কিডনিতে পাথর হলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

লাইফস্টাইল, 18 February 2025, 270 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী মানুষের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঘটনা বেড়ে চলায় বিশ্বের নেতৃস্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো এখন বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কিডনি মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। যা একটি ফিল্টারের মতো কাজ করে। এর কাজ হলো দেহ থেকে টক্সিন বা খাদ্য বিষ এবং অতিরিক্ত পানি প্রস্রাব আকারে বের করে দেওয়া। কিন্তু এখন প্রচুর মানুষই কিডনিতে পাথর হওয়ার অভিযোগ করেন। প্রস্রাবে থাকা ক্রিস্টাল বা স্ফটিক থেকে কিডনিতে পাথর হয়। এই পাথর প্রস্রাবের নালিতে ব্যথা এবং প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। কিডনির পাথরসমুহকে ক্যালসিয়াম ফসফেট, সিস্টিন, ক্যালসিয়াম অক্সালেট এবং ইউরিক এসিড হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এসবের মধ্যে ক্যালসিয়াম অক্সালেটই মানুষেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য প্রধানত খাদ্যাভ্যাস দায়ী। সুতরাং কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে বাঁচতে চাইলে কিছু খাবার বেশি বেশি খেতে হবে আবার কিছু খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে। সবজি, ফল, পূর্ণ শস্য, নিম্ন-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, পোল্ট্রি, শীম, মাছ, বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি বেশি। সোডিয়াম এবং সুগার কম আছে এমন খাবার খেতে হবে। তাহলে আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো খাওয়া যাবেন না বা বাদ দিতে হবে।

banner

১. ক্যাফেইন এবং সোডা এড়িয়ে চলুন: আপনি যদি কিডনিতে পাথর রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে তরল খেতে হবে। কিন্তু তাই বলে কফি খাবেন না। দিনে দুই কাপের (২৫০-৫০০) বেশি কফি, চা এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস খাবেন না। অতিরিক্ত কফি পানে কিডনির অবস্থা আরো খারাপ হবে।

২. সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। প্রক্রিয়াজাত এবং ক্যানজাত খাবার খাওয়াও বাদ দিতে হবে। কারণ এসব খাবারে প্রচুর লবণ দেওয়া হয় সংরক্ষণের জন্য। তারচেয়ে বরং কম লবণযুক্ত খাবার খান।

৩. বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার: মাংস, মাছ এর মতো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দিতে হবে। তার চেয়ে বরং চর্বিহীন মাংস সামান্য পরিমাণে তেলে রান্না করে বা সেদ্ধ করে খান। আর বেশি মশলাযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলুন।

৪. উচ্চহারে চর্বিযুক্ত খাবার: পনিরের মতো উচ্চহারে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়াও বাদ দিতে হবে। তারচেয়ে বরং নিম্নহারে চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খান। নাস্তার জন্যও আপনার পাস্তুরিত দুধ খাওয়াই উচিত। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

৫. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খাদ্য: আপনার যদি কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি আছে উচ্চমাত্রায় এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে আপনাকে। এন্টাসিড ওষুধও এড়িয়ে চলুন কেননা তাতে উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকে। তবে খুবই স্বল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এছাড়া মাছের তেল বা ভিটামিন ডি খেতেও সাবধান। কেননা কিডনিতে পাথর থাকলে পরিস্থিতি খারাপ করে তুলতে পারে এসব খাবার।

৬. অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার: আপনার কিডনিতে হওয়া পাথরগুলো যদি হয় ক্যালসিয়াম অক্সালেট তাহলে আপনাকে অবশ্যই অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এমন খাবারগুলো হলো, চা, কফি, বিট, লাউজাতীয় তরকারি, মিষ্টি আলু, স্পিনাক, টমেটো স্যুপ, ক্যানজাত ফলের সালাদ, রুবার্ব বা রেউচিনি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। এছাড়া চকোলেট, টোফু, বাদাম এবং মোটাভাবে চূর্ণিত শস্য বাদ দিতে হবে। আপনার যদি ইউরিক এসিড পাথর হয়ে থাক তাহলে আপনাকে এই খাবারগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবেৃ৭. অ্যালকোহল: কিডনিতে পাথর হওয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িতে না হলেও অ্যালকোহল কিডনিদে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে আছে পিউরিন উপাদান যা ইউরিক এসিড পাথর তৈরি করতে পারে। এছাড়া অ্যালকোহল কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট করে। ৮. হেরিং জাতীয় ছোট মাছ
এই চর্বিবহুল মাছটি বেশ সুস্বাদু। কিন্তু কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করতে পারে এই মাছ। সুতরাং এই মাছ না খাওয়াই নিরাপদ। ৯. অ্যাসপ্যারাগাস: অনেক মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কিডনিতে পাথর হলে এটি না খাওয়াই ভালো। ১০. সেঁকা বা গেঁজানো খামির: আপনার কিডনিতে যদি ইউরিক এসিড স্টোন হয়ে থাকে তাহলে সেঁকা বা পোড়ানো অথবা গেঁজানো খামির এড়িয়ে চলাই জরুরি। কেননা এতে উচ্চহারে পিউরিন থাকে। এ ছাড়া শীম ও শুটিজাতীয় খাদ্য, ফুলকপি, কিডনি ও লিভারের মাংস, মাশরুম, অলিভ অয়েল এবং সার্ডিন মাছ খাওয়াও এড়িয়ে চলতে হবে।

Leave a Reply

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

জেলা জামায়েত ইসলামের সাবেক আমীর সৈয়দ…

শফিকুল ইসলাম বাদল : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার Read more

হঠাৎ কোনো খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে কেনো?

লাইফস্টাইল, 19 January 2025, 522 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আমাদের মনে হঠাৎ কোনো খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে। খাবার যে শুধু ক্ষুধা লাগলেই খায় বা খেতে ইচ্ছা হয়, তেমনটা হয়। অনেক সময় রসনা তৃপ্তির জন্যও বিভিন্ন মুখরোচক খাবার খাওয়া হয়। তবে হঠাৎ কোনো খাবার খাওয়ার ইচ্ছা এমনি এমনি নাও হতে পারে। শরীরের কোনো উপাদানের ঘাটতি হলে, সেই সংকেত দেয় আমাদের জিহ্বা। লো ব্লাড সুগার থেকে মানসিক চাপ, এমনকি নারীদের পিরিয়ডের কারণেও ক্রেভিং অর্থাৎ, নির্দিষ্ট কোনো খাবার খাওয়ার বা পান করার ইচ্ছা জাগতে পারে। কোন খাবার খাওয়ার বাসনা কোন সমস্যার কারণে হতে পারে, জেনে নিন-লো ব্লাড সুগার: শ্বেতসার সম্পন্ন খাবার যেমন রুটি, পাস্তা জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগার মানে হলো, রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার ঘাটতি রয়েছে। দীর্ঘসময় শ্বেতসার খাওয়া না হলে এমনটা হতে পারে। হঠাৎ রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করা কমে গেলে স্টার্চজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা করে। সেক্ষেত্রে আস্ত বীজ ও শস্যজাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত। শস্যজাতীয় খাবারে ফাইবার অর্থাৎ, তন্তুজাতীয় উপাদানের আধিক্য থাকে। এছাড়া এসব উপাদান হজম হতেও সময় লাগে, তাই অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। শস্যজাতীয় খাবার অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ভরপুর।

banner

তৃপ্তির অভাব: গরম, সুস্বাদু কোনো পেট ভরিয়ে কিছু খেতে ইচ্ছে করলে মিষ্টি আলু বা মসুর ডাল খাবারে রাখতে পারেন। মসুর ডালে প্রোটিন, ফাইবার থাকায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে এবং বার বার ক্ষুধা লাগার সমস্যা কমিয়ে আনে। মিষ্টি আলুও ফাইবার আর ভিটামিন ‘এ’-এর ভালো উৎস। তাই এই খাবার গুলো অনেকক্ষণ পেট ভরা রেখে তৃপ্তি আনে।

এর বিকল্প হতে পারে উচ্চ আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় খাবার। ক্ষুধা মেটাতে আর তৃপ্তি প্রদানে ডিম, মাছ, মুরগীর মাংসও ভালো কাজ করে।

মানসিক চাপ: গবেষকদের মতে, যখন মানুষ মানসিক চাপে থাকে, তখন কর্টিসোল নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। এর ফলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হয়। এরকম হলে চিনি বা মিষ্টি খাওয়া উচিত নয়। কারণ তাতে হঠাৎ রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায় আবার ভেঙেও যায়। এরফলে মেজাজ খারাপ হওয়া এবং ক্লান্ত বোধ হতে পারে। তাই মিষ্টি খাওয়ার চাহিদা মেটাতে ফল, দই বা ঠান্ডা দই খেতে পারেন। ফল বা দই একটি চমৎকার নাস্তা। দইয়ে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড়ের জন্য ভালো। অন্যদিকে, বেরি বা ফলে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।

পিরিয়ড সাইকেল: নারীদের ক্ষেত্রে, মানসিক চাপে থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে করে। বিশেষ করে চকলেট খাবার খেতে ইচ্ছা হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি হয়। গবেষণাতেও দেখা গেছে নারীদের পিরিয়ড চলাকলে সাধারণত চকলেট, মিষ্টি, নোনতা খাবার ইচ্ছা বেশি হয়। সেক্ষেত্রে চকলেট বা বাদাম বা নারকেল দুধ খাওয়া যেতে পারে। চিনিবিহীন বা কম চিনিযুক্ত চকলেট দুধও পান করা যেতে পারে। বাদাম আর বীজ খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়।

পিপাসা: অনেকের ক্ষেত্রে শুধু খাবার খাওয়ার আকাক্সক্ষার সাথে পানীয় পানের ইচ্ছাও জাগতে দেখা যায়। মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট অংশ ক্ষুধা-তেষ্টা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই অনেক সময় পর্যাপ্ত পানি পান না করার কারণে খাবারের সাথে সাথে পানীয় পানের ইচ্ছাও জাগে। তাই যদি কখনো ক্ষুধা বোধ হয় কিন্তু কি খাবেন ভেবে পান না, তখন এক গ্লাস পানি পান করুন।পানি পানের পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে দেখুন সমস্যার সমাধান হয় কিনা।

মানুষের শরীরে সোডিয়ামঘাটতি সহ বিভিন্ন কারণে খাওয়ার পর তৃপ্তি বোধ না করার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন উপাদানের অভাবজনিত কারণে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন খাবার খাওয়ার আকাক্সক্ষা তৈরি হতে পারে। ফল, দই, ডিম এবং বীজ ও শস্য খাবার এধরনের আকাঙ্ক্ষা মেটাতে সাহায্য করতে পারে। তবে বেশি গুরুতর পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।

কী কারণে চিরতা ভেজানো পানি পান করবেন?

লাইফস্টাইল, 22 January 2025, 452 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
চিরতা ভীষণ তিতা বলে অনেকেই তাতে পাত্তা দেন না। চিরতা ভেজানো পানি পান করলে ছোট-বড় অনেক অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কেননা এই ভেষজের গুণ অনেক। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি এই ভেষজ আরো অনেক উপকার করে।
১. আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে প্রায় সবারই সর্দি-কাশি-ঠান্ডা ইত্যাদি লেগে যায়। চিরতা ভেজানো পানি পান করলে সেসব অসুখ দূরে থাকে। কেন চিরতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ এত বেশি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চিরতায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান, যা ক্ষতিকর প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে।

banner

২. চিরতা ভেজানো পানি পান করলে হজমশক্তি ভালো হয়। আয়ুর্বেদেও এই ভেষজের ব্যবহার রয়েছে। হজমে সহায়ক উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে এই পানীয়। হজম সংক্রান্ত সমস্যা, যেমন গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার মতো সমস্যাতেও উপকার পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে চিরতা।

৩. শরীরে জমে থাকা সব বিষাক্ত পদার্থ দূর করতেও সাহায্য করে চিরতা। লিভার, কিডনিতে জমা দূষিত পদার্থ, বিপাকজাত ‘অপ্রয়োজনীয়’ ফ্যাট শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে চিরতার পানি।

৪. শীতে যাদের অ্যালার্জি হয়, অ্যালার্জি থেকে যাদের শরীর ফুলে যায়, চোখ ফুলে যায়, সর্দিকাশির সঙ্গে আরও নানা রকম সমস্যা হয়, তারা চিরতার পানি পান করতে পারেন। হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট থাকলেও এই পানি পান করলে উপকার পাবেন।

৫. ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য চিরতার পানি বেশ উপকারী। চিরতা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। চিরতার পানি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমায়।

কীভাবে বানাবেন?
এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে এক চা চামচ চিরতার পাতা দিন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খালি পেটে সেই পানীয় পান করুন। চাইলে অল্প মধু মিশিয়ে নিতে পারেন চিরতার পানিতে।

ফেসবুক পে-আউট সেটআপে ভুল হলে যা করতে হবে

লাইফস্টাইল, 15 May 2025, 130 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ফেসবুক এখন অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দিয়েছে। এ অর্থ পেতে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। ফেসবুক-এ সঠিকভাবে পে-আউট সেটআপ করতে হবে। আপনার ফেসবুক পে-আউট সেটআপ করার সময় যদি ভুল হয়ে থাকে, সেটি ঠিক করার জন্য কিছু অপশন অনুসরণ করতে পারেন-

banner

১। পে-আউট সেটিংস চেক করুন:
ফেসবুক পেআউট হাব ‘মেটা পেআউটস’-এ যান। সেখানে সেটিংস > পে-আউটস অংশে গিয়ে ভুল তথ্য ঠিক আছে কি না চেক করুন।

২। পে-আউট ইনফরমেশন আপডেট করুন:
পে-আউট অ্যাকাউন্ট এডিট করুন। যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা নাম ভুল হয়, তবে সেটি পরিবর্তন করুন। ট্যাক্স ইনফরমেশন ঠিক করুন। যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে নতুনভাবে সাবমিট করুন।

৩। পে-আউট ডিটেলস পরিবর্তন করতে না পারলে:
ফেসবুক সাপোর্টের সাথে যোগাযোগ করুন। এ ক্ষেত্রে ফেসবুক বিজনেস হেল্প সেন্টার ‘ফেসবুক সাপোর্ট’-এ যান। গেট সাপোর্ট (সাপোর্ট নিন) অপশন ব্যবহার করে ম্যানুয়ালি রিপোর্ট করুন। লাইভ চ্যাট বা ই-মেইল সাপোর্টে রিকোয়েস্ট পাঠান। এভাবে আপনি সাপোর্ট টিমের সাথে যোগাযোগ করুন। তাও না পারলে পরিচিত এক্সপার্টদের সহযোগিতা নিতে পারেন।

সকালে লেবু-পানি খেলে মিলবে যেসব উপকার

লাইফস্টাইল, 5 February 2025, 353 Views,

অনলাই ডেস্ক :
দিনটা আপনি কখন এবং কিভাবে শুরু করছেন তার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। সকালে আপনি নাশতা কী খেয়ে শুরু করছেন তা ঠিক করে দেয় সারাদিন আপনি কতটা এনার্জি পাবেন। সে কারণে ভোরে উঠেই আপনি কী খেয়ে দিন শুরু করছেন, বিশেষজ্ঞরা তার ওপর জোর দেন।

banner

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার ভোর যদি হয় খালি পেটে পানি খেয়ে, তাহলেই তা দুরন্ত শুরু। কিন্তু এর সঙ্গে যদি যোগ করেন কুসুম গরম লেবু–পানি, তবে তা আরও ভালো। বলা হয়, খালি পেটে গরম পানি হজমশক্তি বাড়ায়, জোগায় তাৎক্ষণিক শক্তি। সঙ্গে নানা স্বাস্থ্যসুবিধা তো আছেই। এর সঙ্গে মাত্র এক চা–চামচ লেবুর রস যোগ করলে এই পানীয় অঙ্ক গুণাবলীতে ভরপুর হয়ে ওঠে। কুসুম গরম লেবু–পানি স্বাস্থ্যের কী কী উপকার করে, চলুন জেনে নেওয়া যাক: হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি: বলা হয়, একদিকে কুসুম গরম পানি আমাদের হজমপ্রক্রিয়া উদ্দীপিত করে, অন্যদিকে লেবুর রস পিত্তরসের উৎপাদন বাড়ায়। ফলে কুসুম গরম লেবু–পানি শরীরকে খাদ্য ভাঙতে সাহায্য করে হজম সহজ করে।

ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য: বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবুর রসে প্রচুর সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে যকৃৎকে আরও কার্যকর করে তোলে। অন্যদিকে গরম পানিও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিয়ে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। শরীরে জলযোগ করে: সারা রাত অনাহারে থাকার পর সকালে আমাদের শরীর পানিশূন্যতায় ভোগে। এ সময় কুসুম গরম লেবু–পানি শরীরে পানিযোগ করে আমাদের সতেজ ও প্রাণবন্ত করে তোলে, যা সারা দিনের রসদ জোগায়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: এটা প্রমাণিত যে লেবুর রসে পেকটিন নামের একধরনের আঁশজাতীয় উপাদান থাকে, যা আমাদের ক্ষুধা কমায়। যখন এর সঙ্গে গরম পানি যুক্ত হয়, তখন তা শরীরকে আরও পরিপূর্ণ থাকার অনুভূতি দেয়। এভাবে কুসুম গরম লেবু–পানি ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। ত্বককে করে উজ্জ্বল দীপ্তিময়: লেবু ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পূর্ণ। এসব শরীরের কোষ ধ্বংসকারী ফ্রি র?্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে, ত্বকের দাগ দূর করে এবং ত্বককে করে স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বল ও দীপ্তিময়। প্রচুর পানি খেলেও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়, ত্বকে আসে উজ্জ্বল আভা। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়: লেবুর ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।

শরীরকে ঠান্ডা-সর্দিসহ বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। দেহকে ক্ষারীয় করে: লেবুর স্বাদ অম্লীয় হলেও এর ক্ষারীয় ধর্ম আছে। এটি শরীরকে ক্ষারীয় করে বিপাকক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে। এই পানি পিএইচের মাত্রা ঠিক রেখে অম্লের সমস্যা দূর করে। বাসায় যেভাবে কুসুম গরম লেবু–পানি বানাবেন: প্রথমে একটি পাত্রে কিছু পানি কুসুম গরম করুন। তা গ্লাসে ঢেলে এর মধ্যে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস যোগ করুন। ভালোভাবে নাড়ুন। ব্যস, এবার খেয়ে ফেলুন!

সহজেই হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ড করা যাবে

লাইফস্টাইল, 5 February 2025, 394 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছে সাইটটি। প্রতি মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপে কয়েকশ কোটি বার্তা আদান প্রদান হয়। তবে এতো সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও আছে। যেমন সাধারণ কল রেকর্ড করা যায়। ফলে ব্যস্ত সময়ে কেউ যদি ফোনে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন, তা নোট করতে না পারলেও সমস্যা নেই। কারণ রেকর্ডের কলটি শুনে নিলেই পরে তা আবার শুনে নেয়া যাবে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ কল তো সরাসরি রেকর্ড করার কোনো সুযোগ নেই। আর এখানেই বাঁধে গোল। তবে সমস্যা যেমন আছে, তেমনই রয়েছে সমাধানের উপায়ও।

banner

হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ড করার খুব সহজ একটি উপায় আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ খুলুন। কাউকে কল বা ভিডিও কল করুন। এবার ফোনের কুইক সেটিং বা কন্ট্রোল সেন্টারে যান। সেখানেই পাবেন স্ক্রিন রেকর্ডিং বাটন। অন করলেই রেকর্ডিং শুরু হয়ে যাবে। ফোন শেষ হলেই রেকর্ডিং বন্ধ হবে। এবার রেকর্ডিংটি সেভ করে নিলেই তা গ্যালারিতে মিলবে।