অনলাইন ডেস্ক :
স্ট্রোকের রোগী নাজমা বেগমের (৫০) শরীরে পরপর চারটি ইনজেকশন দেওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে এ ঘটনার পর আক্তার হোসেন ও ইদ্রিস চৌধুরী নামে দুই অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে তুলে দেয় স্থানীয়রা। এদের মধ্যে আক্তার হোসেন নাজমা বেগমের সাবেক স্বামী। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে আক্তার হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দশদনা গ্রামে। অপর ব্যক্তি ইদ্রিস চৌধুরীর বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। তারা দুইজন চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় থাকতেন। ইদ্রিস নিজেকে পল্লী চিকিৎসক দাবি করে নাজমার শরীরে ইনজেকশনও দিয়েছিলেন। যদিও তিনি এ সংক্রান্ত কোনো সনদ পুলিশকে দেখাতে পারেননি।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি নাজমা স্ট্রোক করার পর তার শরীরের একপাশ অচেতন হয়ে যায়। পরে তার বর্তমান স্বামী সাহাব উদ্দিন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর চিকিৎসকের পরামর্শে নাজমা হাসপাতাল ছেড়ে যান। এরপর থেকে তিনি ফৌজদারহাটে তার বোনের বাড়িতে থাকছিলেন।
শনিবার দুপুরে আক্তার হোসেন ইদ্রিস চৌধুরীকে নিয়ে নাজমার বোনের বাড়ি যান। এরপর চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া ইদ্রিস চৌধুরী নাজমার শরীরে পরপর চারটি ইনজেকশন পুশ করেন। পরে নাজমার মৃত্যু হলে স্থানীয়রা অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় নিহত নাজমার স্বামী সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। নাজমার লাশ সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ফারুক মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৯ মার্চ শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলার হোমনা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ফারুক মিয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া উত্তর হাটির মৃত শাহজাহান মেম্বারের ছেলে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ১২ বছরের ওই শিশু তার বান্ধবীর নানার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ি থেকে বের হয়ে সে পথ হারিয়ে ফেলে। এ অবস্থায় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া তাকে পথ দেখিয়ে দেবে বলে একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে যান। পরে সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন।
শিশুটি বাড়িতে ফিরে তার পরিবারকে ঘটনাটি জানালে লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছিল। কয়েকদিন আগে ফেসবুকে কে বা কারা বিষয়টি ছড়িয়ে দেয় এবং পুলিশের নজরেও আসে। পরে শনিবার নিপীড়নের শিকার শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত ফারুক মিয়াকে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার হোমনা থেকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতার আসামি ফারুককে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও মাদক মামলা চলমান রয়েছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ৮ ঘণ্টা পর এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুই বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দেওয়া হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের পর ২ মে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে তাদের হস্তান্তর করা হয়। ফেরত আসা ব্যক্তিদের পরিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারপাড় সীমান্তের ৮২৫ নম্বর সাব-পিলারের কাছ থেকে রিমন ও সাজেদুল ইসলাম নামের ওই দুইজনকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। রিমন পাটগ্রামের মোস্তাক হোসেনের ছেলে এবং এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সাজেদুল বগুড়া শহরের সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং সম্পর্কে রিমনের মামা।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮২৫ নম্বর মূল খুঁটির ১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে, কাঁটাতারের বেড়ার বাংলাদেশ অংশে অবস্থিত একটি ভারতীয় চা বাগানে রিমন ও সাজেদুল টিকটকের ভিডিও তৈরি করছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে। ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিজিবি দ্রুত বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করে। ফলস্বরূপ, উভয় পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং দুই বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে ফেরত আনা সম্ভব হয়।
ফেরত আসার পর রিমন ও সাজেদুল জানান, দেশে পৌঁছানোর পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য তারা বিজিবিকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং ভুক্তভোগীদের পরিবারও বিজিবির এই তড়িৎ পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, বিজিবি ভারতীয় বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান জানালে, বিএসএফ ইতিবাচক সাড়া দিয়ে তাদের হেফাজতে থাকা দুই শিক্ষার্থীকে রাতেই ফেরত দিয়েছে।
সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য:
রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন (নবীন বরন) ১৫ জুন রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এর সচিব ডা. মো: সরোয়ার বারীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেন্ট্রাল ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের সাথে অনলাইনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
সেন্ট্রাল ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম সমাপ্ত হবার পর কলেজ ক্যাম্পাসে নবাগত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ উত্তম কুমার পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী এর পক্ষে হাসপাতাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী।
বক্তব্য রাখেন- হসপিটাল এর পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) অধ্যাপক ডাঃ এ কে মাহবুবুল হক।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ভূঁইয়া।
বক্তারা নবীন শিক্ষার্থীদের ভালো চিকিৎসক হবার পাশাপাশি ভালো মানুষ হবার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকগণ নবাগত দেশী-বিদেশী শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। এরপর শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডাঃ ফজলুল করিম এবং একাডেমিক পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করেন মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ফেজ কো-অর্ডিনেটর গণ অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস প্রফেশনাল পরীক্ষায় (নভেম্বর ২০২৪) অনার্স মার্ক অর্জনকারী ৪ জন শিক্ষার্থীকে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়- ধীরাজ স্ট্যানলি (ভারত), সানজিদা কবির ঐশী (বাংলাদেশ), সোনিকা থাপা (নেপাল) ও ওয়ানিমা তাবাসসুম (বাংলাদেশ)।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকগণ নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এরপর শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার বিতরণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বগুড়ার শেরপুর শহীদিয়া আলীয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক মাওলানা ইয়াসিন আলীকে রাজকীয় বিদায় দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ ৪১বছরের শিক্ষকতা জীবনের শেষদিন আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে সুসজ্জিত ঘোড়ার টমটম গাড়িতে তাকে নিজ বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। এর আগে একই দিন বেলা ১০টায় ওই শিক্ষকের অবসরগ্রহণ উপলক্ষ্যে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেন মাদ্রাসাটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। এটিকে শিক্ষকের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।
মাওলানা ইয়াসিন আলী উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১৯৯০ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৫ বছর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এর আগে ৬ বছর স্থানীয় খামারকান্দি দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিদায় বড় কষ্টের তবুও মানতে হবে। আমাকেও এভাবে একদিন বিদায় নিতে হবে। একজন শিক্ষকের বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখতে তাকে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। জমকালো এই ব্যতিক্রমী আয়োজন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ আব্দুল হাই বারী, মাওলানা আমানুল্লাহ, আবু জাফর, একে আজাদ, মোহাম্মদ আলী, শাহীন আলম, সমাজসেবক আবুল কাশেম মন্ডল, আবুল হোসেন, শফিকুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দরিদ্র হ্রাসকরণ কর্মপরিকল্পনা (PRAP) বাস্তবায়নে টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বল্প আয়ের পরিবারের শিক্ষর্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে মধুপুর অডিটরিয়ামে পৌরসভার আয়োজনে দেড় শতাধিক জন শিক্ষার্থীদের মাঝে এ স্কুল ব্যাগ বিতরণ করা হয়। বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মধুপুর পৌরসভার দায়িত্বে থাকা পৌর প্রশাসক মো. জুবায়ের হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মধুপুর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল কবির, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোস্তফা হোসাইন প্রমুখ ।