মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় স্থাপন করা হচ্ছে একটি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ। গত বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত তিনটি জায়গা পরিদর্শন করেছেন মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অতিরিক্তি সচিবসহ শিক্ষা প্রকৌশলী বিভাগের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। এই পরিদর্শন টিমের সাথে ছিলেন আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: ফয়সল উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ডা: এ এইচ মামুন।
আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অতিরিক্তি সচিব ড. মো: আয়েতুল ইসলামসহ শিক্ষা প্রকৌশলীর প্রতিনিধি দলটি প্রাথমিক ভাবে প্রস্তাবিত তিনটি স্থান পরিদর্শন করেছেন। এর মধ্যে আখাউড়া পৌরসভার নারায়নপুর গ্রামে একটি ও দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে দুইটি জায়গা ঘুরে দেখেন তারা। টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণে সুবিধাজনক হওয়ায় এই তিনটি স্থানকে হাতে নেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত করতে কয়েক দিনের মধ্যেই প্রস্তাব পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, তিন একর জায়গা জুড়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। চলতি বছর জানুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহে জমি অধিগ্রহন করতে ভুমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা ইকরামুল হক নাহিদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেয়া হয়। সে অনুযায়ী সুবিধাজনক এই তিনটি স্থানকে বাছাই করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত সাধারন শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত থাকবে। এসএসসি (ভোক) ও এইচ এস সি (ভোক) কোর্স চালুর মাধ্যমে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ করা হবে। থাকবে ৪টি ট্রেড ও ৪টি স্বল্প মেয়াদী প্যারাট্রেড কোর্স। এই শিক্ষা গ্রহন করে যুবকরা দেশে বিদেশে চাকুরীর বাজারে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী করবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন আগামী জুন মাসে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ট্রেন চলাচল করবে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। তিনি রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শীবনগর এলাকায় নির্মাণাধীন আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্প পরিদর্শনকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্যরেখায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এইকথা বলেন।
পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথ সম্পর্কে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ধীরে ধীরে সবগুলো রেলপথকে মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথকে পর্যায়ক্রমে মিটার গেজ থেকে ব্রডগেজে পরিনত করা হচ্ছে। তেমনিভাবে আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত যে রেলপথ আছে সেটিকেও ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি আন্দোলনের নামে পাকিস্তানের ভাবার্দশে বিশ্বাসী, ৭১এর পাকিস্তানী বাহিনীর প্রেতাত্মারা রেলের কোচ পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। রেলে আগুন দিয়েছে। তাদের আন্দোলনের গতি প্রকৃতি নিয়ে আমরা সব সময় শংকিত থাকি।
এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদে সাড়ে ৩শ সদস্য রয়েছেন। বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছে তাতে কিছু যায় আসে না। এতে সংসদের কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। তিনি বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে জনমত তৈরী করার আহবান জানান।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকোর কান্ট্রি ডিরেক্টর শরৎ শর্মা, এজিএম ভাস্কর বকশী, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইরকনের টিম লিডার রমন সিংলা বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সহিদুল ইসলাম, রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ব) জাফর আহমেদসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তীব্র স্রোতের কারণে সেতু ধসের আশঙ্কায় কসবা উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও আরো একটি সেতু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তা ধসে গেলে পৌর এলাকার দেবগ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুই পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির মাটি সরে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার দেবগ্রাম ও মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিলের সংযোগস্থলের সেতু বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ঝুঁকির মধ্য পড়ে। সেতুর এক পাশের দেয়াল ধসে পড়লে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গাছ ফেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পৌর এলাকার দেবগ্রামে নতুন নির্মাণ হওয়া সেতুটির এক পাশ থেকে মাটি সরে যায়। এ অবস্থায় একপাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এখানেও দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, সেতুর বিষয়ে অবগত রয়েছি। ঝুঁকি থাকায় সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
আখাউড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মো. আসাদুল ইসলাম (২৮) নামে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। আজ ২৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ইটনা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। আহত আসাদুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ইটনা গ্রামের বাসিন্দা ফেরদৌস মিয়ার ছেলে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসাদুল ইসলাম ইটনা সীমান্ত দিয়ে পারাপারের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা ভারতের অভ্যন্তরে প্রায় ১২০ গজ ভিতরে থেকে তাকে লক্ষ্য করে পরপর তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। একটি গুলি তার বাম চোখের পাশে লাগে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে সুলতানপুর বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জিয়াউর রহমান জানান, ঘটনাটি ভারতীয় সীমান্তের ১২০গজ ভেতরে একটি ছোট নদীর ধারে ঘটেছে। আহত যুবক নদী পার হওয়ার সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। গুলিটি তার চোখের কাছে লাগে এবং প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত। ঘটনার বিস্তারিত জানতে আহত ব্যক্তির সাথে কথা বলা হচ্ছে এবং বিএসএফের সাথেও যোগাযোগ চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তিন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ। ২২ জানুয়ারি বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দু’জন মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও একজন সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানা পুলিশ বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় আখাউড়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো: সেলিম মিয়া ও মো: টিটু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। একই সময়ে মাদক মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো: ফজলু মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত তিন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে দুপুরে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে সোপর্দ করেছে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন জানান, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মাদক ব্যবসায়ী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পৃথক স্থানে গলায় ফাঁস দিয়ে এক নারীসহ ২ জন আত্মহত্যা করেছে। আজ ২৫ মার্চ শনিবার সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নীলাখাদ এবং গঙ্গাসাগর পশ্চিম দিঘির পাড় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছে। নিহতরা হলেন নীলাখাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার জহিরুল হকের ছেলে মোঃ নয়ন (৪৬) এবং দিঘির পাড়েরর সাগর মিয়ার স্ত্রী আলিফা আক্তার (২০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নয়ন মিয়া সকলের অগোচরে বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন জানালা দিয়ে দেখতে পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে গঙ্গাসাগর গ্রামের পশ্চিম দিঘির পাড় এলাকায় সাগর মিয়ার স্ত্রী নিজ রুমে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছি। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, দু’জনেই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে, পারিবারিক কলহের জেরে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি।