ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 19 February 2025, 332 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের আলাকপুর ও কোড্ডায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন শহরের কলেজপাড়ার শওকত ভূইয়ার ছেলে ওমর ফারুক (১৮) ও নবীনগর উপজেলার দুরাইন গ্রামের মোকাদ্দেস মিয়া (৭০)।

banner

জানা যায়, সুলতানপুর-আখাউড়া সড়কের আলাকপুরে দিগন্ত বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে ওমর ফারুক ও ফজলে রাব্বি নামক দুইজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওমর ফারুককে মৃত ঘোষণা করে। নিহত ওমর ফারুক ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাস ফিল্ড স্কুল এন্ড কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র। চিনাইর এলাকায় মোটর সাইকেল মেরামত শেষে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে জেলার খড়মপুর মাজার জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আখাউড়া-সুলতানপুর সড়কের কোড্ডা এলাকায় একটি ট্রাকের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা সাবেক সেনা সদস্য মোকাদ্দেস মিয়া গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

Leave a Reply

নবীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে প্রাইভেটকার ও ট্রাক্টরের সঙ্গে Read more

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

জনস্বার্থ ও জনকল্যাণ বিবেচনায় সকল উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 19 February 2023, 1728 Views,

পরিষদের তৃতীয় মাসিক সভায় জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার

চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, তৃনমূল থেকে জেলা সদর পর্যন্ত প্রতিটি উপজেলার আয়তন, জনসংখ্যা এবং অনগ্রসরতা বিবেচনায় জেলা পরিষদ থেকে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে অতীতের মত গোপনীয়তা বা অর্থলোটপাটের অভিযোগ করার কোন সুযোগ থাকবেনা।

banner

আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিষদের তৃতীয় মাসিক সভায় তিনি এই প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন। সভায় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জেলা পরিষদের রাজস্ব এডিপি ও সংসদ সদস্যদের চাহিত প্রকল্পে বিশেষ বরাদ্দের আওতা সর্ব মোট প্রায় ১১ কোটি টাকার দুই শতাধিক প্রকল্প গৃহীত হয়েছে।

এসব প্রকল্পের মধ্যে জেলা ঈদগাহ ময়দানের বাউন্ডারি দেয়াল, স্টেডিয়াম গেইট নির্মাণ, ডাকবাংলা স্থাপন ও সংস্কার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থানের উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ প্রকল্প উল্লেখ যোগ্য।

জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা উপ-সচিব আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান অলিও, কসবা উপজেলা চেয়াম্যান অ্যাড. রাশেদুজ্জামান কাওসার, আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সী, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ঠাকুর, নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আখাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেন ভূইয়া, নবীনগর পৌরমেয়র অ্যাড. শিব শংকর দাস, আখাউড়া পৌরমেয়র তাকজিল খলীফা কাজল, কসবা পৌরমেয়র গোলাম হাক্কানী এবং প্যানেল চেয়ারম্যান (১) মোঃ আব্দুল আজিজ (২) মোঃ নাছির উদ্দিন (৩) সনি আক্তার, সদস্য সামসুল কিবরিয়া রাজা ও রুমানুল ফেরদৌসী সহ কর্মকর্তা সদস্য নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

দুঃখ প্রকাশের মধ্য দিয়ে উত্তেজনার অবসান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 21 December 2022, 2370 Views,

ভাদুঘরে বিজয় মেলায় প্রবেশের রাস্তা নিয়ে বাদানুবাদ

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তঃজেলা এক পরিবহন শ্রমিক নেতাকে মারধরের জের ধরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এলোপাথারী বাস রেখে দেড় ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে পরিবহন শ্রমিক নেতারা। গত মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার ভাদুঘর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে এই ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিলে রাত ১১টার দিকে মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেয় পরিবহন শ্রমিকরা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে দুইপক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়।
জানা গেছে, পৌর এলাকার ভাদুঘর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের পেছনে পৌরসভার গরুর বাজারে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৭দিন ব্যাপী বিজয় মেলার আয়োজন করে পৌরসভা। বাস টার্মিনালের মাঝখান দিয়ে দুই পাশে উঁচু করে বাঁশ বসিয়ে বিজয় মেলায় যাওয়ার রাস্তা ও লাইটিং করা হয়। টার্মিনালের মাঝখানে বাঁশ বসিয়ে মেলায় যাওয়ার রাস্তায় করায় টার্মিনালে বাস পার্কিং ও বাস ঘুরানো নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। বিষয়টির প্রতিকার চাইতে মঙ্গলবার রাতে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চট্টগ্রাম রুট কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিজয়মেলার অফিসে উপস্থিত থাকা পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কুদদুসের কাছে যান। সেখানে জাকির হোসেনের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কুদদূস শ্রমিক নেতা জাকির হোসেনকে মারধর করেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা রাত ৯টার সময় কুমিল্লা-সিলেট মহাড়কের ভাদুঘর বাস টার্মিনাল এলাকায় বাস আড়াআড়ি করে রেখে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কের দুইদিকে প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত শ্রমিকরা এ সময় পৌরসভার প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হক রেজা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম, আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ ও পরিবহণ শ্রমিক নেতারা ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তেজিত শ্রমিকদেরকে এ ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিলে রাত সাড়ে ১০টায় অবরোধ তুলে নেয়া হয়। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ব্যাপারে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চট্টগ্রাম রুট কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে টার্মিনালের মাঝখান দিয়ে বাস বসিয়ে মেলায় যাওয়ার রাস্তা করায় টার্মিনালে বাস পার্কিং করতে সমস্যা হওয়ার বিষয়টি পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কুদদুসকে বলতে গেলে তিনি প্রথমে আমার সাথে অশোভন আচরণ করেন। পরে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে কয়েকটি থাপ্পর মারেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে।
এ ব্যাপারে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ বলেন, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের এক শ্রমিক নেতাকে মারধর করায় মঙ্গলবার রাতে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। পরে প্রশাসনের আহবানে আমরা অবরোধ তুলে নেই। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুইপক্ষের বৈঠকে বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, অবরোধের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিক নেতাদের আলাপ আলোচনা করে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিবহন শ্রমিকরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়। তিনি বলেন, বুধবার বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস বলেন, রাতের বেলা শ্রমিক নেতা জাকির অন্যান্য শ্রমিকদেরকে সাথে নিয়ে মেলার গেইটের সামনের কয়েকটি বাঁশ ভেঙ্গে ফেলে পরে আমাদের সাথে সে অশোভন আচরণ করে। তিনি জাকিরকে থাপ্পর মারার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বুধবার বেলা ১১টায় সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বৈঠকে উভয়পক্ষ এক অপরের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বৈঠকের পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস টার্মিনাল ও মেলার জায়গা ডিমারগেশন (চিহ্নিত) করে দিয়েছেন। এখন মেলা নিয়ে আর কোন সমস্যা হবে না।

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পেট্রোবাংলার মধ্যে কর্পোরেট স্বাস্থ্যচুক্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 27 February 2025, 319 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পেট্রোবাংলা (বাংলাদেশ ওয়েল, গ্যাস এন্ড মিনারেল কর্পোরেশন) এর মধ্যে এক দ্বিপাক্ষিক কর্পোরেট স্বাস্থ্যচুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

banner

আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহষ্পতিবার এই চুক্তিতে যৌথভাবে স্বাক্ষর করেন – ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং পেট্রোবাংলার সচিব রুচিরা ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) একেএম সাহেদ হোসেন ও হেড অব কর্পোরেট নিতা চক্রবর্ত্তী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (কর্পোরেট বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) আমিনুল ইসলাম সুমন এবং পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা কৌশল ও রিসোর্সেস মবিলাইজেশন) প্রকৌ. বিশ্বজিৎ সাহা ও উপ মহাব্যবস্থাপক (মেডিকেল) ডাঃ আম্বিয়া খাতুন।

চুক্তির আওতায় পেট্রোবাংলার সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের পরিবার এখন থেকে এই হাসপাতালে এক্সিকিউটিভ হেল্থ চেক-আপ, কার্ডিয়াক হেলথ চেক-আপ ও অন্যান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিশেষ ছাড় পাবেন। এছাড়াও ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশেষ ছাড়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের পাশাপাশি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।

কবি আল মাহমুদ-এর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 15 February 2025, 572 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সোনালী কাবিনের কবি খ্যাত আল মাহমুদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী স্মরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার মৌড়াইল কবরস্থানে কবি আল মাহমুদের কবর জিয়ারত ও দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচির শুরু হয়। এ দোয়া অনুষ্ঠানে কবি পরিবারের সদস্য, ভক্ত কবি-সাহিত্যিক ও কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতিপরিষদের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় লোকজন অংশ নেয়। তিন দিনব্যাপী চলবে স্মৃতি পরিষদের স্মরণোৎসব।

banner

শনিবার বিকেলে স্মরণ উৎসবের প্রথমদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্মরণ উৎসব উদ্বোধন করেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ. জেড. এম. আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও গবেষক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খাদেম, কবি মনসুর আজিজ, কবি তাজ ইসলাম, কবি রহমান মজিদ, কবি সাদমান শাহিদ। বিশেষ আলোচক ছিলেন কবি ও গবেষক ইমরান মাহফুজ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মো. ইব্রাহিম খান সাদত। কবির এ স্মরণ উৎসবে অংশ নেন কবির ছেলে মীর মোহাম্মদ মনির, মীর মোহাম্মদ আনিস ও বড় মেয়ে আতিয়া আমির, ছোট মেয়ে ফাতেমা মীরজিমি এবং তাদের ছেলে-মেয়েরাও অংশ নিয়েছেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সোনালি কাবিন আল মাহমুদের অমর সৃষ্টি। আর এটি বাংলা সাহিত্যে অনন্য সংযোজন। তারা বলেন, আল মাহমুদ শেকড় সন্ধানী কবি। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি একাধারে ভাষা সৈনিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা। অথচ বিগত সময়ে তার উপর অনেক অবহেলা করা হয়েছে। তার মৃত লাশের সাথে রাজনীতি করা হয়েছে। তারা বলেন, একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আল মাহমুদকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আল মাহমুদকে পাঠ করতে হবে। তাকে ধারণ করতে হবে। বর্তমান প্রজন্মের উচিৎ আল মাহমুদকে বেশি বেশি করে চর্চা করা।

সাংবাদিক হিসেবে কারো বিরুদ্ধে মামলা হোক আমরা তা চাইনা : ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 5 October 2024, 506 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, সাংবাদিক হিসেবে কারো বিরুদ্ধে মামলা হোক আমরা তা চাইনা। ৪ অক্টোবর শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, যে কালচারের জন্য ৫ আগষ্টে পরিবর্তন হয়েছে, যে প্র্যাকটিসের জন্য একটা পরিবর্তন হয়েছে, এই দলবাজি বা এই সমস্ত মামলাবাজির জন্য, সেই জিনিসটাই যদি আবার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে পার্থক্যটা কোথায় তাই না। আমরাও চাই ভবিষ্যতে এসবের যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়। বেলা শেষে আমরা সেই ধরণের চর্চা করতে চাই না।

banner

মতবিনিময় সভায় ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। আমরা একটা গাইডলাইন দিয়েছি, আমরাও এসবের বিরুদ্ধে। আমরা চাই না, প্রেসক্লাবের সদস্য কিংবা সাংবাদিক যারা আওয়ামী লীগের পদে নেই, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হোক। এটা আমরাও চাই না। যারা দলে আছে সেটা সাংগঠনিকভাবে আইন অনুযায়ী যেটা করার দরকার সেটা হবে। তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগের কোনো অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বে নেই, পদে নেই কিংবা সাংবাদিক হিসেবে কারো বিরুদ্ধে মামলা হোক আমরা চাই না। আমাদের তরফ থেকে উম্মুক্তভাবে ঘোষণা, আমরা পাশে আছি। আমাদের পক্ষ থেকে যে সহযোগিতা করা দরকার সেটা করব। একটা জিনিস কি আমরা এখন সরকারি দল না। আমরা এখনো বিরোধী দল। একটা অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার চলছে। এই সরকারে অনেকে মনে করতে পারে আওয়ামী লীগের প্রভাব থাকতে পারে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আমরা কিংবা আমাদের দলের কারো কোনো প্রভাব নেই। আমার জানা মতে কেউ কোনো প্রভাব বিস্তার করেনা। আমরা সকলে মিলেই সকল অন্যায়-অবিচার প্রতিহত করব। খালেদ হোসেন শ্যামল বলেন, আমরা একটা সুন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়া চাই। যেখানে আমরা সবাই মিলে বসবাস করতে পারি। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে হারুন ভাই (অ্যাডঃ হারুন আল রশিদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য) এবং সাচ্চু ভাই ( অ্যাডঃ লুৎফুল হাই সাচ্চু, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য) সময়ে যে রাজনৈতিক সম্প্রীতি ছিল, সেই সময়টা আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। যাতে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে হয়রানি না করে। তিনি সম্প্রতি সময়ে হওয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রসঙ্গে বলেন, ভবিষ্যতে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারসহ র্সবদলীয় একটি সভা আহবান করা যেতে পারে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এই ধরণের গোলটেবিল বৈঠক করতে পারেন, যেখানে মুক্ত আলোচনা হবে। সাংবাদিকতা করে আওয়ামী লীগের পদে নেই কিন্তু তাদের হয়রানি করা হচ্ছে বা অনেক নিরীহ ব্যবসায়ী আছে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে, প্রশাসনকেও ডাকেন। স্টেক হোল্ডার, রাজনৈতিক দলে সবাইকে ডাকা হোক, আমরাও থাকব। একটা আলোচনা করা হোক। প্রশ্নগুলো উত্থাপন হোক। প্রশ্নগুলো তোলা হলে আমার মনে হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আর এমন হবে না (ঢালাও মামলা)। পুলিশ এখন অনেক সক্রিয় হয়েছে। তিনি বলেন, হিন্দুদের আশ্বস্ত করতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সভা ডেকেছি। পূজার সময় আমরাও মুভমেন্ট করব। আমরা তাদের আশ্বস্ত করতে চাই যেন তারা নির্ভয়ে পূজার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেন। বেলা শেষে আমরা একটা সুন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়া চাই। আপনারা যে কোনো সময় আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন।

মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান মঞ্জু অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম খাঁন রুমা, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।