চলারপথে রিপোর্ট :
কুয়াকাটা সংলগ্ন পশ্চিম সাগর মোহনা ও লেম্বুরবনে কোস্টগার্ড ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১৬ পাচারকারীকে আটক করেছে। আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোনের ষ্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তানভীর আজবাল হৃদয় প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, কোস্টগার্ড ও র্যাব বুধবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় একটি নামবিহীন ট্রলারে অভিনব কায়দায় জালের মধ্যে লুকিয়ে সমুদ্রপথে পাচারকালে ১ লাখ পিসসহ ১৬ পাচারকারীকে আটক করে। একই সময় লেবুরবন অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি বস্তায় থাকা আরো ৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
অটককৃতরা হলেন নবি হোসেন, মনির উদ্দিন, সোয়দ আলম, মোফাচ্ছেল হোসেন, মোবারক হোসেন, ছবুর আহম্মদ, সেলিম মাঝি, ওমর ফারুক, তহিদুল আলম, আবু তালেব, আব্দুল নবী, ফজলে করিম, মোস্থাক আহম্মদ, আব্দুল খালেক, আলফাত ও খলিল আহম্মদ। এরা নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এ চক্রটি সমুদ্র পথে দীর্ঘদিন ধরে এ মাদক পাচারের সাথে জড়িত বলে কোষ্টগার্ড সদস্যরা জানান। তবে এ চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
গ্রেফতারকৃত ১৬ মাদক পাচারকারী, জব্দ ট্রলার ও উদ্ধার করা ৪ লাখ পিস ইয়াবা মহিপুর থানায় হন্তান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের এ ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই মানুষের অপেক্ষা। সময়ের সঙ্গে দুপুর গড়াতে সেই অপেক্ষা রীতিমতো জনসমুদ্রের রূপ নেয়। হাজার হাজার মানুষ বরণ করে নেয় প্রিয় দল রংপুর রাইডার্সকে। আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে রংপুর স্টেডিয়ামে আসেন দলের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাহিদ রানা, অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদী হাসান, স্টিভেন টেইলর, খুশদিল শাহ, সাইফ হাসান। এছাড়াও আসেন হেড কোচ মিকি আর্থার, কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল, টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিমসহ টিম ম্যানেজমেন্ট।
গ্লোবাল সুপার লিগ (জিএসএল) শিরোপা জেতা দলটি শুরুতেই জার্সি উপহার দেয় হাজারো ভক্তদের মাঝে। রংপুরবাসীও সাদরে গ্রহণ করে রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটারদের। মাঠে প্রবেশের পর মঞ্চে আসেন রাইডার্সরা। একে একে দর্শকদের ধন্যবাদ দেন সব ক্রিকেটার ও কোচ।
রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। দোয়া করবেন যেন বিপিএল ট্রফিটা নিয়ে আসতে পারি। বসুন্ধরা গ্রুপকেও ধন্যবাদ।’
টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম জানান, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ এদেশের ক্রিকেট বদলে দিচ্ছে। রংপুর রাইডার্স এই মাঠে এসে বিপিএলের অনুশীলন করবে, ম্যাচ খেলবে সুযোগ থাকলে। আমরা ট্রফি নিয়ে আবার রংপুরে আসব।’
হেড কোচ মিকি আর্থার জানান, ‘আসসালামু আলাইকুম। যদিও আমি অনেক বেশি বাংলা জানি না। তবে আপনাদের ভালোবাসায় আমি অবাক।’
এসময় দর্শকদের জন্য রাখা হয় বিপিএল ট্রফিও। মাঠে ছিল বিপিএল ২০২৫ এর মাসকটা ‘ডানা ৩৬’। এছাড়া রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে দর্শকদের জন্য রাখা হয় বিশেষ কনসার্ট। চলতি বিপিএলে শুরুর ৮ ম্যাচের সবকটায় জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ এক নাম্বারে রয়েছে রংপুর রাইডার্স।
চলারপথে রিপোর্ট :
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। আজ ১ জানুয়ারি বুধবার সকালে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শান্তিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সফু সরকার বাড়ির সঙ্গে আজগর আলী সরকার বাড়ির বিরোধ চলছিল। পূর্ববিরোধের জেরে বুধবার সকালে দুই পক্ষের লোকজন রামদা, বল্লম, টেঁটা, ছুরি, লাঠিসোঁটাসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৬ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন-আলমগীর হোসেন (৩৬), সোলেমান মিয়া (৩৯), সোহরাব হোসেন (৪৫), রাসেল মিয়া (৩২), রফিক মিয়া (৩৫), দুলাল মিয়া (৩৭), সনি মিয়া (২৭), রাসেল মিয়া (৩১), সামীর মিয়া (৩৬), ইসমাইল হোসেন (৪৪), ইমরান হোসেন (২৯), হক মিয়া (৪৩), মাসুদ মিয়া (৪০), শাহিন মিয়া ৩৯), লালু মিয়া (৪৩), রাব্বি মিয়া (২৬), হোসেন মিয়া (৪৫), শাহ পরান (২৮), শাহজালাল (৩৪), শাহিন মিয়া (৪৫)। তাদের পাশের নরসিংদী জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সফু সরকার বাড়ির মতিউর রহমান সরকার বলেন, দুই মাস ধরে আজগর আলী সরকার বাড়ির মো. সুলতান মাস্টারের পক্ষের লোকজন রাতের বেলা তাদের বাড়িঘর ও লোকজনের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে আসছেন। আজ সকালে হঠাৎ সুলতান মাস্টারের লোকজন তাদের ওপর হামলা করেন। তখন তারা আত্মরক্ষার জন্য তাদের ধাওয়া দেন। এ সময় তাদের কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ হন।
আজগর আলী সরকার বাড়ির ইসমাইল হোসেন বলেন, মাস দেড়েক আগে মতিউর রহমান ও তার লোকজন তাদের ওপর হামলা করেছিলেন। তখন তাদের পক্ষের অনেক লোকজন আহত হয়েছিলেন। তার পর থেকে তারা গ্রামে যেতে পারেন না। মঙ্গলবার তারা গ্রামের বাড়িতে গেলে পূর্ববিরোধের জেরে আজ মতির লোকজন তাদের ওপর হামলা করে বাড়িঘরে ভাঙচুর চালান। এতে তাদের পক্ষের অনেকেই টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, শান্তিপুর গ্রামে পূর্ববিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা নরসিংদীতে চিকিৎসা নিয়েছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনের অভিযোগে এক কারখানা মালিককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১১ জানুয়ারি শনিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে পলিথিন তৈরির কারখানায় সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত কামাল মিয়া (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আবদুল গফুরের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন জানান, উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে অবৈধভাবে পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এমন সূত্রের ভিত্তিতে ভিত্তিতে দুপুরে কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক কামাল মিয়াকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬ (ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১৫ ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে আরো ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তে প্রায় ৪৬ লাখ টাকার বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা।
আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়। বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা আখাউড়া, কসবা, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৭৭১ পিস কসমেটিক্স সামগ্রী, ২১ কেজি কিসমিস, ৯ টি গরু, ৬৩২৮ পিস চকলেট, ৪,৭৫৭ কেজি চিনি, ৪৪৯ বোতল চুলের তেল, ৩৯৮ পিস ডব্লিউপি পাপা কিটনাশক, ৯০৬ পিস তালা, ৮৬ কেজি ফুচকা, ১৮ বোতল বড়ি ওয়েল, ৬৩,০০০ পিস বাঁজি, ১১৭ কেজি বাংলাদেশী রসুন, ২১৩ কেজি বাসমতি চাউল, ১টি মোটরসাইকেল, ৫১৬ প্যাকেট সেমাই, ১৯২ বোতল হুইস্কি, ১১ বোতল বিয়ার, ৫ কেজি গাঁজা এবং ৫৫ বোতল ইস্কফ সিরাপ উদ্ধার করে। এই সব অবৈধ পণ্য উদ্ধারের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬০ টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, উদ্ধারকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল আখাউড়া ও কুমিল্লা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে।
সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী নেত্রকোনার আয়োজনে আজ সকালে শহরের মোক্তারপাড়া পাবলিক হলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ২৮ জন আনসার সদস্যকে সাইকেল, চারজন নারীকে সেলাই মেশিন এবং ৪০ জনকে ছাতা প্রদান করা হয়েছে।
সমাবেশে নেত্রকোনার জারিয়া ২৬ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোহাম্মদ আছলাম সিকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল।
এর আগে, প্রধান অতিথি সকলকে সাইকেল, সেলাই মেশিন ও ছাতা উপহার হিসেবে তুলে দেন।