বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 17 February 2025, 195 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে কাউতলীস্থ অফিসে সংগঠনের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার উদযাপিত হয়েছে। দিনব্যাপী আয়োজনে কেক কাটা, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, মিষ্টি বিতরণ এবং গণঅধিকার পরিষদের প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

banner

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি সোহেল রানা রাফির সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহ্বায়ক মো. রাজিউর রহমান তানভীর।

বিশেষ অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদস্য সচিব মো. হাসানুর রহমান ওবায়দুল্লাহ।

এছাড়া আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দুবাই প্রবাসী মুহাম্মদ ফখরুদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. সালমান ইসলাম আরিয়ান।

সকালে কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর আলোচনা সভায় বক্তারা ছাত্র আন্দোলনের গুরুত্ব, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সংগঠনটি যে ভূমিকা রেখে চলেছে, তা আরো বিস্তৃত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

দুপুরের পর কাউতলি স্টেডিয়াম এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের পরিচিতি ও প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেখানে গণঅধিকার পরিষদের নীতি ও লক্ষ্য তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করা হয়, যা উপস্থিত জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। পাশাপাশি নুরুল হক নূরের ট্রাক প্রতীকের প্রচারণাও চালানো হয়।

মাগরিবের নামাজের পর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সংগঠনের সদস্যরা দেশের কল্যাণ, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার এবং সংগঠনের সাফল্যের জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন। এরপর কেক কাটা এবং মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

সূর্যমুখী স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরুষ্কার বিতরণী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 18 February 2025, 227 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন এন্ড গার্লস হাই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম।

banner

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভুঁইয়া, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শামসুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল মালেক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা বারী। সবশেষে অতিথিবৃন্দ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রগন করেন এবং পুরো অনুষ্ঠান উৎসবে রূপ নেয়।

বাজার পরিস্থিতি চালের বাজার স্থিতিশীল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 5 August 2023, 1049 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর উর্ধ্বগতির কারণে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। আস্তে আস্তে জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এদিকে ব্যবসায়ীরা যাতে মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট না করতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারগুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারগুলোতে চালের দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে থাকলেও শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম চড়া।

banner

শহরের সবচেয়ে বড় বাজার আনন্দ বাজারের বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী মেসার্স সুমা ট্রেডার্সের পরিচালক মোঃ নাঈম হোসেন বলেন, বাজারে চালের কোন সংকট নেই। গত ৩ মাস ধরে চালের বাজার স্থিতিশীল। অন্যান্য বছরগুলোতে জুলাই-আগষ্ট মাসে বাজারে চালের যে দাম থাকে এবছর এই সময়ে চালের দাম আগের চেয়ে কম।

তিনি বলেন, বাজারে কাটারী ভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩১০০টাকা, কাটারী নাজির চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০টাকা, ঘি-ভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৯০০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৫০০টাকা, বিআর-২৯ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৪৫০ টাকা, মিনিকেট চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৮০০ টাকা,পাইজাম চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০ টাকা, নাজির শাইল চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০টাকা, বোরো চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৫০০ টাকা ও মোটা চাল ৫০ কেজির বস্তা ১৮০০টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারের আরেক চাল ব্যবসায়ী হাজী শামীম ট্রেডার্সের মালিক মোঃ শামীম হোসেন বলেন, গত ২ মাস ধরে বাজারে চালের দাম বাড়েনি। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের বিআর-২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৪৫০ থেকে ২৫০০ টাকা, বিআর-২৯ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৩৫০ থেকে ২৪০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের কাটারীভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৯০০ থেকে ৩২০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের মিনিকেট চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩২০০ টাকা থেকে ৩৫৫০ টাকা, নাজিরশাল চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের বোরো চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৬০০ থেকে ৩৭০০ টাকা ও বিভিন্ন ধরনের মোটা চাল ৫০ কেজির বস্তা ১৮০০ টাকা থেকে ২১০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারের মেসার্স শরীফ ট্রেডার্সের কর্ণধার মোঃ বাহার উদ্দিন বলেন, বাজারে অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও চালের দাম বাড়েনি। গত প্রায় ৩ মাস ধরে চালের দাম স্থিতিশীল।

মোঃ বাহার উদ্দিন জানান, বাজারে বিভিন্ন ধরনের কাটারী ভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩২০০ থেকে থেকে ৩৪০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের ঘি ভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৯০০ থেকে থেকে ৩১০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের পাইজাম চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৪০০ থেকে থেকে ৩৬০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের নাজিরশাল চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০ থেকে থেকে ৩৪০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের বোরো চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৭০০ থেকে থেকে ৩৮০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের বিআর-২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৩০০ থেকে থেকে ২৮০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের বিআর ৪৯ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৫০০ থেকে থেকে ২৯০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের মিনিকেট চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০ থেকে থেকে ৩২০০ টাকা, দেশী বাসমতি চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৩০০ থেকে থেকে ৩৮০০টাকা, বালাম চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৭০০ থেকে ৩০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, বাজারে শুকনা দেশী মরিচ কেজি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, ভারতীয় শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ৪২০ থেকে ৪৬০ টাকা, হলুদ প্রতিকেজি প্রকার ভেদে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, ধনিয়া প্রতি কেজি ১৯০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা, এলাচি প্রতি কেজি প্রকার ভেদে ১৫০০ টাকা থেকে ২৮০০টাকা, জিরা প্রতি কেজি ১০৭০ থেকে ১১০০টাকা, চিনি প্রতি কেজি ১২৮ থেকে ১৩৫টাকা, লবণ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পিয়াজ দেশী প্রতি কেজি ৮০টাকা, পিয়াজ ভারতয়ি ৩৮/৪০টাকা, রসুন দেশী প্রতি কেজি ১৭০/১৯০ টাকা, রসুন ভারতীয় প্রতি কেজি ১৭৫/১৮৫ টাকা, আদা প্রতি কেজি ১৪০/১৭০ টাকা, আটা প্রতি কেজি ৪০/৪৫ টাকা, প্যাকেটজাত মসল্লা হলুদ (রাঁধুনী) ৫০০ গ্রাম ২৪০ টাকা, মরিচ (রাঁধুনী) ৫০০ গ্রাম ৪১০ টাকা, ধনিয়া (রাঁধুনী) ৫০০ গ্রাম ১৭৫ টাকা, জিরা (রাঁধুনী) ৫০০ গ্রাম ১০০০ টাকা, পোলাও চাল চাষী প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের সয়াবিন ৫ লিটার ৮৪০/৮৬০ টাকা, মুশরির ডাল প্রতি কেজি ৯০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, বুট ডাল প্রতি কেজি ৮০/ ৯০ টাকা, মুগ ডাল প্রতি কেজি ১২০/১৩০ টাকা, প্যাকেটজাত গুড়া দুধ ডানো ৫০০ গ্রাম ৪২৫, গুড়া দুধ মাস্ক ৫০০ গ্রাম ৪২৫, গুড়া দুধ ডিপ্লোমা ৫০০ গ্রাম ৪২৫, গুড়া দুধ ডানো পুষ্টি ৫০০ গ্রাম ৩৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, টমেটো প্রতি কেজি ১৮০টাকা, সীম প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৩০/৫০টাকা, ধনিয়া পাতা প্রতি কেজি ১২০টাকা, লেবু হালি ২০/৩০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৫০/৭০ টাকা, করলা কেজি ৭০ টাকা, জিঙ্গা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৩০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা কলা হালি ৩০/৩৫ টাকা, মুখী প্রতি কেজি ৬০টাকা, আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকা, দেড়শ প্রতি কেজি ৪০টাকা, পেপে প্রতি কেজি ৪০টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৪০টাকা, ঝালি কুমড়া প্রতি পিস ৪০/৫০টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে শহরের কাজীপাড়ার খলিলুর রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে আমরা দিশেহারা। ব্যবসায়ীরা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজহাত দেখিয়ে তাদের মনগড়া মতো দাম বাড়াচ্ছে। আগে ৫০০ টাকা দিয়ে যে জিনিস কিনতাম, সেই জিনিস কিনতে এখন ১০০০/১২০০ টাকা লাগে।

পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার গৃহিনী শামসুন্নাহার বলেন, বাজারের জিনিসপত্রে দাম বাড়ছেই। একবার বাড়লে আর কমেনা। তিনি বলেন, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমরা কি করব?

পৌর এলাকার বাগানবাড়ির বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, বাজারে যেতে ভয় করে। প্রতিদিনই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। শহরের হালদারপাড়ার বাসিন্দা শামীম হোসেন বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারনে এখন আর চাহিদামতো জিনিসপত্র কিনতে পারিনা। খুবই কষ্ট হচ্ছে আমাদের মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষদের।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যাতে স্থিতিশীল পর্যায়ে থাকে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় বাজারে নজরদারী করা হয়। আমরা বাজারগুলো সব সময় মনিটরিং করি। কেউ যাতে পন্য সামগ্রী মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি

আখাউড়া, কসবা, নবীনগর, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 17 October 2024, 1716 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও ২ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

banner

আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। ব্ল্যাক আউটের কারণে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাথে অভিন্ন সার্ভিস কোড ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিত করণের ২ দফা দাবিতে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন।

তবে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোন দাবি পূরণ না করে বরং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মকবুল হোসেন ও নবীনগরের ডিজিএম আসাদুজ্জামানসহ সারা দেশের প্রায় ২০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।

বরখাস্তকৃত অন্য কর্মকর্তারা হলেন এজিএম রাজন কুমার দাস, ডিজিএম দিপক কুমার সিংহ, এজিএম মনির হোসেন, জুনিয়র জেনারেল ম্যানাজার মো. জাকির হোসেন, জিএম মো. হুমায়ুন কবির, ওয়ারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদ, ডিজিএম মো. রাহাত, এজিএম আবদুল হাকিম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান, জেনারেল ম্যানাজার মুশফিকুল ইসলাম, জিএম জুলফিকার, জিএম মো. আবুল হাসান, ডিজিএম মো. বেলাল হোসেন, ডিজিএম জাহিদুল ইসলাম, ডিজিএম আবদুল জলিল, এজিএম ইয়াসির আরাফাত ও ডিজিএম সামিউল কবির। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্ল্যাকআউটসহ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান ফটকে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাসিরনগর আঞ্চালিক কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানাজার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৪ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিতরণ করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিদ্যুতায়ন বোর্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে যাবতীয় মালামাল ক্রয় করে দেয়। এগুলির বেশীর ভাগই নিম্নমানের হয়। এতে তারা বিপুল পরিমান দুর্নীতি করে থাকে। পল্লীবিদ্যুৎ ও বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও চাকুরী বৈষম্য দুর করতে এ আন্দোলন। আগেও বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেই আন্দোলন করেছি। তারপরও আমাদের ২০জন কর্মকর্তাকে চাকুরীচ্যুৎ করেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানজার মো. মুকবুল হোসেনকে চাকুরীচ্যুৎ করায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন কসবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোস্তাফিকুর রহমানকে। তিনি বলেন, চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে বহাল এবং দাবি আদায়ের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমপ্লিট শাট দিয়েছে। বেলা ১১টা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ আমদানী ও বিতরণ কার্যাক্রম বন্ধ করে রেখেছে।

উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা দুইটি, নাসিরনগর, নবীনগর, আখাউড়া উপজেলার ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।

জমজমাট ধানের চারার হাট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 21 September 2023, 1013 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর এলাকায় চলতি আমন মৌসুমে জমে উঠেছে ধানের চারার হাট। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখরিত থাকে হাটটি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশ জেলা থেকে কৃষকরা আসেন এই হাটে ধানের চারা কিনতে। প্রতিদিন এই বাজারে প্রায় ৮ লাখ টাকার চারা বিক্রি করা হয়।

banner

স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে নন্দনপুরের এই ধানের চারার হাটটি বেশ পুরাতন। আমন মৌসুমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত থাকে এই হাটটি। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই হাটে ধানের চারা বেচা-বিক্রি হয়।

সরজমিনে দেখা গেছে, ক্রেতারা বাজারে ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দসই ধানের চারা কিনছেন। বিক্রেতারাও তাদের চারার প্রকারভেদে দাম চাচ্ছেন। এই হাটে ধানের চারা আটি ভেদে বিক্রি করা হয়। ছোট চারার আটি প্রকারভেদে ৭০ টাকা থেকে ১২০ ও বড় চারার আটি প্রকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি করা হয়।

এবার এই হাটে বিআর-২২, খাসা, নাজির, ও বিনা ধান-৭ এর চারা বেশী বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা তাদে পছন্দসই চারা কিনে বিভিন্ন যানবাহনে করে নিয়ে যান।

সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মোঃ সফর মিয়া বলেন, তিনি এই বাজারে ধানের চারা কিনতে এসেছেন। প্রতি বছরই তিনি এই বাজার থেকে তার চাহিদা অনুযায়ী ধানের চারা কিনেন।

তিনি বলেন, বিআর-২২ জাতের ২০ আটি চারা ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এই চারা দিয়ে ১ কানি (৩০শতাংশ) জমি রোপন করতে পারব। তবে গত বছরের তুলনায় এই বছর চারার দাম একটু বেশী। তিনি বলেন, এই বাজারের চারার মান অনেক ভালো। চারা ভালো হলে ধানের ফলনও ভালো হয়।

ধানের চারা কিনতে আসা জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের স্বপন মিয়া বলেন, আমন মৌসুমে এই অস্থায়ী ধানের চারার বাজারটি বেশ জমজমাট হয়। আমি গত কয়েক বছর ধরে আমার ৬ কানি জমিতে রোপন করার জন্য এই বাজার থেকেই চারা কিনি। বিআর-২২ জাতের ২৮ আটি চারা ২ হাহার ৮২০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এই চারা দিয়ে দেড় কানি জমি রোপন করতে পারবো।

হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা থেকে আসা কৃষক রমিজ মিয়া বলেন, তিনি দুই কানি জমির জন্য চারা কিনবেন। চারা বিক্রেতারা প্রকারভেদে চারার দাম চাচ্ছেন। চারার দাম আমাদের নাগালেই মধ্যেই আছে। প্রকার ভেদে ছোট চারা প্রতি আটি ৮০ টাকা থেকে ১২০ ও বড় চারার আটি ২০০-২৫০ টাকা দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। এই চারার হাটে কোন দালাল নেই। মহাসড়কের পাশে বাজারটি হওয়ায় যানবাহনও সহজে পাওয়া যায়।

হাটে চারা বিক্রি করতে আসা সদর উপজেলার হারিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার ২ কানি জমিতে ধানের বীজতলা করেছি। চারা ভালো দামেই বিক্রি করছি। ছোট চারা আটি ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এই হাটে বিআর-২২, খাসা, বিনা ধান-৭সহ বিভিন্ন জাতের ধানের চারা বিক্রি হয়। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ আশপাশের জেলার কৃষকরা এই বাজারে আসেন তাদের পছন্দসই চারা কিনতে।

বাজারে চারা বিক্রি করতে আসা সুহিলপুর ইউনিয়নের মিন্টুর রঞ্জন দাস বলেন, আমন মৌসুমে অস্থায়ী এই ধানের চারার হাটটি ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত থাকে। এই হাটে যে কেউ চারা বিক্রি করতে পারে। তিনি বলেন, দেড় কানি জমিতে বীজতলা করেছি। দেড় কানি জমি বীজতলা করতে তার ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি জমিতেই পাইকারের কাছে ৪৫ হাজার টাকায় চারা বিক্রি করেছেন।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, প্রতিদিনই নন্দনপুরের এই অস্থায়ী হাটে ধানের চারা বেচা-বিক্রি হয়। এই বাজারে মান সম্মত চারা পাওয়া যাওয়ায় আশপাশ জেলা থেকেই কৃষকরা আসেন চারা কিনতে। তিনি বলেন, উন্নত বীজতলা তৈরীর জন্য আমরা কয়েকজন কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে সব ধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে। এই বাজারে প্রতিদিন ৮/ ১০ লাখ টাকার চারা বিক্রি হয়। এবছর এই হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার চারা বিক্রি হবে বলে আশা করি।

দুই ক্লিনিককে জরিমানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 13 October 2023, 925 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ডেঙ্গু পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় ও বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের দায়ে দুটি ক্লিনিককে ৮০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

banner

১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইনের নেতৃত্বে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এই অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে হালদারপাড়ার দি গ্রীণ ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা ও মৌলভীপাড়ার আধুনিক শিশু হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান বিষয়ে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের মেডিকেল অফিসার (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) মোঃ আশরাফুর রহমান হিমেল জানান, দেশব্যাপী ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু অসাধু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ডেঙ্গু টেস্টসহ অন্যান্য পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ডেঙ্গু পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগে দি গ্রীণ ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি মৌলভীপাড়ার আধুনিক শিশু হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ন সরঞ্জাম রাখার অভিযোগে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সর্তক করা হয়। এ সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের ডা. আরিফুল ইসলাম, ডা. রাফিয়াতুর রাফা এবং স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ছফিউর রহমান ও সদর মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।