চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মো. আল-আমীন (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আল-আমীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার পুটিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুটিয়া সীমান্তে কয়েকজন বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে বিএসএফ। এতে আহত আল-আমীনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বিএসএফ। রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মরদেহ বিএসএফ ক্যাম্পে রয়েছে।
বায়েক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন জানান, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। তবে কী কারণে গুলি করেছে সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না। মরদেহ বর্তমানে বিএসএফ ক্যাম্পে রয়েছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছামিউল ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীমান্তে গুলির ঘটনা ঘটে। এসময় শুনেছি এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিএসএফ নিয়ে যায়। পরে তিনি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আজ এ বিষয়ে বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তখন বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া যাবে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস গত সোমবার কমিউনিটি অপ-এডে লিখেছেন, তিন বছর আগে আমি আপনার মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার মুহূর্ত থেকে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো নিরাপদ রাস্তা, নিরাপদ পাতাল রেল এবং নিউইয়র্ক পরিবারের জন্য একটি নিরাপদ শহর তৈরি করা। এর অর্থ হলো অস্ত্র সহিংসতার ইস্যুটিকে সামনের দিকে মোকাবেলা করা এবং অপরাধীদের আরো দমন করার আগে তাদের হাত থেকে অবৈধ অস্ত্রগুলো বের করার জন্য কাজ করা।
আমি গর্বিত যে আমাদের প্রশাসন আমাদের রাস্তা থেকে এবং আমাদের কমিউনিটির বাইরে অস্ত্র কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আমরা প্রথম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত সপ্তাহে পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছি। এই ২০,হাজার অস্ত্র আর আমাদের প্রতিবেশী, আমাদের পরিবার এবং আমাদের শিশুদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি দেয় না; একজন নিউইয়র্কবাসীকে গুলি বা হত্যা করার সম্ভাবনা কম। এই পরিসংখ্যানটি শুধুমাত্র একটি বড় সংখ্যার চেয়েও বেশি- এটি আমাদের শহরের জন্য একটি বড় মাইলফলক এবং সঠিক দিকের একটি স্পষ্ট পরিবর্তন।
আমরা আগের তিন বছরের সময়ের তুলনায় ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমাদের রাস্তা থেকে আরও ৩ হাজার অস্ত্র তুলে নিয়েছি। আমরা যে ২০ হাজার অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছি, তার মধ্যে ১ হাজার চার শোর বেশি গোস্ট গান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে- যা খুঁজে পাওয়া যায় না এমন আগ্নেয়াস্ত্র। এসব আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করা এবং কিনতে পাওয়া খুব সহজ। আমরা আমাদের রাস্তা থেকে বিপজ্জনক অস্ত্রগুলো সরিয়ে ফেলছি এবং আমাদের কমিউনিটিগুলোকে নিরাপদ রাখছি- এবং আমাদের কৌশল কাজ করছে।
পরপর তিন বছর খুন ও গোলাগুলির সংখ্যা দ্বিগুণ সংখ্যায় হ্রাস পেয়েছে: মানুষ খুন প্রায় ২৩ শতাংশ কমেছে এবং গোলাগুলি ৪২ শতাংশেরও বেশি কমেছে। এর মানে হলো আমরা ২৬৮ অতিরিক্ত জীবন বাঁচিয়েছি এবং ১,৫০০ কম গুলির শিকার দেখেছি।
গত বছর ব্রুকলিনের ইতিহাসে সর্বনিম্ন পরিমাণে বন্দুক সহিংসতা দেখা গেছে। অন্যদিকে পুরো শহরজুড়ে ডিসেম্বরে সামগ্রিক অপরাধ ১৫ শতাংশ কমেছে। বন্দুক সহিংসতা নির্মূলে আমাদের অবিচল মনোনিবেশের কারণে, নিউইয়র্ক সিটি আমেরিকার সবচেয়ে নিরাপদ বড় শহর হিসেবে অবিরত রয়েছে।
আমরা নতুন বছর শুরু করার সাথে সাথে আমাদের অগ্রাধিকার একই থাকে: বন্দুক সহিংসতা মোকাবেলা করা এবং আমাদের শহর থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র অপসারণের মাধ্যমে নিউইয়র্কবাসীদের নিরাপদ রাখা। এনওয়াইপিডি অফিসাররা ইতিমধ্যেই ২০২৫ সালের প্রথম কয়েক সপ্তাহে ৩৫০ টিরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন। তবে আরও এগিয়ে যেতে আমরা করতে পারি এবং আমরা করব।
গত কয়েক মাসে, আমরা এলোমেলো সহিংসতা দেখেছি যা অনেক নিউইয়র্কবাসীকে নাড়া দিয়েছে। আমরা সকলেই জানি যে নিরাপত্তা কেবল পরিসংখ্যানের চেয়ে বেশি কিছু – মানুষ অবশ্যই নিরাপদ থাকবে এবং তাদের অবশ্যই নিরাপদ বোধ করতে হবে। সেই পরিচিত নীল ইউনিফর্মের উপস্থিতির চেয়ে উপলব্ধিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য আর কিছুই ভাল কাজ করে না। তাই, নিউইয়র্কবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা রাতভর প্রতিটি সাবওয়েতে দুইজন অফিসারসহ টহলের জন্য শত শত অতিরিক্ত পুলিশ অফিসারকে নিযুক্ত করছি।
এটি তিন বছর আগে আপনাদের কাছে আমার প্রতিশ্রুতি ছিল এবং আজও রয়েছে। যখন অন্যরা পুলিশকে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিল, আমি তাদের রক্ষা করেছি, কারণ আপনার সুরক্ষার জন্য লড়াই করার জন্যই আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। নিউইয়র্ক সিটিকে আরও নিরাপদ করতে অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা, পাচারের পাইপলাইনগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং গুলিবর্ষণের আগেই গুলি প্রতিরোধ করার মতো বিভিন্ন কাজে এনওয়াইপিডি কঠোর পরিশ্রম করতেই থাকবে।
আমি এই মাসের শুরুর দিকে আমার স্টেট অফ দ্য সিটি ভাষণে বলেছিলাম, আমাদের অবশ্যই নিউইয়র্ক সিটিকে একটি পরিবার গড়ে তোলার জন্য বিশ্বের সেরা জায়গা বানাতে হবে। এটি শুরু হয় আমাদের পরিবারের জন্য নিরাপদ হাঁটার রাস্তা, নিরাপদ ট্রানজিট চালানো এবং খেলার জন্য আরও নিরাপদ পার্ক দিয়ে। আমরা আমাদের রাস্তা থেকে যে বন্দুক জব্দ করি তা আমাদের সেই লক্ষ্যের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। প্রতিদিন আমি আমাদের শহর ও আমাদের দেশে বন্দুক সহিংসতা বন্ধ করতে কাজ চালিয়ে যাব।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী জাতীয় নির্বাচন দেশের সংবিধান অনুযায়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
গতকাল শুক্রবার কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মিত হয়েছে। এ দেশের সবার মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব কারও কারও সহ্য হচ্ছে না। কিন্তু বাংলাদেশকে কেউই আর দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কসবা পৌর মেয়র এমজি হাক্কানীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
মেক্সিকোর মুভমেন্ট পার্টির নির্বাচনী প্রচারণার মঞ্চ ভেঙে নিহত হয়েছেন পাঁচজন। ২২ মে বুধবার বিকেলে দেশটির নুয়েভো লিয়নে এ ঘটনা ঘটে। সূত্র : রয়টার্স
স্থানীয় গভর্ণর স্যামুয়ের গারসিয়া বলেন, মঞ্চ দুর্ঘটনায় আরো ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে।
সেন্ট্রিস্ট সিটিজেনস মুভমেন্ট পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জর্জ আলভারেজ মেনেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, সান পেদ্রো গারজা গার্সিয়া শহরে চালানো নির্বাচনী প্রচারণায় হঠাৎ করে একটি ঝড়ে মঞ্চটি ভেঙে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জর্জ আলভারেজ নিজেও। তিনি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ আছেন বলে জানান। তবে তার কর্মীরা আহত হওয়ায় তিনি নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত করেছেন।
এ দুর্ঘটনার জন্য ঝড় বৃষ্টিকে দায়ী করেছেন গভর্ণর গারসিয়া। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের বজ্রপাত ও ঝড় বৃষ্টি থেকে নিরাপদে থাকতে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।
মেক্সিকোতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২ জুন।
অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুইটি হেলিকপ্টারের মধ্যে অল্পের জন্য মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা যায়। কিন্তু বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে প্রশিক্ষণ চলার সময় সেনাবাহিনীর দু’টি ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টারের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এ দুর্ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন।
হেলিকপ্টারের ক্রুরা নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে এগুলো উড়াচ্ছিলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাদের আশঙ্কা, এ ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমগুলো আরো জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় আবহাওয়া স্বাভাবিক ছিল।
গত বছরের জুলাইয়ে ৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করে এ হেলিক্প্টার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হয়। কঠিন পরিস্থিতির বাস্তব ধারণা পাওয়া যাবে এমন ডিজাইন করে এটি তৈরি করা হয়েছে।
৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসেয়ার বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে বলেছেন, ‘ফোর্ট ক্যাম্পবেল থেকে খারাপ খবর এসেছে।’
যে ঘাঁটিতে হেলিকপ্টার দু’টির সংঘর্ষ হয়েছে সেটি নাশভিলের ৬০ মাইল উত্তর পূর্ব দিকের কেন্টাকি-টিনাসের ট্রিগ কাউন্টিতে অবস্থিত। ওই ঘাঁটিতে ১০১তম এয়ারবোর্ন রেজিমেন্ট এবং ১৬০ স্পেশাল অপারেশন এভিয়েশন রেজিমেন্টের সেনারা অবস্থান করেন।
ডব্লিউকেডিজেড রেডিও নামের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘হেলিকপ্টার দু’টি খুবই নিচে নেমে আসে, হঠাৎ করে – যখন বাড়ির কাছাকাছি চলে আসে, প্রচণ্ড শব্দ এবং বিকট বিস্ফোরণ হয়। হঠাৎ করে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা ট্রাক থেকে নেমে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই, সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, দু’টি হেলিকপ্টার পড়ে আছে।’
ট্রিগ কাউন্টির কারা পরিদর্শক জেমস হিউজ ডব্লিউকেডিজেড রেডিওকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে আধা মাইল দূরে থাকেন তিনি। তার ধারণা, হেলিকপ্টারগুলোর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।
ফোর্ট ক্যাম্পবেল ঘাঁটির মুখপাত্র ননডিস থুরমান নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১০টার দিকে ট্রিগ কাউন্টির, ৬৮ নম্বর মহাসড়কের কাছে দু’টি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।
তিনি আরো নিশ্চিত করেছেন, হেলিকপ্টারগুলো ছিল ব্ল্যাকহক মডেলের। আর এগুলো পরিচালনা করত ১০১তম এয়ারবোর্ন ডিভিশন।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফোর্ট ক্যাম্পবেল থেকে প্রথমবারের মতো একটি ইউএইচ-৬-আলফা ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার মানুষ ছাড়াই উড়ানো হয়। বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনার সঙ্গে এই পোগ্রামের কোনো ত্রুটির সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সেটি দেখা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ২২২ জন বাংলাদেশি প্রবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। অভিযানে বাংলাদেশি ছাড়াও ৫ জন চীনা ও ১ জন ভারতীয় নাগরিক আটক হয়েছে।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার কেদাহ রাজ্যের কুলিমে বিদেশি কর্মী নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের পরিষেবা প্রদানকারী অফিসে সমন্বিত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে কেদাহ ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ রিদজুয়ান মোহাম্মাদ জেইন বলেন, ‘কেদাহ জিআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড অপারেশনস ইউনিটের ইমিগ্রেশন অফিসারদের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ২২৮ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়। যাদের মধ্যে ২২২ জন বাংলাদেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযানের সময় তদন্তে দেখা গেছে, জড়িত কর্মসংস্থান সংস্থাগুলো একটি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের পরিষেবা দিয়ে আসছিল।
এজেন্সিটি সব সেক্টরে কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচারের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আসছিল। আটকদের ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আলোর সেতার ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীদের আরও সর্তক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কেদাহ ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর বলেন, ‘কোনো কর্মসংস্থান সংস্থা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ওই সংস্থাটি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত কি না তা নিশ্চিত হয়ে সেখানে যেতে হবে।