুন, রাধুনী হোটেলের মো: ফখরুল হাসান, কসবার গোপীনাথপুরের প্রিন্সিপাল আকরাম খান, সদরের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো: মহসীন মিয়া, নাটাই উত্তরের আবু সায়ীদ চেয়ারম্যান, কালীসীমার শাহআলম চেয়ারম্যান, নাটাই দক্ষিণের সাবেক চেয়ারম্যান কদর আলম সিদ্দিকী, ইউপি সচিব মান্না চক্রবর্তী।
গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন বাদী।
বাদী মো: শিহাব উদ্দিন চৌধুরী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা স্বীকার করলেও এবিষয়ে আর কোন কথা বলতে রাজী হননি। বাদী পক্ষের একজন আইনজীবি জহিরুল ইসলাম মামলা প্রত্যাহারের কারন সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান-বাদী বলেছেন স্বাক্ষীদের ভুল তথ্য বা তার ভুল বুঝাবুঝির কারনে মামলা করেছিলাম। আমি মামলা চালাবোনা। প্রত্যাহার করে নিলাম।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি