সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সান্য মলহোত্রের সিনেমা ‘মিসেস’। সিনেমাটিতে তুলে ধরা হয়েছে এক নারীর শ্বশুরবাড়ির জীবনযাপন। নিজের স্বপ্ন, উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিসর্জন দিয়ে শ্বশুরবাড়ির সেবায় মন দিতে হয় ওই নারীকে। সম্বন্ধ করে বিয়ের পরে একান্নবর্তী পরিবারে গিয়ে পুরুষতন্ত্রের শিকার হয় সান্যের অভিনীত চরিত্র ‘রিচা’। সিনেমাটির প্রশংসায় মেতেছেন দর্শকেরা। তবে সান্যের সিনেমা নিয়ে আপত্তি জানালেন কঙ্গনা রনৌত। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই নিজের মতামত প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা।
‘মিসেস’ সিনেমার বিষয়বস্তু নিয়েই সমস্যা কঙ্গনার। একান্নবর্তী পরিবারকে ও পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যেভাবে দেখানো হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি কঙ্গনার। তাছাড়া, গৃহবধূদের সাথে পারিশ্রমিক প্রাপ্ত শ্রমিকের তুলনারও বিরোধিতা করেছেন তিনি। নিজের ঘরের ও সন্তানের জন্য কাজ করার সাথে শ্রমিকের তুলনা টানা মোটেই ঠিক নয় বলেই মতো কঙ্গনার।
তবে ‘মিসেস’ সিনেমার নাম না উহ্য রেখেই বিরোধিতা করেছেন কঙ্গনা। একটি পোস্টে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনিও একান্নবর্তী পরিবারে বড় হয়েছেন। নারীরা পরিবারের কোনও দায়িত্ব নিচ্ছেন না, এমন তিনি দেখেননি। বরং মহিলারাই নাকি ঠিক করতেন, বাড়িতে কখন খাওয়া-দাওয়া হবে, কখন বাড়ির সকলে ঘুমোতে যাবেন, কে কখন বাইরে যাবেন। তার বাড়িতে নাকি নারীদের তত্ত্বাবধানেই সব কিছু হতো। স্বামীর খরচের হিসাবও তাদের কাছে থাকত। পুরুষদের ঘনঘন বাইরে যাওয়া ও মদ্যপান নিয়ে নারীরাই আপত্তি জানাতেন।
এখানেই শেষ নয়। বিয়ে নিয়েও নিজের মতামত জানান কঙ্গনা। তার মতে, বিয়ে মানে শুধুই সঙ্গীর থেকে মনোযোগ ও মান্যতা পাওয়া নয়। বরং বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আশ্রয় পান প্রবীণ ও সহায়তা পায় সদ্যোজাতেরা। আগের প্রজন্মের প্রায় সবাই কোনও প্রশ্ন না করেই বাবা-মায়ের সেবা করতেন।
এ বিষয়ে কঙ্গনার মন্তব্য, বলিউডের বহু সিনেমায় বিয়ে নামক ধারণাকেই নষ্ট করে দিয়েছে। এ দেশে যেভাবে বিয়ে হয়ে এসেছে এতো দিন, সেভাবেই বিয়ে হওয়া উচিত। বিয়ের সব সময়েই একটা উদ্দেশ্য ছিলো। সেই উদ্দেশ্য হলো ধর্ম, যার অর্থ কর্তব্য। নিজের কর্তব্যটুকু করুন। তাতেই হবে। জীবন খুবই ছোট। বেশি মান্যতা পেতে গেলে মনোবিদের সাথে একাই জীবনটা কাটাতে হবে।
স্পোর্টস ডেস্ক :
ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর দুই মাস। তার আগে বিশ্ব ভ্রমণ করছে বিশ্বকাপের ট্রফি। অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের ভেন্যু ভারত থেকে যাত্রা শুরু করে বিশ্বকাপ ট্রফি। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ঘুরে বিশ্বকাপের ট্রফি আসছে বাংলাদেশে।
আজ ৬ আগস্ট রবিবার মধ্যরাতে ঢাকায় আসছে সেই ট্রফি। ৭ থেকে ৯ আগস্ট এই তিনদিন ট্রফি থাকবে বাংলাদেশে। বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশের কোন কোন স্থানে নেয়া হবে সেই সূচিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে।
তিন দিনের সফরে ট্রফি প্রদর্শনের তিনটি জায়গা ভাগ করা হয়েছে।
বিসিবির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭ আগস্ট অফিসিয়াল ফটোশ্যুট হবে পদ্মা বহুমুখী সেতুর মাওয়া প্রান্তে বিকেল ৩টায়। সেখান থেকে ফিরে হোটেলে রাখা হবে।
পরদিন ৮ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রদর্শন করা হবে ট্রফি। যেখানে জাতীয় দল, নারী দল, বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেটার, ক্রিকেট কর্মকর্তা এবং সংগঠক এবং ক্রীড়া সাংবাদিকদের ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
শেষের দিন (৯ আগস্ট) ঢাকার পান্থপথের বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে সর্বসাধারণের জন্য ট্রফি প্রদর্শন করা হবে। সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে বিশ্বকাপ ট্রফি। একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে ভক্তরা ছবি তুলতে পারবেন। এ জন্য কোনো টিকিট লাগবে না।
বেশি সংখ্যক মানুষকে ট্রফি দেখা ও ছবি তোলার সুযোগ করে দিতেই বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে ট্রফি প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বিসিবি।
স্পোর্টস ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ও শাহদাত দিপুর ব্যাটে কিছুটা বিপর্যয় এড়ালেও দ্বিতীয় সেশনে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে নড়বড়ে অবস্থায় থেকে চা পান বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। তবে দলীয় ২৯ রানের মাথায় মিচেল স্যান্টনারের বলে তুলে মারতে গিয়ে উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েন জাকির। এতে ভাঙে ওপেনিং এই জুটি। ২৪ বলে ৮ রান আসে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে। এরপরের ওভারেই এজাজ প্যাটেলের বলে লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয়। ৪০ বলে ১৪ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর উইকেটে থিতু হতে পারেনি মমিনুলও। নিজের নামের পাশে ৫ রান যোগ করতেই এজাজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেরেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ন শান্ত। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডবিøউ হন তিনি।
১৪ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন তিনি। ফলে দ্রæত চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পরা টাইগারদের পঞ্চম উইকেটে চাপ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং শাহাদাত হোসেন দিপুর ব্যাটে।৪ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
এ দুজন মিলে গড়েন ৫৭ রানের এক জুটি। তবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হাত দিয়ে বল আটকিয়ে মিস্টার ডিপেন্ডেবল সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। ৪১তম ওভারের চতুর্থ বলটি ডিফেন্ড করেন মুশফিক। বল মাটিতে লাফিয়েছিল। অফস্টাম্পের ধারেকাছেও ছিল না বল। কিন্তু কী মনে করে যেন ডান হাত দিয়ে বল ঠেকালেন বাংলাদেশি ব্যাটার। এতে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করেন।
মুশফিকুর রহিম ও শাহদাত দিপুর ব্যাটে কিছুটা বিপর্যয় এড়ায় টাইগাররা। ৪ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে দলীয় ১০৪ রানে ৮৩ বলে ৩৫ রান করে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিক। এতে পঞ্চম উইকেটে ৫৭ রানের জুটি ভাঙে টাইগারদের। এরপর দিপুও ফেরেন ব্যক্তিগত ৩১ রানেই। পরে নুরুল হাসান সোহান এবং মেহেদী মিরাজরাও দলের হাল ধরতে পারেননি আজ। ফলে চা বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও চার উইকেট হারায় টাইগাররা।
১৪৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে চা বিরতি থেকে ফেরার পর শেষ সেশনের ব্যাটিংয়ে নেমে নাইম হোসেন কিছুটা আশার আলো দেখালেও অপরপ্রান্তে সঙ্গীর অভাবে ইনিংস এগিয়ে নিতে পারেননি। ফলে প্রথম দিনেই ১৭২ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। কিউইদের হয়ে আজ সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার এবং ফিলিপস।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও কণ্ঠশিল্পী তাহসান খানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদের বিয়ের খবর এখনও টপ অব দ্যা কান্ট্রি। বিশেষ করে তাহসানের স্ত্রী রোজা কে নিয়ে এখনও অনুরাগীদের চর্চা তুঙ্গে। কিন্তু তাহসানের সাথে বিয়েতে বসার আগে এই রোজা আহমেদকে কতটা চিনতেন তার অনুরাগীরা? বলা বাহুল্য, তাহসানের সাথে পরিচয় হওয়ার আগে থেকেই নেটিজেনদের কাছে বেশ পরিচিত ছিলেন এই মেকআপ আর্টিস্ট।
সম্প্রতি রোজা আহমেদের একটি পুরোনো সাক্ষাৎকার ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে রোজা তার ক্যারিয়ার, পেশা নিয়ে বিস্তর আলাপ করেন। সেখানে তাকে বেশ কিছু প্রশ্ন ও নেটিজেনদের নানান অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। সে প্রসঙ্গেই আলোচনা করেন রোজা।
জানালেন, একটা সময় পর্দায় আসার ইচ্ছে ছিল তার। শুধু তাই নয়, জয়া আহসান কিংবা মৌ এর মতো অভিনেত্রীদের সাথেও কাজ করার ইচ্ছে ছিল তার। রোজা বলেন, ‘একসময় ইচ্ছে ছিল মডেল হব, অভিনেত্রী হব।’
সেই সাক্ষাৎকারে ভ্লগারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা ওঠে। যেমন, অনেক ক্ষেত্রে খারাপ ব্যবহার করেন ভ্লগাররা, ঠিকমতো ব্র্যান্ড প্রোমোশন করেন না- এ ধরণের অভিযোগ। সে প্রসঙ্গে রোজা বলেন, ‘এটা যে যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, এখানে আমার বলার কিছু নেই। আমি এত বড় কোনো ভ্লগার হয়ে যাইনি কিংবা কোনো ব্র্যান্ড প্রোমোটারও হইনি। আর এটা আমার মূল পেশাও না। তবে যারা এই পেশায় আছেন, তাদের আমি অনেক সম্মান করি, তারা অনেক ভালো করছেন। আমাদের অনেক সিনিয়র ভ্লগার যারা আছেন, যাদের নিয়ে এখন বিতর্ক হচ্ছে তারা অনেক কষ্টে এই জায়গাতে এসেছেন, আর আমরা তাদের থেকেই শিখেছি। যখন আমরা ভ্লগার বলতে কিছু বুঝতাম না, তখন তাদের হাত ধরে বাংলাদেশে ভ্লগ এসেছে।’
সেই সাক্ষাৎকারে এমনও অভিযোগ উঠেছে, অনেক ইনফ্লুয়েনসার কিংবা ব্র্যান্ড প্রোমোটাররা নাকি ফটোশ্যুটে করেই লাখের মতো পারিশ্রমিক নেন। এছাড়াও মেকআপ আর্টিস্টরাও প্রতি মিনিটে হাজার টাকা পারিশ্রমিক নেন বলেও অভিযোগ।
রোজা বলেন, ‘আপনারাই তো আমাদের ভ্যালুটা বাড়িয়েছেন। একজন নামী-দামী সেলিব্রেটির কাছে না গিয়ে আপনারা আমাদের কাছে আসছেন। তাদের থেকেও যদি আমরা বেশি চার্জ করি, তারাও আমাদের নিচ্ছেন- আমরা কেন নেব না। এটা একটা ব্যাবসা আফটার অল।’ রোজা এও বলেন, ‘সে এটা ডিজার্ভ করে, হয়তো সে জন্য এটা তিনি চার্জ করেছেন।’
মেকআপ আর্ট প্রসঙ্গেও বেশ আলাপ করেন রোজা। বলেন, ‘চাই আমার কাজকে সবাই জানবে। আর আমি বেছে কাজ করি; যেহেতু আমি একজন প্রোফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট। তো দেখা যায় আমার ওই কাজটা আগে। ওইটার ওপরে, ওই ক্যাজুয়ালের ওপরে ডিপেন্ড করে ওই ব্রান্ডকে কাজটা দেওয়া হয়। ওরা যখন চায় তখনই করতে হবে, নইলে আমার ওই কাজটা করা হয় না; কাজ হারিয়ে যায়। কিন্তু দিনশেষে এটা নিয়ে আমার আফসোস হয় না; কারণ কাজগুলো আমি শখের বসে করছি।’
বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় বেড়ে ওঠা রোজা আহমেদ বর্তমানে ক্যারিয়ার গড়েছেন মার্কিন মুলুকে। পড়াশোনা করেছেন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর। পড়াশোনা শেষ করে কসমেটোলজি লাইসেন্স গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে নিউ ইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠাতা করেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসারও।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার কুমিল্লা জেলা স্টেডিয়াম (ভাষা সৈনিক শহীদ নীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম) ইয়ং টাইগার্স অনুর্ধ্ব-১৬ বিভাগীয় ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট এর সি গ্রুপের খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১১৭ রানে বড় ব্যবধানে কক্সবাজারকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করে। এর আগে ১৫ জানুয়ারি ১ম খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২০৮ রানের ব্যবধানে বান্দরবানকে পরাজিত করে।
১৭ জানুয়ারি ২য় খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪৬ রানে চাঁদপুর এর কাছে হেরে যায়। সি গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নীট রান রেটে ৪র্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উন্নীত হয়।
আগামী ২৪ জানুয়ারি ২য় সেমিফাইনাল অংশ গ্রহণ করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বনাম চাঁদপুর।
২৩ জানুয়ারি ১ম সেমিফাইনালে অংশ গ্রহণ করবে নোয়াখালী বনাম লক্ষীপুর, ২৬ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো খেলা চট্টগ্রামের মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গেইম ডেভলপমেন্ট এর আয়োজনে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা ৩টি গ্রুপে ভাগ হয়ে লীগ ভিত্তিক খেলায় অংশগ্রহণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অনুর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দলের সদস্যগণ হলেন : তপু দত্ত (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান শ্রাবণ (সহ: অধিনায়ক), ইশান বনিক (উইকেট কিপার), সাকিব আল জামান, নুর আলম রাফি, আনাছ, আলিফ, সাদমান, শিমুল, ইয়াছিন আরাফাত, সজিবুর, মাহিন, সাবাব, নওশাদ, সিফাত ও নুর হোসেন কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, ম্যানেজার নাজমুল হক ভূঁইয়া সেলিম।
চলারপথে ডেস্ক :
বড় দলকে বাংলাদেশ প্রথম হারাল, এমন নয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ হারানোর সুখস্মৃতি এখনও খুব একটা দূরের গল্প নয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়টা আলাদা। তাদের সঙ্গে প্রথম বলে তো অবশ্যই , একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে খেলার ধরন, মানসিকতা, উইকেট সবকিছু মিলিয়েই।
সপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন বিকেল তিনটায় খেলা, তবুও গ্যালারি ছিল ভর্তি। তাদের গর্জনের সুরেও বোধ হয় ‘ভালো দল’ দেখার সেই সাক্ষী। মিরপুরে সন্ধ্যে নামার আগে জ্বলে উঠা মোবাইলের ফ্লাশলাইটে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে বদলে যাওয়ার শুরু হলো কি না, উঠবে এখন এই আলোচনাও।
অনেকদিন ধরে হতাশার টি-টোয়েন্টি দল বিশ্বকাপের পর খেলতে নেমেছিল প্রথমবার। একাদশ, স্কোয়াডেও বদলও এসেছিল বেশ কিছু। ‘পারফরমারদের’ নিয়ে গড়া ‘সাকিব আল হাসানের দল’ দেখিয়েছে নতুন আশার আলো, দিয়েছে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার বার্তাও।
আজ ১২ মার্চ রবিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ আগেই প্রথমটিতে জেতা স্বাগতিকদের জন্য নিশ্চিত হয়েছে সিরিজও। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড পায় ১১৭ রানের সংগ্রহ। ৭ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। সফরকারীদের স্কোরকার্ডে তখন জমা হয়েছে ১৬ রান, ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। তাকে বড় শট হাঁকাতে গিয়ে ডিপ থার্ড ম্যানে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দেন ডেভিড মালান। ৮ বল খেলে এই ব্যাটার করেন ৫ রান। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা মঈন আলীকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ফিল সল্ট। ইংলিশদের চাপে ফেলতে তাসকিনকে দিয়ে টানা তিন ওভার করান সাকিব। উইকেটের দেখা না পেলেও ওই ওভারগুলোতে ১৯ রান দেন এই পেসার।
সপ্তম ওভারে নিজেই বোলিংয়ে এসে সল্টকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের ফ্লাইটেড ডেলেভারিতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বসেন ইংলিশ ওপেনার। সাকিব দারুণ ক্যাচ নিলে ১৯ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সল্ট।
এরপর দারুণ এক ইয়র্কারে জস বাটলারের স্টাম্প ভাঙেন হাসান। ৪ রানে বাটলার ফিরে গেলে মেহেদী হাসান মিরাজকে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে শামীম পাটোয়ারির তালুবন্দি হন মঈন। ৫৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
এরপর স্যাম কারানের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন বেন ডাকেট। তাদের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ১৬ বলে ১২ রান করা কারান হয়েছেন স্টাম্পিং। এক বল পরেই ক্রিস ওকসকেও শূন্য রানে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।
এই স্পিনার ৪ ওভারে কেবল ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। কম খরুচে ছিলেন বাংলাদেশের প্রায় সব বোলারই। তাসকিন আহমেদ নিজের ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন, এক উইকেট নিতে সাকিব ৩ ওভারে দেন ১৩ রান। ১ উইকেট নেওয়া হাসান মাহমুদ ২ ওভারে ১০ রান দেন। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের দরকার ছিল কেবল উইকেটে টিকে থাকা। মাঝেমধ্যে বড় টার্ন নিচ্ছিল বল, পিচও ছিল কিছুটা স্লো; কিন্তু মিরপুরের এই উইকেটে কীভাবে খেলতে হয় বাংলাদেশের ব্যাটারদেরই তা সবচেয়ে ভালো জানা। শুরুটা অবশ্য ছিল কিছুটা হতাশার।
রান খরায় ভুগতে থাকা লিটন দাস এদিনও আউট হন হতাশাজনকভাবে। ৯ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার স্যাম কারানের বলে পুল করতে যান। ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ফিল সল্টে হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১৬ রানে এসে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রনি তালুকদারও পারেননি নিজের ইনিংস লম্বা করতে।
১৪ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার ক্যাচ তুলে দেন মঈন আলীর হাতে, জফরা আর্চারের বলে। তাওহীদ হৃদয় ব্যাটিংয়ে এসে দারুণ দুটি শট খেলেন। কিন্তু এই ব্যাটারও পারেননি ইনিংস টেনে নিতে। ২ চারে ১৮ বলে ১৭ রান করে পয়েন্টে দাঁড়ানো ওকসের হাতে তিনি ক্যাচ দেন রেহান আহমেদের বলে।
বাকিরা যখন পথ ধরছেন সাজঘরে, ফর্মে থাকা শান্ত তখন একাই টেনেছেন দলকে। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন কেউই তাকে দিতে পারেননি যোগ্য সঙ্গ। এক পর্যায়ে এসে ভয়ই ধরেছিল বাংলাদেশের। এর মাঝে অবশ্য মিরাজের ১৬ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান কিছুটা চাপ কমায়। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আফিফ হোসেন ধ্রুব যখন ফেরেন, তখনও বাংলাদেশের ১৩ বলে দরকার ১৩ রান।
শান্ত ফিরলেই বাংলাদেশের জন্য ছিল হারের বড় শঙ্কা। কিন্তু ক্রিস জর্ডানের করা ১৯তম ওভারে প্রতি আক্রমণে যান তাসকিন আহমেদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ওভারে দুজন মিলে হাঁকান তিন বাউন্ডারি, শান্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৩ চারে ৪৬ রান করে। জর্ডানের পঞ্চম বলে তাসকিনের চারে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো মিরপুর।
নাজমুল হোসেন শান্ত জড়িয়ে ধরেন ক্রিজে থাকা আরেক ব্যাটার তাসকিন আহমেদকে। শান্ত চিৎকার করে এমন কিছুই বলতে চাইলেন কি না, ‘আমরা এসেছি নতুনের বার্তা নিয়ে’ এটুকু অবশ্য নিশ্চিত হওয়া গেল না।
জয়ের বড় কৃতিত্ব অবশ্য ব্যাটিং করতে শেখা তাসকিনেও। তিনি পরপর দুই চার মেরে সাত বল থাকতে দেশকে সিরিজ জেতান।