অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর উত্তরা থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী রিতা খানকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যার পর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রিতা খান দীর্ঘদিন ধরে উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। যার ছবি ও প্রমাণ বিভিন্ন মিডিয়ায় রয়েছে। তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় হত্যার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, রিতা খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে।
গ্রেফতার হওয়া রিতা খান সাবেক তুরাগ থানা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী ছিলেন। তুরাগের বাউনিয়া দলিপাড়া এলাকার মৃত রহমত হোসেন খানের মেয়ে তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটে সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলার একটি খালে জেলের জালে মিলেছে ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ কেজি ওজনের একটি অজগর সাপ।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পশ্চিম কদমতলা গ্রামের জেলে হারুন খলিফার জালে আটকা পড়ে ওই অজগরটি। সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় ওয়াইল্ড টিমের মাঠকর্মী মো. আলম হাওলাদার খবর পেয়ে অজগরটি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত অজগর সাপটি বৃহস্পতিবার দুপুরে সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন সংলগ্ন বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
জেলে হারুন খলিফা জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পশ্চিম কদমতলা গ্রামে তার বাড়ির সামনের খালে মাছ ধরার জন্য জাল পেতে রাখেন। বৃহস্পতিবার সকালে জাল তুলে তিনি দেখেন মাছের পরিবর্তে জালে বিশাল এক অজগর সাপ আটকা পড়েছে। তিনি স্থানীয় লোকজনকে জানালে তারা অজগরটি না মেরে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় ওয়াইল্ড টিমের মাঠকর্মী আলম হাওলাদারকে খবর দেয়। ওয়াইল্ড টিমের মাঠকর্মী আলম হাওলাদার এসে অজগরটি উদ্ধার করে সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশনে নিয়ে যান।
সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে চয়ে যাওয়া অজগরটি দৈর্ঘ্য ১০ ফুট এবং ওজন ১৫ কেজি। উদ্ধারকৃত অজগরটি দুপুরে সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন সংলগ্ন বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ৪ অক্টোবর বুধবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ৩টায় কানাডার টরন্টোর আসোয়া শহরের লেকরিচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি।
তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণীতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
কবি আসাদ চৌধুরী গত কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে কানাডার টরন্টোতে বসবাস করছেন। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে থাকেন অটোয়ায়।
কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী এবং মায়ের নাম সৈয়দা মাহমুদা বেগম।
জানা যায়, কবি আসাদ চৌধুরীর ফুসফুস ও হার্ট দুটিরই খুব জটিল অবস্থা ছিল। হঠাৎ তাঁর শরীর খারাপ করলে কানাডার ওসোয়ার হাসপাতালটিতে তাকে ভর্তি করা হয়।
সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন। তার ১৯৮৩ সালে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। তার সম্পাদিত বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক গ্রন্থ ‘সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু।’
তিনি ১৯৬০ সালে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ সন পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন।
১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি ‘ভয়েস অব জার্মানি’র বাংলাদেশ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে যোগদান করে দীর্ঘকাল চাকরির পর প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে অবসর নেন।বাসস
চলারপথে ডেস্ক :
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের একই বিভাগের মধ্যে আন্তঃজেলা বদলি শুরু হচ্ছে ১৪ মার্চ মঙ্গলবার থেকে যা চলবে আগামী ২২ মার্চ পর্যন্ত।
আগামী ১৪ থেকে ১৫ মার্চ বুধবার শিক্ষকরা অনলাইনে আবেদন করবেন। পরে ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে ১৮ মার্চ শনিবার পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার। এরপর ১৯ থেকে ২০ মার্চ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। ২১ থেকে ২২ মার্চ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন বিভাগীয় উপ-পরিচালক। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অনলাইনে নির্ধারিত সার্ভারে লগইন করে শিক্ষকরা বদলির আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষকদের বদলির আবেদনের বিষয়ে চারটি শর্ত দিয়েছে অধিদপ্তর
শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষকরা সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে পছন্দ করবেন। তবে, কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে একটি বা দুইটি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
যাচাইকারী কর্মকর্তাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ২২ ডিসেম্বর জারি করা সর্বশেষ সংশোধিত সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা অনুযায়ী শিক্ষকদের বদলির আবেদন ও কাগজপত্র যাচাই করতে হবে। কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করতে হবে। যাচাই করে পাঠানোর পর তা পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
অধিদপ্তর আরো জানায়, আবেদনকারী শিক্ষকের পছন্দক্রম অনুযায়ী বদলি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। একাধিক আবেদনকারীর পছন্দকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। তাই কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
অনলাইন ডেস্ক :
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৭ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-ফসলী জমি-গাছপালা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে ভাঙনকবলিতরা।
তাদের অভিযোগ, ভাঙনরোধে পাউবো যেমন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না তেমনি ভাঙনের শিকার মানুষগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করলেও কেউ খোঁজ নিচ্ছে না। ভাঙনের শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষের। অন্যদিকে, পানি বাড়ায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহ যাবত যমুনা নদীর পানি পানি বাড়ছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে যমুনার অরক্ষিত তীরবর্তী বিস্তৃর্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী, জালালপুর ইউনিয়ন, এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম, চৌহালীর খাসপুকুরিয়া ইউপির ভুতের মোড়, বাঘুটিয়া, ওমারপুর, বেলকুচি এবং কাজিপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর চরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ভাঙনে বসতবাড়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন আতঙ্কে নদীর তীরবর্তী মানুষ নির্ঘুম রাত পার করছে।
আর গত দেড়মাসে এসব অঞ্চলের প্রায় ৩ সহস্রাধিক বসতভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে।
শাহজাদপুরের পাঁচিল গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম, রহিমা খাতুন, শরিফুল ইসলাম ও শুকুর ফকির জানান, দুদিন আগেও বসতভিটা ছিল। হঠাৎ প্রবল ঘুর্নাবর্তের কারণে বসতভিটাসহ আসবাবপত্র সব কিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। কোনরকম ছেলে-মেয়ে নিয়ে রক্ষা পেয়েছি। বর্তমানে যাবার কোনো জায়গা না থাকায় খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছি। বসতঘর তোলার জায়গা না থাকায় ঘরগুলো ওয়াপদা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে স্তুপ করে রেখেছে। ঝড় বৃষ্টি ও রোদে পুড়ে খেয়ে না খেয়ে আমাদের জীবন পার করছি। এতো কস্টে থাকলেও কেউ আমাদের খোঁজ নিতে আসেনি।
চৌহালীর বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম জানান, ভাঙনে ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এক ইঞ্চি জায়গাও নেই। এখন একেবারে নিঃস্ব অবস্থায় পড়ে গেছি। ভবিষ্যতে কিভাবে চলবে সে চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না। সরকার বা জনপ্রতি ও প্রশাসন কেউ আমাদের একটু সহযোগিতা করছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার নদী তীর রক্ষায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকা ও চৌহালী রক্ষায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও পাউবো ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ না করায় তাদের গাফিলতির কারণে নদী ভাঙছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, যমুনা পানি বাড়ায় ভাঙ্গনও বাড়ছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতো বড় এরিয়ায় ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের সামর্থ্য পাউবোর নেই। এরপরেও যেখানে বেশি ভাঙছে সেখানে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। আজ ৩১ আগস্ট শনিবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব দাবি উপস্থাপন করে দলটি। সভা শেষে সাংবাদিকদের এমনটা জানান বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে নিহতসহ সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছি। ৫ মে ও পরবর্তী সময়ে হেফাজতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলোর নেতাদের বিরুদ্ধে দেওয়া মামলাগুলো এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার দাবি জানিয়েছি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তার সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে মামুনুল বলেন, আমরা সহযোগিতা করার প্রত্যয় জানিয়েছি। নির্বাচন ও প্রশাসনসহ প্রতিটি খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছি।
সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে লিখিত আকারে যে দাবিগুলো প্রস্তাব করা হয়েছে, তা হলো :
১. প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করাক. নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার: জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগকারীদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। সে জন্য আসনভিত্তিক বিজয়ী সংসদ সদস্যদের বাইরে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংসদে প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা।
খ. নির্বাচনবিধি সংক্রান্ত সংস্কার: প্রার্থীদের নিজস্ব প্রচারণার পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার ও প্রকাশনার ব্যবস্থা করা। যোগ্য, সৎ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা।
২. সাংবিধানিক সংস্কার
ক. বর্তমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া একচ্ছত্র ক্ষমতা স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেয়। তাই এ ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে ভারসাম্য সৃষ্টি করা।
খ. দুই মেয়াদের বেশি একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা বন্ধ করা।
গ. প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের বিধান করা।
ঘ. সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা।
৩. বিচারব্যবস্থা
ক. বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করা। বিচার বিভাগে সরকারের হস্তক্ষেপমুক্ত রাখার স্বার্থে বিচারপতি নিয়োগ ও বিয়োগের জন্য জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা।
৪. শিক্ষাব্যবস্থা
শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিতর্কিত বিষয়গুলো বাদ দিয়ে ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা সংযোজন করা।
৫. পুলিশ ও প্রশাসন
পুলিশ ও প্রশাসনকে সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের ব্যবহারের পথ বন্ধ করা।
৬. ধর্মীয় আইন
কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী আইন ও নীতি প্রণয়ন না করা।