চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা সদরে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি সারা দেশে সংঘটিত ধর্ষণের প্রতিবাদসহ আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়া হয়।
নবীনগর ইচ্ছাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্রী প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নবীনগর সরকারি কলেজে এসে জড়ো হন।
জানা যায়, সম্প্রতি সারাদেশে সংঘটিত ঘনঘন ধর্ষণের প্রতিবাদসহ আইনশৃংখলার চরম অবনতির প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়া হয়।
দুপুর ১টার দিকে নবীনগর ইচ্ছাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্রী প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নবীনগর সরকারি কলেজে এসে একত্রিত হয়। এরপর কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীরা প্রচন্ড বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। এখানে ধর্ষকদের ফাঁসি দাবি করে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীদেরকে শ্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় ধর্ষকদের ফাঁসি দাবি করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররাও ছাত্রীদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
এ সময় কযেকজন ছাত্রী বক্তব্য রাখেন। পরে মিছিলটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রক্ষিণ করে। এসময় পথচারীদেরকেও হাত নাড়িয়ে মিছিলকারীদের সমর্থন জানাতে দেখা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরসহ সারাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও আন্যান্য শিক্ষকদের বল প্রয়োগে পদত্যাগ করানোর প্রতিবাদে আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে নবীনগর প্রেসক্লাব চত্বরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব মোসাম্মৎ কাউসার বেগমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম লিটন, ইব্রাহিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন, কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস রহমান, শিক্ষক শাজাহান কবির, শিক্ষক ইয়ার হোসেন, শিক্ষক পার্থ পালসহ প্রমুখ। নবীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ কাউসার বেগম বলেন, সারাদেশে আমাদের শিক্ষক সমাজের উপর অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। শিক্ষকদের বল প্রয়োগ করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে। এসব বলপ্রয়োগ বন্ধ করে শিক্ষকগণের কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় আমরা শিক্ষক সমাজ কর্মবিরতিতে যাবো।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষক সমাজ। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভির ফরহাদ শামীম বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যসস্থা নেওয়ার আশ^াস প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন হয়নি। স্বাধীনতার মূল মন্ত্র ছিল ‘কেউ খাবে, কেউ খাবে না-তা হবে না।’ সমাজতন্ত্র কায়েমের জন্যই দেশ স্বাধীন করেছিলাম। দেশ স্বাধীনের জন্য যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ। তাদের সেই ত্যাগের সুফল ভোগ করছে পুঁজিবাদী একটি শ্রেণি।’
নবীনগর উপজেলা কমিউনিস্ট নেতা প্রদীপ সাহার স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পৌর সদর বড়বাজার প্রাঙ্গণে এ সভা হয়।
ডাকসুর প্রথম ভিপি সেলিম বলেন, ‘মাথাপিছু আয়ের হিসাব ধরা হয়েছে ৩ লাখ টাকা। সেই পরিমাণ টাকা কি আমারা পাচ্ছি? দেশ আজ ঋণগ্রস্ত, মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১ লাখ টাকা। আজ দেশের অর্থ এক শ্রেণির হাতে জিম্মি। ১৬ বছরে দেশ থেকে ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে, যা ফেরত আনার কোনো সুযোগ নেই।’
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যে নীতিতে দেশ চালাচ্ছে, তার আগে বিএনপি, এরশাদসহ সব সরকাই একই নীতিতে দেশ চালিয়েছে। তারা দেশকে আজ দেওলিয়াপনার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’
প্রদীপ সাহার স্মৃতিচারণ করে তাঁর নামে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে একটি সড়ক নামকরণের দাবি জানান মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
সিপিবির নবীনগর উপজেলা শাখার সভাপতি ইসহাকের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান তারিখ চৌধুরী, সিপিবির জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ মো. জামাল, সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, প্রয়াত নেতার সহধর্মিণী সবিতা রানী সাহা প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার নাছিরাবাদ গ্রামের মো. আশিক মিয়া নামে এক মাদক ব্যবসায়ী কে ৫০০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মো. আশিক মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নাছিরাবাদ গ্রামের মো.করিম মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আশিক ঐ এলাকার সবচেয়ে বড় মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার কতিপয় লোকজন ও তার প্রভাবশালী আত্মীয় স্বজনদের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা করে আসছে।দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসলেও এতদিন ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। সে তার নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন মাদকের আখড়া। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করেনি।
আশিক মাদক সহ গ্রেফতার হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। এই ধরনের অভিযান যেন নিয়মিত পরিচালনা করা হয় এই আহবান জানান এলাকাবাসী।
নবীনগর থানার এসআই মোহাম্মদ বাছির আলম বলেন, মাদক উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আশিক মিয়া কে রবিবার রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে তার বসতবাড়ি থেকে ৫০০ পিছ ইয়াবা বড়ি ও মাদক বিক্রির নগদ ১১ হাজার টাকা সহ গ্রেফতার করা হয়।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপরোক্ত আসামি কে ২০১৮ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬ (১) এর ১০(ক)নিয়মিত মামলা রুজু করে আজ ২১ অক্টোবর সোমবার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগরে সাংবাদিক সফর আলীর সাথে মুঠোফোনে অশোভন আচরণ করায় নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ ডি জি এম এর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে নবীনগর প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক সমাজের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় বক্তারা নবীনগর উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ ডি জি এম আসাদুজ্জামান ভূঁইয়ার সকল অপকর্মের চিত্র তুলে ধরে অনতিবিলম্বে তাকে নবীনগর থেকে অপসারণের দাবি জানান,এবং তাকে দ্রুত অপসারণ না করা হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নবনির্বাচিত নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী, নবীনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুব আলম লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম লালু, সাপ্তাহিক নবীনগর পত্রিকার সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন হেলাল, প্রেসক্লাব যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সাংবাদিক রেজাউল করিম বাবুল, সঞ্জয় শীল, মোঃ সফর আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, হেফাজত ইসলাম নবীনগর উপজেলার সহ সভাপতি মাওলানা মেহেদী হাসান, নবীনগর উপজেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন পান্না, নারী উদ্যোক্তা সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের আব্দুল মজিদ (৭০) নামে এক হাজতি মারা গেছেন। আজ ১ অক্টোবর রবিবার বিকেলে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুল মজিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের শিবপুর ইউনিয়নের জুলাইপাড়ার মৃত হরন আলীর ছেলে। তিনি একটি হত্যা মামলায় জেলা কারাগারে হাজতি হিসেবে ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের সুপার মো. ইকবাল হোসাইল বলেন, চলতি বছরের ২৩ জুন হওয়া একটি হত্যা মামলায় আব্দুল মজিদ কারাগারে হাজতি হিসেবে ছিলেন। রবিবার সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। পরে বিকেলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, তার মরদেহ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের খবর পাঠানো হয়েছে।