চলারপথে রিপোর্ট :
শ্রীনগরে আদর্শ ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে উপজেলার খাহ্রা-চুড়াইনে আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই ক্রীড়ানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মো. সেলিম খান।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন প্রধান অতিথি ও কলেজের শিক্ষক, আমন্ত্রিত অভিভাবক, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ বিপুলসংখ্যক দর্শক।
এ সময় অতিথি ছিলেন, কলেজ গভর্নিং বডির বিদোৎসাহী সদস্য আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, দাতা সদস্য গাজী শফিউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক প্রতিনিধি মাহাবুবুর রহমান।
প্রতিযোগিতায় ১০টিরও বেশি খেলাধুলা ও অনান্য বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। ‘গোলক নিক্ষেপ ও দৌড় প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠানটি হয়েছিল বিশেষ উপভোগ্য।
অনুষ্ঠানে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তে প্রায় ৫৮ লাখ টাকার বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা। আজ ১৯ জানুয়ারি রোববার পর্যন্ত ৩দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে আজ পর্যন্ত ৩দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা আখাউড়া, কসবা, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৭০,৬০০ টি বাঁজি, ৯৪৫ কেজি চিনি, ২৭০ কেজি বাসমতি চাউল, ২৫,২০০ প্যাকেট বিস্কুট, ১ টি কাভার্ড ভ্যান, ৯৭ বোতল হুইস্কি, ৯৪ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১২৮৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এই সব অবৈধ পণ্য উদ্ধারের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫০ টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, উদ্ধারকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল আখাউড়া ও কুমিল্লা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে এক জেলের জালে ৪২ কেজি ওজনের বিশাল আকারের একটি বাগাড় মাছ ধরা পরেছে। মাছটি ৭৫ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার সকাল ৮টার দিকে পদ্মা নদীর কাজীহাট এলাকায় মাছটি ধরা পরে। দুপুর ১২টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে আসলে মাছটি প্রতি কেজি ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে মোট ৭১ হাজার ৪০০ টাকায় ক্রয় করেন ঘাটের স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ।
এ সময় বিশাল আকারের এই বাগাড় মাছটি এক নজর দেখতে স্থানীয় জনতা ভিড় জমায়।
মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, ৪২ কেজি ওজনের বাগাড় মাছটি প্রতি কেজি ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে মোট ৭৫ হাজার ৬০০ টাকায় অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে সিলেট জেলায় একজন ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। পদ্মা ও যমুনা নদীতে জেলেরা অন্যান্য মাছের সাথে বাগাড় মাছও প্রকাশ্যে শিকার করছেন। বাজারে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে নিলামে বিক্রি হচ্ছে। প্রকাশ্যে শিকার করা হয়, বিক্রি হলে আমাদের কিনতে দোষ কীসের?
স্থানীয় কয়েকজন মৎস্যজীবী জানান, রাজবাড়ী ছাড়াও পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ অঞ্চলের জেলেরা ভাসান জালে পাঙাশ, রুই, কাতলা মাছের পাশাপাশি বাগাড় শিকার করছেন।
জেলা মৎস্য অফিসার মো. নাজমুল হুদা জানান, ৪২ কেজি ওজনের বাগাড় মাছ ধরা পরার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি।
বাগাড় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২–এর আওতাভুক্ত হওয়ায় ব্যবস্থা নিতে পারি না। মৎস্য সংরক্ষণ আইনের আওতায় আনতে বিভিন্ন মহলে বিষয়টি উত্থাপিত হচ্ছে। বন বিভাগের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ড্যাব সিরাজগঞ্জ জেলা শাখর উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং জিয়া পরিষদ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা উদ্যোগে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের পৌর ভাসানী মিলনায়তনে এ কর্মসুচি তিনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সহধর্মিনী সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ। এসময় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ- সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, শ্রী অমর কৃষ্ণ দাস, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ড্যাব সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডা: আব্দুল লতিফ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা নোমান আলাল ও সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সেরাজসহ দলীয় নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।
প্রতিযোগিতা ও রক্তদান কর্মসূচিতে শতাধিক যুবক ও শিশু-কিশোর অংশগ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে সাধারণ চালের বস্তায় মিনিকেট লিখে প্রতারণা করার দায়ে একটি চাতাল কলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল মোড়কীকরণ, অস্বাভাবিক চালের মজুদ এবং মিলগেট মূল্য তালিকা সম্বলিত সীল না থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
৬ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করেন খাদ্য অধিদপ্তর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার একাধিক চাতাল কলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রামিম পাঠান জানান, আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় অবস্থিত সেবা রাইস মিল নামক প্রতিষ্ঠানে অস্বাভাবিক চালের মজুদের পাশাপাশি বিআর-২৮ চালের বস্তায় মিনিকেট লিখে পাটের বদলে প্লাস্টিক বস্তায় মোড়কজাত করতে দেখা যায়। এছাড়া মিলগেট মূল্য তালিকা সম্বলিত সীল না থাকা এবং ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করার বিষয়টিও ধরা পড়ে। এসব অসঙ্গতি ধরা পড়ার পর ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানকে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সরকারের প্রচলিত আইন মেনে ব্যবসা করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভীর নেতৃত্বে খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রামিম পাঠান, কনজুমার্স অ্যাসোসিয়শন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সেক্রেটারি শাহীন আলম, ছাত্র প্রতিনিধি সিয়াম আফ্রিদিসহ আশুগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকুরিচ্যুৎ বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল ও কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ জানুয়ারি রবিবার সকালে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিডিআর এর নায়েব বদরুল আলম, নায়েব জাহাঙ্গীর, সিপাহী আবদুল মান্নান, নায়েব জাহাঙ্গীর, মাসুদ পারভেজসহ বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ।
বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পিলখানায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের দায় বিডিআর সদস্যদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। মূলত তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের ক্ষমতা স্থায়ী করার জন্য বিডিআর বাহিনী ধ্বংস করার জন্য এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে।
পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের পেছনে দায়ী ব্যক্তিবর্গ এবং নেপথ্যের নায়কদের চিহ্নিত করে করে অতি দ্রুত দৃষ্টান্মূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং যে সকল সদস্যর সাজার মেয়াদ শেষ ও খালাস প্রাপ্ত তাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি তদন্ত কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও নির্ভয়ে কাজ করার সুবিধা দেয়াসহ গণহারে গ্রেফতার করে যাদের অন্যায় ভাবে চাকুরিচ্যুৎ করা হয়েছে তাদের সবাইকে সরকারি সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।