চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিকর ক্যামিকেল ও চামড়ার লবন ব্যবহার করে বেকারিতে পণ্য তৈরি করার অভিযোগে সুরুচি নামে একটি বেকারিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর শান্তিনগর এলাকার বাকাইলে এই অভিযান পরিচালনায় জরিমানা করে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, সুরুচি নামক বেকারীতে অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত হচ্ছে এবং নিষিদ্ধ রং এবং টেক্সটাইল সল্ট (চামড়ার লবন) দিয়ে বেকারি পণ্য প্রস্তুত হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯ অনুযায়ী ১৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় এবং সতর্ক করা হয়। বেকারী পরিচালক তার অপরাধ স্বীকার করে নেন এবং ভবিষ্যতে এমন কার্য হতে বিরত থাকার অঙ্গীকার করেন। জনস্বার্থে এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হারপাওয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে এ ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে আজ ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ, জেলা আইসিটি অফিসার (প্রোগ্রামার) মোঃ সামছু উদ্দিন।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেও নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে। বক্তারা, প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞানকে সঠিক উপায়ে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিক্ষাতে দক্ষ কর্মী ও উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে আহ্বান জানান।
এই প্রকল্পের আওতায় জেলা সদর, কসবা এবং নবীনগর উপজেলার ১শ জন নারী উদ্যোক্তকে ই-কমার্স ও কল সেন্টার এজেন্ট বিষয়ক ৫মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে এই ল্যাপটপ দেওয়া হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শতাধিক শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত সংগঠন (ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশন) এর সমন্বয়ে শতাধিক প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। এ সময় তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরাও আমাদের মত মানুষ। তাদের পাশে আমাদের সকলকে থাকতে হবে। তাহলেই একটি সুন্দর দেশ ও সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব।
ড্রিম ফর ডিসএ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ হেদায়েতুল আজিজ মুন্নার সঞ্চালনায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব রুহুল আমিন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান হোসেন , জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা নিশাত,স্বপ্নতরী সমাজ উন্নয়ণ সংস্থার প্রধান নির্বাহী তাহের উদ্দিন ভূইয়া, প্রতিবন্ধীবান্ধব সমাজকর্মী বশির আল হাসানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘সমৃদ্ধি কর্মসূচির ভুক্ত কৈশর ও যুব কার্যক্রমের আওতায় মেধা বিকাশ উদ্যোক্তা মেলা ২০২৫’ এর ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার অন্নদা সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠে পল্লী কর্মী সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় ও সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন এন্ড প্রাকটিসেস (সিদীপ) এর আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ এর পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভিসি প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ সামছুদ্দিন আহমেদ, পিকেএসএফ এর উপ ব্যবস্থাপক পরিচালক ডক্টর ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, সিদীপের নির্বাহী পরিচালক মিফতা নাইম হুদা, দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিনের প্রকাশক ও সম্পাদক এমদাদুল হাসান, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের কার্যকরী সদস্য ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি আশেক মান্নান হিমেল প্রমুখ। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে শিক্ষার্থীরা ব্যাডমিন্টন খেলা প্রদর্শনী করে।
বক্তারা বলেন, এ ধরনে খেলা এবং উদ্যোক্তা মেলার আয়োজনের মূল উদ্দেশ্যেই হলো শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটানো । শিক্ষার্থীরাই হলো আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই তাদের মানুষিক বিকাশ ভীষণ জরুরি।
এ সময় অতিথি ও উপস্থিত দর্শকরা খেলা উপভোগ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই শিশু সন্তানসহ এক নারী বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ১৩ নভেম্বর বুধবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- ঘাটুরা এলাকার আশরাফ মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৪) এবং তর দুই কন্যা রওজা (৫) ও নওরিন (৩)।
নিহতদের মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন মিতুল জানান, বিষপান করা এক নারীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরপর তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করতে বলার কিছুক্ষণ পর দুই শিশুকে আনা হয়। তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ পর মাও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, স্ত্রী ও দুই শিশুকে নিয়ে স্বামী আশরাফ হাসপাতালে আসেন। তার সাথে থাকা স্বজনরা জানিয়েছেন স্ত্রী তার দুই সন্তানকে বিষপান করিয়ে নিজে বিষপান করেন। তিনজনের মৃত্যু হওয়ার পর আশরাফসহ অন্য স্বজনরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বলে জানান তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটননাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে দুই সন্তানসহ মা বিষপান করেছেন। এ ঘটনায় পলাতক স্বামী ও স্বজনদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।