অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় দেশটির ফেডারেল কর্মচারীদের একটি ই-মেইল পাঠিয়েছে। যেখানে তাদের আগের সপ্তাহের কাজের সাফল্য বিস্তারিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতের মধ্যে এই তথ্য না দিলে তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে বলে জানানো হয়েছে ই-মেইলে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ই-মেইল পাঠানোর কিছুক্ষণ আগেই, ট্রাম্প প্রশাসনের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্ণমেন্ট এফিশিয়েন্সি বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক তাঁর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম শেয়ার করা এক টুইটে বলেন, এই ইমেইলের উত্তর না দিলে তা পদত্যাগ হিসেবে গণ্য করা হবে।
ইলন মাস্ক এক্সে লিখেছেন, ‘সব ফেডারেল কর্মচারী শীঘ্রই একটি ই-মেইল পাবেন, যেখানে জানতে চাওয়া হবে তারা গত সপ্তাহে কী কাজ করেছেন। উত্তর দিতে ব্যর্থ হলে, তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ বলে বিবেচিত হবে।’
মাস্কের এই পোস্টের কয়েক ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্ট বলেন, ডিওজিইকে আরো আক্রমণাত্মক হতে হবে এবং ২৩ লাখ ফেডারেল কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে সরকারকে ঢেলে সাজাতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে আটক করা দুই বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী কারাভোগ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন। ৯ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় আখাউড়া স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
দেশে ফেরা তরুণ তরুণীরা হলেন, চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সুব্রত ভট্টাচার্য্য (২১) ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জান্নাত আক্তার (১৯)।
ভারতের ত্রিপুরার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় আখাউড়া-আগরতলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্ত দিয়ে তারা দেশে ফেরেন।
এদিকে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সজিব মিয়া, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খাইরুল আলম, বিজিবির আইসিপি পোস্ট কমান্ডার মো. রুহুল আমিনের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করেন ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তা মো. ওমর শরীফ।
এসময় গণমসাধ্যমকে সুব্রত ভট্টাচার্য্যের মা বলেন, ‘আমি পোশাক কারখানায় কাজ করি। আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ বিধায় ছেলেকে একটা আশ্রমে পড়াশোনা করার জন্য দেওয়া হয়। একদিন রাতে ফোন আসে আমার ছেলে ভারতে। ফোন পেয়ে আমি দিশাহারা হয়ে যাই। সে ওখানে থাকার প্রায় দশ মাস আমি পাগলপ্রায় ছিলাম। আমার স্বামীও অসুস্থ। কোথায় যাবো, কী করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এতোদিন পর ছেলেকে পেয়ে আমি আনন্দিত।’
দেশে ফেরা সুব্রত ভট্টাচার্য্য জানান, তিনি দশ মাস আগে রামগড় সীমান্তপথে পুরোহিত বিদ্যার্জনে ভারত যান। সেখানে তিনি বিএসএফের হাতে আটক হন।
এদিকে জান্নাত আক্তার জানান, পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য দালালের মাধ্যমে তিনি ভারতে যান। সিলেটের খোয়াই সীমান্তপথে তিনি গিয়েছিলেন। দেশে ফিরতে পেরে তিনি খুব খুশি।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ ৫ মাস বাংলাদেশে বাংলাদেশে আটক থাকার পর দেশে ফিরেছে তিন ভারতীয় নাগরিক।
আজ ২৯ মার্চ বুধবার বেলা ১১টার সময় আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তাদেরকে ফেরত দেয় জেল পুলিশ ও ইমিগ্রেশন পুলিশ। এর আগে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ওই তিন ভারতীয় নাগরিক আটক হয়।
ভারতীয় নাগরিকরা হলেন ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার মধুপুর থানার দেবীপুর এলাকার রামু দেববর্মা, সুনীল দেববর্মা ও স্বপন দেববর্মা।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা সীমন্ত দিয়ে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি তাদেরকে আটক করে কসবা থানায় হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে আদালতে প্রেরন করলে অনুপ্রবেশের দায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।
এরপর থেকে দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে চিঠিপত্র আদান-প্রদানের মাধ্যমে আইনি পক্রিয়া শেষে দীর্ঘ ৫ মাস পর তাদেরকে আজ ভারতে ত্রিপুরায় ফিরত পাঠানো হয়।
প্রত্যাবাসনের সময় চেকপোস্ট শূন্য রেখায় উপস্থিত ছিলেন, আখাউড়া ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস, এএসআই দেওয়ান মোর্শেদুল হক, ভারতের আগরতলা পশ্চিম থানার এএসআই মিলন দেববর্মাসহ দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরব প্রবাসী এক বাংলাদেশি লটারিতে প্রায় তিন কোটি টাকা জিতেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘মাহজুজ ড্র’ জেতা ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ শাহিন (৩১)। তিনি দাম্মামের একটি বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজার পদে চাকরি করেন।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ সাপ্তাহিক মাহজুজ ড্রতে ১ মিলিয়ন দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রা ২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা) জিতেন বাংলাদেশি প্রবাসী শাহিন।
হঠাৎ করে লটারি জয়ের ই-মেইল পেয়ে হতবাক হয়ে যান শাহিন। ইমেইলে মাহজুজ ড্রয়ের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়, তাদের সাপ্তাহিক র্যাফেল পুরস্কারটি পাচ্ছে তিনি। তার টিকিটের আইডি নম্বর ৩৮২২৫৮১৯।
প্রথমে শাহিন লটারি জয়ের বিষয়টি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। পরে তার অ্যাকাউন্টে লগইন করে নিশ্চিত হন এক মিলিয়ন দিরহাম জিতেছেন তিনি।
শাহিন বলেন, আমি হতবাক ও বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমার মাহজুজ অ্যাকাউন্টে এত টাকা দেখে আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
লটারি জয়ের সুসংবাদটি বাংলাদেশে তার পরিবারকেও জানিয়েছেন শাহিন।
অনলাইন ডেস্ক :
সরাসরি হজে পাঠানোর ক্ষেত্রে হজ এজেন্সির জন্য সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা কমিয়েছে সৌদি সরকার। ৫০০ জন থেকে ওই কোটা ২৫০ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে যেসব এজেন্সির হজযাত্রী ২৫০ জন হবে তারা এখন সরাসরি হজে লোক পাঠাতে পারবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি সরকার সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে কোটা কমানোর এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২৭ জানুয়ারি শনিবার হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং এজেন্সিগুলোকে এটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিজরি ১৪৪৫/২০২৪ সনের হজ মৌসুমে অনুমোদিত প্রতিটি হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন ৫০০ জন হজযাত্রী থাকলে ওই এজেন্সি সৌদি আরবে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোটা কমানোর চিঠিতে জানিয়েছে, সৌদি সরকার ২০২৪ সালের হজের জন্য বাংলাদেশসহ সব দেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা প্রথমে দুই হাজার জন এবং পরবর্তী সময়ে ৫০০ জন নির্ধারণ করে পত্র দেয়। সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে আগের মতো বাংলাদেশের সব এজেন্সিকে হজযাত্রী পাঠানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সৌদি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ধর্মমন্ত্রীর নির্দেশে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার সর্বশেষ গত ২৪ জানুয়ারি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার আবদুল ফাত্তাহ সুলেমান মাশাত এবং হজ অ্যাফেয়ার্স অফিসের মহাপরিচালক ড. বদর আলসোলামির সঙ্গে টেলিফোনে কোটার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।
অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি ভাইস মিনিস্টারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে ২৫০ জন নির্ধারণের কথা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়।
এ ক্ষুদে বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কোনো হজ এজেন্সি ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলে সরাসরি সৌদি আরবে পাঠাতে পারবে। যেসব এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ২৫০-এর কম সেসব এজেন্সিকে অন্য এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে হজযাত্রী পাঠাতে হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জানানো হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালেও বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এবার হজে যেতে সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর। গত ১০ ডিসেম্বর নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নিবন্ধনে সাড়া না পাওয়ায় তিন দফা সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বাড়ানো নিবন্ধনের সময় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
জিতলেই ইতিহাস। প্রথমবার বিশ্বকাপ শিরোপা ছোঁয়ার অনুভূতি। কারণ প্রথমবার ফিফা নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখে ইংল্যান্ড ও স্পেন। যে লড়াইয়ে ১-০ গোলে জিতে ইতিহাস গড়েছে স্পেন। স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ায় স্বপ্নের সোনালি শিরোপা উৎসব করেছে লা রোজিরা।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে স্পেনের ওলগা কারমনা গোল করেন। তার ওই গোলেই স্বপ্নের শিরোপা হাতে উঠেছে লা রোজিদের হাতে। বিশ্বকাপের সপ্তম ফুটবলার হিসেবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। এছাড়া পঞ্চম দেশ হিসেবে স্পেনের নারীরা ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাধিক চারবার নারীদের ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছে। জার্মানি দু’বার ঘরে তুলেছে বিশ্বকাপের শিরোপা। বিশ্বকাপের সোনালি শিরোপা হাতে উঠেছে নরওয়ে এবং জাপানের হাতেও।
শেষ বাঁশি বাজতেই ভূপাতিত হয়ে পড়েন ইংল্যান্ড ফুটবলাররা। উল্লাসে মাতেন স্পেনের মেয়েরা।
অন্যদিকে দু’বার দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে শিরোপা বঞ্চিত থাকতে হলো কিংবদন্তি সারিনা উইগম্যানের। ফুটবল কোচিংকে সহজ বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। দলকে টানা চার আসরের ফাইনালে তুলেছেন। নেদারল্যান্ডসকে ইউরো জেতালেও বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেও শিরোপা জেতাতে পারেননি তিনি।
ইংল্যান্ডের সঙ্গেও হলো তা-ই। লায়নেসদের দায়িত্ব নিয়ে ইউরো জিতিয়েছেন সাবেক এই ফিজিক্যাল ইডুকেশন টিচার। কিন্তু বিশ্বকাপের শিরোপা জেতাতে পারলেন না। অন্যদিকে স্পেনও দেখিয়ে দিয়েছে ফুটবল কৌশলে পিছিয়ে নেই তারাও। তাদের পজিশন প্লেয়িংয়ের কাছে খেই হারালে ম্যাচে ফেরা কঠিন।
স্পেন নারী দলের কোচ জর্জ ভিলদার দল বলের দখলেই শুধু এগিয়ে ছিল না আক্রমণেও তার দল ছিল ঢের এগিয়ে। গোল মুখে ইংল্যান্ডের আট শটের তুলনায় ১৩টি শট নিয়েছে লা রোজিরা। এর মধ্যে লায়নেসদের মাত্র তিনটি শট ছিল গোল হওয়ার মতো। স্পেন ভয় ধরানো শট নিয়েছে আটটি।