অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারে বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতি পাড়ায় উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
ট্রেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে নানা কড়াকড়ি ও তদারকির পরও থেমে নেই কালোবাজারি। এই কালোবাজারির কারণে সাধারণ ক্রেতারা সহজে টিকিট পান না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
আদতে টিকিট কাটার পুরো প্রক্রিয়া রক্ষণাবেক্ষণে যারা দায়িত্বরত, তারাই জড়িত এই কালোবাজারির সিন্ডিকেটে।
এই চক্রটি বিভিন্ন কারসাজি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে স্বাভাবিক সময়ে দেড় থেকে দ্বিগুণ দামে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে থাকে। আর ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন ছুটিকে কেন্দ্র করে টিকিটপ্রতি দাম বেড়ে যায় ৩-৪ গুণ পর্যন্ত।
বাড়তি এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ পায় সরাসরি সিন্ডিকেটে জড়িত সদস্যরা। আর বাকি ৫০ শতাংশ চলে যায় কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহজ ডটকমের কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের হাতে। যাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় শুধু দুটি সিন্ডিকেটের হাতেই প্রতিদিন চলে যাচ্ছে প্রায় ৫০০ টিকিট।
দেশব্যাপী ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাব। আজ ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার ২৪৪টি আসনের টিকিট, ১৪টি মোবাইল ফোন এবং টিকিট বিক্রির নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সেলিম (৫০), আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম (৬২), অবনী সরকার সুমন (৩৫), হারুন মিয়া (৬০), মান্নান (৫০), আনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু (৫০), ফারুক (৬২), শহীদুল ইসলাম বাবু (২২), জুয়েল (২৩), আব্দুর রহিম (৩২), উত্তম চন্দ্র দাস (৩০), মোর্শিদ মিয়া ওরফে জাকির (৪৫), আব্দুল আলী (২২) ও জোবায়ের (২৫)।
এদের মধ্যে সেলিম ও উত্তম চন্দ্র দাস ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির দুই হোতা, যাদের নিজেদের নামে ‘সেলিম সিন্ডিকেট’ ও ‘উত্তম সিন্ডিকেট’ পরিচিত।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে সেলিম এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনে উত্তমের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশিথা, চট্টলা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল।
সেলিম ও উত্তমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা উপযুক্ত সময় বুঝে সংগ্রহকৃত টিকিট নিয়ে রেলস্টেশনের ভেতরে অবস্থান করতেন। রেলস্টেশনে এসে টিকিট না পাওয়া সাধারণ যাত্রীদের কাছে তারা টিকিট বিক্রির জন্য ঘোরাঘুরি করতেন এবং অধিক মূল্যে টিকিট বিক্রি করতেন।
এছাড়া ট্রেন ছাড়ার সময় যতো ঘনিয়ে আসতো তাদের মজুদকৃত কালোবাজারি টিকিটের দাম তত বাড়তো। সুযোগ বুঝে অনেক ক্ষেত্রে টিকিটের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিতেন তারা।
ঈদসহ বিভিন্ন উপলক্ষে ছুটিকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তাররা প্রতিটি টিকিট ৩-৪ গুণ বেশি মূল্যে বিক্রি করতেন। সাধারণত প্রতিটি টিকিট তারা দেড় গুণ থেকে দুই গুণ বেশি দামে বিক্রি করতেন। এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ গ্রেপ্তাররা নিতেন এবং বাকি ৫০ শতাংশ কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহজ ডটকমের কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের দেওয়া হতো।
গ্রেফতার উত্তম ও সেলিম সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবত টিকিট কালোবাজারির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
যেভাবে টিকিট যেতো সিন্ডিকেটের হাতে
র্যাব জানায়, গ্রেফতার সেলিম এবং উত্তমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা প্রথমত ট্রেনের কাউন্টারে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ যাত্রী, রেলস্টেশনের কুলি, স্টেশনের আশেপাশের এলাকার টোকাই, রিকশাচালক ও দিনমজুরদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতেন। যেহেতু প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে চারটি টিকিট দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে চারটি করে টিকিট সংগ্রহ করার বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেওয়া হতো।
এছাড়া, কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকিট বুকিং কর্মচারীর যোগসাজশে তারা বিভিন্ন সাধারণ যাত্রীর টিকিট কাটার সময় দেওয়া এনআইডি সংগ্রহ করে রাখতেন। পরে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণকৃত প্রতিটি এনআইডি দিয়ে চারটি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতেন। এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক টিকিট সংগ্রহ করতেন।
অনেক ক্ষেত্রে টিকিট কাউন্টারে নিজেরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতেন চক্রের সদস্যরা। আবার অনেক সময় কৌশলে লাইনে অপেক্ষমাণ টিকিটপ্রত্যাশী সাধারণ যাত্রীদের এনআইডি ব্যবহার করে চারটি টিকিট ক্রয় করিয়ে তিনটি টিকিট নিজেরা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নিতেন।
এছাড়া, ঈদ, পুজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ করে গ্রেফতারকৃতরা রেলস্টেশনে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মচারী এবং অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সার্ভার রুম বা আইটির সদস্যদের সহযোগিতায় তাদের কাছে সংরক্ষিত জনসাধারণের এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে এমনকি সার্ভার ডাউন করে তারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতেন।
পাশাপাশি চক্রটি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়ে অনলাইনে টিকিট কেটে সেগুলো তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতো। এমনকি স্টেশনে থাকা তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের দিয়ে কাউন্টার থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিটও সংগ্রহ করতো। সেসব টিকিটের মূল্য কাউন্টারের বুকিং কর্মচারীদের সঙ্গে তারা ভাগ করে নিতো।
এভাবে গ্রেফতারকৃতরা অবৈধভাবে বিভিন্ন পন্থায় বিপুল সংখ্যক ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতেন। যার ফলে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি রেলওয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
র্যাব বলছে, গ্রেফতার সেলিম দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় টিকিট কালোবাজারির দায়ে ৭টি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন। তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত হন।
গ্রেফতার আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম প্রায় ১৫ বছর ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তিনি সেলিমের অন্যতম প্রধান সহযোগী। মূলত তার দায়িত্ব ছিল কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করা।
গ্রেফতার উত্তম প্রায় ১৫ বছর ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তার সহযোগী গ্রেফতার আলী ও ফারুকসহ রাজধানীর আশকোনা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং এই বিষয়টি কাজে লাগিয়ে রেলস্টেশন এলাকায় সব সময় অবস্থান করে টিকিট কালোবাজারি চক্র গড়ে তোলেন।
গ্রেফতার বাকিরা দেশের বিভিন্ন রুট সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন, যার ফলে তারা সেসব রুটের যাত্রীদের ম্যানেজ করে টিকিট বিক্রি করতেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমরা এই কালোবাজারির বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি, যারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত এমন কিছু নামও পেয়েছি। তাদের বিষয়ে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবো। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাউন্টারম্যান, সহজ ডটকমের কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। এমনকি স্টেশনে যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত এমন কয়েকজনেরও এই সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
অনলাইন ডেস্ক :
বান্দরবানের রুমায় পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলিবর্ষণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুজন সৈনিক নিহত ও দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
আজ ১৭ মে বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার বান্দরবানের রুমা উপজেলার অন্তর্গত সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুলছড়িপাড়া নামক স্থানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানার খবর পাওয়া যায়। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে মেজর মনোয়ারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টহল দল দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানে অভিযানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
টহল দলটি জারুলছড়িপাড়ার কাছে পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলিবর্ষণের মুখে পড়ে। এতে দুজন অফিসার ও দুজন সৈনিক আহত হন।
আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত দুই সৈনিক মারা যান। আহত দুই কর্মকর্তা বর্তমানে চট্টগ্রাম সিএমএইচে চিকিৎসাধীন।
আইএসপিআর আরো জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার গহীন অরণ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
দেশমাতৃকার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদ সেনা সদস্যদের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে সেনাবাহিনী প্রধান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, যেকোনো সভ্য জাতির প্রাণ হলো তার সংস্কৃতি। একটি জাতির বড় শক্তি হলো তার সংস্কৃতি। আমাদের খুবই শক্ত একটা সংস্কৃতি রয়েছে, যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এর এলটি রুমে ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়োজিত বৃত্তিপ্রদান, পুরষ্কার বিতরণী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশে নববর্ষ এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হচ্ছে। আর এটা বর্তমান সরকারের আমলেই হয়েছে। তিনি বলেন, নববর্ষের যে অনুষ্ঠান তা বাঙালি সংস্কৃতির অনেক বড় একটা পরিচয়। ভাষা সাহিত্য ও অনুশীলন কেন্দ্রের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল সংস্কৃতি সংগঠরের ভালো কাজের সাথে আমি পাশে আছি থাকবো। এসময় তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতির বিকাশে সহযোগিতা করতে বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক এসআরএম ওসমান গণি সজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম শফিকুল্লাহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি গৃহায়ন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরও বলেন, সংস্কৃতি চর্চায় কোনো মানুষ বিপদগামী হয় না। আর তাই আমাদেরকে বেশি করে সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে। তিনি বলেন, ভাষা ও সাহিত্য একটি দেশের তথা ওই জাতির প্রাণ। আমাদেরকে সেই ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য কাজ করতে হবে। সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে তার গতিচাঞ্চল্য বাড়াতে কাজ করতে হবে। তিনি গর্বভরে বলেন, আমাদের সংস্কৃতি এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জায়গা করে নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও প্রফেসর ফাহিমা খাতুন এর নামে প্রবর্তিত বৃত্তি হিসেবে ১০ হাজার টাকা মুল্যমানের চেক ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি অঙ্গনে দীর্ঘ সময় ধরে ভুমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রবীন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আব্দুল মান্নান সরকারকে ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র পুরস্কার প্রদান করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থের ১০ হাজার টাকা মুল্যের একটি চেক এবং ক্রেষ্ট।
সংগঠনের সদস্যদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যতয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে।সকলের প্রতি একটাই নির্দেশনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এটি জাতির জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বিশেষ আইনশৃংখলা সভা ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছে। তারা কোনো দলের কর্মচারী না। সংবিধানের ১২৬ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে যে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেয়া। নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যে কোন দায়িত্বে পাঠাতে পারেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে নামবে। এবার ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে সকালে যাবে। ব্যালট পেপার যে অংশটুকু ভোটারকে দেয়া হবে সেই পেপারটিতে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকতে হবে। এটি ছাড়া যদি কেউ ভোট দেয় সেই ভোট বাতিল ও অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। এগুলো নির্বাচনী বিধিমালায় নতুন সংযোজন করা হয়েছে।
আচরণবিধি প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আইনে আছে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি ও ইউনিয়নে ১টি করে প্রার্থীর অফিস থাকবে। এর বেশি যদি থাকে তাহলে সেগুলো স্থানীয় রিটানিং কর্মকর্তা অপসারণ করতে হবে। তাছাড়া প্রচারণা সময়সীমা রাত ৮টা পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। এরপর যদি কেউ বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে প্রচারণা চলায় তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো রকম ছাড় দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল দিয়েও কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে মোটর সাইকেলে বৈধ কাগজ নেই সেগুলোকে আটক করা হবে। শুধু মটর সাইকেল নয়, কোনো রকম যানবাহন দিয়ে মহড়া করতে পারবে না। এগুলো যদি চোখে পড়ে তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যারা রয়েছে তাদের কাছে অভিযোগ দেবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, ৬০ বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের সব সেচ পাম্পকে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, প্রতিবছর ৮১ লাখ লিটার ডিজেল সেচ কাজে খরচ হয়।
তিনি বলেছেন, কেউ যদি বেসরকারিভাবে সোলার প্যানেল স্থাপন করতে চায় তাহলে কর মওকুফসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
আজ ২০ জুন মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক বৈঠকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনাসচিব সত্যজিত কর্মকার, তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ইমদাদউল্লা মিয়ান এবং আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আব্দুল বাকী, এ কে এম ফজলুল হক।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সৌর প্যানেল তৈরির সময় একটু উঁচু করে স্থাপন করতে হবে।
এর নিচে বিভিন্ন সবজি, মসলা এবং মাছ চাষ করা যায় কি না, এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দেন তিনি।
এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সকল একযোগে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষ কষ্ট ভোগ করছে। তাদের জন্য মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে।
পরিকল্পন্ত্রী জানান, বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে হাওর অঞ্চলে শেড নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি অফিস বা প্রকল্প বাস্তবায়নে কম জমি ব্যবহারে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আন্ডারপাস নির্মাণসহ ১৬ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১২ হাজার ৮৭৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।
বৈদেশিক ঋণ ১১ হাজার ৪৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।