বিএনপিকর্মীর কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 18 February 2025, 40 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপিকর্মী রুবেল হোসাইন নামে একজনের কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে শহরের রেলস্টেশন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।আহত রুবেল হোসাইন শহরের পাওয়ার হাউজ রোড এলাকার মৃত হুমায়ন কবিরের ছেলে।

banner

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির এক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর পেয়ে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।

আহতের পরিবার ও আহত রুবেল হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, গত শুক্রবার রাতে পৌর শহরের কাজীপাড়া এলাকার আমিনের সঙ্গে কথাকাটি হয়। এর জেরে তারা এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। পরে বিষয়টি সমাধানের কথা হয় দু’পক্ষের মধ্যে। এর মধ্যে ওষুধ কিনতে রেলস্টেশন এলাকায় গেলে সেখানে ফের প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে মারধর শুরু করে। আমিন ও ইয়াছিনসহ আরো ২০-২৫ জন লোক নিয়ে হামলা করা হয়। একপর্যায়ে তার কানে আঘাত করলে কান আলাদা হয়ে যায়।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আহত রুবেলের বড় ভাই আজিম মোল্লা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

Leave a Reply

সিলেট প্রদেশের দাবিতে লন্ডনে গ্রেটার সিলেট…

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : “সিলেট বিভাগ নিয়ে কোনো Read more

গ্যাসকূপ পুনঃখনন ও গ্যাসের দাবিতে কসবায়…

চলারপথে রিপোর্ট : দেশের গ্যাসকূপ বন্ধ রেখে ভারতকে সুবিধা না Read more

কুমিল্লায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক সন্তানের জননী ডলি Read more

কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক : প্রায় ১৯ কেজি ওজনের একটি কষ্টিপাথরের বিষ্ণু Read more

ঐতিহ্যবাহী মহিষের লড়াই

অনলাইন ডেস্ক : গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মহিষের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। Read more

নাসিরনগরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক আহত

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে ইয়াবা বিক্রির টাকা নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে Read more

দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ডেভিল হান্ট অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দক্ষতা বৃদ্ধি ও আত্মোন্নয়নের লক্ষ্যে…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় কমিউনিটি…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিস কর্তৃক আয়োজিত জিওবি Read more

অটোরিক্সায় পুলিশকে ঝুলিয়ে এক কিমি টেনে…

অনলাইন ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবৈধ অটোরিক্সা জব্দ Read more

কৃষি জমির মাটি কাটা ও বিক্রির…

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার বিক্রির দায়ে Read more

সরাইলে মাটি চাপায় শ্রমিক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 6 February 2024, 628 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে মাটি চাপায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উচালিয়া পাড়া ফসলি জমির মাঠে এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

banner

নিহত শ্রমিক হলেন মো. সবুজ মিয়া (আকরাম) (১৫)।

তিনি মাধবপুর উপজেলা ধর্মকান্দি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শিয়ালরি গ্রামের মো. হারুন মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ইসলামাবাদ গোগদ এলাকার ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন সবুজ। প্রতিদিনের মতো সোমবার উচালিয়াপাড়া ফসলি জমির মাঠে (মুইনার) এলাকায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি কাটার সময় পাড় ভেঙ্গে মাটি ধসের ঘটনা ঘটে। এসময় মাটির নিচে চাপা পড়ে সবুজকে তারা উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

সরাইল থানা পরিদর্শক তদন্ত আ. স. ম আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর পুলিশ পাঠিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে লাশ উদ্বার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ড্রেজারে মাটি চাপায় মৃত্যু হতে পারে। নিহত শ্রমিক সবুজের নানার বাড়ি ইসলামাবাদ থেকে পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।

পবিত্র শবেকদর পালিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 19 April 2023, 1328 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পালিত হয়েছে পবিত্র লাইলাতুর কদর বা শবেকদর। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম এ রাতটি জিকির-আজকার, নফল ইবাদতের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অতিবাহিত করেন।

banner

শবেকদর মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত রাত। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামে মসজিদে গতকাল তারাবি নামাজের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়। রাতে মুসল্লিরা জিকির-আজকার করেন।

এ ছাড়া গতকাল তারাবির নামাজের পর সারাদেশে মসজিদে মসজিদে বয়ান ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এতে নানা বয়সের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 5 February 2024, 608 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশে উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার এর যৌথ আয়োজনে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের হলরুমে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।

জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম লিমন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন পিপিএম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক জয়দুল হোসেন, বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন।

বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ-এর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরাইল বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি শেখ এখলাছুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন টোটোগ্রাম সাহিত্যের রচয়িতা, কেষ্ট কবি খ্যাত ইকবাল সর্দার মোহাম্মদ নাজমুল কবির (ইসমোনাক), উদীচী জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ ফারুক আহমেদ রূঁইয়া, এএমটিভি নিউজ বাংলার বার্তা সম্পাদক কবি রুদ্র মোঃ ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভোর সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসা অথবা সন্ধ্যা নামার আগেই বাসায় ফিরে পড়তে বসা এই অভ্যাসটি এখনকার ছেলে মেয়েদের মধ্যে নেই বললেই চলে। এখনকার ছেলে মেয়েরা পড়াশোনার জায়গা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তারা বাহিরে ঘুরে বেড়াতে বা মোবাইল দেখা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে। এই পড়াশুনার বিচ্ছিন্ন হওয়ার জায়গা থেকে ছেলেমেয়েদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে ঘরমুখী করতে হবে, স্কুলমুখী করতে হবে, বইমুখী করতে হবে। তাদেরকে জ্ঞানমুখী করতে হবে। এজন্য অভিভাবকদের বেশি সচেতন হতে হবে।

বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, স্মার্ট হওয়া মানে শুধু স্মার্ট ডিভাইস পরিচালনা করা, সুন্দর পোশাক পরিচ্ছেদ পরা বা চলনে-বলনে স্মার্ট হওয়াকে বুঝায় না। স্মার্ট হওয়া মানে বুঝায় বই পড়া। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হওয়ার মাধ্যমে প্রকৃত স্মার্ট মানুষ হওয়া যায়। তিনি আরো বলেন- জ্ঞান এমন এক জিনিস যা বিতরণ করলেও এটি শেষ হয়ে যায় না। তিনি তরুণদের আহ্বান জানিয়ে বলেন- এসো আমরা সবাই মিলে বই পড়বো, নিজে আলোকিত মানুষ হবো, সমাজকে আলোকিত সমাজ হিসেবে গড়ে তুলবো।

সভায় কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন বলেন- পড়িলে বই আলোকিত হই। না পড়িলে বই অন্ধকারে রই। তিনি বলেন- যারা বই পড়েন তারা আলোকিত মানুষ হন। তাদের চেহারায়, চলনে বলনে জ্ঞানের আলো দীপ্তিমান হয়। যা সে নিজে না বুঝতে পারলেও তার আশেপাশের মানুষজন তা বুঝতে পারেন। যে এই ব্যক্তি একজন জ্ঞানী মানুষ।

অনুষ্ঠানের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন- সমাজে জ্ঞানের আলোর খুব প্রয়োজন। সমাজে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতেই সরকারের এত স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতেই এত লেখক, কবি, সাংবাদিকের জন্ম হয়েছে। তিনি বলেন- তরুণ প্রজন্ম আলোকিত হলেই আমাদের বাংলাদেশ আলোকিত হবে, স্মার্ট হবে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে বই ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে লেখক-সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন গ্রন্থাগার প্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

ঐতিহ্যবাহী ভাদুঘরের বারুণী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 27 April 2024, 497 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর তীরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ভাদুঘরের বান্নি (বারুণী) মেলা।

banner

আজ ২৭ এপ্রিল) শনিবার সকালে তিতাস নদীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গা স্নানের মধ্য নিয়ে এই বান্নি শুরু হয়। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের ১৪ তারিখ এ বান্নি অনুষ্টিত হয়। ঠিক কত বছর আগে এই বান্নির যাত্রা শুরু হয়েছে, তার সঠিক তথ্য কেউ জানাতে পারেননি। মূলত গঙ্গাস্নান কে কেন্দ্র করে তিতাস পাড়ে বসে এ বান্নি মেলা। মেলায় অংশ নেয়া ভক্ত ভক্তপূর্ণার্থীদের পাশাপাশি দোকানিরা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। বেঁচাকেনা ভাল হওয়ায় বেশ খুশি তারা।

শনিবার সকালে ভাদুঘর তিতাস পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই নদীর তীরে এসে জড়ো হয়েছেন হাজারো ভক্তপুন্যার্থী। তারা তিথি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গঙ্গা স্নানে অংশ গ্রহন করেন। নদীর পবিত্র জলে গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে ভক্তরা নিজেদের পরিবারের পাশাপাশি দেশ জাতীর কল্যাণ কামনায় তারা বিশেষ প্রার্থনা করেছেন।

সুস্মিতা রানী দাস নামে এক ভক্ত জানান, নদীতে গঙ্গাস্নান করেছি নিজের জড়ো দেহের জানা অজানা পাপ মোচনের জন্য। গঙ্গাস্নান শেষে গঙ্গা মায়ের কাছে পরমকরুনাময় ভগবানের কাছে নিজের পরিবার ও দেশের মানুষের মঙ্গলকামনায় প্রার্থনা করেছি।

মিষ্টিদেব নামে অপর ভক্ত জানায়, গঙ্গার পবিত্র জলে স্নান করার পর রোগশোগ মোচন হয়। এই বিশ্বাস থেকে গঙ্গাস্নানে অংশ নিয়েছি। ভগবান যেন সবার মঙ্গল করেন।

মেলায় আসা বিজয় দাস বলেন, গঙ্গাস্নান করেছি।মেলা থেকে নারু, মন্ডা মিঠাই,তিল্লাই, খই,চিড়া কিনেছি। বাচ্চাদের জন্য খেলনা সামগ্রী ক্রয় করেছি, বেশ ভাল লেগেছে।

এ দিকে ঐতিহ্যবাহী এ গঙ্গাস্নান কে কেন্দ্র করে তিতাস নদীর তীর ঘেষো বসেছে লৌকজ মেলা (বান্নি)। মেলায় নাগরদৌলা, হরেক রকম বাহারী খাবার মুড়ি-চিড়া, মাঠা, তিল্লাই, বাতাসাসহ মাঠির তৈরী বাহারী খেলনা দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা। ভক্ত সমাগম বৃদ্ধির পাশাপাশি বেঁচাকেনা ভাল হওয়ায় খুশি বিক্রেতারা।

খাবারের দোকানের পসরা নিয়ে আসা রথিন্দ্র নাথ রায় জানান, ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ ভাল। বেঁচা-কেনাও হচ্ছে বেশ। তাই তিনি বেশ খুশি।

মাটির খেলনা সামগ্রী নিয়ে আসা পবিত্র পাল বলেন, প্রতিবছর ভাদুঘরের বান্নিতে আসি। এবারো এসেছি। ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ ভাল।

মেলায় ঘুরতে আসা রাফি বলেন, বৈশাখ মাসে জেলার বিভিন্ন স্থানে মেলা হয়ে থাকে। তবে ভাদুঘরের এই মেলা ঐতিহ্য রয়েছে। এই মেলাকে আমরা বান্নি বলে থাকি। আগে বাবা দাদাদের সাথে আসতাম। আজ নিজের ছেলে মেয়ে কে নিয়ে এসেছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আসলাম হোসেন জানান, মেলায় যে কোনো ধরনের অপতৎপড়া রোধ করার জন্যে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

দিনব্যাপী এই মেলায় অন্তত ৫’শতাধিক দোকানি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে। এর থেকে কোটি টাকারও বেশি বাণিজ্যের আশাবাদ স্থানীয়দের।

বিভিন্ন দাবিতে ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 28 September 2024, 245 Views,

শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতির শাখা ও দলীয় আধিপত্যের অপচেষ্টা শিক্ষা ধ্বংসাত্মক- জীবন ধ্বংসাত্মক -দেশ ধ্বংসাত্মক অপরাধ ও গুন্ডাতন্ত্র মাত্র” বললেন- আল্লামা ইমাম হায়াত (মানবতার রাজনীতির প্রবর্তক)। শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতির শাখা ও দলীয় আধিপত্য বন্ধ ও নিষিদ্ধের দাবিতে বস্তুর উর্ধে মানব সত্তা ও মানবতার রাজনীতির প্রবক্তা আল্লামা ইমাম হায়াত এর দিকনির্দেশনায় আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার- সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন পালন করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব ( humanity revolution) স্টুডেন্ট ফ্রন্ট এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে শেখ রাসেল এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন- মঞ্জু আহমেদ (আহবায়ক ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা)। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্টের উপদেষ্টা সদস্য আশরাফুল হক সুমন, নজরুল ইসলাম, শাহজাদ ভূইয়া, সালমা সাফিরাহ্।

banner

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এস এম শাহিন, শরীফ মৃধা, রাহিম রায়হান, সাদিয়া জাহান রিতা, শেখ রোমাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে মানবতার রাজনীতির প্রবক্তা আল্লামা ইমাম হায়াত এর দেওয়া লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, আমরা সকল বস্তুর ঊর্ধ্বে স্রষ্টার নামে স্রষ্টার আলো মহান রাসুলের আলোকে জীবনের আত্মিক সত্যভিত্তিক ও সকল একক গোষ্ঠীবাদি ধর্মবাদি জাতিবাদি অপরাজনীতি বিরোধী মানবতা ভিত্তিক রাজনৈতিক দল বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব সকল সর্বজনীন প্রতিষ্ঠানে দলীয় রাজনীতির শাখা মারাত্মক ক্ষতিকর ও অনধিকার অন্যায় মনে করি।

আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব মানবতার রাজনীতিকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য বিষয় এবং অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে উপলব্ধি করি।

আমাদের বিশ্লেষণ ও উপলব্ধি এই যে- প্রাকৃতিক শক্তির পর রাজনীতিই জীবন, সম্পদ ও দুনিয়ার প্রধান নিয়ন্ত্রক ও চালিকা শক্তি বিধায় মানুষ দাবি করে অরাজনৈতিক হওয়া যায়না। অরাজনৈতিক হওয়া কিম্বা মানবতা বিরোধী কোনো একক গোষ্ঠীবাদি অপরাজনীতির অংশ হওয়া দুইটাই জীবন বুঝতে অক্ষমতা। নির্দলীয় হওয়া আর অরাজনৈতিক হওয়াও এক নয় ভিন্ন বিষয়।

আরো বলেন, আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব যে কোনো মানুষের জন্য জীবনের যে কোনো স্তরে অরাজনৈতিক হওয়া যেমন জীবন অস্বীকার হিসেবে উপলব্ধি করি তেমনি জীবনবিরোধী মানবতাবিধ্বংসী অপরাজনীতিকেও জীবন ধ্বংসাত্মক ও মানবতা ধ্বংসাত্মক বিষাক্ত আঁধার ও মানবতার বিরুদ্ধি অপরাধ উপলব্ধি করি।

আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবন ও মানবতার রাজনীতিকে আলাদা কেও দেখিনা এবং জীবন ও মানবতার রাজনীতি একাকার হিসেবে উপলব্ধি করি।

আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবন ও রাজনীতিকে যেমন আলাদা মনে করিনা তেমনি রাজনীতিও নাগরিকত্বকেও আলাদা মনে করিনা বরং একাকার হিসেবে উপলব্ধি করি।

আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবনের অপরিহার্য মানবতার রাজনীতি বা যে কোনো রাজনীতি আর দলীয় রাজনীতির সাংগঠনিক বিষয়কেও এক নয় উপলব্ধি করি।

আমরা সব মত পথ আদর্শের যার যার রাজনৈতিক দর্শন ও দল নিয়ে চলার অধিকার যেমন স্বীকার করি তেমনি কোনো ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান- সরকার ও রাষ্ট্রের উপর বলপূর্বক কোনো ধর্ম- মত- পথ- মতবাদের রাজনীতি বা দলীয় আধিপত্য চাপিয়ে দিয়ে দস্যুতান্ত্রিক অপরাজনীতি ও জবরদখলের অপরাজনীতিকে চরম ঘৃনার সাথে জীবন মানবতা ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চরম ধ্বংসাত্মক অপরাধ মনে করি।

আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবনসত্যের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে জীবনের নিয়ন্ত্রক ও চালিকা শক্তি হিসেবে ও জীবনের ভালোমন্দের সাথে একাকার বিষয় হিসেবে রাজনীতিকে উপলব্ধি করি।

আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব সব মানুষের জন্য জীবনের উদীয়মান কাল থেকেই বিশেষভাবে ছাত্রজীবন থেকেই সুরাজনীতি ও কুরাজনীতি বুঝে সুরাজনীতির ধারক হওয়া জরুরী বিশ্বাস করি।

বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ধর্মের নামে একক ধর্মরাষ্ট্রের নামে অধর্ম উগ্রবাদি হিংস্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং একক জাতিবাদি উগ্রবাদি পাশবিক রাজনীতি- এই দুই একক গোষ্ঠীবাদি রাজনীতি জীবনের স্বাধীনতা ও মানবতার বিরুদ্ধে মারাত্মক বিপজ্জনক ও সংঘাতময় এবং জীবনের সকল সংকটের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়াও বক্তব্যে বলেন, আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব বিশেষভাবে ছাত্রজীবনকে জীবন বুঝার- জীবনের সত্য ও মিথ্যার ধারা বুঝার-জীবনের সুপথ কুপথ বুঝার-জীবনের শত্রু মিত্র চিনার-জীবন ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক বুঝার-জীবনের অধিকার স্বাধীনতা চাওয়া পাওয়া এবং শোষন- বঞ্চণা- রুদ্বতার কারন সকল অপশক্তির অপরাজনীতির ধারা বুঝার ও মানবতার মুক্তির পথ বুঝার জন্য জীবনের একাকার বিষয় হিসেবে এবং জীবন ও মানবতার সুরক্ষা হিসেবে জীবনের প্রাকৃতিক মানবতার রাজনীতির সক্রিয় একাকার ধারক দিশারী হওয়া অক্সিজেনের মত জরুরী মনে করি।

কিন্তু আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় কেন্দ্র, আদালত, রাষ্ট্রীয় বাহিনী, হসপিটাল, অফিস, কর্মস্থল, কল কারখানা, খেলাধুলা সাংস্কৃতিক অঙ্গন ইত্যাদি বিশেষ কাজের বিশেষ স্থান ও সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান গুলোতে কোনো রাজনৈতিক দলের অফিসিয়াল শাখা সংগঠন ও দলীয় সংঘাত, দলীয় আধিপত্য বিস্তার, সরাসরি প্রকাশ্য দলীয় কর্মসূচী পালন করা খুবই ধ্বংসাত্মক অন্যায় অপরাজনীতি মনে করি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের রাজনীতির চর্চা অবশ্যই থাকবে থাকতে হবে তবে সেটা হতে হবে কেবলমাত্র একাডেমিক ও সংঘাতমুক্ত এবং নিরাপদ সৌহার্দ্যমূলক।

প্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের দলীয় সাংগঠনিক মাঠের রাজনীতির কর্মসূচি ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক যা কেবল গুন্ডাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য দলীয় রাজনীতি নয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সব অবাঞ্ছিত সংঘাত ও দলীয় আধিপত্য থেকে মুক্ত না রাখলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসল উদ্দেশ্য ধ্বংস হয়ে অসৎ স্বার্থের বিপজ্জনক হাতিয়ার হয়ে যাবে।

যে কোনো বিষয় ভালো হলেও সব কিছুর যথার্থ স্থান- কাল- পাত্র না বুঝলে ভালো বিষয়ও পরিণতিতে ক্ষতিকর হয়ে যায়।
সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ লক্ষ্যের বিশেষ প্রতিষ্ঠানে পরস্পর দ্বান্দ্বিক ও সংঘাতময় দলীয় রাজনীতির শাখা হলে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করা হয়।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি