অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন এই ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব তৌছিফ আহমদে স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিতর্কিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ১০৩ জন কর্মকর্তার অনুকূলে প্রদানকৃত বাংলাদেশ পুলিশ পদক-২০১৮ এর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)/বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)/রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)/রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা) নির্দেশক্রমে প্রত্যাহার করা হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর রেল সেতুতে ধাক্কা লেগে পণ্য বোঝাই একটি বাল্কহেড তলিয়ে গেছে। তবে বাল্কহেডে থাকা লোকজন নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আজ ১৪ জুন শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে আশুগঞ্জ-ভৈরবের একটি সড়ক, দুটি রেলসেতুর দুটি পিলার ও একটি জাহাজের সাথে ধাক্কা বাল্কহেড নদীতে ডুবে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল থেকে সিলেকশন পাথরবাহী এম ভি রিফাত ইসলাম নামের একটি বাল্কহেড মেঘনা নদী দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
অরুয়াইলের মো. সাইমন নামের এক ব্যক্তি বাল্কহেডটির মালিক। সড়ক ও রেলসেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাল্কহেডটির মাঝখান দিয়ে ভেঙে নদীতে তলিয়ে যায়। তবে বাল্কহেডে থাকা লোকজন নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আশুগঞ্জ নৌবন্দরের একাধিক শ্রমিক জানান, অরুয়াইল থেকে একটি বাল্কহেড আশুগঞ্জের মেঘনা নদীতে আসে। সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাল্কহেডটি প্রথমে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর ৩ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপর মেঘনার নদীর পুরাতন রেলসেতুর দুই নম্বর পিলার এবং সর্বশেষ নতুন রেলসেতুর ২ নম্বর পিলারের সঙ্গে বাল্কহেডের ধাক্কা লাগে। নতুন রেলসেতুর পাশে আগে থেকে একটি জাহাজ ভিড়ানো ছিল। সেটির সঙ্গেও বাল্কহেডের ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি মেঘনা নদীতে ডুবে যায়।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব নৌ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. রাশেদ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আশুগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী পণ্যবাহী একটি বাল্কহেড সড়ক ও রেলসেতুর পিলারে সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ভেঙে বা ফুটো হয়ে বাল্কহেডটি মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ অংশে ডুবে যায়। আজ ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। কেউ ভালো করে বিষয়টি দেখেওনি। ধারণা করা হচ্ছে বাল্কহেডে সিলেকশন পাথর বা বালু ছিল এবং এটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। তবে এতে কেউ হতাহত হননি বা কেউ নিখোঁজ নেই। খবর পেয়ে ভৈরব নৌ পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএ-এর সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে বলে শুনেছেন বিআইডব্লিউটিএ-এর আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নৌবন্দরের পরিদর্শক মো. মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ভোর পাঁচটার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। এটি কার, কোথায় থেকে আসছিল এবং কোন দিকে যাচ্ছিল, কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে কিছুই জানতে পারিনি। আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এটি নৌপুলিশের আওতায় পড়েছে। বাল্কহেডের মালিক এটি উদ্ধারের বিষয়ে হয়তো সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।’
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার আহবান জানান তিনি।
আজ ২৭ আগস্ট রবিবার বিকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালাইমনাই এসোসিয়েশন এ সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আনিসুল হক বলেন, দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা সকলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন, গৃহহীনদের গৃহের ব্যবস্থা করেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে যে অবস্থানে নিয়ে গেছেন, তা সারা বিশ্বে বাঙালি জাতির মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে; বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছে।
দুঃখ প্রকাশ করে আনিসুল হক বলেন, যে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীও হত্যা করার সাহস পায়নি তাঁকে হত্যা করেছে এদেশেরই কিছু মির্জাফর-বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে সপরিবারে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। কারণ খুনিরা জানতো বঙ্গবন্ধুর পরিবারের একজনও বেঁচে থাকলে তাকে দাবায়ে রাখা যাবে না।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-কবি নির্মলেন্দু গুণ, সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালাইমনাই এসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়নের জন্য দ্বিতীয় দিনে আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে মোট এক হাজার ২১২টি দলীয় ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে ৩২টি।
এ নিয়ে দুই দিনে ক্ষমতাসীন দলটির মোট মনোনয়ন ফরম বিক্রি হলো দুই হাজার ২৭৬টি।
আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার দ্বিতীয় দিনের ফরম বিক্রি শেষে আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরমের মূল্য ৫০ হাজার টাকা। সে অনুযায়ী দ্বিতীয় দিনে সরাসরি বিক্রি হয়েছে ছয় কোটি ছয় লাখ টাকা। আর অনলাইনে ১৬ লাখ টাকার মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।
এর আগে ১৮ নভেম্বর শনিবার প্রথম দিন মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয় এক হাজার ৬৪টি।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলবে আগামী ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে। ফরম সংগ্রহ ও জমা কার্যক্রম চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, তথ্যের সঙ্গে অনেক সময় অপতথ্যের মিশ্রণ ঘটে। তাই সেখানে সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করব। গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে কাজ চলছে। সরকার গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিতে কাজ করছে।
আজ ৪ মে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন প্রতিনিধির সঙ্গে বসে দ্রুততম সময়ে আইনটি সংসদে উত্থাপন করে পাস করার চেষ্টা করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ রক্ষায় যারা কাজ করবে, তারা আমাদের বন্ধু। পরিবেশ সাংবাদিকতায় প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবেশ রক্ষা করা।
তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা নয়, মুক্ত গণমাধ্যেমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিতেও সরকার কাজ করছে। পরিবেশ-প্রতিবেশকে সুরক্ষা দিয়ে উন্নয়ন করতে হবে ব্যালেন্স করে। যেমন পদ্মা সেতু শুধু পারাপার হতে নয়, দারিদ্র্য বিমোচনেও কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে গণমাধ্যমের মধ্যে শৃঙ্খলা আনা দরকার। আপনারাও (সাংবাদিক) বলেন- সাংবাদিকদের ন্যূনতম যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। সাংবাদিকসহ সব স্তরে সবার দাবি যেহেতু একই রকম, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে সে জায়গায় কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যম মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। তাই বর্ডার লাইন টানা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীরা আমাদের বন্ধু। তারা অ্যাড্রেস করে দেন। আমরা কাজ করতে পারি। সব সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। উদ্দেশ্যমূলকভাবে ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাই। আমরা মনে করি না সরকার যারা পরিচালনা করছে, তারা সবাই ফেরেশতা। গণমাধ্যম ধরিয়ে দিলে আমরা শুধরে নিতে পারি। তবে অনেক ক্ষেত্রেই মোটিভেটেড সাংবাদিকতা হয়। ক্ষতি হয় পেশাদার সাংবাদিকতার।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) মামলা করলেই জেলে নেওয়া হতো। এখন সেটি নেই। সিএসএতে অপসাংবাদিকতায় কেউ যদি ভুক্তভোগী হয়, তারও সহায়তা চাওয়ার অধিকার আছে। পেশাদার সাংবাদিকতার সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আইন করা হয়েছে। অপব্যবহার হলে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে।
এ সময় নোয়াবের সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, বিভিন্ন মহলের চাপের কারণে দেশে সাংবাদিকতা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। সব নিউজ আমরা ছাপাতে পারি না।
নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, দেশে দুর্নীতি বাড়ছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় দুর্নীতি বাড়ছে। এক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আরেক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় থাকছে না। তাই জবাবদিহিও মিলছে না। এসব নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা হয়রানির শিকার হন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে বিনা অনুমতিতে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদ থেকে এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের পদক্ষেপ ব্যাংক লোপাটকারীদেরই উৎসাহিত করবে।
রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলার প্রসঙ্গে টেনে এ. কে. আজাদ বলেন ‘আমাদের প্রশ্ন হলো সাংবাদিকতা কি অপরাধ?’ তিনি বলেন, সাংবাদিকেরা সেলফ সেন্সরশিপে চলে গিয়ে আত্মরক্ষা করতে চান। জনস্বার্থে তথ্য অনুসন্ধান এবং তা প্রকাশ করতে গিয়ে কেন তারা ‘অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত হবেন?
বক্তারা বলেন, দেশে যে সংকটগুলো চলছে, তার মধ্য বড় সংকট পরিবেশ বিপর্যয়। যারা জমি দখল করছে, তাদের অনেকের মিডিয়া আছে। সেখানে বড় চ্যালেঞ্জ সাংবাদিকতা। তবে পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে সাংবাদিকতার ওপর তাগিদ দেন তারা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম। সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান ও দেশ রূপান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তাফা মামুন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকেরা।
অনলাইন ডেস্ক :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা আশিক মিয়া (২০) হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে তিনদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা ১১টায় পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উঠানো হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর মহসীন উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার আশিক মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হককে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উঠানো হয়েছিল। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শ্রমিক আশিক মিয়ার মা কুলসুম বেগম সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহ ১১২ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।