হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমান এর মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র জেএসডি’র পক্ষ থেকে গভীর শোক, শ্রদ্ধা এবং শোকাবহ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দলটির নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতি প্রকাশ করে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমান ছাত্র জীবন থেকেই দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়, বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা গঠনে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তীকালে বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রামে সংক্রিয়ভাবে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ সহ বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে আমৃত্যু পযর্ন্ত তিনি আপোষহীনভাবে সোচ্চার ছিলেন। এসময় ওনার চিরবিদায়ে রাজনীতিতে এক শূন্যতা সৃষ্টি হলো। যা পূরণ হবার নয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন – জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জেএসডি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মোহাম্মদ সরোয়ার হোসাইন, যুক্তরাষ্ট্রে মূল ধারার রাজনীতিবিদ এডভোকেট মজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মালেক, যুক্তরাষ্ট্র জে এস ডি’র আহবায়ক এনামুল হায়দার, যুগ্ম আহবায়ক সামছুদ্দীন আহমেদ শামীম, তছলিম উদ্দিন খান, আরজু হাজারী, মোহাম্মদ রফিক উল্যাহ, তারেক হোসেন সদস্য হারুনুর রশীদ, মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনলাইন ডেস্ক :
সিডনির রিভারউডের কঙ্কা ডো’রোতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের (এবিবিসি) ইফতার ও ডিনার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ মার্চ এই ইফতার ও ডিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ হাসান এলসেতোহি ব্যবসায়ীদের প্রতি ইসলামের নির্দেশনাগুলো নিয়ে আলোকপাত করেন। এরপর এবিবিসির চেয়ারপার্সন ফয়েজ দেওয়ান সকলকে শুভেচ্ছা জানান ও আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে এবিবিসির বিগত বছরের কার্যক্রম ও সফলতা তুলে ধরে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথি অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অভিবাসন মন্ত্রী টনি বার্ক এমপি তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে এবিবিসি আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও এবিবিসির সক্রিয় কার্যক্রমের ভূয়সী প্রসংসা করেন। বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সম্প্রতি তার বাংলাদেশ সফর, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বিভিন্ন ইতিবাচক আলোচনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
ইফতার পূর্ব সংক্ষিপ্ত দোয়া হয় পরে আজান পাঠ করা হয়। ইফতারের পর এবিবিসির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিম বিল্লাহ সমস্ত অংশগ্রহণকারী, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ীক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, অনুষ্ঠানের স্পন্সর ও স্বেচ্ছাসেবকদের অবদানের স্বীকৃতি ও প্রশংসা জানিয়ে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ইসলামিক স্কলার শেখ হাসান এলসেতোহি ও অনুষ্ঠানের স্পন্সরদের হাতে ফুলের তোড়া হস্তান্তর করে অভিনন্দন জানান এবিবিসি ভাইস চেয়ারপার্সন শাহীনুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সাজেদা আক্তার সানজিদা ও কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।
কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ উপস্থিত অতিথিদের এবিবিসির মেম্বারশিপ গ্রহণ করে এবিবিসি বিসনেজ ডাইরেক্টরিতে সকল বাংলাদেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করার জন্য অনুরোধ জানান। নৈশভোজ ও বিজনেস নেটওয়ার্কিং পর্বের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সুন্দর ভবিষ্যৎ ও উন্নত জীবনের আশায় স্বপ্নবাজ তরুণরা দেশ ছেড়ে প্রবাসে পাড়ি জমাচ্ছেন। অনেকেই মনে করেন ইউরোপের কোনো দেশে পৌঁছে গেলেই ভাগ্যের চাকা বদলে যাবে। তাইতো পছন্দের শীর্ষে থাকা ইউরোপের পথেই পাড়ি জমাচ্ছেন তরুণরা। তবে বৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা অনেকটা সোনার হরিণ পাওয়ার মতোই। নানা জটিলতা ও বৈধভাবে কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই অবৈধ পথ বেছে নিচ্ছেন অনেক তরুণ। আর দালালের খপ্পড়ে পড়ে এ পথে পাড়ি দিয়ে কেউ কেউ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেও অনেকেরই হচ্ছে সর্বনাশ।
অবৈধভাবে সমুদ্রপথে বা বিভিন্ন দেশের ঝুঁকিপূর্ণ সীমানা পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের সময় প্রায়ই জীবন হারাচ্ছেন স্বপ্নবাজ তরুণরা। অনেকেই নিখোঁজও হচ্ছেন। তাদেরই দু’জন মাসুদ রানা (২২) ও পাবেল আমদে (২৫)। অবৈধপথে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে ২ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তারা। একই গ্রামের মাসুদ ও পাবেল ইরান-তুরস্ক হয়ে ইউরোপের দেশ গ্রিসে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজরা হলেন হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের চুনু মিয়ার ছেলে পাবেল আহমেদ ও একই গ্রামের দলাই মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা।
নিখোঁঁজ মাসুদের স্বজনরা জানান, পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে তারা কয়েকজন অভিবাসন প্রত্যাশী ইউরোপের দেশ গ্রিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দুবাই থেকে জাহাজে ইরান পৌঁছান। ইরানে কয়েকদিন অবস্থানের পর ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি পাহাড়ি পথ বেয়ে ইরান থেকে তুরস্কে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এক সাথে ১০ জন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশি মোট ২৪ জন নাগরিক ছিলেন তাদের দলে। উঁচু-নিচু পাহাড়, মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম তরার সময় তারা নিখোঁজ হন। এরপর থেকে মাসুদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
অপর নিখোঁজ পাবেলের স্বজনরা জানান, পাবেলসহ ৩৫ জন যুবক ইরান থেকে তুরস্কের পথে যাত্রা শুরু করে। তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করার সময় দালাল চক্রের সদস্যরা রাতের অন্ধকারে পাহাড়-পর্বত মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিয়ে তুরস্কে প্রবেশকালে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্পের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় ৮ জন যুবক একদিকে লুকিয়ে পড়ে এবং অন্যদিকে ২৭ জন যুবকের সঙ্গে পাবেল দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে পাবেল নিখোঁজ হয়। পাবেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ পাবেলের মামা সাইফুর রহমান তালুকদার জানান, ‘পাবেল দেশের বাইরে যাওয়ার কিছুদিন আগে তার ছোট ভাই শাহ ফাহিম ও তার মা নাজমা তালুকদার মারা যান। নিজের পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করতে ইউরোপ যাওয়ার চিন্তা করে পাবেল। ৪ ভাই বোনের মধ্যে পাবেল সবার বড়।’
তিনি কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘পাবেলের মা মারা যাওয়ার পর আমাদের কাছেই সে বড় হয়েছে, মা হারা পাবেলকে অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করেছি। ইরান অবস্থানকালে ও তুরস্ক যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে ভাগিনার কথা হয়েছে। সে দোয়া চেয়ে বলেছিল, মামা আমি পৌঁছে ফোন দিব, কিন্তু আর তাকে ফোনে পাইনি। তার সঙ্গে থাকা সঙ্গীদের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ তাদের দেখে অভিযান চালালে যে যার মতো দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে পাবেলের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
নিখোঁজের ২ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি পাবেল ও মাসুদের। আজও তাদের অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।
মৃত্যু ঝুঁকির পথ বেয়ে ইরান-তুরস্ক সীমান্ত পাড়ি দেয়া আল-আমিন আহমেদ নামে অভিবাসী জানান, ‘ইরান হতে তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করা অনেকটা মরণ ফাঁদের মতো। সীমান্তপথ পাড়ি দেওয়া অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ, অনেক উঁচু-নিচু পাহাড় অতিক্রম করতে হয়, পাশাপাশি মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়। রাতের অন্ধকারে কোনো ধরনের আলো ছাড়াই দালাল চক্রের সদস্যদের পিছনে-পিছনে যেতে হয়। কখনো দীর্ঘপথ মরুভূমি, আবার কোনো কোনো সময় উঁচু-নিচু পাহাড় কিংবা বরফে ঢাকা ঝুঁকিপূর্ণ পথ। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করতে হয়। আর সীমান্তে আটক হলে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘বর্তমানে বৈধ পথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব বিপদজ্জনক পথে বিদেশে পাড়ি না জমানোর অনুরোধ। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
আল আমিন, মালয়েশিয়া থেকে :
মালয়েশিয়ায় রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে আব্দুল মাজেদ খান (২৯) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গত সোমবার সকালে রাস্তা পার হতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, মাজেদ প্রায় নয় মাস আগে মালয়েশিয়া গিয়ে পেনাং শহরে একটি কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। সোমবার সকালে নতুন ভিসার জন্য মেডিকেল করতে যাওয়ার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি গাড়ির নিচে চাপা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত মাজেদ খানের বাবা মোয়াজ্জেম খান বলেন, আমার ছেলে মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আমি চাই আমার ছেলের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। সরকার যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহুয়া আফরোজ বলেন, মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আব্দুল মাজেদ খানের নিহতের খবর জানার পর আমরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি যুক্তরাষ্ট্র শাখার উপদেষ্টা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম (৭৫)চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শহরেরএকটি হাসপাতালে গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গণমাধ্যমকে সংবাদ জানিয়েছেন সামসুল আহমেদ শামীম। বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম এর নামাজে জানাযা ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নিউইয়র্ক শহরের1404 newkirk avenue, Brooklyn বেলাল মসজিদে বাদ জুমা অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবারের ও দলের পক্ষ তার নামাজে জানাযায় উপস্থিত হওয়ার সকলের প্রতি অনুরোধ করা হচ্ছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর মাষ্টার আবুল কালাম স্বস্ত্রীক দেশে যান। ২৯ জানুযারি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফেরার পথে, নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের সাথে সাথেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর বিমানবন্দর থেকে জরুরি গাড়ির মাধ্যমে হাসপাতালে নেয়া হয়,আর সেখান থেকেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরপারে পাড়ি জমালেন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আবুল কালাম।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জে এস ডি, যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী, ছেলে, দুই মেয়ে নাতি – নাতনিসহ অসংখ্য সহযোদ্ধা, বন্ধু – বান্ধব রেখে গেছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের এ বীর সেনানী স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে, স্বাধীন দেশের উপযোগী শাসন ব্যবস্থা কায়েমসহ শ্রমজীবী কর্মজীবী পেশাজীবীদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অধিকার ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রামে আজীবন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে গেছেন। এজন্য তিনি বিভিন্ন সরকারের সময়ে জেল জুলুমের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ হিসাবে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।
মাষ্টার আবুল কালাম এর মৃত্যুতে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাষ্টার আবুল কালামের মৃত্যুতে জেএসএফ’র পক্ষ থেকে হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আমেরিকায় বাংলাদেশি কমিউনিটির অগ্রযাত্রায় সোমা সাঈদ নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছেন। কুইন্স সিভিল কোর্টের বিচারক হওয়ার চার বছরের মাথায় তিনি নিউইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হতে যাচ্ছেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এ পদে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। কমিউনিটির সক্রিয় ভূমিকা থাকলে আগামী ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে তার বিজয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ৭ আগস্ট কুইন্স কাউন্টি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বার্ষিক জুডিশিয়াল কনভেনশনে সর্বসম্মতভাবে নিউইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টের (কুইন্স বরো ট্রায়াল কোর্ট বেঞ্চ) পাঁচটি শূন্যপদে বিচারপতি হিসেবে পাঁচজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। পার্টির প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি মিক্স মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন। মনোনীতরা হলেন—ইরা গ্রিনবার্গ, সোমা সাঈদ, স্যান্ড্রা পেরেজ, ফ্রান্সেস ওয়াং এবং গ্যারি মিরেট।
সোমা সাঈদ ১২ বছর বয়সে বাবা-মার সঙ্গে টাঙ্গাইল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তার বাবা আফতাব সৈয়দ ছিলেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। নিউইয়র্কে স্কুল-কলেজের শিক্ষা শেষ করে তিনি নিজ মেধা ও পরিশ্রমে ২০২১ সালে কুইন্স কাউন্টি সিভিল কোর্টে বিচারক নির্বাচিত হন। এতে তিনি নিউইয়র্ক স্টেটে প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান ও প্রথম মুসলিম নারী বিচারক হিসেবে ইতিহাস গড়েন।
শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ‘বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি অব এনওয়াইসি’র ব্যানারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তাকে নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। তিনি সোমার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন তুলে ধরে বলেন, “বিশ্বের বহু দেশের আইনপ্রণেতারা আমেরিকার বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা অনুসরণ করেন। এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় সোমা সাঈদের মতো মেধাবী বিচারপতির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন লিউ, ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাটর্নি গুরদিপ সিং নাড়ুলা, সিভিল কোর্ট জাস্টিস প্রার্থী ইভ চো গুলেরগান, গ্যারি মিরেট, ফ্রান্সেস ওয়াং, ইমাম শামসী আলী, এডভোকেট নাসিরউদ্দিন, শামসুল হক, বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান জিল্লু, কমিউনিটি নেতা মিজান চৌধুরী প্রমুখ।
সোমা সাঈদ উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমার বাবা সাংবাদিকতা করতেন। তার কর্মনিষ্ঠা আমাকে মানবকল্যাণে অনুপ্রাণিত করেছে। আগামী নির্বাচনে আমি আপনাদের সমর্থন ও দোয়া নিয়ে জয়ী হতে চাই।