অনলাইন ডেস্ক :
তিস্তা বাঁচানোর পদযাত্রায় জনস্রোত নেমেছে। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে গণপদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের তিস্তা সড়কসেতু থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’র প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় তিস্তা বাঁচানোর পদযাত্রার জনস্রোত সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে পথযাত্রায় দলের স্থানীয় নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। তিস্তা সেতু থেকে পথযাত্রাটি রংপুরের কাউনিয়ায় আসে। তখন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসার নেতৃত্বে বিএনপির রংপুরের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে শিশু, কিশোর, নারী ও পুরুষেরা অংশ নেন।
লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু ইয়াহিয়া ইউনুস বলেন, বৃহত্তর রংপুরের কৃষি অর্থনীতি তিস্তার পানির ওপর নির্ভরশীল। যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন ভারত পানি দেয় না। যখন প্রয়োজন নেই, তখন পানি ছেড়ে দিয়ে ফসল নষ্ট করে। এই অবস্থা থেকে বাঁচতে রাজপথে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নয়, এখানে সর্বদলীয় মানুষ অংশ নিয়েছে।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিন কিলোমিটার দূরে কাউনিয়া উপজেলায় গিয়ে পথযাত্রা পৌঁছায়। সেখান থেকে আবার তিস্তা সেতুর দিকে গিয়ে শেষ হয় এই পদযাত্রা।
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গতকাল তিস্তা নদীবেষ্টিত পাঁচটি জেলার ১১টি স্থানে একসঙ্গে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি নদীপারের হাজারো বাসিন্দা কর্মসূচিতে অংশ নেন। কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ গণপদযাত্রা শেষে তিস্তার পানিতে নেমে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও সংগীত পরিবেশন করা হয়। বিকেল পাঁচটায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিস্তাপারের ১১টি স্থানে অবস্থান কর্মসূচিতে ভার্চ্যুয়াল যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন। এসব কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হাফিজ উদ্দিন আহমদসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
গঙ্গাছড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদীর নেতৃত্বে একটি গণপদযাত্রা হয়। হাদি বলেন, এটি গণমানুষের দাবি সবাইকে একাত্মতা প্রকাশ করে এ দাবিতে সমনেত হওয়া প্রয়োজন। তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে উত্তরের জীবনমান এমনটাই মনে করেন এই চেয়ারম্যান।
অনলাইন ডেস্ক :
সিদ্ধিরগঞ্জে সহোদর ভাই-বোনদের সংঘর্ষে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ভাসুর মানিক মিয়ার ধারালো বটির কোপে সাবিনা নামে ভাইয়ের স্ত্রীর হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
চুলায় রান্না ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে মধ্য সানারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
আহতরা হলেন ওমর মিয়ার স্ত্রী সাবিনা, বোন চাঁদনী ও ইতি। কবজি বিচ্ছিন্ন সাবিনাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে পঙ্গু হাসপতালে নিয়ে গেলেও অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানে ভর্তি না করায় তাকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র জানায়।
গৃহবধূর কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বক্কর জানান, এ ঘটনায় মানিক মিয়া (৪০) ও তার ছোট ভাই সুমন মিয়ার স্ত্রী ফাতেমাকে (৩২) গ্রেফতারা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, মধ্য সানারপাড় এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মানিক মিয়া, সুমন মিয়া, ওমর মিয়া, জুবায়ের মিয়া, সুজন মিয়া, বোন চাঁদনী, সুনিয়া ও ইতির মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। পৈতৃক বাড়ি থেকে ৩ ভাই ও ৩ বোনকে বঞ্চিত করে ভোগদখল করতে চায় মানিক ও সুমন। এ নিয়েই মূলত বিরোধ শুরু। তবে ভাইদের মধ্যে বিরোধ চরম রূপ নেয় অবিবাহিত বোন ইতিকে নিয়ে। কেউ তার ভরণ পোষনের দায়িত্ব নিতে চায় না। তবে সৌদি প্রবাসী জুবায়ের মিয়ার দেওয়া অর্থ ও টিউশনি করে ভরণ পোশন ও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন ইতি। ইতিকে নিয়েই সংঘর্ষের সূত্রপাত। জানতে চাইলে আহত ইতি বলেন, আমার বড় ভাই মানিক মিয়া ও সুমন মিয়া আমাকে কোনভাবেই সহ্য করতে পারে না। আমার হাত খরচ বাবদ কিছু খরচ দেয় সৌদি প্রবাসী ভাই জুবায়ের। মাঝে মাঝে ভাই ওমর মিয়া খোঁজ খবর নেয়। তবে তার অর্থিক অবস্থা ভাল না। শুক্রবার দুপুরে গ্যাসের চুলায় সাবিনা ভাবী আমার জন্য খাবার রান্না করতে গেলে বড় ভাবী ফাতেমা গালাগালি শুরু করেন। তখন আমি ও বোন চাঁদনী প্রতিবাদ করলে বড় ভাই মানিক, সুমন ও ভাবী ফাতেমা আমাদের দুই বোনকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায় মানিক ভাই ধরালো বটি দিয়ে আমাকে লক্ষ করে কোপ দেয়। তখন সাবিনা ভাবী কোপ প্রতিহত করতে গিয়ে তার হাত কবজি পর্যন্ত কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই হুমায়ূন কবির বলেন, তারা ভাই বোনদের মধ্যে আগে থেকেই জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে চুলায় রান্নাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বক্কর জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে ভাসুর। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ১৯৭২ সাল বাংলাদেশের জন্য কলঙ্কের বছর। ৭২ সালে এমন এক চেতনা ও সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল যা ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছিনতাই করা হয়েছে।
৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে অবস্থিত হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত জামিয়া দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া মাদরাসায় অনুষ্ঠিত দস্তারবন্দী ও আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা সাজিদুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক মুফতি খলিল আহমদ কাসেমীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশ-ইসলাম এক সূত্রে গাথা। বাংলাদেশে ইসলাম বিপন্ন হলে স্বাধীনতা টিকবে না। যারা ইসলামবিদ্বেষী তারাই বাংলাদেশের শত্রু। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গৌরবময় বছর এবং ১৯৭২ সাল বাংলাদেশের জন্য কলঙ্কের বছর। ৭২ সাল কলঙ্কের কারণ, এ বছরের শেখ মুজিবুর রহমান নতুন চেতনা তৈরি করেছিলেন যা ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছিনতাই করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ৯ মাস পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশে না এসে, চলে গেলেন লন্ডনে। সেখান থেকে বাংলাদেশে না এসে চলে গেলে ভারতের নয়াদিল্লি। দেখা করলেন তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে। তখন ইন্দিরা গান্ধী শেখ মুজিবুর রহমান এর মুজিব কোটে কিছু নীতিকথা লিখে একটি চিরকুট ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। সেই চিরকুটের কথা ছিল বাংলাদেশের গোলামির জিঞ্জির, স্বাধীনতা যুদ্ধের কৃতিত্ব ও চেতনাকে ছিনতাই করার মন্ত্র। তাই ৭২ সালের সংবিধান চার নীতি ভারতের সংবিধান থেকে পাচারকৃত।
আরও পড়ুন
ডালিম খেলে কী কী উপকার হয়?
মামুনুল হক বলেন, ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে জাতির সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান অঙ্গীকার করেছিলেন কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন তৈরি করবেন না। ৭২-এর সংবিধান করতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান অঙ্গীকার ভুলে গেছেন। তাই বলি ৭২ এর সংবিধান গাদ্দারের সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সংবিধান, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার সংবিধান। সংবিধানে চার মূলনীতির এক নীতি ধর্ম নিরপেক্ষতা মতবাদ বাংলাদেশে ছিল না। এই নীতি ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সুনাম করে মামুনুল হক বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। সকল রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করেছেন। সেখানে ভারত আধিপত্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সর্বকালের নজিরবিহীন ঐক্য গড়ে তোলা হয়েছে। আমরাও ঘোষণা করতে চাই ভারতীয় আধিপত্যবাদ রুখতে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতি দিল্লিতে পাঠিয়ে দিতে হবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খতিবে বাঙাল আল্লামা জুনায়েদ আল হাবিব, মুফতি শাখাওয়াত হোসেন রাজি প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
যাত্রী নিয়ে ভ্যান চালিয়ে যাচ্ছিলেন চালক কালু প্রামানিক (৬০)। পথিমধ্যে মৌমাছির ঝাঁক এসে কামড়ে দেয়া চালকসহ যাত্রীদের। এতে মারা যান ভ্যানচালক কালু প্রামানিক।
আজ ০৪ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার চাটমোহর উপজেলার রতনপুর ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত কালু উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বরুরিয়া গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের লাউতিয়া গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে জুয়েল রানা (২৪), ধরইল গ্রামের মৃত খোদাবক্স প্রামানিকের ছেলে আমজাদ হোসেন (৬৫), ধুলাউরি গ্রামের ফকির উদ্দিনের ছেলে হযরত আলী (৫০)।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ভ্যানচালক কালু প্রামানিক চাটমোহর থেকে তিনজন যাত্রী ভাড়া নিয়ে উপজেলার রেল বজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মূলগ্রাম ইউনিয়নের রতনপুর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ একদল মৌমাছি উড়ে এসে তাদের কামড়ানো শুরু করে।
চিৎকারে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কালু প্রামানিককে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আলমাস আহমেদ আবির বলেন, মৌমাছি কামড়ানোর পর তাদেের হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন। তাদের মধ্যে কালু প্রামানিক মৃত পাওয়া যায়। তাকে হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন। বাকিদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মুলগ্রাম ইউনিয়নের এক নাম্বার ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, ঘটনার সময় আমি সেখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। চারজনকে মৌমাছি কামড়িয়েছিল। পরে শুনি হাসপাতালে নেয়ার পর ভ্যানচালক মারা গেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় আট বছরের এক শিশুকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে শাহআলম মিয়া (৪০) নামের এক যুবক। শুক্রবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় থানায় ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া শাহআলম মিয়া (৪০) কসবা পৌর শহরেরর বিশারাবাড়ি শালিকপাড়া এলাকার একরাম মেস্তুরের ছেলে। তাকে আজ ২৯ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
পুলিশ ও মামলার এজহার সূত্রে জানাগেছে, শিশুটির বাবা বেচেঁ নেই। মায়ের অনত্র বিয়ে হয়ে গেছে। দাদীর সাথে বসবাস করতেন শিশুটি। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াশুনা করত। শুক্রবার সকালে শিশুটির দাদী অন্য এক জায়গায় গেছেন। ঘরে কেউ নেই। একাই শুয়ে ছিলেন। শাহআলম কৌশলে ওই ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটির সমবসয়ী এক শিশু এসে ঘরের ভিতরে এ ঘটনাটি দেখতে পায় এবং চিৎকার শুরু করে। দুই শিশুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এলে শাহআলম পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির চাচা বাদী হয়ে শাহআলমের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে থানায় একটি ধর্ষণের চেষ্টা মামলা করেছে। রাতেই পুলিশ শাহআলমকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, শিশুটিকে একা ঘরে পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামী শাহআলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক (ডিজি) টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাত্যহিক কার্যক্রমের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক বাংলাদেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উদ্ভাবন। সেখান থেকে মানুষ বিনামূল্যে ৩০টিরও বেশি ওষুধ পাচ্ছেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বাংলাদেশে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার দ্রুত কমাতে সাহায্য করেছে। সুতরাং এতে মানুষের গড় আয়ু অনেক বেড়েছে।
তিনি বলেন বলেন, আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালককে বলেছি, বাংলাদেশ অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময় করতে চায়।