অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি সৈকত দিয়ে ট্রাক চালিয়ে যাচ্ছিলো ফ্লোরিডার এক বাসিন্দা। তিনি পথে দুই ব্যক্তিকে দেখতে পান। তার কাছে মনে হয়েছিল, ওই দুইজন ফিলিস্তিনি। ট্রাক থামিয়ে নেমে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে তিনি ওই দুই ব্যক্তিকে গুলি করেন। পরে জানা যায়, যে দু’জনকে গুলি করা হয়েছে, তারা আসলে ইসরায়েলি পর্যটক। ভুক্তভোগী দু’জন হলেন অ্যারি রাভে ও তার বাবা। ওই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ও টাইমস অব ইসরায়েল তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
খবরে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে। ফ্লোরিডার এই বাসিন্দার নাম মর্দেচাই ব্রাফম্যান। বয়স ২৭ বছর। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত রবিবার ব্রাফম্যানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। মিয়ামি বিচ পুলিশ বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন ব্রাফম্যান।
গ্রেফতারের নথি অনুসারে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় নজরদারি ভিডিওতে দেখা যায় যে ২৭ বছর বয়সী ব্রাফম্যান তার ট্রাক থেকে নেমে একটি গাড়ির দিকে আধা-স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে গুলি চালাচ্ছেন। ব্রাফম্যান ১৭ বার গুলি চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যার ফলে একজনের বাম কাঁধে এবং অন্যজনের বাম বাহুতে আঘাত লেগেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউপিএলজিকে দেয়া সাক্ষাতকারে গুলিতে আহত হওয়া আরি রেভে বলেন, তারা ট্রাকের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় চালক তাদেরকে লক্ষ্য করে উন্মুক্ত গুলি চালায়।
ব্রাফম্যানের পক্ষের কোনো আইনজীবী বা প্রতিনিধিকে তাৎক্ষণিকভাবে খুঁজে পায়নি বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো বলছে, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষ, ফিলিস্তিনিবিদ্বেষ ও ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে গেছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, টাইমস অব ইসরায়েল
অনলাইন ডেস্ক :
কয়েকদিন ধরে চলা নানান জল্পনার অবসান হলো আজ ২০ এপ্রিল বৃস্পতিবার। শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। কিন্তু এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার চাঁদা দেখা যায়নি। তাই আগামীকাল ২১ এপ্রিল শুক্রবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে অন্য দিকে সৌদি আরবের সঙ্গে রোজা শুরু করলেও মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ঈদ উদযাপিত হবে শনিবার। মানে সৌদি আরবে রোজা হয়েছে ২৯ টি আর মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার রোজ হলো ৩০ টি।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়। ফলে এ বছর সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাল ২১ এপ্রিল শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। ২০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর সৌদি আরবের রাজকীয় আদালত চাঁদ দেখার সংবাদ জানিয়েছে। খালিজ টাইমসের খবর।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, থাইল্যান্ড, জাপান ও ফিলিপাইন আনুষ্ঠানিকভাবে ২২ এপ্রিল শনিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে বলে ঘোষণা দেয়। কারণ, এসব দেশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।
ধারাবাহিকভাবে সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পর বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। সেই হিসেবে আগামীকাল ২২ এপ্রিল শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হতে পারে। তবে কাল শুক্রবার চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
উল্লেখ্য, ইসলামিক চন্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী নবম মাস হলো রমজান। আর ১০তম মাস শাওয়াল, যার প্রথম দিন সারা বিশ্বেই ঈদুল ফিতর হিসেবে উদযাপিত হয়। আরবি শব্দ শাওয়ালের ভাষান্তর দাঁড়ায়, ‘রোজা ভাঙার উৎসব।’
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর বিশ্বের আনাচে-কানাচে বসবাসরত মুসলিমরা এই দিন শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে উৎসবটি উদযাপন করেন।
মালয়েশিয়ায় চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ শনিবার
এতিকে আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) মালয়েশিয়ায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে, দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর আগামী শনিবার (২২ এপ্রিল) উদযাপিত হবে। খবর মালয় মেইলের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মালয়েশিয়ার ‘কিপার অব দ্য রুলারস সিল’ সৈয়দ দানিয়াল সৈয়দ আহমদ বলেছেন, ইয়াং ডিপারতুয়ান আগাং (প্যারামাউন্ট রুলার প্রধান) আল-সুলতান আবদুল্লাহ রিয়াতউদ্দিন আল-মুস্তফা বিল্লাহ শাহ মালয়েশীয় শাসকদের সঙ্গে আলোচনার পরে ঈদের তারিখ ঘোষণায় সম্মতি দিয়েছেন।
‘কিপার অব দ্য রুলারস সিল’র ভাষণটি স্থানীয় টেলিভিশনগুলোতে সম্প্রচার করা হয়।
শনিবার ঈদ হওয়ায় এ বছর একদিন বেশি ছুটি পাচ্ছেন দেশটির বাসিন্দারা। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, শনিবার ঈদ হলেও শুক্রবার থেকেই শুরু হবে সরকারি ছুটি। আর ঈদের দ্বিতীয় দিনের ছুটি রোববারে পড়ায় সেটি পাওয়া যাবে সোমবার।
এদিকে, মালয়েশিয়ার মতো মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি আরব দেশের ২৫ জন জ্যোতির্বিদ্যা বিশেষজ্ঞ যৌথভাবে এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার চাঁদ না দেখতে পাওয়ার এই ঘোষণা দিয়েছেন।
আইএসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, চাঁদ দেখার বিষয়টি আমাদের সম্মানিত পণ্ডিতদের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে এবং আমাদের মুসলিম পূর্বপুরুষরা ব্যবহারিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অর্ধচন্দ্র দেখার জন্য বেশ কয়েকটি মানদণ্ড স্থাপন করেছিলেন। এই মানগুলো আজও কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় এবং সেগুলো খালি চোখে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা নির্ধারণে নির্ভুলতার জন্য সুপরিচিত।
প্রকৃতপক্ষে, পুরোনো এবং নতুন সব মানদণ্ড বলছে, আরব বিশ্ব থেকে বৃহস্পতিবার খালি চোখে চাঁদ দেখা সম্ভব নয়। এই প্রত্যাশা কোনো ব্যক্তি বা দলের মতামত নয়, বরং এটি বিশেষজ্ঞদের ঐকমত্য।
সব বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা উল্লেখ করতে চাই, বৃহস্পতিবার আরব বা ইসলামিক বিশ্বে খালি চোখে অর্ধচন্দ্র দেখা সম্ভব নয়, এমনকি টেলিস্কোপ ব্যবহার করেও সম্ভব নয়।
আমিরাতভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, যেসব দেশে খালি চোখেই চাঁদ দেখা যায় বা এশিয়ার দেশগুলো, যারা টেলিস্কোপ দিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে; ধারণা করা হচ্ছে, সেসব জায়গায় রমজান মাস ৩০ দিন হবে এবং ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে শনিবার (২২ এপ্রিল)।
তবে এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এ বছর এই দুই দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে রোজ শুরু করে।
অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের শীর্ষ ধনী মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের ১৩তম সন্তান জন্ম দেওয়ার দাবি করেছেন মার্কিন এক লেখিকা। তার নাম অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ার। গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি দাবি করেন। তিনি জানিয়েছেন, মাস পাঁচেক আগে তিনি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেই সন্তানের বাবা হলেন ইলন মাস্ক।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে রেকর্ড অর্থ দেওয়া এই ধনকুবের এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চালাচ্ছেন- বিরোধীদের এমন দাবির মাঝে মাস্ক নিয়ে বড় দাবি করলেন মার্কিন এই লেখিকা।
কিন্তু তিনি এত বড় বিষয়টি এত দিন পরে প্রকাশ্যে আনলেন কেন? এই বিষয়ে লেখিকার দাবি, তিনি এত দিন এই ব্যাপারটা গোপন করেছিলেন, কারণ তিনি তার সন্তানের নিরাপত্তা আর গোপনীয়তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। কিন্তু এক ট্যাবলয়েড মিডিয়া তার সন্তানের খবর জেনে যাওয়ায়, তিনি সেই খবর প্রকাশের আগেই সত্যিটা নিজে থেকে জানিয়ে দিলেন বলে অ্যাশলে দাবি করেন। এর আগে ইলন মাস্কের চার নারীর সঙ্গে ১২টি সন্তান আছে।
অ্যাশলের দাবি, তিনি মাস্কের ১৩তম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। ‘এলিফ্যান্ট আর নট বার্ডস’ নামের এক বই লিখে জনপ্রিয় হয়েছিলেন অ্যাশলে।
টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের প্রথম স্ত্রী জাস্টিন উইলসনের সঙ্গে তার পাঁচটি সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে- প্রথমে যমজ সন্তান ভিভিয়ান এবং গ্রিফিন এবং তারপরে তিন সন্তান কাই, স্যাক্সন এবং ড্যামিয়ান।
পপ-তারকা গ্রিমসের সঙ্গে মাস্কের তিনটি সন্তান রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ছোট ছেলে এক্স, যাকে হোয়াইট হাউসে মাস্কের সাথে দেখা গিয়েছিল, মেয়ে এক্সা ডার্ক সাইডারেল এবং ছেলে টেকনো মেকানিকাস।
এছাড়া নিউরালিংকের নির্বাহী শিভন জিলিসের সাথে মাস্কের যমজ সন্তান রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যাদের ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে বৈঠকের সময় দেখা গিয়েছিল। সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট, দ্য মিরর
চলারপথে ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে দুইটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। ব্ল্যাকস বিচের কাছে ওই নৌকা দু’টি সমস্যার মুখে পড়ার পর অনুসন্ধান শুরু হয়, তবে তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছার আগেই প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
আজ ১৩ মার্চ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি পরিষেবাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯১১ নম্বরে কল করে একজন নারী মার্কিন জরুরি পরিষেবাকে জানান- তিনিসহ আটজন একটি নৌকায় রয়েছেন এবং তীরে পৌঁছেছেন। কিন্তু অন্য একটি নৌকায় আট থেকে ১০ জন লোক রয়েছে এবং সেটি ডুবে গেছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, নৌকাডুবির ঘটনায় তারা নিহতদের জাতীয়তা বা তারা ঠিক কোন দেশের নাগরিক তা জানেন না, তবে তারা (নিহতরা) সবাই প্রাপ্তবয়স্ক। তবে নৌকাডুবির এই ঘটনাটি ঠিক কী কারণে ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়।
সান দিয়েগো লাইফগার্ড’র প্রধান জেমস গার্টল্যান্ড বলেছেন, বালির বার এবং স্রোতের কারণে ওই এলাকাটি ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে উল্লেখযোগ্য। উদ্ধারকারীরা কোনো জীবিতকে খুঁজে পায়নি, তবে কেউ কেউ জরুরি পরিষেবা আসার আগেই হয়তো সৈকত ছেড়ে চলে যেতে পারেন।
সান দিয়েগো কোস্ট গার্ডের সেক্টর কমান্ডার জেমস স্পিটলার বলেছেন, ছোট নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কারণে ‘ঢেউয়ের মধ্যে সেটি উল্টে যায়’। তবে, অন্যটি তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। এর আগে ২০২১ সালে সান দিয়েগোর উপকূলে একটি নৌকা দুর্ঘটনার শিকার হলে চারজন মারা যায়। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও দুই ডজন মানুষ।
অনলাইন ডেস্ক :
সিরিয়ার নতুন নেতা আহমেদ আল-শারার সাথে শুক্রবার দামেস্কে সাক্ষাত করেছেন ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তবে সাক্ষাতে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জ্যাঁ-নোয়েল ব্যারোতের সাথে হাত মেলালেও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবকের সাথে হাত মেলাননি আল-শারা। তিনি আগে আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত ছিলেন।
রাজনীতির অভ্যর্থনার প্রোটোকলে হাত মেলানো খুব সাধারণ ঘটনা। কিন্তু এটি এড়িয়ে গেছেন সিরিয়ান নতুন প্রশাসনের প্রধান। যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরবের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জার্মান দৈনিক বিল্ড এই ঘটনাটিকে ‘হ্যান্ডশেক কেলেঙ্কারি’ আখ্যা দিয়েছে।
দ্য নিউ আরবের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোপের এই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থনের চিহ্ন হিসাবে সিরিয়া সফর করেছিলেন, যেখানে তারা গত মাসে বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে সাহায্য করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
এছাড়া জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি নারীদেরও সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানাতে এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল।
কিন্তু দামেস্কের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে পৌঁছানোর পর আল-শারা ব্যারোতের দিকে তার হাত বাড়িয়ে দিলেও বেয়ারবকের দিকে দেননি। বরং শারা এই সময় তার হাত বুকে রেখেছিলেন।
ইসলামের কিছু কঠোর ব্যাখ্যা বিপরীত লিঙ্গের লোকেদের মধ্যে শারীরিক যোগাযোগ নিষিদ্ধ করে যদি তারা বিবাহিত না হয়।
এই অবস্থা দেখে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারোত নিজেও আর আল-শারার দিকে হাত বাড়িয়ে দেননি, কিন্তু আল-শারা যখন হাতে মেলাতে এগিয়ে দেন তখন তিনিও হাত মেলান।
এ নিয়ে বেয়ারবক বলেন, ‘আমি যখন সেখানে যাচ্ছিলাম, তখন আমার কাছে স্পষ্ট ছিল যে স্বাভাবিকভাবেই হাত মেলানোর ঘটনা ঘটবে না। কিন্তু এটি একইভাবে স্পষ্ট ছিল, শুধু আমি নই, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করতেন। সে অনুযায়ী, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তাঁর হাত (আল-শারার দিকে) বাড়াননি।’
সিরিয়া একটি বহুজাতিক ও বিভিন্ন ধর্মের মানুষের রাষ্ট্র। এখানে কুর্দি, আর্মেনিয়ান, আসিরিয়ান, খ্রিস্টান, দ্রুজ, আলাউই শিয়া এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি আরবসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী বসবাস করে। শারার দল সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং স্বাধীনতা সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিদ্রোহী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা এক সময় আল-কায়েদার সাথে জড়িত ছিলো। বর্তমানে শারার প্রতিবেশীদের আশ্বস্ত করতে চাইছেন, এটি ইসলামি জঙ্গিবাদের শিকড় থেকে দূরে সরে গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
গত ২৮ বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো ঈগলভেল, সিডনির মেরি ইম্যাকুলেট স্কুলের অডিটোরিয়ামে মহাআনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে বড়দিন উৎসব ২০২৪।
সংগঠনের সকল সদস্যসহ সিডনির বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানটি ছিলো সত্যিই উপভোগ্য। সভাপতি এ্যালেক্স তুহিন গাইনের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরুর পর প্রার্থনা ‘অভাবনীয় উপহার’ পরিবেশন করেন এলেন জোসেফ গমেজ।
সংগঠনের ম্যাগাজিন “জল” এর উদ্বোধন করা হয়। এ বছর সম্পাদনা করেছেন হারবার্ট বিশ্বাস। অলংকরণ ও বিন্যাসে ছিলেন লরেন্স ব্যারেল। চিত্রগ্রাহক অশোক অধিকারীর একটি চিত্র প্রচ্ছদ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
মধ্যাহ্নভোজের পর শুরু হয় আনন্দময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জুলিয়েট রয়’র উপস্থাপনায় এই পর্বে গান, নাচ, নাটক সবই ছিল চিত্তাকর্ষক। সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণ করেন উষ্ণতা, ভিওলা, আরভিন, রোনান, এবিগেল, অরা, রুশা, এড্রিয়ানা, চেরী সরকার, নোয়েল চৌধুরী, সঙ্গীনি কোড়ায়া, দীপা বিশ্বাস, মরিয়ম ফ্রান্সিস,জেনেট শিল্পী, ইন্দিরা বাড়ৈ। শিশুদের পর্বটির দায়িত্বে ছিলেন জেনিফার চৌধুরী ও লিন্ডা এমি মন্ডল।
গান পরিবেশন করেন অমিয়া মতিন, অশোক অধিকারী, এলেন জোসেফ প্রমুখ। বাদ্যযন্ত্রে ছিলেন অনাদী বিশ্বাস, থিওফিল বৈদ্য ও তপন ডি’কস্তাসান্তার ভুমিকায় ছিলেন দেবব্রত মন্ডল। তিনি নিজ হাতে বাচ্চাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। কয়েকটি বাচ্চাকে অবশ্য তাঁর দীর্ঘ সফেদ দাড়ি দেখে ইতস্তত করতে দেখা যায়।
দুপুরের আহার ও বিকেলের ‘পিঠা পর্ব’ ছিল অনন্য। ছোট্ট নাটক ‘আমাদের হীরক রাজা’ ছিল এ অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ। স্ক্রিপ্ট ও অভিনয়ে ছিলেন লরেন্স ব্যারেল, জুলিয়েট গাইন, ইন্দিরা বাড়ৈ এবং থিওফিল রনি বৈদ্য। শেষ আয়োজন ছিল রাফেল ড্র।
অনুষ্ঠানটি সাজসজ্জায় ছিলেন লরেন্স ব্যারেল। সাউন্ড পরিচালনায় এলেন জোসেফ। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন ন্যান্সী লীনা ব্যারেল। কার্যকরী সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে অনুষ্ঠান স্বার্থক করে তোলে।