অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে তিনি পদত্যাগের কথা জানান।
নাহিদ ইসলাম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার তরুণদের নেতৃত্বে যে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হচ্ছে সেই দলের আহ্বায়ক হতে যাচ্ছেন। গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও বেশ কয়েকবার জানিয়েছিলেন পদত্যাগ করেই তিনি নতুন দলে যোগ দেবেন। আজকে তার পদত্যাগের মধ্যদিয়ে সে পথ অনেকটা সুগম হলো। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ছাত্রদের পক্ষ থেকে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হবে।
রাজধানীর মানিকমিয়া অ্যাভিনিউয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। নতুন এ দলের নাম না জানা গেলেও এর নেতৃত্বে নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব হবেন আকতার হোসেন থাকবেন বলে জানা গেছে।
নতুন রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র এবং মুখ্য সংগঠক পদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম থাকার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া শীর্ষ পদগুলোতে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, তাসনিম জারা ও আরিফুল ইসলাম আদীব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ থাকবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, নাহিদ ইসলামকে ট্যাগ করে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক সারজিস আলম দুপুরে ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার। রাজপথে স্বাগতম সহযোদ্ধা।’
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা প্রাথমিকভাবে লো প্রোফাইল বজায় রেখে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ছদ্মবেশে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু পরে তারা বিপজ্জনকভাবে আন্দোলনের সামনের সারিতে চলে আসে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিসতিয়াগা ওচহোয়া ডি চিনচিক্রু আজ ২৮ জুলাই রোববার গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাইমুল ইসলাম খান সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সূত্র : বাসস
এই প্রসঙ্গে তিনি কোভিড হাসপাতাল,মেট্রো রেল, এক্সপ্রেসওয়ে,সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন এবং ডেটা সেন্টারের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন,‘আমাদের সকল উন্নয়নের প্রতীক,যা জনগণকে স্বাচ্ছন্দ্য ও সুবিধা দিয়েছিল,সেগুলো ধ্বংসের শিকার’ হয়েছে।
সেনা মোতায়েনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা এই পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ধৈর্য দেখিয়েছেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন,তার দল আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ জন এই সহিংসতায় নিহত হয়েছেন।
দলমত নির্বিশেষে তিনি নিহত বা আহত সকলকে সাহায্য করা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমি তাদের সাহায্য করার সময় দলীয় পরিচয় বিবেচনা করিনি।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,তারা আন্দোলনের গতির শীর্ষে থাকতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থার কারণে দেশে কোটার অস্তিত্ব ছিল না। তিনি বলেন,‘তখন তাদের দাবির যৌক্তিক ভিত্তি কী হবে?’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, সরকার মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা ও তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে।
স্পেনের রাষ্ট্রদূত শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে সেনা মোতায়েন এবং কারফিউ জারির প্রশংসা করে বলেন, ‘এখন ধীরে ধীরে সবকিছুর উন্নতি হচ্ছে।’
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা তিনি বোঝেন এবং এর প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন,‘আমি টেলিভিশনে সবকিছু দেখেছি কিন্তু ভাষার পার্থক্যের কারণে সেগুলো সঠিকভাবে বুঝতে পারিনি, তবে সংবাদপত্র থেকে আমি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এবং মারামারি থেকে ধ্বংসের বিষয় জানতে পেরেছি।’
রাষ্ট্রদূত জানান, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে কয়েকটি ভাংচুর স্থান পরিদর্শন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বরাদ্দ জনগণের কল্যাণে সরকারের আন্তরিকতা নিশ্চিত করে। ‘অনেক দেশে এই ধরনের বাজেট সমর্থন বিদ্যমান নেই’ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় এম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি (প্রবেশ) শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। গতকাল ৯ অক্টোবর বুধবার এ নীতিমালা প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাক্সিক্ষত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। যেমন: ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে অর্থাৎ, সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত। সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ, জন্ম তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত। পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে। নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতি শ্রেণির শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ৫৫ জন।
ভর্তি কমিটি:
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালকের নেতৃত্বে, জেলাপর্যায়ে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নেতৃত্বে, উপজেলাপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নেতৃত্বে ভর্তি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভর্তির তারিখ ও ফি:
কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় এবং আবেদন ফি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ নির্ধারণ করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
বিদ্যালয় পছন্দক্রম যেভাবে:
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম (দুটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে গণ্য হবে। বিদ্যমান অনলাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেকোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ্যাল এইড অফিসে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম শুরু হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেবল ২০২২ সালে ৩৭ হাজার ৮৬০ জন মামলা দায়ের করার এডিআর সহায়তার জন্য লিগ্যাল এইড অফিসে এসেছেন। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, সাধারণ মানুষ এখন মামলা দায়ের করার আগে এডিআরের মাধ্যমে তাদের বিরোধ মিটাতে উৎসাহ বোধ করছেন। সারাদেশের লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ শতভাগ দায়িত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।
দেওয়ানি কার্যবিধিতে জেলা এইড অফিসারের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, লিগ্যাল এইড অফিসসমূহে অসহায় সাধারণ বিচারপ্রার্থীকে আইনি পরামর্শ, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি এবং মামলায় আর্থিক সহায়তা সেবা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে ৩২ হাজার ৫৫৪ জনকে মামলা দায়েরের জন্য আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি বুধবার সংসদের বৈঠকের প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ্যাল এইড অফিসে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম শুরু হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেবল ২০২২ সালে ৩৭ হাজার ৮৬০ জন মামলা দায়ের করার এডিআর সহায়তার জন্য লিগ্যাল এইড অফিসে এসেছেন। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, সাধারণ মানুষ এখন মামলা দায়ের করার আগে এডিআরের মাধ্যমে তাদের বিরোধ মিটাতে উৎসাহ বোধ করছেন। সারাদেশের লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ শতভাগ দায়িত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন ও বিধিমালার মাধ্যমেই বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে, তাই এ পর্যায়ে প্রচলিত আইন সংশোধনের পরিকল্পনা সরকারের নেই।
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, জমির মালিকানাসংক্রান্ত বিরোধ কমিয়ে আনার জন্য আইনানুগ কর্তৃপক্ষের মাধ্যেমে ছাড়পত্র প্রদানের বিধান করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে জমির মালিকানাসংক্রান্ত বিরোধ হ্রাস করার জন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আনিসুল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের ভূমি নিবন্ধনে জনবান্ধব ‘ই-রেজিস্ট্রেশন’ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে ইতোমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
সারাদেশের দলিল নিবন্ধন ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজড করার লক্ষ্যে ‘দলিল নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ শীর্ষক একটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের আন্তঃসংযোগ কার্যক্রমকে অধিক ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উভয় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি আন্তঃসংযোগ কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যালোচনা করছে।
সরকারের কার্যক্রমের ফলে দেশের ভূমিব্যবস্থা স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষের ভোগান্তি লাঘব হয়েছে। আশাকরি, সুষ্ঠু ভূমিব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগে-পরে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ১৮৬ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে অনুমতি পাওয়া বিদেশিদের মধ্যে ১২৭ জন পর্যবেক্ষক আর ৫৯ জন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মী।
আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। তবে নির্বাচনের আগে এ সংখ্যা কিছুটা কম বেশি হতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪ জন, যুক্তরাষ্ট্রের আইআরআই এবং এনডিআই’র ১২ জন, সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের (এসএডিএফ) ৬ জন, দক্ষিণ কোরিয়ার এইচএল গ্রæপের একজন, এসএনএএস আফ্রিকার ২ জন, মুসলিম কমিশন নেপালের ২ জন, যুক্তরাষ্ট্রের বিরনি ল পিএলএলসি-এর একজন, আফ্রিকা হাউজ লন্ডনের ২ জন, বি স্ট্রাটেজিক পার্টনার’র (ব্রিটিশ) একজন, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন অরগানাইজেশ’র (জাপান) একজন, মুতাশ ক্রিয়েট রিসার্চ’র (জাপান) একজন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ভারত) একজন, শ্রীলঙ্কার মেম্বার অব পার্লামেন্ট একজন, অস্ট্রেলিয়ান এক রিসার্চার ও ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম এর যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিক।
এছাড়াও জাপানের এক নাগরিক, মালদ্বীপের অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল লিং-এর ৩ জন, ব্রিটিশ হাইকমিশন-ঢাকার ১০ জন, ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেটিক কো-অপারেটিভ অরগানাইজেশনের (থাইল্যান্ড) একজন, ভিটেম ফাউন্ডেশন পোল্যান্ড’র একজন, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন, ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারিয়ানস কংগ্রেসে’র দুই জন, আমেনিকান গেøাবাল স্ট্র্যাটিজিস’র একজন, আমেরিকার এক জন ব্যবসায়ী, অ্যাম্বাসি অব জাপানের ১৭ জন, আফ্রিকান ইলেকটোরাল অ্যালাইয়েন্সের ১২ জন, ব্রিটেনের পার্লামেন্টের ২ জন, ভারতের এক নাগরিক, এসএনএএস আফ্রিকা’র একজন, নেপাল সরকার ও বিভিন্ন দলের ৫ জন, নেপালের দীপেন্দ্র কন্ডেল ইনিশিয়েটিভ’র ৩ জন, মালয়েশিয়ার ৩ বিশিষ্ট জন, দি গোল্ড ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি’র ৩ আমেরিকান, ইআরপি ট্রেডি লিমিটেড’র নরওয়ের একজন, অ্যালায়েন্স ফর হিউম্যানিটি’র একজন ইরাকি, একজন কানাডিয়ান নাগরিক ও জিবিপি ইন্টারন্যাশনাল জার্মানির একজনও সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
৫৯ সাংবাদিকের মধ্যে রয়েছেন, আমেরিকার একজন, ইইউ রিপোর্টার, একজন বিট্রিশ, জার্মানির জুঙ্গে ফ্রেইহেট’র একজন, দি দিল্লি টেলিভিশন লিমিটেড’র ২ জন, জাপানের দি ইয়োমিরি সিমবান’র একজন, ভারতের আজকাল’র একজন, জাপানের কিওডু নিউজ’র একজন, ভারতের দি অ্যাসোসিয়েট প্রেস’র ৩ জন, ভারতের দি প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া’র ২ জন, জার্মানির এআরডি জার্মান রেডিও’র ২ জন ও ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকা’র একজন।
জাপানের নাইকিই আইএনসি, জিজি প্রেস ও এনএইচকে (জাপান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন) এর ৫ জন; নেপালের কেন্দ্রবিন্দু অনলাইন পিটিবি লিমিটেড’র একজন; ভারতের ডিএসটিভি দার্জিলিং-এর একজন, উত্তরবঙ্গ সংবাদ-এর একজন, দি টেলিগ্রাফ’র একজন, এএনআই’র একজন, এবিপি নিউজ’র ২ জন, আজকাল পাবলিশার্স লিমিটেডে’র একজন, এবিপি নেটওয়ার্ক’র ২ জন, এএনএম নিউজ প্রাইভেট লিমিটেড’র একজন ও জি মিডিয়া’র ২ জন; বিবিসি নিউজ (ভারতীয় ও আমেরিকান) ৪ জন; এরাইজ নিউজ’র এক বিট্রিশ; ফ্রান্সের প্যারিস লা মন্ডে’র একজন; সুইডিশ রেডিও-এর একজন; অ্যাজেন্সি ফ্রান্স প্রেস’র (এএফপি) ৭ জন; রয়টার্সের দুই ভারতীয়; আল জাজিরার এক ব্রিটিশ; অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের একজন; চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কে দুই ভারতীয়; এআরডি জার্মান টিভি’র এক ভারতীয়; কলকাতার সংবাদ প্রতিদিন’র একজন; দি ওয়াল কলকাতা’র একজন; ব্রিটিশ এক ফ্রিল্যান্সার ও বিলজিয়ান একজন সাংবাদিককে ভোট দেখার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সকলকে ভুমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন অসচেতনতার জন্য সড়কে নানাভাবে দূর্ভোগ পোহাতে হয়, প্রাণহানী সহ মানবসম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। ট্রাফিক আইন যথাযথ মেনে চলার জন্য তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং চালক মালিক সহ সংশ্লিস্ট মহলকে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনের জন্য আহবান জানান।
আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার “ছাত্র জনতার অঙ্গীকার নিরাপদ সড়ক হোক সবার” এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর আয়োজনে জেরা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আবু আশরাফ সিদ্দিকী।
আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোছাইন পিপিএম, ডাঃ আশেকুর রহমান হিমেল, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সভাপতি আল আমীন শাহীন, নিরাপদ সড়ক চাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি এম এম শাহীন, পরিবহণ মালিক শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের বাহার চৌধুরী, মোঃ সেলিম, সাইদুল ইসলাম শাহেদ প্রমুখ।
সভায় সড়ক পথে গতিই ক্ষতির কারণ উল্লেখ করে গতিনিয়ন্ত্রণ, মোটর সাইকেল দূঘটনায় তরুণ যুবাদের প্রাণহানী, থ্রীহুইলার, অটোরিক্সা ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ইজিবাইক দূঘটনা, চলার পথে চালকদের মোবাইল ব্যবহার পথ চলাচলে পথচারী অসচেতনা, ফুটপাত দখল সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় এবং এসব সমস্যা নিরসনে সকলকে সচেতন ভূমিকা রাখার জন্য আহবান জানান হয়েছে।